বিবেকানন্দ, বেদান্ত ও ইসলাম - ড. রুদ্র প্রতাপ চট্টোপাধ্যায়, বাংলা বই পিডিএফ
ডিজিটাল বইয়ের নাম- 'বিবেকানন্দ, বেদান্ত ও ইসলাম'
লেখক- ড. রুদ্র প্রতাপ চট্টোপাধ্যায়
বইয়ের ধরন- ধর্ম সম্বন্ধীয়
ফাইলের ধরন- পিডিএফ
এই বইতে মোট পৃষ্টা আছে- ১৭
ডিজিটাল বইয়ের সাইজ- ১এমবি
প্রিন্ট ভালো, জলছাপ মুক্ত,
স্বামী বিবেকানন্দ বেদান্তর সঙ্গে ইসলামের সাযুজ্য প্রদর্শন করেছেন। প্রশ্ন হচ্ছে, বেদান্তের কোন বক্তব্যের সঙ্গে ইসলামের সাযুজ্য অনুভব করেছেন বিবেকানন্দ। যতোদূর মনে হয় ঈশোপনিষদের ৬ নং শ্লোকটির কথাই স্মরণ করেছেন বিবেকানন্দ।
যজ্ঞ সর্বাণি ভূতান্যাত্মন্যেবানুপশ্যতি।
সর্বভূতেষু চাত্মানং ততো ন বিজিগুন্সতে।।
স্বামী গম্ভীরানন্দ এর অর্থ করেছেন, যিনি সমুদয় বস্তুই অত্মাতে এবং সমুদয় বস্তুতেই আত্মাকে দেখেন দেখেন, সেই তিনি সেই সেই দর্শনের বলেই কাহাকেও ঘৃণা করে না ।
আপনা থেকে পৃথক কোনও বস্তু দর্শন করলে মানুষের ঘৃণা উৎপন্ন হতে পারে। কিন্তু যদি কোনও কিছুই পৃথক না হয় তবে মানুষ কারোকেই ঘৃণা করবে না। মনের মধ্যে অদ্বৈত ভাব এলে মানুষ সবাইকে সমান দেখে। মানুষ সবাইকে সমান দেখলে সমাজে সাম্যের প্রতিষ্ঠা হয় ৷
স্বামী বিবেকানন্দের একদা ধারণা জন্মেছিল ইসলামি সমাজে সাম্য বর্তমান। এই ধারণার উৎস সৈয়দ আমীর আলির 'স্পিরিট অফ ইসলাম' গ্রন্থটি। এই গ্রন্থটিতেই লেখা আছে, “ইসলাম জাত বা বর্ণের পার্থক্য স্বীকার করেনা; কালো বা সাদা, নাগরিক বা সৈনিক, শাসক বা প্রজা, তারা সবাই সমান, শুধু তত্ত্বেই নয়, বাস্তবেও। মাঠে বা বৈঠকখানায়, তাঁবুতে বা প্রাসাদে, মসজিদ বা বাজারে, তারা স্বচ্ছন্দে মেলামেশা করে। ইসলামের প্রথম মুয়াজ্জিন, ভক্তিমান মুসলিম এবং একান্ত শিষ্য ছিলেন একজন নিগ্রো ক্রীতদাস... মুহাম্মদের সমগ্র শিক্ষা ইসলামে জাতবিভাগ অসম্ভব করে তুলেছে। এবং ইসলামী আইনে কোনও শব্দকে ক্রীতদাস বলে বর্ণনা করা শব্দের অপব্যবহার ছাড়া কিছুই
নয়।”
সৈয়দ আমীর আলির 'স্পিরিট অফ ইসলাম' প্রকাশিত হয় ১৮৯১ খ্রিষ্টাব্দে। স্বামী বিবেকানন্দ ১৯০০ খ্রিষ্টাব্দের ২৮ শে জানুয়ারী ক্যালিফোর্নিয়ার প্যাসাডেনাতে ইউনিভার্সালিস্ট চার্চে এক ভাষণে বললেন:
“যখনই একজন মুসলমান ধর্ম গ্রহণ করিল, অমনি সমগ্র ইসলামী সমাজ তাহাকে জাতিবর্ণ নির্বিশেষে ভ্রাতা বলিয়া বক্ষে ধারণ করিল। এরূপ কোনও ধর্ম করেনা। এদেশীয় একজন রেড ইন্ডিয়ান যদি মুসলমান হয়, তাহা হইলে তুরস্কের সুলতানও তাহার সহিত একত্র ভোজন করিতে কুণ্ঠিত হইবেন না, এবং সে বুদ্ধিমান হইলে যে কোনও উচ্চপদ লাভে বঞ্চিত হইবে না। কিন্তু এদেশে আমি এ পর্যন্ত এমন একটিও গীর্জা দেখি নাই, যেখানে শ্বেতকায় ব্যক্তি ও নিগ্রো পাশাপাশি নতজানু হইয়া প্রার্থনা করিতে পারে। এই কথাটি একবার ভাবিয়া দেখুন। ইসলাম ধর্ম তদন্তগত সকল ব্যক্তিকে সমান চক্ষে দেখিয়া থাকে। সুতরাং আপনারা দেখিতেছেন এইখানেই ইসলাম ধর্মের নিজস্ব বিশেষ মহত্ত্ব।”
স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছে বিবেকানন্দ সৈয়দ আমীর আলির 'স্পিরিট অফ ইসলাম' দ্বারা প্রভাবিত হয়েছেন। কিন্তু, তুরস্কের সুলতান রেড ইন্ডিয়ান নব্য মুসলমানের সঙ্গে একত্র আহার করবে, এ সংবাদ তিনি কোথায় পেলেন? আর বুদ্ধিমান হলেই সে যে কোনও উচ্চপদ লাভ করবে, এ সংবাদেরই বা উৎস কী? তিনি কি কুতুবুদ্দিন বা ইলতুৎমিশের উদাহরণ থেকে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিলেন?
উপরোক্ত বাংলা বইটির পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করুন অথবা অনলাইনে পড়ুন
প্রিয় পঠকগণ, এই পোষ্ট হইতে একটি ধর্ম সম্বন্ধীয় বই- 'বিবেকানন্দ, বেদান্ত ও ইসলাম - ড. রুদ্র প্রতাপ চট্টোপাধ্যায়'-এর পিডিএফ সংগ্রহ করিতে পারিবেন।
No comments:
Post a Comment