লোবেলজয়ী মনিমানিক্য - অনুবাদিত বাংলা বইয়ের পিডিএফ
ডিজিটাল বইয়ের নাম- 'লোবেলজয়ী মনিমানিক্য'
লেখক- বিভিন্ন
বইয়ের ধরন- অনুবাদিত ছোটগল্প সংকলন
ফাইলের ধরন- পিডিএফ
এই বইতে মোট পৃষ্টা আছে- ১৩৮
ডিজিটাল বইয়ের সাইজ- ২৫এমবি
প্রিন্ট ভালো, জলছাপ মুক্ত, ক্লিকেবল সূচীপত্র
হান্নান আহসান এবং প্রণব সেন অনুবাদিত ও প্রেমেন্দ্র মিত্র সম্পাদিত নোবেল বিজয়ীদের ছোটগল্পের সংকলন।
লেখক পরিচিতি:
আনাতোলি ফ্রাঁস-
প্যারিস শহরে ১৮৪৪ সালের ১৬ এপ্রিল আনাতোলি ফ্রাঁসের জন্ম। তাঁর আসল নাম জাকে আনাতোলি থিবো। পিতার ছিল একটি বিরাট বইয়ের দোকান। ছোটবেলায় আনাতোলি বাবার দোকানে বসে বসে সেখানে আগত কবি-সাহিত্যিকদের বহু মুল্যবান আলোচনা শুনতেন। এভাবেই তাঁর মনে সাহিত্যের বীজ অঙ্কুরিত হয়। প্রথম বয়সে প্রচুর কবিতা লিখতেন। পরে নাটক লিখলেও উপন্যাস রচনায় তিনি পুরোপুরি সাফল্য লাভ করেন। ১৯২১ সালে তাকে নোবেল পুরষ্কারে সম্মানিত করা হয়। The Crime of Sylvestre Bon nard, তার প্রথম উপন্যাস। অন্যান্য বইয়ের মধ্যে Thais, The Life of Joan of Arc এবং Penguin Island সমধিক উল্লেখযোগ্য। ১৯২৪ সালের ১২ অক্টোবর তাঁর মত্যু হয়।
রুডিয়ার্ড কিপলিং-
ভারতবর্ষের বোম্বাই শহরে ১৮৬৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর রডিয়াড কিপলিং জন্ম গ্রহন করেন। পিতা ছিলেন একজন প্রখ্যাত শিল্পী। লাহোরে মিউজিয়াম-কিউরেটার হিসেবে রডিয়াড ভারত সরকারের। অধীনে কিছুকাল কাজ করেন। হিন্দুস্থানী ভাষা শিখেছিলেন। এলাহাবাদের ‘পাইওনীয়ার’ পত্রিকায় তিন বছর সহযোগী সম্পাদক ছিলেন তিনি। সেই সময় প্রচুর কবিতা এবং ছোটগল্প লেখেন। তাঁর সাহিত্যে ভারতবর্ষের পটভূমি বেশি লক্ষ্য করা গেলেও দক্ষিণ আফ্রিকা, কানাডা, নিউজিল্যান্ড, মিশর, অস্ট্রিয়া প্রভৃতি বহু দেশের নিখুত ছবি তিনি এঁকেছেন 'The Jungle Book', 'The Second Jungle Book' গ্রন্থে ভারতবর্ষের আরণ্যক জীবনের বর্ণোজ্জ্বল রূপ বিধৃত হয়েছে। এই মহান সাহিত্যিক নোবেল পুরষ্কার লাভ করেন ১৯০৭ সালে।
লুইজি পিরলো-
১৮৬৭ সালের ২৮ জন সিসিলীতে পিরান্দলের জন্ম। ইতালিয়ান সাহিত্যে তিনি বিশেষ পারদর্শিতার ছাপ রাখতে সমর্থ হন। এক সময় রোম থেকে তাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। ১৮৯৭ সাল থেকে ১৯২২ সাল পর্যন্ত তিনি রোম নগরীতে ইতালিয়ান সাহিত্যের অধ্যাপক রূপে প্রচুর প্রশংসা অর্জন করেন। নাটকের প্রতি তাঁর দুর্নিবার আকর্ষণ লক্ষ্য করা যায়। 'The Late Mattia Pascal' তাঁর বিখ্যাত উপন্যাস। ১৯৩৪ সালে তাঁকে নোবেল পুরষ্কারের সম্মানে ভূষিত করা হয়। রোমে পিরান্দেলোর মত্যু হয় ১৯৩৬ সালের ১০ ডিসেম্বর।
টমাস মান-
জার্মান কথা সাহিত্যিক টমাস মানের জন্ম ১৮৭৫ সালে। তিনি একাধিক উপন্যাস লিখেছেন। উপন্যাস ছাড়াও ছোট গল্প এবং প্রবন্ধ রচনায় তার মুন্সীয়ানার পরিচয় পাওয়া যায়। তাঁর শ্রেষ্ঠ উপন্যাসাবলীর মধ্যে দ্য ম্যাজিক মাউনটেন, ডেথ ইন ভেন্সি, ডক্টর ফাষ্টাস, দ্য ব্ল্যাক সোয়ান, জোসেফ এন্ড হিজ বাদাস’ প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য। হিটলারের রাজত্বকালে মান জার্মান থেকে নির্বাসিত হয়েছিলেন। তিনি সুইজারল্যান্ড এবং পরে আমেরিকায় আশ্রয় নিয়েছিলেন। ১৯২৯ সালে এই বিখ্যাত লেখককে নোবেল প্রাইজ প্রদান করা হয়। মত্যুবরণ করেন ১৯৫৫ সালে।
বরিস পাস্টারনাক-
১৮৯০ সালের ১০ ফেব্রুয়ারী মস্কো শহরে বরিস পাস্টারনাকের জন্ম। বাবা ছিলেন চিত্র শিল্পী। মা ছিলেন পিয়ানো বাদিকা। ছোট বেলা থেকেই বরিস শিল্প সাহিত্যের পরিবেশে মানুষ হয়ে ওঠেন। স্কুলের গডি ডিঙিয়ে বরিস মস্কো বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন পড়ার জন্য ভর্তি হন। তারপর জার্মানে যান দর্শনশাস্ত্র নিয়ে পড়াশুনা করতে। ১৯১৪ সালে প্রকাশিত হয় প্রথম কাব্যগ্রন্থ। মাত্র ১২টি মৌলিক গ্রন্থ রচনা করেন তিনি। এর মধ্যে একটিমাত্র উপন্যাসটি হল ‘ডক্টর জিভাগো'। ১৯৫৮ সালে এই বইটির জন্য তিনি পথিবীর শ্রেষ্ঠ সম্মান নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।
পার্ল বাক-
শ্রীমতি পাল বাকের জন্ম ১৮৯২ সালের ২৬ জন ওয়েস্ট ভার্জিনিয়ার এক অঞ্চলে। পিতা ছিলেন যাজক। খুব ছোটবেলায় বাবার সঙ্গে পাল চীনদেশে চলে আসেন। সেখানেই তাঁর ছাত্রজীবনের অধিকাংশ সময় অতিবাহিত হয়। প্রথম প্রথম তিনি বাড়িতে মায়ের কাছে শিক্ষালাভ শুরু করেন। নানকিন বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি ভাষার অধ্যাপিকা হিসেবে যুক্ত ছিলেন। ডাঃ জন লসিং বকের সঙ্গে বিয়ের পরও শ্ৰীমতী বাক বহুকাল চীনে কাটিয়েছিলেন। তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ ‘The Good Earth' বইটি প্রকাশিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সারা বিশ্ব এক নিঃশবাসে তাঁকে চিনে নেয়। বইটি একাধিক পুরুস্কার বয়ে নিয়ে আসে। ১৯৩৪ সালে এই বইটির জন্য তিনি অনন্য সমমান নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হন।
আর্নেষ্ট হেমিংওয়ে-
হেমিংওয়ের পুরো নাম আনেন্ট মিলার হেমিংওয়ে। জন্ম ১৮৯৮ সালের ২১ জুলাই। পিতা ছিলেন শিকাগো শহরের একজন নামী ডাক্তার। খেলাধুলার প্রতি ছিল তাঁর দুর্নিবার আকর্ষণ। মা ছিলেন সংগীতে পারদর্শিনী। কিন্তু তাঁর ঝোঁক ছিল সম্পুর্ণ অন্য দিকে সাহিত্যে। মাত্র ২২ বছর বয়সে হেমিংওয়ে হ্যাডলে রিচার্ডকে বিয়ে করেন। এ ফেয়ারওয়েল টু আর্মস লিখে তিনি অল্প বয়সেই বিখ্যাত হয়ে ওঠেন। ৫৪ বছর বয়সে লেখেন ‘দ্য ওড ম্যান এ্যাণ্ড দ্য সি’ এই বইটি লিখে তিনি ১৯৫৪ সালে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়া একই বইয়ের জন্য আমেরিকার শ্রেষ্ঠ সাহিত পুরস্কারগুলি উপহার লাভ করেন। ১৯৬১ সালের ২ জুলাই তাঁর মত্যু হয়।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-
১৮৬১ সালে কোলকাতার বিখ্যাত ঠাকুর পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর। মাতা প্রভাবতী দেবী। খুব ছোটবেলা থেকে কবিতা, ছড়া, গল্প প্রভৃতি লিখতে শুরু করেন। স্কুলের বাঁধা ধরা গণ্ডী তাঁর ভাল লাগতো না। অল্প বয়সে বাংলা সাহিত্যে প্রচুর নাম করেন। বলা বাহুল্য তাঁর হাতেই বাংলা সাহিত্যের বিভিন্ন ধারা সম্পূর্ণতা লাভ করেছে। শুধু বাংলা নয়, সমগ্র ভারতবাসীর গর্ব তিনি। কবিতা, গল্প, উপন্যাস, গান, নাটক, প্রবন্ধনিবন্ধ ইত্যাদি নানা বিষয়ে তিনি পারদর্শিতা অর্জনে সক্ষম হয়েছেন। খুব ভাল ছবি আঁকতে পারতেন তিনি। বীরভূমের বোলপুরে তিনি শান্তিনিকেতন স্থাপন করেন। ১৯১৩ সালে নোবেল পরিষ্কার কমিটি পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক পুরস্কারটি তাঁর হাতে তুলে দেন। গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থের জন্য। ১৯৪১ সালে তাঁর মত্যু হয়।
সূচীপত্র:
যাদুকর - আনাতোলি ফ্রাঁস
বৃদ্ধ মাঝি ও সমুদ্র - আর্নেষ্ট হেমিংওয়ে
ইউরো - বরিস পাস্টারনাক
সমুদ্র-যিশু - আনাততালি ফ্রাঁস
খুনীরা - আর্নেষ্ট হেমিংওয়ে
ছোটবেলার দুঃখ - টমাস মান
অন্তরঙ্গ বন্ধু - লুইজি পিরান্দেলো
পরিবর্তন - আইজ্যাক ব্যাসেভিস সিংগার
গণ্ডারের চামড়া সৃষ্টির রহস্য - রুডিয়ার্ড কিপলিং
উদ্বাস্তু - পার্ল বাক
দুই ভাই - ব্যুয়োষ্টার্ণে ব্যুয়োর্ণসন
অতিথি - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
এই বইটির পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করুন অথবা অনলাইনে পড়ুন
প্রিয় পাঠকগণ, এই পোষ্ট হইতে আপনারা একটি ছোটগল্প সংকলন 'লোবেলজয়ী মনিমানিক্য' -এর অনুবাদিত বাংলা বই পিডিএফ সংগ্রহ করিতে পারিবেন।
No comments:
Post a Comment