আমার জীবন যাত্রা- রাহুল সাংকৃত্যায়ন বাংলা বই - বাংলা বই এর pdf ডাউনলোড-Bangla Digital Boi Pdf

Latest

Tuesday, February 26, 2019

আমার জীবন যাত্রা- রাহুল সাংকৃত্যায়ন বাংলা বই


আমার জীবন যাত্রা- রাহুল সাংকৃত্যায়ন বাংলা বই
প্রথম হইতে পঞ্চম খন্ড

রাহুল সাংকৃত্যায়ন বিংশ শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ মনীষীদের অন্যতম। জীবনচর্যার বৈচিত্র্যে, ভারহীন পাণ্ডিত্যের উজ্জ্বলতায় এই স্বয়ংশিক্ষিত পরিব্রাজকের জীবন ও কীর্তি মানব সভ্যতার ইতিহাসে এক বিরল দৃষ্টান্ত।
বিচিত্র, গতিশীল বহুবর্ণময় পরিব্রাজকের জীবন, জ্ঞানার্জনের অদম্য স্পৃহা, অভাবনীয় মনীষা, বহুমুখী প্রতিভার সার্থক বিকাশ রাহুলের জীবন ও মননকে এমন পর্যায়ে নিয়ে যায় যার তুলনা নেই।
স্বচ্ছ চিন্তা প্রবাহের সাবলীল সক্রিয়তা, ভাষার ওপর অসামান্য অধিকার, বিশিষ্ট রচনাশৈলী তাকে হিন্দী সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ লেখকের প্রতিষ্ঠা দিয়েছে। বহু ভাষা লিখতে ও পড়তে পারতেন। স্বরচিত, অনুদিত ও সম্পাদিত সব মিলিয়ে প্রায় দেড়শো বই লিখেছেন নানা বিষয়ে। সংস্কৃত, পালিতে বৌদ্ধশাস্ত্রের আকরগ্রন্থের টীকা থেকে শুরু করে হাল্কা ভ্রমণ কাহিনী, ইতিহাস আশ্রিত উপন্যাস, মনীষীদের জীবনী, গল্প, নাটক, বিজ্ঞান, সমাজতত্ত্ব, দর্শন, ধর্ম সব বিষয়েই তাঁর অবাধ সঞ্চরণ।
রাহুলের গ্রন্থাবলীর মধ্যে তার আত্মজীবনীমূলক রচনা ‘মেরী জীবনযাত্রা' অতি স্বতন্ত্র স্থান অধিকার করে আছে ভারতীয় সাহিত্যে এই অনন্য গ্রন্থের কোন তুলনা নেই। পাঁচখন্ডে বিস্তৃত ২৭৭০ পৃষ্ঠার এমন অসামান্য জীবনযাত্রার কাহিনী ভারতীয় ভাষায় অদ্বিতীয়। এই গ্রন্থকে রাহুল আত্মজীবনী বলেন নি, বলেছেন জীবনযাত্রা। নিজেই লিখেছেন-“পথে পথে ঘুরে বেড়ানোর সময় আমার মনে হয়েছে যদি কোন যাত্রী তার পথের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতেন, তবে আমার খুব সুবিধা হতো। যদিও একথা ঠিক যে দুজনের জীবনযাত্রা পুরোপুরি একরকম হতে পারে না। তবু প্রশ্ন থেকে যায়, কেন জীবনী না লিখে জীবনযাত্রা লিখতে গেলাম। পাঠক তার উত্তর এই বই পড়লেই পেয়ে যাবেন। আমি আমার কলম দিয়ে এই জগতের গতিপ্রকৃতি ও বৈচিত্র্যকে আঁকতে চেয়েছি। আমার তৃতীয় প্রজন্মের পক্ষে হয়তো তা জানা দুঃসাধ্য হবে।”
রাহুলের মনে ধারণা হয়েছিলো যে গুছিয়ে জীবনী লেখার নৈপুণ্য তিনি আয়ত্ত করতে পারেন নি। সময়ও ছিল না। ১৯৪০ থেকে ১৯৪২ পর্যন্ত হাজারিবাগ জেলে বন্দী ছিলেন। তখন পুরনো স্মৃতি রোমন্থন করার সুযোগ পেয়েছিলেন। জেলে বসে যখন তিনি তার বিগত ৪১ বছরের জীবনের কথা লেখেন (১৮৯৩ থেকে ১৯৩৪ সাল পর্যন্ত অর্থাৎ মেরী জীবনযাত্রার প্রথম খণ্ডের ৫২০ পৃষ্ঠা ও দ্বিতীয় খণ্ডের ৪০০ পৃষ্ঠা) তখন তার কাছে কোনো বই ছিল না—ছিল না ম্যাপ, বই-পুঁথি, বা এ-বিষয়ে আলোচনা করার মতো উপযুক্ত সঙ্গী। অথচ 'মেরী জীবনযাত্রা' পড়লে মনে হয় চলচ্চিত্রের ছবির মিছিলের মতো ৪১ বছরের পুরনো সব স্মৃতি সার বেঁধে আসছে। যেন অনুগত ভৃত্যের মতো শব্দেরা আসে, কাগজে এঁকে দিয়ে যায় এক বিচিত্র জগৎ ও জীবনের ছবি।
রাহুলের লেখায় কোন ব্যাসকূট নেই। অনাবশ্যক ভঙ্গিমা, জটিলতা কিছুই নেই। তার রচনাশৈলী সম্পূর্ণভাবে তার নিজস্ব। নিজের পথ কেটে তিনি অগ্রসর হয়েছেন। নতুন নতুন চিন্তাধারাকে সাধারণ মানুষের কাছে পৌছে দেবার জন্য নতুন রচনাশৈলীর প্রয়োজন ছিল। গুরু গম্ভীর বিষয়কে সহজবোধ্য করে তোলাকে তিনি অত্যন্ত জরুরী মনে করতেন। হিন্দী সাহিত্যের প্রধানতঃ হালকা কাহিনীর আঙিনায় তিনি ধর্ম-দর্শন, ঐতিহাসিক কাহিনী, সভ্যতার উত্থান-পতনের বিবরণ, ইতিহাস, সমাজতন্ত্র, বুদ্ধের জীবন ও দর্শন কত বিচিত্র বিষয় অনায়াস দক্ষতায় উপস্থিত করেছেন। কৃষকের ঘরে জন্মেছিলেন রাহুল। গ্রামের রাখাল বালকদের সঙ্গে কেটেছে তার শৈশব। তারপর বিপুল বিশ্ব টেনে নিলো এই যাযাবর জ্ঞানপিপাসু কিশোরকে।
 
* এছাড়া এই লেখকের আরো বই সংগ্রহ করিতে পারিবেন-
   > জয় যৌধেয়- রাহুল সাংকৃত্যায়ন

পাণ্ডিত্যের উচ্চতম শিখরে যখন শ্চেরবাৎস্কি, সিলভা লেভি, অনাগরিক ধর্মপালের মতো পণ্ডিতদের বৃত্তের মধ্যে তার সম্মানিত অবস্থান, তখনো তৃণমূল থেকে উঠে আসা এই মানুষটি তার শরীর থেকে ঘামের গন্ধ মুছে ফেলতে পারেন নি। কখনও ভুলতে পারেন নি 'কচালু' বিক্রি করতে ও সাট্টা খেলতো যে ‘নবাব’ অথবা যে সাধু গাঁজার কলকেতে দম দিয়ে হাঁক দিতে ‘আ জা কৈলাশকে রাজ তাঁদেরকে। এঁরা উচ্চবর্গের অন্যান্য মানুষের সঙ্গে সামান মর্যাদার আসন পেয়েছে জীবনযাত্রায়। আর ধরা পড়েছে ভারতীয় জীবনস্রোতের অন্তঃশীল রহস্যের ইঙ্গিত। একটুকরো গেরুয়া বা সাদা কাপড়, গামছা আর লোটা সম্বল করে মানুষ অবিশ্রান্ত পথ চলছে, ঈশ্বর বা পুণ্যলাভের আশায় অথবা নিছক পথচলার আনন্দে। সমগ্র ভারত পরিব্রাজনের অনুপুঙ্খ বিবরণ, এশিয়া ও ইউরোপ পর্যটনের কাহিনী 'মেরী জীবনযাত্রায়' বিধৃত।
উত্তর প্রদেশের আজমগড় জেলার অখ্যাত গ্রাম পন্দহা। সেখানে ১৮৯৩ সালের ৯ই এপ্রিল কৃষক পরিবারে তার জন্ম। কিশোর বয়স থেকেই গৃহত্যাগী। ভ্রমণ ও অধ্যয়ন তাকে অবিরত উৎসাহ দিয়েছে প্রকৃত মানবধর্মের গভীর অন্বেষণে।
সত্তর বছর বয়সে রাহুলের দেহাবসান হয়। তেষট্টি বছরের সমাপ্তি পর্যন্ত তিনি তার জীবনযাত্রার কাহিনী লিখেছেন পাচটি খণ্ডে।
আমার জীবন যাত্রা- রাহুল সাংকৃত্যায়ন

আমার প্রিয় পাঠকগণ, এই পোষ্ট হইতে আপনারা এই অবিস্মরণীয় আত্মজীবনী বই-এর পাঁচটি খন্ড সংগ্রহ করিতে পারিবেন।

১. আমার জীবন যাত্রা, প্রথম খন্ড
এই খন্ডে মোট পৃষ্টা আছে- ৪২৪
ডিজিটাল বইয়ের সাইজ- ৪৮এমবি
প্রথম খন্ডটির পিডিএফ সংগ্রহ করতে

২. আমার জীবন যাত্রা, দ্বিতীয় খন্ড
এই খন্ডে মোট পৃষ্টা আছে- ৫৫৪
ডিজিটাল বইয়ের সাইজ- ৫৯এমবি
দ্বিতীয় খন্ডটির পিডিএফ সংগ্রহ করতে

৩. আমার জীবন যাত্রা, তৃতীয় খন্ড
এই খন্ডে মোট পৃষ্টা আছে- ৪৪৭
ডিজিটাল বইয়ের সাইজ- ৪৬এমবি
তৃতীয় খন্ডটির পিডিএফ সংগ্রহ করতে

৪. আমার জীবন যাত্রা, চতুর্থ খন্ড
এই খন্ডে মোট পৃষ্টা আছে- ৩৮৫
ডিজিটাল বইয়ের সাইজ- ৪৩এমবি
চতুর্থ খন্ডটির পিডিএফ সংগ্রহ করতে

৫. আমার জীবন যাত্রা, পঞ্চম খন্ড
এই খন্ডে মোট পৃষ্টা আছে- ৩৭০
ডিজিটাল বইয়ের সাইজ- ৩৮এমবি
পঞ্চম খন্ডটির পিডিএফ সংগ্রহ করতে
প্রতিটি খন্ডের প্রিন্ট কোয়ালিটি বেশ ভালো।

No comments:

Post a Comment