গল্পের ভূত - সুকুমার সেন, বাংলা বই পিডিএফ
ডিজিটাল বইয়ের নাম- 'গল্পের মায়াপুরি'
লেখক- শ্রী সুকুমার সেন
বইয়ের ধরন- ভূতের গল্প
ফাইলের ধরন- পিডিএফ
এই বইতে মোট পৃষ্টা আছে- ৭৮
ডিজিটাল বইয়ের সাইজ- ১১এমবি
প্রিন্ট ভালো, জলছাপ মুক্ত, ক্লিকেবল সূচীপত্র
‘গল্পের ভূত’ এই পুস্তিকাখানি ভুততাত্ত্বিকের জন্যে লেখা হয়নি। এতে নিবন্ধ প্রবন্ধগুলি লেখা হয়েছে প্রধানত নিজের কৌতুহল মেটাবার জন্যে।
এ পুস্তিকা সাধারণ পাঠকেরও কৌতুহল জাগাবে, এমনকি অল্পবয়সীরাও এ বইয়ের পাতা উলটোলে আনন্দ পাবে।
পুস্তিকাটিতে মানব সংস্কৃতির ঐতিহাসিকদের অনুধাবনযোগ্য তথ্য ও বিশ্লেষণ কিছু কিছু আছে। যাঁরা সাময়িক ফেশনের জন্যে নয়, যাঁরা যথার্থ জিজ্ঞাস, cultural historian, তাঁরা পুস্তিকাটি পড়লে উপকৃত হবেন। ভারতবর্ষের সর্বত্র লৌকিক ভাবনায় দুটি শ্রেণীর অপ্রাকৃত “জীব” আছে রাক্ষস ও ভূত (বা পিশাচ)। বাঙালীর ভাবনায় আর একটি যোগ হয়েছে “খোক্কস"। এটির উদ্ভব অধুনিক কালে এবং শিশু ভাবনায়। মোটামুটি ভাবে দেখলে আধুনিক রাক্ষস-রাক্ষসী প্রাচীন দৈত্য-দানবের উত্তরপুরুষ, আর ভূতপেতনী গন্ধর্ব-অপসরার। এইভাবে দেখলে খোক্কস হয় শিশুচিত্তে বাঘমামা ও শিয়াল পণ্ডিত ভাগ্নের প্রতিফলন জাত আত্মভাবনা। কথাটা একটু পেঁচালো হল। খোক্কস যেন শ্রোতা শিশু বীর, যে বাঘের চেয়েও দুর্দান্ত এবং শিয়ালের মতো ধুর্ত। “খোক্কস” বাংলা সাহিত্যে শিশু-কল্পনার সৃষ্টি; শিশুর দ্বারা নয়, শিশুর জন্যে। সন্দেহ হয় কথাটির মধ্যে “খোকা” যেন লুকিয়ে আছে। তবে নামটি একেবারে উড়ো সষ্টি না হতেও পারে। সংস্কৃতে ‘বুক্কস’ বলে একটা শব্দ আছে। অর্থ জন্তুর মতো মানুষ। এই শব্দ থেকে নেপালী ভাষার ‘বোকসে’, ‘বোকসী' শব্দ এসেছে। মানে যথাক্রমে ডাইন পুরুষ ও ডাইনী স্ত্রীলোক। হয়ত ‘খোক্কস’ ও ‘বুক্কস’ শব্দের জোড়কলমে উৎপন্ন হয়েছে। এতে অর্থের বেশ সামঞ্জস্যও হয়।
সূচীপত্র:
গল্পের ভূত
একটি খুব প্রাচীন গল্প
ভূতের গল্প
দেশ-বিদেশের ভূত
সমাজে ভূত
ভূতের ছবি
এই বইটির পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করুন অথবা অনলাইনে পড়ুন
প্রিয় পাঠকগণ, এই পোষ্ট হইতে আপনারা একটি ভূত সম্পর্কে আলোচনা বই 'গল্পের ভূত - সুকুমার সেন' -এর বাংলা পিডিএফ সংগ্রহ করিতে পারিবেন।
No comments:
Post a Comment