বিদেশী ভারত সাধক- সোমেন্দ্রনাথ বসু বাংলা বই পিডিএফ ফাইল
ডিজিটাল বইয়ের নাম- বিদেশী ভারত সাধক
লেখক- সোমেন্দ্রনাথ বসু
বইয়ের ধরন- জীবনীমুলক
ফাইলের ধরন- পিডিএফ
এই বইতে মোট পৃষ্টা আছে- ১৭০
ডিজিটাল বইয়ের সাইজ- ৮এমবি
প্রিন্ট খুব ভালো, জলছাপ মুক্ত
লেখকের কথা-
সংস্কারাচ্ছন্ন জীবনের সংকীর্ণতার মধ্যে ভারতবর্ষের অতীত গৌরবকে আমরা ভুলেছিলুম। অষ্টাদশ শতাব্দী সেই বিস্মরণের কাল। ভারতবর্ষ ও প্রাচ্যজগতের বিবিধ বিষয় নিয়ে যারা নাড়াচাড়া শুরু করলেন এবং সমস্ত জগতের দৃষ্টি ঐদিকে আকর্ষণ করলেন তাঁরা সকলেই বিদেশী। তাঁদেরই পরিশ্রমে, যত্নে ঐকান্তিক সাধনায় ভারতীয় মহাকাব্য, নাটক, জ্যোতিষ, আইন প্রভৃতির চর্চা নতুন করে শুরু হলো। ভগবদগীতা, বেদ, কোরাণ কোনকিছুই তাদের সন্ধানী দৃষ্টি এড়িয়ে গেলো না। তারা আশ্চর্য হলেন, চমৎকৃত হলেন সংস্কৃত ভাষার ঐশ্বর্য দেখে। কেউ কেউ স্পষ্ট বল্লেন যে গ্রীক ল্যাটিনের চেয়েও এ ভাষা অনেক উন্নত অনেক সমৃদ্ধ। যে কজনের কথা এই গ্রন্থে আছে তাদের মধ্যে মশিয়ার উইলিয়ামস, আলেকজাণ্ডার সোমা আর ফেলিক্স কেরীকে বাদ দিলে সকলেই হয় সরকারী কর্মোপলক্ষ্যে নয় ধর্মপ্রচারের উদ্দেশ্যে এসেছিলেন এদেশে। ফেলিক্স কেরী যখন আসেন তখন তিনি বালকমাত্র। আলেকজাণ্ডার সোমা বিদ্যাচর্চার উদ্দেশ্য নিয়েই আসেন। জোন্স ও মণিয়ন উইলিয়মস যখন আসেন তখনই তারা প্রাচ্যবিদ্যাবিশারদের খ্যাতি অর্জন করেছেন স্বদেশে। কোলক, উইলকিন্স, প্রিন্সেপ সাধারণভাবে চাকরী করতেই এসেছিলেন। কোলক তো বেশ কিছুকাল প্রাচ্যবিদ্যা চর্চার সুযোগ সত্ত্বেও এ পথ এড়িয়ে চলেছেন।
ফেলিক্স কেরী ও মণিয়ার উইলিয়াস ছাড়া এরা সকলেই এশিয়াটিক সোসাইটির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন কোন না কোন ভাবে। সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা উইলিয়ম জোন্স ভারত ও প্রাচ্যবিদ্যাচর্চার যে কেন্দ্র গড়ে তুললেন তার বৃত্ত ক্রমবর্ধমান। ঊনবিংশ শতাব্দীতে বাংলাদেশে যে জাগরণের ঢেউ উঠলো তার সূচনায় এদের সাধনা নেই এমন কথা কে বলবে। আজ প্রায় দুশতাব্দী হতে চললো —আমাদের পক্ষে কল্পনা করাও অসম্ভব কি অবস্থার মধ্যে তার কাজ করেছেন—কি ভাবে পথ কেটেছেন।
পরিশিষ্টে এদের কারো কারো নিজেদের লেখা বা চিঠিপত্র থেকে একটি করে অংশ উদ্ধৃত করে দেওয়া হলো—তাতে এদের বুঝতে সুবিধা হবে।
* প্রিয় পাঠক, এছাড়া আপনারা সংগ্রহ করতে পারিবেন-
ভারতের সাধক- শঙ্করনাথ রায় ১ম হইতে ১২ তম খন্ড
ও
শ্যামাচরণ লাহিড়ী মহাশয়ের বই সমুহ
এই গ্রন্থ রচনা প্রসঙ্গে দুটি লোককে মনে পড়ছে যাদের অকুণ্ঠ উৎসাহ আর তাগাদা ছিল এই লেখার পিছনে—একজন ‘সমকালীনের আনন্দগোপাল সেনগুপ্ত আর একজন অমুজতুল্য শিবলাল বর্ধন। ফেলিক্স কেরী সম্বন্ধে তথ্য সংগ্রহে আমায় সাহায্য করেছেন মঙ্গুলা বনু-মণিয়ার উইলিয়ামস রচনাটি অনেকাংশে তারই। আমার এই লেখা প্রকাশে তার আনন্দিত হবার কারণ আছে। | এ গ্রন্থ পাঠক সমাজে কতটা আদৃত হবে জানিনা। তবু বুকল্যাণ্ডের জানকীনাথ বসু প্রকাশের দায়িত্ব নিয়েছেন তিনি সাহিত্যরসিক-নূতন বিষয়ের গ্রন্থ প্রকাশকালে সব সময়ে বাজারের কথা ভেবে চালিত হন না। সেইটুকুই আমার ভরসা।- সোমেন্দ্রনাথ বসু
উপরোক্ত বাংলা বইটির পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করুন অথবা অনলাইনে পড়ুন
প্রিয় পাঠকগণ, আপনারা এই পোষ্ট হইতে একটি বিশিষ্ট বই- 'বিদেশী ভারত সাধক- সোমেন্দ্রনাথ বসু'-এর পিডিএফ সংগ্রহ করিতে পারিবেন।
ডিজিটাল বইয়ের নাম- বিদেশী ভারত সাধক
লেখক- সোমেন্দ্রনাথ বসু
বইয়ের ধরন- জীবনীমুলক
ফাইলের ধরন- পিডিএফ
এই বইতে মোট পৃষ্টা আছে- ১৭০
ডিজিটাল বইয়ের সাইজ- ৮এমবি
প্রিন্ট খুব ভালো, জলছাপ মুক্ত
লেখকের কথা-
সংস্কারাচ্ছন্ন জীবনের সংকীর্ণতার মধ্যে ভারতবর্ষের অতীত গৌরবকে আমরা ভুলেছিলুম। অষ্টাদশ শতাব্দী সেই বিস্মরণের কাল। ভারতবর্ষ ও প্রাচ্যজগতের বিবিধ বিষয় নিয়ে যারা নাড়াচাড়া শুরু করলেন এবং সমস্ত জগতের দৃষ্টি ঐদিকে আকর্ষণ করলেন তাঁরা সকলেই বিদেশী। তাঁদেরই পরিশ্রমে, যত্নে ঐকান্তিক সাধনায় ভারতীয় মহাকাব্য, নাটক, জ্যোতিষ, আইন প্রভৃতির চর্চা নতুন করে শুরু হলো। ভগবদগীতা, বেদ, কোরাণ কোনকিছুই তাদের সন্ধানী দৃষ্টি এড়িয়ে গেলো না। তারা আশ্চর্য হলেন, চমৎকৃত হলেন সংস্কৃত ভাষার ঐশ্বর্য দেখে। কেউ কেউ স্পষ্ট বল্লেন যে গ্রীক ল্যাটিনের চেয়েও এ ভাষা অনেক উন্নত অনেক সমৃদ্ধ। যে কজনের কথা এই গ্রন্থে আছে তাদের মধ্যে মশিয়ার উইলিয়ামস, আলেকজাণ্ডার সোমা আর ফেলিক্স কেরীকে বাদ দিলে সকলেই হয় সরকারী কর্মোপলক্ষ্যে নয় ধর্মপ্রচারের উদ্দেশ্যে এসেছিলেন এদেশে। ফেলিক্স কেরী যখন আসেন তখন তিনি বালকমাত্র। আলেকজাণ্ডার সোমা বিদ্যাচর্চার উদ্দেশ্য নিয়েই আসেন। জোন্স ও মণিয়ন উইলিয়মস যখন আসেন তখনই তারা প্রাচ্যবিদ্যাবিশারদের খ্যাতি অর্জন করেছেন স্বদেশে। কোলক, উইলকিন্স, প্রিন্সেপ সাধারণভাবে চাকরী করতেই এসেছিলেন। কোলক তো বেশ কিছুকাল প্রাচ্যবিদ্যা চর্চার সুযোগ সত্ত্বেও এ পথ এড়িয়ে চলেছেন।
ফেলিক্স কেরী ও মণিয়ার উইলিয়াস ছাড়া এরা সকলেই এশিয়াটিক সোসাইটির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন কোন না কোন ভাবে। সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা উইলিয়ম জোন্স ভারত ও প্রাচ্যবিদ্যাচর্চার যে কেন্দ্র গড়ে তুললেন তার বৃত্ত ক্রমবর্ধমান। ঊনবিংশ শতাব্দীতে বাংলাদেশে যে জাগরণের ঢেউ উঠলো তার সূচনায় এদের সাধনা নেই এমন কথা কে বলবে। আজ প্রায় দুশতাব্দী হতে চললো —আমাদের পক্ষে কল্পনা করাও অসম্ভব কি অবস্থার মধ্যে তার কাজ করেছেন—কি ভাবে পথ কেটেছেন।
পরিশিষ্টে এদের কারো কারো নিজেদের লেখা বা চিঠিপত্র থেকে একটি করে অংশ উদ্ধৃত করে দেওয়া হলো—তাতে এদের বুঝতে সুবিধা হবে।
* প্রিয় পাঠক, এছাড়া আপনারা সংগ্রহ করতে পারিবেন-
ভারতের সাধক- শঙ্করনাথ রায় ১ম হইতে ১২ তম খন্ড
ও
শ্যামাচরণ লাহিড়ী মহাশয়ের বই সমুহ
এই গ্রন্থ রচনা প্রসঙ্গে দুটি লোককে মনে পড়ছে যাদের অকুণ্ঠ উৎসাহ আর তাগাদা ছিল এই লেখার পিছনে—একজন ‘সমকালীনের আনন্দগোপাল সেনগুপ্ত আর একজন অমুজতুল্য শিবলাল বর্ধন। ফেলিক্স কেরী সম্বন্ধে তথ্য সংগ্রহে আমায় সাহায্য করেছেন মঙ্গুলা বনু-মণিয়ার উইলিয়ামস রচনাটি অনেকাংশে তারই। আমার এই লেখা প্রকাশে তার আনন্দিত হবার কারণ আছে। | এ গ্রন্থ পাঠক সমাজে কতটা আদৃত হবে জানিনা। তবু বুকল্যাণ্ডের জানকীনাথ বসু প্রকাশের দায়িত্ব নিয়েছেন তিনি সাহিত্যরসিক-নূতন বিষয়ের গ্রন্থ প্রকাশকালে সব সময়ে বাজারের কথা ভেবে চালিত হন না। সেইটুকুই আমার ভরসা।- সোমেন্দ্রনাথ বসু
উপরোক্ত বাংলা বইটির পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করুন অথবা অনলাইনে পড়ুন
প্রিয় পাঠকগণ, আপনারা এই পোষ্ট হইতে একটি বিশিষ্ট বই- 'বিদেশী ভারত সাধক- সোমেন্দ্রনাথ বসু'-এর পিডিএফ সংগ্রহ করিতে পারিবেন।
No comments:
Post a Comment