রামকৃষ্ণ সাধনা পরিক্রমা - মনোরঞ্জন বসু পিডিএফ - বাংলা বই এর pdf ডাউনলোড-Bangla Digital Boi Pdf

Latest

Friday, December 31, 2021

রামকৃষ্ণ সাধনা পরিক্রমা - মনোরঞ্জন বসু পিডিএফ


 রামকৃষ্ণ সাধনা পরিক্রমা - মনোরঞ্জন বসু, বাংলা বই পিডিএফ
ডিজিটাল বইয়ের নাম- 'রামকৃষ্ণ সাধনা পরিক্রমা'
লেখক- মনোরঞ্জন বসু
বইয়ের ধরন- শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংস সমন্ধীয় বই
ফাইলের ধরন- পিডিএফ
এই বইতে মোট পৃষ্টা আছে- ১৪৮
ডিজিটাল বইয়ের সাইজ- ৯এমবি
প্রিন্ট ভালো, জলছাপ মুক্ত

রামকৃষ্ণ সাধনা পরিক্রমা - মনোরঞ্জন বসু

নিঃসন্দেহে শ্রীরামকৃষ্ণ ধর্মজগতের বিস্ময়কর পুরুষ। কোন বিশেষণ দিয়ে যেন তাকে বিশেষিত করা যায় না। তিনি অনন্ত, অপার ! তিনি সন্ন্যাসী, না গৃহী? সাকারবাদী না নিরাকারবাদী ? দ্বৈতবাদী, না অদ্বয়-নির্গুণনিরাকার ব্ৰহ্মবাদী? শাক্ত, বৈষ্ণব না শৈব ? তন্ত্রোপাসক, ভক্ত, যোগী, জ্ঞানী ? আচারনিষ্ঠ সৎ ব্রাহ্মণ ? সহুজিয়া, আউলিয়া, বাউল ? সবচেয়ে বড় প্রশ্ন, হিন্দু, মুসলমান, না খৃষ্টান ? শ্রীরামকৃষ্ণ এ সব এবং এর বাইরে যা-কিছু আছে, তাও। কোন এক গণ্ডীর মধ্যে তাকে ধরে রাখা যায় না। তিনি সমুদ্র। সব নদী যেমন সমুদ্রে এসে একাকার হয়, সব মত ও পথ তেমনি শ্রীরামকৃষ্ণে এসে মিলিয়ে গেছে। তিনি সকলের কেন্দ্রবিন্দু, শেষ সীমা, চুড়ান্ত। কি বৈচিত্রময় তাঁর ধর্মজীবন, যেমন ব্যাপ্তি তেমন গভীরতা। কি অপূর্ব প্রতিভা। কত শিল্প-সৌন্দর্যময় তার অনুভূতি। কত ভঙ্গীতে তার প্রকাশ। কতভাবে কত পথ দিয়ে ঈশ্বরের কাছে আনাগোনা। সব পথই তাঁর পরিচিত। ক্লান্তি নেই, বিরাম নেই। চলেছেন তো চলেছেন। ঈশ্বর অনন্ত, ঈশ্বরলাভের পথও অনন্ত। আর, শ্রীরামকৃষ্ণের ধর্মপিপাসাও অনন্ত। তাঁর নিজের ভাষায়—‘মিছরীর রুটি সোজাভাবে মুখে দাও, আর আড়ভাবে মুখে দাও, যেভাবেই মুখে দাও, মিষ্টি লাগবে। ঈশ্বরকে যে-ভাবে ডাকি, যে-নামে ডাকি, ডাকলেই আনন্দ।
ডাকা নিয়ে কথা। মন দিয়ে, সমস্ত অন্তর দিয়ে ডাকা। শ্রীরামকৃষ্ণ কোন সাম্প্রদায়িক ধর্মপ্রচার করেন নি, কোন ধর্মমতকে প্রাধান্যও দেন নি। 'যত মত তত পথ’ ‘যার যা পেটে সয়। কেউ তো ঈশ্বরের ‘ইতি’ করতে পারে না-নোচ্ছিষ্টং ব্ৰহ্মনো জ্ঞানম। ধর্মের মর্ম যে ঈশ্বরপ্রেম, তাই প্রচার করেছেন, ধর্ম মানে বিবেক-বৈরাগ্য, প্রেম-পবিত্রতা, ঈশ্বরানুরাগ। মত ও পথ নিয়ে বিতর্ক অবান্তর। যার যে পথ ভাল লাগে, সেই পথ বেছে নিক। চলা নিয়ে কথা। চলতে চলতেই পথ খুঁজে পায় ভক্ত। যেমন পেয়েছিলেন শ্রীরামকৃষ্ণ। পথের সন্ধান বলে দিতে তাঁর গুরুর অভাব হয় নি কখনও। যথাসময়ে গুরু উপস্থিত হয়েছেন। চাই আগ্রহ, ব্যাকুলতা। শ্রীরামকৃষ্ণের মত ব্যাকুলতা। অমনি আটুপাটু করা। ধর্ম মানে শুধু আচার বিচার নয়, ব্রত নিয়ম নয়, আত্মনিগ্রহও নয়—যদিও এদেরও প্রয়োজন আছে অল্পবিস্তর। ধর্ম মানে পাণ্ডিত্যও নয়। পাণ্ডিত্য দিয়ে আত্মপ্রসাদ লাভ করা যায়। কিন্তু মুক্তি লাভ করা যায় না-"ভূক্তয়ে, ন তু মুক্তয়ে।” যা জানলে সব জানা হয়, তা জানতে হবে। অর্থাৎ যো-সো করে ঈশ্বর লাভ করতে হবে। পরম প্রাপ্তি, যা পেলে আর কিছু পাবার থাকে না। ঈশ্বরের ঐশ্বর্য চাই না, চাই ঈশ্বর। পাওয়া বা, জানা মানে হওয়া- “ব্ৰহ্ম বেদ ব্ৰহ্মৈব ভবতি।” ঈশ্বর লাভই জীবনের উদ্দেশ্য। আর সব তুচ্ছ- "যো বৈ ভূমা তত, সুখং নাল্পে সুখমন্তি ভূমৈব সুখং। প্রকৃত সুখ ঈশ্বর লাভে, আর সব সুখ ক্ষণিক, অতএব হেয়। এ বাণী ভারতের শাশ্বত বাণী। এই বাণীর জন্যে, এই সত্যের সাধনার জন্যেই, ভারত, ভারত। শ্রীরামকৃষ্ণ সেই ভারতের মূর্ত প্রতীক, আত্মা। পাশ্চাত্ত্য মোহে মুগ্ধ ভারতবাসীকে এই বাণী শোনালেন। শুধু শোনালেন না, দেখালেন-দেখালেন কি ভাবে ঈশ্বর লাভ করতে হয়, আর, করার কি সার্থকতা। ধর্মের উদ্দেশ্য, জীবনের উদ্দেশ্য ঈশ্বর লাভ করা, আর করলে মানুষের কি পরিবর্তন ঘটে, শ্রীরামকৃষ্ণ তার সাক্ষ্য। মানুষ মান্ + হুস হয়, ইস যুক্ত, চৈতন্যময় হয়। তার স্বার্থান্ধ দুর হয়, সমস্ত হৃদয়-গ্রন্থি খুলে যায়, ভিদ্যতে হৃদয় গ্রন্থিঃ। বিশ্বব্রহ্মাণ্ড তার স্বজন হয়। সন্তু সর্বাণি ভূতান্যাত্মন্যেবানুপশ্যতি সর্বভূতেষু চাত্মানং-নিজের মধ্যে সবাইকে, আর সবার মধ্যে নিজেকে দেখা—এ সেই অবস্থা। এক, দুই নয়। আমি-তুমি ভেদ অজ্ঞান। এক আত্মা, দেহ ভিন্ন। একো দেবঃ সর্বভূতেষু। সকলের দুঃখে আমার দুঃখ, সকলের সুখে আমার সুখ । ভক্তির পথে হোক, আর জ্ঞানের পথে হোক এই একাত্ম দর্শনই মুক্তি, ধর্মের চরম লক্ষ্য। শ্রীরামকৃষ্ণের বেলায় আগে ফল, তারপর ফুল। আগে অনুভূতি, তারপর দর্শন। তারপর শাস্ত্রের সাথে মেলান। তাঁর সব উক্তিই অনুভূতিসিদ্ধ।- লোকেশ্বরানন্দ


* এাছাড়া আপনারা আরো সংগ্রহ করিতে পারেন-
> শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ লীলা প্রসঙ্গ পিডিএফ
> ভগবৎপ্ৰসঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণ পিডিএফ
> শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তমালিকা (১ম ও ২য় খন্ড)
> অমৃতরসিক শ্রীরামকৃষ্ণ
> যুগে যুগে যার আসা 


শ্রীযুক্ত মনোরঞ্জন বসু বহু পরিশ্রম করে এই বইখানি লিখেছেন। তাঁর উদ্দেশ্য, শ্রীরামকৃষ্ণের সাধক-জীবনের সঙ্গে জনসাধারণের পরিচয় করিয়ে দেওয়া। তাই বইখানির নাম—‘সাধন পরিক্রমা'। এক সার্থক নাম। ভক্ত দেব-বিগ্রহকে কেন্দ্র করে পরিক্রমা করে, করে আনন্দ পায়, তৃপ্তি লাভ করে ধন্য হয়। এখানে দেশ-বিগ্রহ কল্পনার বস্তু নয়, জীবন্ত। শ্রীরামকৃষ্ণ ঐতিহাসিক সত্য। তাঁর সাধনা ও সিদ্ধি ঐতিহাসিক সত্য। বহু প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষ্য প্রমাণের উপর প্রতিষ্ঠিত। বহু সন্দিগ্ধ, যুক্তিবাদী, বৈজ্ঞানিক বিচারনিষ্ঠ অ-ভক্তের দ্বারা পরীক্ষিত ও প্রমাণিত। রামকৃষ্ণ এক সন্দেহাতীত সত্য। তাঁর সমগ্র সাধন-ইতিহাস কখনই আমাদের জ্ঞান বুদ্ধির গোচর হবে না। কিন্তু সেই রহস্যের আবরণ খানিকটা উন্মোচন করে, তার আংশিক পরিক্রমা করার সুযোগ দিয়ে যুক্ত বস্তু আমাদের অশেষ কৃতজ্ঞতা অর্জন করেছেন। - লোকেশ্বরানন্দ

এই বইটির পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করুন অথবা অনলাইনে পড়ুন
প্রিয় পাঠকগণ, আপনারা এই পোষ্ট হইতে একটি অনবদ্য বই 'রামকৃষ্ণ সাধনা পরিক্রমা - মনোরঞ্জন বসু' এর বাংলা পিডিএফ সংগ্রহ করিতে পারিবেন।

No comments:

Post a Comment