অপুর সংসার সমগ্র- বিভূতিভূষণ ও তারাদাস বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলা ডিজিটাল বই পিডিএফ
ডিজিটাল বইয়ের নাম- অপুর সংসার সমগ্র
লেখক- বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও তারাদাস বন্দ্যোপাধ্যায়
এই বইতে মোট পৃষ্টা আছে- ৭১৪
ডিজিটাল বইয়ের সাইজ- ৪১এমবি
জলছাপমুক্ত, ঝকঝকে প্রিন্ট
ছোটবেলা থেকে মায়ের কাছে শুনেছি বাবার ইচ্ছে ছিল অপুর ছেলে কাজলকে নিয়ে একটি উপন্যাস লেখার। ‘কাজল কেন লিখব’নামে একটি পনেরো-ষোলো পংক্তির ছোট্ট লেখাও লিখেছিলেন। সেই বয়সেই এ রকম দুঃসাহসিক চিন্তা করা সম্ভব। তখন থেকেই একটু-আধটু লিখতাম ছোট পত্রিকায়, হাতে-লেখা কাগজ প্রকাশ করতাম। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়ে ফলের জন্য যে তিনমাস অপেক্ষা করতে হয়েছিল, তখন একটা ফুলস্ক্যাপ সাইজের মোটা কাগজে বঁধানো খাতায় একপাতা দুপাতা করে কাজল লিখতে আরম্ভ করি। ওই খাতার বত্ৰিশ পাতা লিখেছিলাম। তারপর রেজাল্ট বেরুল। কলেজে ঢুকলাম। তিন-চারবছর খাতাটা তাকের ওপর বইপত্রের নিচে চাপা পড়েছিল। এম.এ. পড়বার সময় গরমের ছুটিতে 'কাজল' লিখে শেষ করে ফেলি। উৎসাহ দিয়েছিলেন এবং প্রথম প্রকাশ করেছিলেন শ্ৰদ্ধেয় সাহিত্যিক মনোজ বসু। উনিশশো সত্তর সালের ১০ই অগাস্ট ‘কাজল’ গ্রন্থাকারে প্রকাশ পায়। তারপর কুড়ি-বাইশ বছর ধরে পাঠকেরা চিঠি লিখে ফোন করে বা দেখা হলে জানতে চেয়েছেন তারপর কাজলের কী হল। 'কাজল'-এর আখ্যানভাগ যেখানে শেষ তখন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলছে। সেখান থেকে গল্প ধরে 'তৃতীয় পুরুষ'-এর কাহিনী টেনে নিয়ে গেলাম স্বাধীনতা উত্তর ভারতে। এরপর আমার আর দায়িত্ব নেই, আর আমি পারব না। 'কাজল' লিখেছিলাম ঘোরের মধ্যে ঘুমন্ত অবস্থায়। 'তৃতীয় পুরুষ' সচেতনভাবে লেখা, খুব পরিশ্রম হয়েছিল লিখতে। আমার নিজের জীবনকে আবছা কাঠামো হিসেবে ব্যবহার করেছি। দুটি উপন্যাসেই। সেখানেই ঘটেছে বিপদ।। কাজলের জন্ম ১৩৩০ বঙ্গাব্দে। ‘অপরাজিত’-তে তেমনই বলেছেন বিভূতিভূষণ। আর আমার ১৩৫৪-তে। এই চব্বিশ বছরের ব্যবধানকে উপন্যাসে মসৃণ করতে দারুণ বেগ পেতে হয়েছে। পেরেছি কিনা বিচার করবেন পাঠক।
এই সংকলনের বইগুলি আলাদাভাবে বাজারে পাওয়া যায়। তাহলে এগুলিকে একত্র করে প্রকাশ করার কারণ কী? এ প্রশ্ন পাঠকের মনে থাকতেই পারে। সবকটি কাহিনী একত্র করার একটা বড় কারণ এই যে অপু-দুৰ্গার গল্প সম্বন্ধে বাঙালি পাঠকের বিগতপ্ৰায় আট দশক ধরে ভালোবাসা এবং কৌতুহল রয়েছে। শেষ পর্যন্ত কী হল তাদের? অপুর ছেলে বড় হয়ে কী করছে, সে কি বিয়েথাওয়া করে সংসারী হল? একসঙ্গে দুই মলাটের ভেতর এই সব প্রশ্নের উত্তর পেলে পাঠকের পরিশ্রম বাঁচে কারণ যখন যে বই পড়তে ইচ্ছে করে, সেইমুহূর্তে তা হাতের কাছে পাওয়া যায় না। তাছাড়া গল্পের ধারাবাহিকতা এবং পারম্পর্য এভাবে আরো একান্ত করে পাওয়া যেতে পারে।
মানুষের গল্প কিন্তু শেষ হয় না। হরিহরের পরিবারের কাহিনী এগিয়েই চলেছে। হয়তো পরবতী প্রজন্মের কেউ সেই গল্প বলবার ভার নেবে। 'তৃতীয় পুরুষ'-এর শেষে সেই ইঙ্গিত আছে।
আমার পরম সৌভাগ্য বাবার সঙ্গে মিশে রইলাম। খুব ভালোবাসতেন আমাকে। আমার খেলার সঙ্গী ছিলেন। মাত্র তিনবছর বয়েসে তাকে হারাই। এতদিন পরে আবার এই আশ্চর্য মিলন। সাতান্ন বছর পরে।- তারাদাস বন্দ্যোপাধ্যায়
পাঠকগণ, এই দুই লেখকের আরো বই সংগ্রহ করিতে পারেন-
কাজল । তারাদাস বন্দ্যোপাধ্যায়
কিশোর অপু- বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়
অসাধারণ-বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়
বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্রেষ্ঠ গল্প বাংলা ছোটগল্প
পিতা ও পুত্রের লেখা মোট চারটি গল্প এই বইতে আছে, সেগুলো হল- পথের পাঁচালী, অপরাজিতা, কাজল, তৃতীয় পুরুষ
উপরোক্ত বাংলা বইটির পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করুন অথবা অনলাইনে পড়ুন
ডিজিটাল বইয়ের নাম- অপুর সংসার সমগ্র
লেখক- বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও তারাদাস বন্দ্যোপাধ্যায়
এই বইতে মোট পৃষ্টা আছে- ৭১৪
ডিজিটাল বইয়ের সাইজ- ৪১এমবি
জলছাপমুক্ত, ঝকঝকে প্রিন্ট
ছোটবেলা থেকে মায়ের কাছে শুনেছি বাবার ইচ্ছে ছিল অপুর ছেলে কাজলকে নিয়ে একটি উপন্যাস লেখার। ‘কাজল কেন লিখব’নামে একটি পনেরো-ষোলো পংক্তির ছোট্ট লেখাও লিখেছিলেন। সেই বয়সেই এ রকম দুঃসাহসিক চিন্তা করা সম্ভব। তখন থেকেই একটু-আধটু লিখতাম ছোট পত্রিকায়, হাতে-লেখা কাগজ প্রকাশ করতাম। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়ে ফলের জন্য যে তিনমাস অপেক্ষা করতে হয়েছিল, তখন একটা ফুলস্ক্যাপ সাইজের মোটা কাগজে বঁধানো খাতায় একপাতা দুপাতা করে কাজল লিখতে আরম্ভ করি। ওই খাতার বত্ৰিশ পাতা লিখেছিলাম। তারপর রেজাল্ট বেরুল। কলেজে ঢুকলাম। তিন-চারবছর খাতাটা তাকের ওপর বইপত্রের নিচে চাপা পড়েছিল। এম.এ. পড়বার সময় গরমের ছুটিতে 'কাজল' লিখে শেষ করে ফেলি। উৎসাহ দিয়েছিলেন এবং প্রথম প্রকাশ করেছিলেন শ্ৰদ্ধেয় সাহিত্যিক মনোজ বসু। উনিশশো সত্তর সালের ১০ই অগাস্ট ‘কাজল’ গ্রন্থাকারে প্রকাশ পায়। তারপর কুড়ি-বাইশ বছর ধরে পাঠকেরা চিঠি লিখে ফোন করে বা দেখা হলে জানতে চেয়েছেন তারপর কাজলের কী হল। 'কাজল'-এর আখ্যানভাগ যেখানে শেষ তখন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলছে। সেখান থেকে গল্প ধরে 'তৃতীয় পুরুষ'-এর কাহিনী টেনে নিয়ে গেলাম স্বাধীনতা উত্তর ভারতে। এরপর আমার আর দায়িত্ব নেই, আর আমি পারব না। 'কাজল' লিখেছিলাম ঘোরের মধ্যে ঘুমন্ত অবস্থায়। 'তৃতীয় পুরুষ' সচেতনভাবে লেখা, খুব পরিশ্রম হয়েছিল লিখতে। আমার নিজের জীবনকে আবছা কাঠামো হিসেবে ব্যবহার করেছি। দুটি উপন্যাসেই। সেখানেই ঘটেছে বিপদ।। কাজলের জন্ম ১৩৩০ বঙ্গাব্দে। ‘অপরাজিত’-তে তেমনই বলেছেন বিভূতিভূষণ। আর আমার ১৩৫৪-তে। এই চব্বিশ বছরের ব্যবধানকে উপন্যাসে মসৃণ করতে দারুণ বেগ পেতে হয়েছে। পেরেছি কিনা বিচার করবেন পাঠক।
এই সংকলনের বইগুলি আলাদাভাবে বাজারে পাওয়া যায়। তাহলে এগুলিকে একত্র করে প্রকাশ করার কারণ কী? এ প্রশ্ন পাঠকের মনে থাকতেই পারে। সবকটি কাহিনী একত্র করার একটা বড় কারণ এই যে অপু-দুৰ্গার গল্প সম্বন্ধে বাঙালি পাঠকের বিগতপ্ৰায় আট দশক ধরে ভালোবাসা এবং কৌতুহল রয়েছে। শেষ পর্যন্ত কী হল তাদের? অপুর ছেলে বড় হয়ে কী করছে, সে কি বিয়েথাওয়া করে সংসারী হল? একসঙ্গে দুই মলাটের ভেতর এই সব প্রশ্নের উত্তর পেলে পাঠকের পরিশ্রম বাঁচে কারণ যখন যে বই পড়তে ইচ্ছে করে, সেইমুহূর্তে তা হাতের কাছে পাওয়া যায় না। তাছাড়া গল্পের ধারাবাহিকতা এবং পারম্পর্য এভাবে আরো একান্ত করে পাওয়া যেতে পারে।
মানুষের গল্প কিন্তু শেষ হয় না। হরিহরের পরিবারের কাহিনী এগিয়েই চলেছে। হয়তো পরবতী প্রজন্মের কেউ সেই গল্প বলবার ভার নেবে। 'তৃতীয় পুরুষ'-এর শেষে সেই ইঙ্গিত আছে।
আমার পরম সৌভাগ্য বাবার সঙ্গে মিশে রইলাম। খুব ভালোবাসতেন আমাকে। আমার খেলার সঙ্গী ছিলেন। মাত্র তিনবছর বয়েসে তাকে হারাই। এতদিন পরে আবার এই আশ্চর্য মিলন। সাতান্ন বছর পরে।- তারাদাস বন্দ্যোপাধ্যায়
পাঠকগণ, এই দুই লেখকের আরো বই সংগ্রহ করিতে পারেন-
কাজল । তারাদাস বন্দ্যোপাধ্যায়
কিশোর অপু- বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়
অসাধারণ-বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়
বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্রেষ্ঠ গল্প বাংলা ছোটগল্প
পিতা ও পুত্রের লেখা মোট চারটি গল্প এই বইতে আছে, সেগুলো হল- পথের পাঁচালী, অপরাজিতা, কাজল, তৃতীয় পুরুষ
উপরোক্ত বাংলা বইটির পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করুন অথবা অনলাইনে পড়ুন
বাংলা ডিজিটাল বই 'অপুর সংসার সমগ্র- বিভূতিভূষণ ও তারাদাস বন্দ্যোপাধ্যায়' - এর পিডিএফ সংগ্রহ করুন
No comments:
Post a Comment