শ্যামাচরণ লাহিড়ী মহাশয়ের বই সমুহ পিডিএফ - বাংলা বই এর pdf ডাউনলোড-Bangla Digital Boi Pdf

Latest

Tuesday, October 1, 2019

শ্যামাচরণ লাহিড়ী মহাশয়ের বই সমুহ পিডিএফ


শ্যামাচরণ লাহিড়ী মহাশয়ের বই সমুহ পিডিএফ
বইয়ের ধরন- জীবনীমুলক বই
ফাইলের ধরন- পিডিএফ
প্রিন্ট খুব ভালো, জলছাপ মুক্ত

এই যোগীরাজ ও তাঁর কার্যকলাপ সম্পর্কে কয়েকটি কথা-

যোগীর দেশ ভারতবর্ষ। যোগ না জানলে যেমন যোগীকে জানা যায় না, তেমনি যোগীকে না জানলে অধ্যাত্মভারতকে জানা যায় না। তাই বলা হয় যোগ ছাড়া ভারত নেই, ভারত ছাড়া যোগ নেই। অতএব যোগসাধনই রীতি এবং সকল মানুষের যোগসাধন করা একান্ত কর্তব্য। কিন্তু দুঃখের বিষয় বর্তমান কালে এই সনাতন যোগের বিরুদ্ধে নানাপ্রকার অপপ্রচার শোনা যায়। বর্তমানে বলা হয় কলিযুগে যোগ চলে না। কেন কলিকালের মানুষ যোগ করতে পারবে না ? কলিকালের মানুষ কি মানুষ নয় ? পুরাকালে মানুষ যেভাবে জন্মত, বেঁচে থাকত, মরত, এখনকার মানুষেরও কি তাই হয় না? তখনকার মানুষেরও সুখ দুঃখ ছিল, সংসার ছিল, সবই ছিল, এখনও তাই আছে। পার্থক্য কোথায়? পার্থক্য কেবল একটা বিষয়েই দেখা যায়। সেটা হোলো পুরাকালের মানুষ প্রায় সকলেই ঈশ্বরে বিশ্বাসী ছিল, যোগসাধন করত, তাদের জীবন ছিল সাধারণ। তখনকার মানুষ যদি কেউ ঈশ্বর সাধন না করত তবে তাকে নিন্দা করা হত। কিন্তু বর্তমান কালে এর বিপরীত অবস্থাটা দেখা যায়। এখনকার মানুষ বেশিরভাগই বিলাসপ্রিয়, আরাম প্রিয়, অল্পে সন্তুষ্ট নয় এবং ঈশ্বরমূখী মনোভাবের বড়ই অভাব। এখন যদি কোনো মানুষ ঈশ্বর সাধন না করে তবে সে নিন্দিত হয় না; বরং সাধনপরায়ণহীন ও বিত্তশালী মানুষই বর্তমান সমাজে অধিক বন্দিত। বর্তমানে অধিক মানুষই যখন ঈশ্বপরায়ণহীন তখন তাদের মধ্যে ঈশ্বরে ভক্তি থাকা সম্ভব নয়। অথচ ওই মানুষগুলোকে যদি ভক্তিপথের দিকে ঠেলে দেওয়া যায় তবে তাদের পক্ষে কি ভক্তিপথে ঈশ্বর সাধন করা সম্ভব? যে জিনিস তাদের মধ্যে নেই সেই পথে জোর করে ঠেলে দিলে বরং অনর্থ সৃষ্টি করে। ভক্তি নিশ্চয়ই চাই, বিনা ভক্তিতে ঈশ্বর সাধন সম্ভব নয়। তাহলে এ ভক্তি তাদের অর্জন করতে হবে। যোগপথ কেমন করে সেই ভক্তিকে অর্জন করা যায় প্রথমে সেই শিক্ষাই দেয় এবং পরে যখন ভক্তি অর্জন হবে তখন তার পক্ষে ঈশ্বর সাধন সহজ হবে। তাই যোগীর চেয়ে বড় ভক্ত কোথায়? যোগীকেই বলা হয় শ্রেষ্ঠ ভক্ত। যারা অজ্ঞ, যাদের আত্মতত্ব বা ব্ৰহ্মবিদ্যা সম্বন্ধে সঠিক জ্ঞান নেই তারাই কেবল যোগপথ ও ভক্তিপথকে আলাদা মনে করে। তারা জানে না যে যোগকর্ম ছাড়া সঠিক ভক্তিলাভ সম্ভব নয়। তাই যোগকর্ম হোলো আত্মজ্ঞান লাভের একমাত্র উপায়। যিনি যোগী নন তিনি যদি যোগমার্গের বিরুদ্ধে কথা বলেন তবে তা ন্যায়সঙ্গত হয় না, কারণ যোগ সমন্ধে তাঁর নিজেরই জ্ঞান নেই।
যে বিষয়ে তাঁর নিজের জ্ঞান নেই অথচ বিজ্ঞের মত কথা বলেন তবে তার দ্বারা সাধারণ অনভিজ্ঞ মানুষকে প্ররোচিত করা যায় মাত্র, কিন্তু তার দ্বারা মানুষের কল্যাণ সাধিত হতে পারে না। যোগপথের মূল কর্মই হোলো শাস-প্রশ্বাসকে নিয়ে। এই শাস-প্রশ্বাস কার নেই। সকল জীবদেহে যখন এই শাস-প্রশ্বাসই একমাত্র অবলম্বন, তখন সেই অবলম্বনকে বাদ দিয়ে ঈশ্বর সাধন কি প্রকারে সম্ভব? এই শাস-প্রশ্বাস আছে বলেই জীবদেহে কাম ক্রোধ লোভ মোহ ইত্যাদি যেগুলি সাধনপথের অন্তরায় সেগুলি বর্তমান থাকে এবং মন আপনাহতেই বহির্মুখী হয়। সেই বহির্মুখী মনে সঠিক ঈশ্বরভক্তি কি করে সম্ভব? তাই মনকে অন্তর্মুখী করে ভক্তি লাভের উপায় হলো যোগ। ঘটাকাশ যেমন মহাকাশ থেকে বিযুক্ত নয়, তেমনি জীবাত্মাও পরমাত্মা থেকে বিযুক্ত নয়। অতএব সকল জীবই পরমাত্মার সঙ্গে সর্বদাই যুক্ত। কিন্তু চঞ্চলতার জন্য আপাতত বিযুক্ত মনে হয়। একারণে প্রকারান্তরে সকলেই যোগী, কিন্তু সেই যুক্ত অবস্থার প্রতি কোনো লক্ষ্য নেই। প্ৰাণকৰ্মরূপ যোগকর্ম করতে থাকলে সরাসরি সেই যুক্তাবস্থার প্রতি লক্ষ্য হয়, তখন যোগী জানতে পারেন যে তিনি কখনই সেই পরমাত্মা থেকে বিযুক্ত নন, তখনই তাঁকে যোগী বলা হয়। একারণে সকলেই যোগী, কিন্তু কেউ জেনে যোগী কেউ অজ্ঞতাবশতঃ না জেনে যোগী।
অনেকে এই অভিমত পোষণ কৱেন যে যোগপথ কঠিন হওয়ায় সকলের পক্ষে সম্ভব নয়। যোগপথ যদি কঠিন হোত এবং যদি কলিযুগের মানুষ অসমর্থ হোত তাহলে মহাপুরুষ যোগিরাজ সমাচরণ লাহিড়ী মহাশয় এই পথের অনুমোদন করলেন কি করে? শুধু অনুমোদনই করেননি, সংসারে থেকে, সম্পূর্ণরূপে গৃহ জীবন যাপন করে, কোনো কিন্তু বাহ্যত্যাগ না করে নিজ জীবনে যোগ-আচরণ করে দেখিয়েছেন। তিনি কি কলিযুগের মানুষ ছিলেন না? আজ থেকে প্রায় একশ বছর আগে তিনি এই ধরাধাম ছেড়ে চলে গেছেন; অতএব বেশী দিনের কথা নয়। পরবর্তীকালে তাঁর প্রদর্শিত পথে আরো বহু মানুষ এইযোগকর্ম করে জীবনে সফলতা অর্জন করেছেন। অতএব ভ্রান্ত মানুষদের কথায় বিভ্রান্ত হয়ে যদি অগণিত মানুষ যোগকর্মকে পরিত্যাগ করে তবে সে ক্ষতি সকলেরই হবে, এতে কোন সন্দেহ নেই। সাধারণ মানুষ, যারা এত গভীর তত্বের কথা জানে না তাদের বিপথগামী করে নিজের দল বাড়ানো যায় ঠিকই, কি তাতে দেশবাসীর মহান কল্যাণ হতে পারে না। যোগপথ কখনই দল গঠনের অনুকূলে মত দেয় না, বরং সে বিপরীত কথাই বলে। যোগী বলেন একাকী নিভৃতে স্বাধীনভাবে যোগ সাধন কর, তবেই তোমার আত্মসাক্ষাৎকার হবে, মঙ্গল হবে। এখন ভারতবর্ষ সমগ্র পৃথিবীতে মনুষ্য সমাজে ধর্মের নামে যে উন্মত্ত প্রায় ধর্মান্ধতা চলছে তার থেকে পরিত্রাণের একমাত্র উপায় হলো এই যোগ, যা যোগিরাজ তার ক্রিয়াযোগ সাধনার মাধ্যমে মানুষের পরম কল্যাণের জন্য দিয়ে গেছেন। এই সনাতন যোগসাধন সর্বকালে সবমানুষের মধ্যে চিরকাল আছে ও থাকবে। এ পথ আত্মজ্ঞানের পথ, ব্রহ্মজ্ঞানের পথ ; এ পথ চির শাশ্বত অমর পথ, সত্যিকার জ্ঞানের পথ, নিজেকে জানার পথ। কিন্তু কোনো বিশেষ দেব-দেবীকে জানার পথ নয়, যদিও এ পথে চললে সকল দেব-দেবীকে আপনাহতেই জানা যাবে, কিন্তু সেটা যোগীর গন্তব্যস্থল নয়। যোগীর গন্তব্য হোলো যেখান থেকে সে এসেছে সেখানে, সেই নিশ্চল ব্রহ্মে ফিরে যাওয়া এবং মিশে যাওয়া। তাই যোগিরাজ বলেছেন—“ক্রিয়া সত্য আর সব মিথ্যা"। শ্রীভগবান গীতায় বলেছেন--'যোগকর্ম সুকৌশলম’। ভগবান্, উদাত্তকণ্ঠে অর্জুনের মাধ্যমে সকল মানুষকে জানালেন-
“তপস্বিতভ্যাহধিকো যোগী জ্ঞানিভ্যোহপি মতোহধিকঃ।
কর্স্মিভ্যশ্চাধিকো যোগী তস্মাদযোগী ভবার্জ্জুন।” (গীতা ৬/৪৬)


যোগিরাজ প্রদর্শিত এই ক্রিয়াযোগ হলো এক সুপ্রাচীন বিজ্ঞান। এই বিজ্ঞান মতে দেহের অনিত্যতা প্রভৃতি পর্যালোচনা করে এবং একমাত্র পরমাত্মাকেই নিত্য জেনে সর্বদা মুক্তির জন্য যত্ন করা উচিত। কুবুদ্ধি মানবগণের অসংযত আত্মা বন্ধের কারণ, কিন্তু বুদ্ধিমান কর্তৃক সংযত হলে অর্থাৎ স্থির হলে সেই আত্মাই ক্লেশরাশি নাশ করে থাকেন। যোগিরাজ এবং সর্বশাস্ত্র একথাই শিক্ষা দেন যে একমাত্র আত্মাই সমস্ত আশ্রমবাসীগণের জিজ্ঞাস্য ; সেই আত্মাই কেবল শ্রোতব্য, জ্ঞান্তব্য, এবং যত্নসহকারে দ্রষ্টব্য। আত্মজ্ঞান হতেই মুক্তি হয়, যোগ ব্যতিরেকে আত্মজ্ঞান হয় না, সেই যোগও সতত অভ্যাসবশে সিদ্ধ হয়ে থাকে। অরণ্য আশ্রয় করলেই বা সংসার ত্যাগ করলেই যোগসিদ্ধ হয় না, আত্মজ্ঞান হয় না অথবা নানাবিধ শাস্ত্রচিন্তা, দান, ব্রত, তপস্যা, যজ্ঞ, নানাপ্রকার আসন, নাসা-দর্শন, শৌচ, যৌন, বাহ্য-পূজা বা মন্ত্রের আরাধনায়ও যোগসিদ্ধ হয় না। এরজন্য চাই অধ্যাবসায়, সর্বদা অভ্যাস, একান্ত নিশ্চয়তা ও বারবার ক্রিয়া অবলম্বনে যোগসিদ্ধ হয়ে থাকে। একারণেই যোগিরাজ বলেছেন-‘ক্রিয়া করাই বেদপাঠ'। অন্যকিছুতে হয় না। আত্মার সহিত সতত মিলিত হয়ে আত্মাতেই পরিতৃপ্তি লাভ করে, যিনি আত্মাতেই সর্বদা অবস্থিত তাঁরই যোগসিদ্ধি। এই সংসারে যিনি আত্মা ভিন্ন অন্য কিছু দেখেন না, সেই আত্মারাম যোগিশ্রেষ্ঠ ব্রহ্মময় হন।... অশোক কুমার চট্টোপাধ্যায়

*এছাড়া আপনারা, সংগ্রহ করিতে পারিবেন-  
ভারতের সাধক- শঙ্করনাথ রায় ১ম হইতে ১২ তম খন্ড

 বিদেশী ভারত সাধক- সোমেন্দ্রনাথ বসু

এই যোগীরাজ সমন্ধে ও তাঁর কর্মযজ্ঞ জানতে নীচের বইগুলি পাঠ করবেন।

শ্যামাচরণ লাহিড়ী মহাশয়ের বই সমুহ পিডিএফ

যোগিরাজ শ্যামাচরণ মহাশয়ের জীবন স্মৃতি ও পত্রাবলী
পুরাণ পুরুষ যোগিরাজ শ্যামাচরণ লাহিড়ী
শ্যামাচরণ ক্রিয়াযোগ ও অদ্বৈতবাদ
যোগিরাজ শ্যামাচরণ গ্রন্থাবলী (তৃতীয় খণ্ড)


যোগিরাজ শ্যামাচরণ মহাশয়ের জীবন স্মৃতি ও পত্রাবলী
মোট পৃষ্টা আছে- ১৩৯
ডিজিটাল বইয়ের সাইজ-  ৭ এমবি
বইটির পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করুন অথবা অনলাইনে পড়ুন

পুরাণ পুরুষ যোগিরাজ শ্যামাচরণ লাহিড়ী
মোট পৃষ্টা আছে- ৩৩৩
ডিজিটাল বইয়ের সাইজ-  ১৪ এমবি
বইটির পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করুন অথবা অনলাইনে পড়ুন

শ্যামাচরণ ক্রিয়াযোগ ও অদ্বৈতবাদ
মোট পৃষ্টা আছে- ২৫৪
ডিজিটাল বইয়ের সাইজ-  ১৮ এমবি
বইটির পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করুন অথবা অনলাইনে পড়ুন

যোগিরাজ শ্যামাচরণ গ্রন্থাবলী (তৃতীয় খণ্ড)
মোট পৃষ্টা আছে- ৩৪৩
ডিজিটাল বইয়ের সাইজ-  ১৩ এমবি
বইটির পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করুন অথবা অনলাইনে পড়ুন

প্রিয় পাঠকগণ, আপনারা এই পোষ্ট হইতে যোগিরাজ  শ্যামাচরণ লাহিড়ী মহাশয়ের বই সমুহ সংগ্রহ করিতে পারিবেন।

No comments:

Post a Comment