শরৎ-পত্রাবলী বাংলা পত্র-সাহিত্য পিডিএফ - বাংলা বই এর pdf ডাউনলোড-Bangla Digital Boi Pdf

Latest

Thursday, December 15, 2022

শরৎ-পত্রাবলী বাংলা পত্র-সাহিত্য পিডিএফ


 শরৎ-পত্রাবলী , সম্পাদিত বাংলা পত্র-সাহিত্য পিডিএফ
ডিজিটাল বইয়ের নাম- 'শরৎ-পত্রাবলী'
সম্পাদনা - গোপালচন্দ্র রায়
বইয়ের ধরন- পত্র-সাহিত্য
ফাইলের ধরন- পিডিএফ
এই বইতে মোট পৃষ্টা আছে- ৫৩১
ডিজিটাল বইয়ের সাইজ- ৩৫এমবি
প্রিন্ট খুব ভালো, জলছাপ মুক্ত,

শরৎ-পত্রাবলী

সংক্ষিপ্ত শরৎচন্দ্র পরিচিত:

বাংলা তথা ভারত, এমনকী বহির্ভারতেরও বহু দেশে অমর কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় বিশেষ সুপরিচিত।
হুগলি জেলার দেবানন্দপুর গ্রামে শরৎচন্দ্রের জন্ম হয়। জন্ম তারিখ ১২৮৩ সালের ৩১শে ভাত্র (১৮৭৬ খ্রিস্টাব্দের ১৫ সেপ্টেম্বর)। পিতা মতিলাল চট্টোপাধ্যায়, মাতা ভুবনমোহিনী দেবী। শরৎচন্দ্রের দু-ভাই ও দু-বোন ছিলেন।
শরৎচন্দ্রের শিক্ষা গ্রামের বিদ্যালয়ে, হুগলি ব্রাঞ্চ স্কুলে ও মাতুলালয় ভাগলপুরে। পিতা দীর্ঘকাল উপার্জনহীন ছিলেন। তাই এফ. এ. (আই. এ.) পরীক্ষার ফি ২০ টাকা জমা দিতে না পারায় পরীক্ষা দিতে পারেননি। তবে জীবনভর পড়াশুনা করেছেন প্রচুর। সেই সঙ্গে সঙ্গে সাহিত্যচর্চাও করেছেন রীতিমতো।
ভাগলপুরে মামার বাড়ির এক আত্মীয়র সঙ্গে রেঙ্গুনে চাকরি করতে যান ১৯০৩ সালে। বর্মার একাউনটেন্ট জেনারেল অফিসে চাকরি করেছেন অনেক বছর।
রেঙ্গুনে শরৎচন্দ্র বিবাহ করেন দুবার। প্রথমা স্ত্রী এবং এক বছরের শিশুপুত্রের প্লেগে মৃত্যু হয়। দ্বিতীয়বার বিবাহ করেন হিরন্ময়ী দেবীকে। হিরন্ময়াদবীর পিতা মেদিনীপুরের শ্যামচাঁদপুর গ্রামের কৃষ্ণদাস অধিকারী চাকরির সূত্রে রেঙ্গুনে থাকতেন।
হিরন্ময়ী দেবীর কোনো সন্তান হয়নি।
১৯১৬ সালে হঠাৎ দুরারোগ্য পা-ফোলা রোগে আক্রান্ত হয়ে শরৎচন্দ্র রেঙ্গুন ছেড়ে দেশে ফিরে আসেন। এসে হাওড়া শহরে বাজে শিবপুরে ও শিবপুরে থাকতেন।
এরপর হাওড়া জেলায় রূপনারায়ণ নদের তীরে দিদি অনিলা দেবীদের গ্রামের পাশে সামতাবেড়ে-য় বাড়ি করে বাস করতেন। পরে কলকাতায় অশ্বিনী দত্ত রোডে বাড়ি করেন। এখানেও মাঝে মাঝে এসে ধাকতেন।
শরৎচন্দ্র বাল্যকাল থেকেই সাহিত্য-চর্চা করতেন, গল্প উপন্যাসও লিখতেন। রেঙ্গুনে গিয়ে অনেকগুলি বই লেখেন, আর দেশে ফিরে তো বটেই। তখন তাঁর লেখা এই বই-ই ছিল তাঁর আয়ের একমাত্র অবলম্বন।
এই সময় তিনি (রেঙ্গুনে থাকতেও) ভারতবর্ষ মাসিক পত্রিকায় নিয়মিত লিখতেন এবং সেজন্য দক্ষিণাও পেতেন। ভারতবর্ষ পত্রিকার মালিকেরই ছিল 'গুরুদাস চট্টোপাধ্যায় অ্যান্ড সন্স' বইয়ের দোকান। এঁরাই শরৎচন্দ্রের বই বিক্রি করতেন ।
শরৎচন্দ্র তাঁর যুগান্তকারী রচনার জন্য দেশবাসী তাঁকে অপরাজয় ও অমর কথাশিল্পী আখ্যায় সম্মানিত করেন। অসংখ্য সংবর্ধনা সভায় সম্মানিতও হয়েছেন।
রবীন্দ্রনাথ নিজের লেখা বই শরৎচন্দ্রকে উৎসর্গ করেছেন, তাঁর সম্বর্ধনা সভায় সভাপতিত্বও করেছেন। সভাপতির আসন থেকে বলেছেন, 'শরৎ বাঙালির বেদনার কেন্দ্রে আপন বাণীর স্পর্শ দিয়েছেন। সেই স্রষ্টা, সেই দ্রষ্টা শরৎচন্দ্রকে মাল্যদান করি।'
১৩৪৪ সালের ২ মাঘ (১৯৩৮ এর ১৬ জানুয়ারি) শরৎচন্দ্রের মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স ছিল ৬১ বৎসর ৪ মাস।
রবীন্দ্রনাথ শান্তিনিকেতনে শরৎচন্দ্রের মৃত্যুসংবাদ শুনে ইউনাইটেড প্রেসের প্রতিনিধিকে বলেন :
যিনি বাঙালির জীবনের আনন্দ ও বেদনাকে একান্ত সহানুভূতির দ্বারা চিত্রিত করেছেন, আধুনিক কালের সেই প্রিয়তম লেখকের মহাপ্রয়াণে দেশবাসীর সঙ্গে আমিও গভীর মর্মবেদনা অনুভব করছি।
পরে শরৎচন্দ্রের শ্রাদ্ধ বাসরের দিন ১২ মাঘ তারিখে কবি আবার শরৎচন্দ্রের মৃত্যু সম্পর্কে এই কবিতাটি লিখেছিলেন :
যাহার অমর স্থান প্রেমের আসনে।
ক্ষতি তার ক্ষতি নয় মৃত্যুর শাসনে।
দেশের মাটির থেকে নিল যারে হরি।
দেশের হৃদয় তারে রাখিয়াছে বরি।

শরৎচন্দ্র রচিত গ্রন্থাবলি:

শরৎচন্দ্র রচিত গ্রন্থগুলি প্রকাশের একটা কালানুক্রমিক তালিকা এখানে দেওয়া গেল। এখানে এ কথাও উল্লেখযোগ্য যে, এই গ্রন্থগুলি ছাড়া শরৎচন্দ্রের কিছু অসমাপ্ত এবং টুকরো লেখাও আছে :
১৯১৩ সেপ্টেম্বর:
বড়দিদি (উপন্যাস)

১৯১৪ মে :
বিরাজবৌ (উপন্যাস)
জুলাই:
বিন্দুর ছেলে ও অন্যানা গল্প (গল্পসংকলন)
আগস্ট:
পরিণীতা (গল্পগ্রন্থ)
সেপ্টেম্বর:
পণ্ডিতমশাই (উপন্যাস)

১৯১৫ ডিসেম্বর:
মেজদিদি ও অন্যানা গল্প (গল্পসংকলন)

১৯১৬ জানুয়ারি:
পল্লীসমাজ (উপন্যাস)
মার্চ:
চন্দ্রনাথ (উপন্যাস)
আগস্ট:
বৈকুণ্ঠের উইল (গল্পগ্রন্থ)
নভেম্বর:
অরক্ষণীয়া (গল্পগ্রন্থ)

১৯১৭ফেব্রুয়ারি:
শ্রীকান্ত (১ম পর্ব, উপন্যাস)
জুন:
দেবদাস (উপন্যাস)
জুলাই:
নিষ্কৃতি (গল্পগ্রন্থ
সেপ্টেম্বর:
কাশীনাথ (গল্পসংকলন )
নভেম্বর:
চরিত্রহীন (উপন্যাস)

১৯১৮ফেব্রুয়ারি:
স্বামী (গল্পসংকলন)
সেপ্টেম্বর:
দত্তা (উপন্যাস)
সেপ্টেম্বর:
শ্রীকান্ত (২য় পর্ব, উপন্যাস )

১৯২০ জানুয়ারি:
ছবি (গল্পসংকলন)
মার্চ:
গৃহদাহ (উপন্যাস)
অক্টোবর:
বামুনের মেয়ে (উপন্যাস)

১৯২৩ এপ্রিল:
নারীর মূলা (প্রবন্ধ)
আগস্ট:
দেনা-পাওনা (উপন্যাস)

১৯২৪ অক্টোবর:
নব-বিধান (উপন্যাস)

১৯২৬ মার্চ:
হরিলক্ষ্মী (গল্পসংকলন)
আগস্ট:
পথের দাবী (উপন্যাস)

১৯২৭ এপ্রিল:
শ্রীকান্ত (৩য় পর্ব, উপন্যাস)
আগস্ট:
ষোড়শী (দেনা-পাওনা-র নাট্যরূপ)

১৯২৮ আগস্ট:
রমা (পল্লীসমাজ-এর নাট্যরূপ)

১৯২৯ এপ্রিল:
তরুণের বিদ্রোহ (প্রবন্ধ সংগ্রহ)

১৯৩১ মে:
শেষ প্রশ্ন (উপন্যাস)

১৯৩২ আগস্ট:
স্বদেশ ও সাহিত্য (প্রবন্ধ সংগ্রহ)

১৯৩৩ মার্চ:
শ্রীকান্ত (৪র্থ পর্ব, উপন্যাস)

১৯৩৪ মার্চ:
অনুরাধা, সতী ও পরেশ (গল্পসংকলন)
ডিসেম্বর:
বিজয়া (দত্তার নাটারূপ)

১৯৩৫ ফেব্রুয়াবি:
বিপ্রদাস (উপন্যাস)

১৯৩৮ এপ্রিল:
ছেলেবেলার গল্প (গল্পসংকলন)
জুন:
শুভদা (উপন্যাস)

১৯২৫ সালে Perdinando Bellori Fehppi ইতালীয় ভাষায় শ্রীকান্ত অনুবাদ করেছিলেন। রোমাঁ রোলাঁ সেই অনুবাদ পড়ে মুগ্ধ হয়েছিলেন।
Fragments of a Prisoner's Diary (p. 7. Vol. III; M N Roy) গ্রন্থে মহান বিপ্লবী মানবেন্দ্রনাথ রায় 'শেষ প্রশ্ন' উপন্যাসকে গীতাঞ্জলি-রও উপরে স্থান দিয়েছেন : Personal I would place Shesh Prashna above Gitanjali.

তিনি তাঁর জীবনকালে নিয়মিত অনেক চিঠিপত্র লিখতেন। এই সকল চিঠিগুলিকে একত্র করেই এই সংকলনটি রচিত।

উপরোক্ত বাংলা বইটির পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করুন অথবা অনলাইনে পড়ুন

প্রিয় পঠকগণ, এই পোষ্ট হইতে একটি পত্র-সাহিত্য বই- 'শরৎ-পত্রাবলী'-এর পিডিএফ সংগ্রহ করিতে পারিবেন।

No comments:

Post a Comment