বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্রেষ্ঠ গল্প বাংলা ছোটগল্প সংগ্রহ পিডিএফ ফাইল
ডিজিটাল বইয়ের নাম- 'বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্রেষ্ঠ গল্প'
লেখক- বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়
ধরন- বাংলা ছোটগল্প
এই বইতে মোট পৃষ্টা আছে- ২০৫
ডিজিটাল বইয়ের সাইজ- ১৫এমবি
জলছাপমুক্ত, ঝকঝকে প্রিন্ট
বিভূতিভূষণের অধিকাংশ উপন্যাস ও ছােটগল্পের অবলম্বন কি ? মানুষের প্রাত্যহিক জীবন। মানুষের প্রাত্যহিক জীবনে ছোটখাটো সুখ-দুঃখের যে লীলাচাঞ্চল্য আছে, সুখের ভিতরে যে দুঃখের আভাস আছে, দুঃখের মধ্যেও যে আনন্দের ইঙ্গিত আছে, বিভূতিভূষণ সাহিত্য রচনার জন্য সেগুলিকেই আশ্ৰয় করিয়াছেন, জীবনাড়ম্বর তাঁহার সাহিত্যের উপজীব্য নয়। এদিক দিয়া তাঁহার গ্রন্থগুলিকে গাহস্থ্য উপন্যাস বলা যায়। কিন্তু রবীন্দ্রনাথের আবির্ভাবের পূর্বে যে-সমস্ত গাহস্থ্য উপন্যাস বাংলাদেশে লিখিত হইয়াছে বিভুতিবাবুর রচনা ঠিক সে পর্যায়ভুক্ত নহে। কারণ এমন একটি নতুন উপাদান তাঁহার রচনায় আছে, জলে যে-ভাবে ছায়া মিশ্রিত হইয়া থাকে সেইভাবে আছে, যাহা রবীন্দ্রপূর্ব যুগের গার্হস্থ্য উপন্যাসে ছিল না। সেটি প্রকৃতি। এটি রবীন্দ্রপূর্ব যুগে অভাবিত ছিল। এটি জীবনের একটি নতুন সত্ৰ, আমাদের দেশে তাে বটেই, পাশ্চাত্য দেশেও।
বিভূতিভূষণ তাহার উপন্যাসে প্রকৃতি ও মানুষকে একসূত্রে গ্রথিত করিয়াছেন। তাহার সর্বজনপরিচিত অপু ‘অর্ধেক মানব তুমি অর্ধেক প্রকৃতি’। কিন্তু এটি কেবল অপর লক্ষণ নয়, বিভতিবাবুর সমস্ত রচনারই সাধারণ লক্ষণ। তবু ওরই মধ্যে একট প্রভেদ ও একটি বিবর্তনের বেগ লক্ষ্য করা যায়। তাঁর প্রথম জীবনের উপন্যাসে মানবকে নিসর্গায়িত ও নিসর্গকে মানবায়িত করিয়া ফেলা হইয়াছে। কিন্তু এ প্রকৃতি পল্লী-প্রকৃতি। বাংলাদেশের পল্লীতে প্রকৃতির যে রপে দেখা যায় তাহা রুদ্র নয়, ভীম নয়, তাহা স্নিগ্ধ ও শান্ত। তাহা আমাদিগকে মুগ্ধ করে, অভিভূত করে না। পল্লীবালক অপু ও পল্লীপ্রকৃতি যেন পরস্পরের খেলার সাথী, যেন পরস্পরের পরিপূরক।
তাঁহার পরবর্তী কালের গ্রন্থে, যেমন ‘আরণ্যকে’ ও ‘হে অরণ্য কথা কও' গ্রন্থে, প্রকৃতির রূপ ভিন্ন। বস্তুগত ভাবে সে প্রকৃতি পাহাড়পর্বত অরণ্যমালা ও রুক্ষ বন্ধুর ভূখণ্ড । কিন্তু এখানেও দেখি একটি পরিবর্তন সাধিত হইয়াছে। পাহাড়পর্বত, অরণ্য ও বধুর ভূখণ্ড কোনােটারই ভীমকান্ত। সৌন্দর্যকে কবি দেখান নাই, কারণ তিনি দেখেন নাই। তাঁহাদের স্নিগ্ধ ও সুন্দর দিকটাই তিনি দেখিয়াছেন এবং আঁকিয়াছেন। মানব-প্রকৃতির দুর্দাম বৃত্তিগুলিকে যেমন তিনি অঙ্কিত করেন নাই, তাহাদের প্রাত্যহিক ক্ষুদ্র
রূপটাকেই যেমন তিনি অঙ্কিত করিয়াছেন, তেমনি প্রকৃতি সম্বন্ধেও তিনি এই নিয়ম অনুসরণ করিয়াছেন। বয়স বাড়িলেও অপু বালকই থাকিয়া গিয়াছে, বাল্যজীবনের সরল সৌন্দর্যই তাহার প্রধান সম্পদ। এই সরল সৌন্দর্য অঙ্কনেই বিভূতিভূষণের শ্রেষ্ঠ কৃতিত্ব। প্রকৃতির মধ্যেও সেই সরল সৌন্দর্যের তিনি সন্ধান করিয়াছেন। পল্লী-প্রকৃতিতে তাহা সহজলভ্য। পাহাড়পর্বতে ও দুর্গম অরণ্যে তাহা সহজলভ্য নয়, কিন্তু একেবারে দুর্লভও নয়। এই দলভের আবিষ্কারেই বিভূতিবাবুর প্রতিভা প্ৰকাশ পাইছে।
বিভূতিভূষণের রচনার পরিমাণ নিতান্ত সামান্য নয়। দু-একখানা বই বাদে তাঁহার সবগুলি রচনাই সুপাঠ্য ও উচ্চাঙ্গের সাহিত্য।
এই বইতে সতেরোটি অসাধারণ ছোটগল্প সংকলিত করা হয়েছে। এইগুলি হল- কিন্নরদল, মৌরীফুল, ক্যানভাসার কৃষ্ণলাল, দ্রবময়ীর কাশীবাস, আহ্বান, একটি ভ্রমণ কাহিনী, নাসুমামা ও আমি, বিপদ, তুচ্ছ, সিঁদুরচরণ, তারানাথ তান্ত্রিকের গল্প, ভন্ডুলমামার বাড়ী, কনেদেখা, মেঘ-মল্লার, পুঁই মাচা, কুশল পাহাড়ী ও নাস্তিক।
পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করুন
বাংলা ছোটগল্প সংগ্রহ পিডিএফ 'বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্রেষ্ঠ গল্প'
ডিজিটাল বইয়ের নাম- 'বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্রেষ্ঠ গল্প'
লেখক- বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়
ধরন- বাংলা ছোটগল্প
এই বইতে মোট পৃষ্টা আছে- ২০৫
ডিজিটাল বইয়ের সাইজ- ১৫এমবি
জলছাপমুক্ত, ঝকঝকে প্রিন্ট
বিভূতিভূষণের অধিকাংশ উপন্যাস ও ছােটগল্পের অবলম্বন কি ? মানুষের প্রাত্যহিক জীবন। মানুষের প্রাত্যহিক জীবনে ছোটখাটো সুখ-দুঃখের যে লীলাচাঞ্চল্য আছে, সুখের ভিতরে যে দুঃখের আভাস আছে, দুঃখের মধ্যেও যে আনন্দের ইঙ্গিত আছে, বিভূতিভূষণ সাহিত্য রচনার জন্য সেগুলিকেই আশ্ৰয় করিয়াছেন, জীবনাড়ম্বর তাঁহার সাহিত্যের উপজীব্য নয়। এদিক দিয়া তাঁহার গ্রন্থগুলিকে গাহস্থ্য উপন্যাস বলা যায়। কিন্তু রবীন্দ্রনাথের আবির্ভাবের পূর্বে যে-সমস্ত গাহস্থ্য উপন্যাস বাংলাদেশে লিখিত হইয়াছে বিভুতিবাবুর রচনা ঠিক সে পর্যায়ভুক্ত নহে। কারণ এমন একটি নতুন উপাদান তাঁহার রচনায় আছে, জলে যে-ভাবে ছায়া মিশ্রিত হইয়া থাকে সেইভাবে আছে, যাহা রবীন্দ্রপূর্ব যুগের গার্হস্থ্য উপন্যাসে ছিল না। সেটি প্রকৃতি। এটি রবীন্দ্রপূর্ব যুগে অভাবিত ছিল। এটি জীবনের একটি নতুন সত্ৰ, আমাদের দেশে তাে বটেই, পাশ্চাত্য দেশেও।
বিভূতিভূষণ তাহার উপন্যাসে প্রকৃতি ও মানুষকে একসূত্রে গ্রথিত করিয়াছেন। তাহার সর্বজনপরিচিত অপু ‘অর্ধেক মানব তুমি অর্ধেক প্রকৃতি’। কিন্তু এটি কেবল অপর লক্ষণ নয়, বিভতিবাবুর সমস্ত রচনারই সাধারণ লক্ষণ। তবু ওরই মধ্যে একট প্রভেদ ও একটি বিবর্তনের বেগ লক্ষ্য করা যায়। তাঁর প্রথম জীবনের উপন্যাসে মানবকে নিসর্গায়িত ও নিসর্গকে মানবায়িত করিয়া ফেলা হইয়াছে। কিন্তু এ প্রকৃতি পল্লী-প্রকৃতি। বাংলাদেশের পল্লীতে প্রকৃতির যে রপে দেখা যায় তাহা রুদ্র নয়, ভীম নয়, তাহা স্নিগ্ধ ও শান্ত। তাহা আমাদিগকে মুগ্ধ করে, অভিভূত করে না। পল্লীবালক অপু ও পল্লীপ্রকৃতি যেন পরস্পরের খেলার সাথী, যেন পরস্পরের পরিপূরক।
তাঁহার পরবর্তী কালের গ্রন্থে, যেমন ‘আরণ্যকে’ ও ‘হে অরণ্য কথা কও' গ্রন্থে, প্রকৃতির রূপ ভিন্ন। বস্তুগত ভাবে সে প্রকৃতি পাহাড়পর্বত অরণ্যমালা ও রুক্ষ বন্ধুর ভূখণ্ড । কিন্তু এখানেও দেখি একটি পরিবর্তন সাধিত হইয়াছে। পাহাড়পর্বত, অরণ্য ও বধুর ভূখণ্ড কোনােটারই ভীমকান্ত। সৌন্দর্যকে কবি দেখান নাই, কারণ তিনি দেখেন নাই। তাঁহাদের স্নিগ্ধ ও সুন্দর দিকটাই তিনি দেখিয়াছেন এবং আঁকিয়াছেন। মানব-প্রকৃতির দুর্দাম বৃত্তিগুলিকে যেমন তিনি অঙ্কিত করেন নাই, তাহাদের প্রাত্যহিক ক্ষুদ্র
রূপটাকেই যেমন তিনি অঙ্কিত করিয়াছেন, তেমনি প্রকৃতি সম্বন্ধেও তিনি এই নিয়ম অনুসরণ করিয়াছেন। বয়স বাড়িলেও অপু বালকই থাকিয়া গিয়াছে, বাল্যজীবনের সরল সৌন্দর্যই তাহার প্রধান সম্পদ। এই সরল সৌন্দর্য অঙ্কনেই বিভূতিভূষণের শ্রেষ্ঠ কৃতিত্ব। প্রকৃতির মধ্যেও সেই সরল সৌন্দর্যের তিনি সন্ধান করিয়াছেন। পল্লী-প্রকৃতিতে তাহা সহজলভ্য। পাহাড়পর্বতে ও দুর্গম অরণ্যে তাহা সহজলভ্য নয়, কিন্তু একেবারে দুর্লভও নয়। এই দলভের আবিষ্কারেই বিভূতিবাবুর প্রতিভা প্ৰকাশ পাইছে।
বিভূতিভূষণের রচনার পরিমাণ নিতান্ত সামান্য নয়। দু-একখানা বই বাদে তাঁহার সবগুলি রচনাই সুপাঠ্য ও উচ্চাঙ্গের সাহিত্য।
এই বইতে সতেরোটি অসাধারণ ছোটগল্প সংকলিত করা হয়েছে। এইগুলি হল- কিন্নরদল, মৌরীফুল, ক্যানভাসার কৃষ্ণলাল, দ্রবময়ীর কাশীবাস, আহ্বান, একটি ভ্রমণ কাহিনী, নাসুমামা ও আমি, বিপদ, তুচ্ছ, সিঁদুরচরণ, তারানাথ তান্ত্রিকের গল্প, ভন্ডুলমামার বাড়ী, কনেদেখা, মেঘ-মল্লার, পুঁই মাচা, কুশল পাহাড়ী ও নাস্তিক।
পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করুন
বাংলা ছোটগল্প সংগ্রহ পিডিএফ 'বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্রেষ্ঠ গল্প'
বাংলার কথা সাহিত্যিক এবং গ্রাম বাংলার চিত্র ফুটিয়ে তুলেছিলেন বিভূতি ভূষণ বন্দোপাধ্যায় মহাশয় তাঁর বেশ কটি গল্পে l
ReplyDelete