রসবতী- শঙ্কর বাংলা বই পিডিএফ - বাংলা বই এর pdf ডাউনলোড-Bangla Digital Boi Pdf

Latest

Tuesday, June 2, 2020

রসবতী- শঙ্কর বাংলা বই পিডিএফ


রসবতী- শঙ্কর বাংলা বই পিডিএফ
ডিজিটাল বইয়ের নাম- রসবতী
লেখক- শঙ্কর (মনি শঙ্কর মুখোপাধ্যায়)
বইয়ের ধরন- বাঙ্গালীর খাবার-দাবার সংক্রান্ত বই
ফাইলের ধরন- পিডিএফ
এই বইতে মোট পৃষ্টা আছে- ৩০১
ডিজিটাল বইয়ের সাইজ- ২০এমবি
প্রিন্ট ভালো, জলছাপ মুক্ত

রসবতী- শঙ্কর

ব্যান্ডোদার প্রারম্ভিক মন্তব্য-
ভাবা যায় না! হাওড়া কাশুন্দের শ্রীমান শংকর টক ঝাল মিষ্টি ইত্যাদি যড়রস নিয়ে বাংলায় বই প্রকাশ করছে, আর আমি নতুন সহস্রাব্দের প্রথম রাত্রে সুদূর আমেরিকায় বিভারলি হিলস-এর বাড়িতে বসে সেই বইয়ের ভূমিকা রচনা করছি।
এই বই যারা পড়বেন তারা জানতে পারবেন অনেকদিন আগে এন-আর-আই অর্থাৎ ভারতসে-ভাগা ভারতীয় হয়ে আমি জন্মস্থান বাংলা থেকে বহু দূরে এবং হলিউডের খুব কাছে এই পল্লীতে বসবাস করছি। বহুদিন আগে স্রেফ আট ডলার পকেটে নিয়ে ভাগ্যসন্ধানে ভারতবর্ষ ত্যাগ করেছিলাম। প্রবাসে যখন কষ্ট করছি তখন একটাই ভরসা ছিল, আমার পকেটে তিন সিংহর ছাপওয়ালা একটা ভারতীয় পাশপোর্ট আছে। এখন ওই আট ডলার বাড়তে বাড়তে মিলিয়ন অতিক্রম করে গিয়েছে, কিন্তু যা হারাতে হয়েছে তা হলো জন্মসূত্রে পাওয়া পাশপোর্টটা। অর্থাৎ আমি এখন বিদেশের নাগরিক। কলকাতা এবং হাওড়া থেকে বহুদূরে এই নির্জন নগরীতে বসে সে কথা ভাবতে কেন জানি না ভীষণ কষ্ট হয়।
ভাগ্যের পরিহাসে, জীবিকার প্রয়োজনে ভাসতে ভাসতে যে দেশে উপস্থিত হয়েছি সে দেশ যেমন অনেক কিছু দিয়েছে উদারভাবে তেমন কেড়ে নিয়েছে বেশ কিছু নিষ্ঠুরভাবেই। তাই হাওড়া কলকাতার বেগুনি ফুলুরি সিঙাড়া নিমকি সন্দেশ রসগোল্লা আমার স্বপ্নে আজও ধরা দেয় কিন্তু কাছে আসতে চায় না। মনকে বোঝাই, আমি বিদেশের নাগরিক হলেও বিদেশী নাগরিক নই—এই কলকাতা, এই হাওড়া, এই বাংলা এবং এই ভারত একদিন আমার একান্ত নিজস্ব ছিল, এখন পরিস্থিতির বিপাকে এই পবিত্র উত্তরাধিকার আমাকে ত্যাগ করতে হয়েছে।

**প্রিয় পাঠক, আপনারা এই লেখকের লেখা আরো বই সংগ্রহ করিতে পারেন যেমন-
    > বাঙালির খাওয়া দাওয়া- শঙ্কর


ভারতবর্ষ বারে বারে নানা রূপে আমার চোখের সামনে উপস্থিত হয়। বিজ্ঞানের এই যুগ অনেক কিছু দিয়েছে, যারা আশঙ্কা করেছিলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বেগ উপহার দিয়ে মানুষের আবেগ কেড়ে নেবে তারা ভুল প্রমাণিত হয়েছেন। হৃদয় থেকে মানুষ যা চায় তা দূরে সরিয়ে দিতে বিজ্ঞান এখনও তৎপর হয়নি। তাই আমি মাঝে মাঝে দমদম এয়ারপোর্টে ল্যান্ড করি কখনও নোটিশ দিয়ে, কখনও বিনা নোটিশে। কলাবেচার প্রফেশনে আছি, তাই রথের ভিড়ে কেউ আমার পাশপোর্ট নিয়ে মন্তব্য করার সময় পায়না। কেউ জিজ্ঞেস করে না, কেন এখানে| শ্রীমান শংকরের সঙ্গে আমার পরিচয় অনেকদিনের। বনগাঁয়ে শিয়ালরাজা হবার স্বপ্ন নিয়ে বাংলার লেখকরা বড় ব্যস্ত হয়ে থাকে। লিখি দিল বিশ্বনিখিল দু'বিঘার পরিবর্তে—তা বাঙালি লেখকের ভাগ্যে সম্ভব হয় না। কিন্তু আমি দেখেছি, শংকরের সঙ্গে কিছু কিছু বিষয়ে আমার মতের ঐক্য আছে। উৎসাহ ভরে সেই আমাকে প্রথম বলেছিল বড়রসের কথা--এবং আমি এদেশ থেকে খবর দিয়েছিলাম, সায়েরা চেষ্ট করেও চারটের বেশি রসের ঠিকানা পায়নি। আমরা দু'জনে টক ঝাল নোনতা এবং মিষ্টি ইত্যাদি নিয়ে ভাবের আদান-প্রদান করতে গিয়ে বুঝেছি, রসনারও একটা নিজস্ব ইতিহাস এবং নিজস্ব ভূগােল আছে। সারা বিশ্বের নানা বৈষম্য ও বৈচিত্র তাই মানুষের রান্নাঘরে একাকার হয়ে গিয়েছে, বহুর মধ্যে ঐক্যকে অনুভব করার প্রথম সৌভাগ্য ও কৃতিত্ব বোধহয় রাঁধুনিদের।
রসের সন্ধানে গত কয়েক বছরে আমরা একসঙ্গে বেশ কিছু খোঁজখবর চালিয়েছি। বিদেশে বসবাস করে আমি বুঝেছি, এই বিষয়ে যথার্থ স্বীকৃতি অর্জন করতে হলে ভারতবর্ষের নানা প্রান্ত থেকে নানা তথ্য আমাদের উদ্ধার করতে হবে এবং সেগুলি ঝেড়েছেনবসাজে বিশ্বসভায় উপস্থিত করতে হবে। এই কাজে আমাদের আরেকজন উৎসাহী সহযোগী প্রখ্যাত ভারতত্ববিদ সর্বদমন রায়। নাম দেখে ভয় পাবেন না, মানুষটির মধ্যে অদম্য উৎসাহ ছাড়া আর কিছুই লক্ষ্য করিনি। নানা রসের উৎস সন্ধানে বেরিয়ে প্রবাসের আমি মানসিক আনন্দ পেয়েছি প্রচুর, এখনও অনেকদিন সে কাজ চালিয়ে যেতে হবে। কিন্তু গল্পলেখকের বদস্বভাব অনেক, সুযোগ পেয়েই আমার মতন একজন সাধারণ মানুষকে শ্রীমান শংকর ছোটখাট হিরো বানিয়ে দিয়েছে। শ্রীমান শংকর স্বভাবে কিছুটা অধৈর্য—আমার সঙ্গে বিভিন্ন অলিগলি ঘোরাঘুরি পর্বটা এমনভাবে সাজিয়ে নিয়েছে যে টক ঝাল মিষ্টির সঙ্গে শুধু ইতিহাস ভূগোল নয় বেশ কিছু গল্পগাথাও মিলেমিশে একাকার হয়ে গিয়েছে। ওর ধারণা, রাঁধুনি ও লেখক দু'জনেরই লক্ষ্য এক—মানুষকে তৃপ্তি দেওয়া। সেই তৃপ্তির সঙ্গে যদি পুষ্টিরও দেখা মেলে তা হলে তো কথাই নেই।
মোদ্দা কথাটা হলো, আমি, সর্বদমন ও তার নিজের গল্পটা শংকর আপন মনের মাধুরী মিশিয়ে লিখে রাখতে চায়, যাতে পৃথিবীর বাঙালিরা অন্তত রসনা বিষয়ে কখনও আত্মবিস্মৃত না হয়।

এই বইয়ের নাম ‘রসবতী’ দেখে আমি কিছুটা আশ্চর্য হয়েছিলাম। কারণ কোথাও তো কোনো সুরসিকা নারীচরিত্রের তেমন উল্লেখ নেই। কিন্তু ফোন করতে সর্বদমন রায় আমাকে জানালেন, প্রাচীনকালে দূরদর্শী নরপতিরা রাজকীয় রান্নাঘরকে রসবতী বলতেন। ভারী সুন্দর নাম, ইউরোপ আমেরিকার কোনো সম্রাট অথবা সম্রাজ্ঞী রান্না ঘরের ব্যাপারে কখনও এতোটা দূরদর্শী হতে পারেন নি।
শুধু রসালো ফল নয়, মাঝে মাঝে শিলনোড়াতেও রস লুকিয়ে থাকতে পারে, তা প্রমাণ করবার জন্যে এই বইয়ের লেখক বিশেষ উৎসাহী হয়েছেন। কিন্তু পাথর থেকে রস বার করতে হলে যে শিক্ষা, স্থৈর্য ও নিপুণতা প্রয়োজন তা একজন অর্ডিনারি বাঙালি গল্প লেখকের কাছে প্রত্যাশা করা অনুচিত। গলিঘুজির শহর কলকাতা থেকে কচুরি সিঙাড়া জিলিপির মধ্য দিয়ে শ্রীমান শংকর ভারতীয় সভ্যতার মূল্যায়ন করতে চেয়েছে। অনুসন্ধান শুরু করেছে কিন্তু শেষ করতে পারে নি। আমি শংকরকে এই সাবজেক্টে আরও চাঞ্চল্যকর সংবাদ সংগ্রহ করে আরও বিস্তারিতভাবে লেখার জন্যে চাপ দেবো। এখনকার মতন, ওকে কেবল উৎসাহ জানাই।- ব্যান্ডোদা

উপরোক্ত বাংলা বইটির পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করুন অথবা অনলাইনে পড়ুন
প্রিয় পাঠকগণ, সংগ্রহ করে নিন এই অসাধারণ বই ভোজন বিলাসীদের জন্য- 'রসবতী- শঙ্কর' বাংলা বই পিডিএফ

No comments:

Post a Comment