বৈষ্ণব-দর্পণ - অমরেন্দ্রনাথ সাহা পিডিএফ - বাংলা বই এর pdf ডাউনলোড-Bangla Digital Boi Pdf

Latest

Friday, October 15, 2021

বৈষ্ণব-দর্পণ - অমরেন্দ্রনাথ সাহা পিডিএফ


 
বৈষ্ণব-দর্পণ - অমরেন্দ্রনাথ সাহা, ধর্ম সমন্ধীয় বই পিডিএফ
ডিজিটাল বইয়ের নাম- 'বৈষ্ণব-দর্পণ'
লেখক- অমরেন্দ্রনাথ সাহা
বইয়ের ধরন- ধর্ম সমন্ধীয় বই
ফাইলের ধরন- পিডিএফ
এই বইতে মোট পৃষ্টা আছে- ২০০
ডিজিটাল বইয়ের সাইজ- ১৪এমবি
প্রিন্ট ভালো, জলছাপ মুক্ত

বৈষ্ণব-দর্পণ - অমরেন্দ্রনাথ সাহা

সাধারণভাবে বিষ্ণুদেবতার ভক্ত বা উপাসকদের বৈষ্ণব বলা হয়। কিন্তু এখন বৈষ্ণব শব্দের অর্থ ব্যাপকতর রূপ লাভ করেছে। এখন কৃষ্ণবাসুদেবরূপী বিষ্ণুর উপাসকেরাও বৈষ্ণব। এই বৈষ্ণবধর্ম যে কত প্রাচীন তা এখন পর্যন্ত সঠিকভাবে নির্ণীত হয়নি। তবে এটা বলা যায় ভারতবর্ষে সুপ্রাচীন কাল থেকে ভগবান বিষ্ণু ও বসুদেব-তনয় শ্রীকৃষ্ণ ভাগবতজনের অন্তরের অন্তরতম দেবতারূপে পুজিত হয়ে আসছেন। হিন্দুদের আদি ধর্মগ্রন্থ বেদ। ঋগ্বেদে বিষ্ণু নামক দেবতার উল্লেখ আছে। যজুর্বেদের বহুস্থানে বিষ্ণুর উল্লেখ পাওয়া যায়। কঠোপনিষদ বা ছান্দোগ্য উপনিষদে বিষ্ণু ভক্তহৃদয়ে সর্বোচ্চ স্থান অধিকার করে আছেন। উপনিষদোত্তর যুগে ভারতবর্ষে বিষ্ণু ও বাসুদেবকে কেন্দ্র করে ভক্ত সম্প্রদায় গড়ে উঠে। আবও পরবর্তীকালে ভাগবত, বিষ্ণুপুরাণ, পদ্মপুরাণ, ব্রহ্মবৈবর্তপুরাণ এবং মহাভারতীয় কৃষ্ণলীলায় বৃন্দাবনলীলা যুক্ত হয়ে ভাগবত ধর্ম বৈষ্ণবধর্মের আকারে বিশেষভাবে ব্যপ্তিলাভ করে।
ভাগবতধর্ম ব্যাপকভাবে বৈষ্ণবধর্ম বোঝালেও সংকীর্ণভাবে বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের একটি শাখাকে বুঝিয়ে থাকে। বিষ্ণুর উপাসক বৈষ্ণব বটে, তবে কৃষ্ণবাসুদেবের উপাসকেরা ভাগবত নামে অভিহিত হতেন। পঞ্চরাত্র নামে এক বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের পরিচয় খ্রিস্টীয় দ্বিতীয় শতক থেকে পাওয়া যায়। পাঞ্চরাত্র মতে বাসুদেবই পরমদেবতা।
খ্রিস্টীয় প্রথম শতাব্দী হতে নবম শতাব্দী পর্যন্ত দক্ষিণ ভারতে এক বৈষ্ণব সম্প্রদায় ছিলেন—এই সম্প্রদায় আলোয়ার সম্প্রদায় নামে পরিচিত। আলোয়ারের অর্থ—ঈশ্বর প্রেমে পাগল। আলোয়ারেরা প্রেমের মধ্য দিয়ে কৃষ্ণের আরাধনা করতেন। বারোজন আলোয়ার সাধকের পরিচয় পাওয়া যায়। তাঁদের মধ্যে অণ্ডাল বা গোদা ছিলেন মহিলা। তাঁর রচিত ‘তিরুপ পাবৈ' গান গেয়ে ব্রজভূমির ব্রজকন্যারা কৃষ্ণের ঘুম ভাঙাতেন। আলোয়ারেরা স্বকীয়া ও পরকীয়া দু'প্রকার নায়িকার ভাবেই কৃষ্ণভজন করতেন। বাংলার বৈষ্ণবধর্মের সঙ্গে দক্ষিণ ভারতের এই আলোয়ার ভক্তিসাধনার যথেষ্ট মিল আছে। কথিত আছে, মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্য দক্ষিণ ভারত হতে ‘ব্রহ্মসংহিতা' ও কৃষ্ণকর্ণামৃত গ্রন্থদুটি সঙ্গে নিয়ে এসেছিলেন। মনে হয়, এই গ্রন্থদুটি থেকে তিনি ভক্তিভাবের অনেক উপাদান গ্রহণ করে থাকতে পারেন। তবে নিঃসন্দেহে কিছু বলা যায় না। ভক্তি পথানুসারী দার্শনিকগণ ভক্তিতত্ত্বকে দার্শনিক তত্তরূপে প্রতিষ্ঠিত করেন। এঁদের মধ্যে শঙ্কর অদ্বৈতবাদী। তিনি ব্রহ্মভিন্ন অন্য সকল পদার্থকে মিথ্যাও ইন্দ্রজালবৎ বলে প্রমাণ করেন, আর দ্বৈতবাদী ভক্ত দার্শনিকগণ অচলা ভক্তি দ্বারা ভগবানকে লাভ করতে চেয়েছেন। এই দ্বৈতবাদী বৈষ্ণবগণ চারি শাখায় বিভক্ত :
(১) রামানুজ প্রভাবান্বিত শ্ৰীসম্প্রদায় (বিশিষ্টাদ্বৈতবাদ)
(২) মধ্ব প্রভাবান্বিত ব্ৰহ্ম সম্প্রদায় (দ্বৈতবাদ)।
(৩) বল্লভাচার্য প্রভাবান্বিত রুদ্র সম্প্রদায় (শুদ্ধাদ্বৈতবাদ)
(৪) নিম্বার্ক প্রভাবান্বিত সনক সম্প্রদায় (দ্বৈতাদ্বৈতবাদ)।

যাইহোক এই বইটি থেকে বৈষ্ণব ধর্মের উৎপত্তি ও এই ধর্ম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে।

উপরোক্ত বাংলা বইটির পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করুন অথবা অনলাইনে পড়ুন
প্রিয় পঠকগণ, এই পোষ্ট হইতে  ধর্ম সমন্ধীয় বাংলা বই- 'বৈষ্ণব-দর্পণ - অমরেন্দ্রনাথ সাহা'-এর পিডিএফ সংগ্রহ করিতে পারিবেন।

No comments:

Post a Comment