নিষিদ্ধ দেশে সওয়া বৎসর - রাহুল সাংস্কৃত্যায়ন পিডিএফ - বাংলা বই এর pdf ডাউনলোড-Bangla Digital Boi Pdf

Latest

Tuesday, December 13, 2022

নিষিদ্ধ দেশে সওয়া বৎসর - রাহুল সাংস্কৃত্যায়ন পিডিএফ


 নিষিদ্ধ দেশে সওয়া বৎসর - রাহুল সাংস্কৃত্যায়ন, বাংলা বই  পিডিএফ
ডিজিটাল বইয়ের নাম- 'নিষিদ্ধ দেশে সওয়া বৎসর'
লেখক- রাহুল সাংস্কৃত্যায়ন
অনুবাদক- কেদারনাথ চট্টোপাধ্যায়
বইয়ের ধরন- ভ্রমণ সংক্রান্ত
ফাইলের ধরন- পিডিএফ
এই বইতে মোট পৃষ্টা আছে- ২১১
ডিজিটাল বইয়ের সাইজ- ১০এমবি
প্রিন্ট খুব ভালো, জলছাপ মুক্ত

নিষিদ্ধ দেশে সওয়া বৎসর - রাহুল সাংস্কৃত্যায়ন

“নিষিদ্ধ দেশে সওয়া বৎসর” রাহুল সাংস্কৃত্যায়নের প্রথম তিব্বত যাত্রার বিবরণী। ইহার হিন্দী হইতে অনুবাদ প্রথমে “প্রবাসী”তে প্রকাশিত হয়। কিন্তু সে সময় মহাপণ্ডিত রাহুল সাংকৃত্যায়নের কোনরূপ পরিচিতি বাঙ্গালী পাঠক সমাজের নিকট উপস্থিত করা হয় নাই।
রাহুল সাংকৃত্যায়ন উত্তরপ্রদেশের আজমগড় জেলার পন্দহা গ্রামে ১৮৯৩ খৃষ্টাব্দের ১লা এপ্রিল, সরযূপারীণ ব্রাহ্মণকুলের সাংকৃত্যায়ন বংশের সাধারণ গৃহস্থ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। জন্ম হয় মাতামহের গৃহে এবং বাল্যকালও সেইখানেই অতিবাহিত হয় । ইঁহার পিতার নাম গোবর্ধন পাণ্ডে এবং মাতামহের নাম রামশরণ পাঠক । মাতামহ যৌবনকালে বিশেষ শক্তিশালী পুরুষ ছিলেন, এবং গ্রাম হইতে সুদূর হায়দরাবাদ যাইয়া সেখানকার সৈন্যদলে ভর্তি হইয়াছিলেন। সেখানে দশ-বার বৎসর কাজ করার পর পল্টন ছাড়িয়া দেশে ফিবিলে পরে রাহুলের মাতা কুলবন্তী দেবী জন্মগ্রহণ করেন ৷ মাতামহের ঐ বলিষ্ঠ দেহমনের পূর্ণ উত্তরাধিকার দৌহিত্র রাহুল যে পাইয়াছেন তাহার পরিচয় আমরা পাই, তাঁহার বিচিত্র ঘটনাবহুল ও অদম্য উদ্যোগপূর্ণ জীবনযাত্রার নানা অধ্যায়ে । তাহার পরিচয় পাঠক এই পুস্তকের মধ্যেই পাইবেন । বস্তুতঃ রাহুলের “জীবন-যাত্রা” নামক আত্মচরিত বড় আশ্চর্য কাহিনীতে পূর্ণ ৷
ষোল বৎসর বয়সে তিনি বেনারসে সংস্কৃত অধ্যয়নের জন্য গিয়াছিলেন। বিশ বৎসর বয়স কালে তিনি বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের এক মোহন্তের শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন। মোহন্তের ইচ্ছা ছিল যে তাঁহার এই বিদ্যার্জনে পরম উৎসাহী ও সংসারে বীতরাগ শিষ্য তাঁহার পর ছাপরা জেলার (বিহার) পরসা মঠের মোহন্ত পদে অধিষ্ঠিত হইবে এবং তাঁহার সেই ইচ্ছা রাহুল তাঁহাকে ছাড়িয়া চলিয়া যাইবার পরেও বহুদিন ছিল। শিষ্যত্ব লইবার পরে রাহুলের নাম রামউদার দাস, অথবা সংক্ষেপে রামউদার, রাখা হয়। বিহার প্রান্তের সহিত ঘনিষ্ঠ পরিচয় তাঁহার এইভাবে আরম্ভ হয়, যাহার পরিণতিতে পার্টনার মিউজিয়ম ও গবেষণাকেন্দ্র অমূল্য গ্রন্থ ও চিত্রাবলীতে পূর্ণ হইয়াছে । পরসায় কিছুদিন থাকার পর তাঁহার আবার দেশে যাওয়া এবং সেখান হইতে প্রত্যাবর্তন হয়। নানা প্রকার ঘটনার মধ্য দিয়া বিদ্যার্জনের প্রয়াস চলিতে থাকে যাহার সম্পর্কে পরসা ছাড়িয়া বহুস্থলে ঘুরিতেও হয়। সেই সঙ্গে নানা ধর্মমতের সহিত পরিচয় ও তীর্থপর্যটন এসবও চলিতে থাকে। ভারতের নানা অঞ্চলে ঘুরিবার পর ১৯২১ খৃষ্টাব্দে তিনি প্রত্যাবর্তন করেন।
ইতিমধ্যে রাওলাট এক্টের প্রতিবাদে দেশব্যাপী আন্দোলন, পঞ্জাবে মর্শাল ল-এর প্রবর্তন ও অমৃতসরের হত্যাকাণ্ড হইয়া যায় । এই সকলের পরে সত্যাগ্রহের যে দেশব্যাপী আন্দোলন চলে, তাহাতে অংশ লইবার জন্য তিনি বিহারে তাহার প্রস্তুতি আরম্ভ করেন। সত্যাগ্রহের ফলে বক্‌সার জেলে তিনি অবরুদ্ধ ছিলেন। কারামুক্ত হইবার পরও তিনি কংগ্রেসের কার্যক্রম চালাইতে থাকেন । ঐ সময়ে পাটনায় এক বক্তৃতা দেওয়ার ফলে তাঁহাকে পুনর্বার কারাবাস করিতে হয়। এইভাবে তাঁহার রাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রের সহিত পরিচয় ও সম্বন্ধ হয়।
কিছুদিন পরে তাঁহার এই প্রকার রাজনৈতিক কার্যক্রমের উপর আস্থা চলিয়া যায়। ইতিমধ্যে অন্যরূপ সংকল্পও মনে আসে যাহার ফলে ১৯২৭ সালে তিনি সংস্কৃত শিক্ষকরূপে সিংহল যাত্রা করেন। ইতিপূর্বেই মাদ্রাজের নানা কেন্দ্রে বৈষ্ণব আগমআদি শিক্ষা, সংস্কৃতে দর্শনশাস্ত্রের অধ্যয়ন ও আর্য সমাজের জাতীয়তাবাদের সহিত পরিচয় হওয়ার ফলে তাঁহার অন্তরে দেশাত্মবাদ ও দার্শনিক চর্চাব স্পৃহা প্রবল হয়। সিংহলের প্রসিদ্ধ বিদ্যালঙ্কার বিহারে তিনি ত্রিপিটক ( বৌদ্ধশাস্ত্রাবলী ) পূর্ণরূপে অধ্যয়ন ও আয়ত্ত করেন । তাহার পরই তিনি স্থির করেন যে বৌদ্ধধর্মেই তাঁহার পথ আছে। সেই সংকল্পের বশে তিনি তিব্বতে প্রথমবার গিয়া ফিরিবার পর রাহুল সাংকৃত্যায়ন নামে বৌদ্ধধর্মে দীক্ষা গ্রহণ করেন। সেই প্রথম তিব্বত যাত্রার বিবরণই এই পুস্তকের বিষয়বস্তু।
রাহুল সাংকৃত্যায়নের মহাপণ্ডিত পদবী কাশীর পণ্ডিতমণ্ডলী প্রদত্ত এবং উহা সর্বতোভাবে যথার্থ । তিনি বহুভাষাবিদ্। হিন্দী, উর্দু, বাংলা, পালি, সংস্কৃত, আরবী, ফার্সী ও ইংরাজীতে তিনি দক্ষ, তিব্বতী ও অন্য ঐ গোষ্ঠীর ভাষায় তাঁহার অধিকার অসামান্য । রুশ ভাষাও তাঁহার আয়ত্ত। তাঁহার অসাধারণ পাণ্ডিত্যের খ্যাতি দেশ-বিদেশে ছড়াইয়া গিয়াছে । তিব্বতী প্রাচীন পুঁথি ও প্রাচীন গ্রন্থের অনুবাদের আবিষ্কার তিনি যাহা করিয়াছেন তাহা জগৎবিখ্যাত ।
প্রথমবারের তিব্বত যাত্রায় তিনি বাইশটি অশ্বতর বোঝাই তিব্বতী পুঁথি, চিত্রাবলী ইত্যাদি আনয়ন করেন। দ্বিতীয়বারের ( ১৯৩৪ ) যাত্রায় তিনি চল্লিশখণ্ড প্রামাণ্য পুস্তকাদিও আনয়ন করেন। তৃতীয়বারে (১৯৩৫-৩৬ ) তিনি তিব্বতের শাক্য, ঞোর এবং শালু বিহারে ১৫৬টি নূতন গ্রন্থের আবিষ্কার করেন। এই আবিষ্কার তাঁহাকে ভারতীয় পুরাতত্ত্বের ক্ষেত্রে অক্ষয় কীর্তিমান করিয়াছে ৷ যে সকল অমূল্য গ্রন্থরাজি তাঁহার এই সাহস ও অদম্য অধ্যবসায়ের ফলে আমরা পাইয়াছি তাহার পরিচয় দেওয়া ও একটি বড় প্রবন্ধের কমে হয় না ।


*এছাড়া রাহুল সাংস্কৃত্যায়নের লেখা আরো বই সংগ্রহ করুন-
> জয় যৌধেয়
> আমার জীবন যাত্রা
> রাহুল সাংকৃত্যায়ন জীবন ও মূল্যায়ন

তিব্বত দেশের যে বিবরণ এই পুস্তকে দেওয়া হইয়াছে তাহা ২৭ বৎসর পূর্বেকার । তাহার পর ঐ দেশে বহু পরিবর্তনের সূত্রপাত হইয়াছে, যেমন উত্তর- দক্ষিণ ও পূর্ব-পশ্চিমে দুই মোটরবাহী রাজপথে উহার চীনরাষ্ট্রের সহিত যোগাযোগ স্থাপিত হইয়াছে। কিন্তু যে তিব্বতের পরিচয় পাঠক এই পুস্তকে পাইবেন, মূলতঃ তাহার জনগণের পরিবর্তন অন্ততঃ সমাজ ও লোকাচার হিসাবে, এখনও খুব বেশী অগ্রসর হয় নাই। দেশে বিংশ শতাব্দীর বায়ু চলাচলের জন্য জানালা খোলা হইয়াছে। তবে এতদিন উহা সৰ্ব্বতোভাবে “নিষিদ্ধ দেশ” – অর্থাৎ অচলায়তন ছিল, সম্প্রতি সেখানে কিছু বাহিরের সাড়া পৌঁছাইয়াছে মাত্ৰ ৷

এই বইটির পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করুন অথবা অনলাইনে পড়ুন
প্রিয় পাঠকগণ, আপনারা এই পোষ্ট হইতে একটি অনুবাদ বই 'নিষিদ্ধ দেশে সওয়া বৎসর - রাহুল সাংস্কৃত্যায়ন' এর বাংলা পিডিএফ সংগ্রহ করিতে পারিবেন।

No comments:

Post a Comment