শ্রেষ্ঠ গল্প- পরশুরাম (রাজশেখর বসু) বাংলা বই পিডিএফ - বাংলা বই এর pdf ডাউনলোড-Bangla Digital Boi Pdf

Latest

Tuesday, September 3, 2019

শ্রেষ্ঠ গল্প- পরশুরাম (রাজশেখর বসু) বাংলা বই পিডিএফ


শ্রেষ্ঠ গল্প- পরশুরাম (রাজশেখর বসু) বাংলা বই পিডিএফ
ডিজিটাল বইয়ের নাম- শ্রেষ্ঠ গল্প
লেখক- পরশুরাম (রাজশেখর বসু)
বইয়ের ধরন- ছোট গল্প
ফাইলের ধরন- পিডিএফ
এই বইতে মোট পৃষ্টা আছে- ২০২
ডিজিটাল বইয়ের সাইজ- ৩১এমবি
প্রিন্ট খুব ভালো, জলছাপ মুক্ত

পুরাণোক্ত জমদগ্নি ঋষির পুত্র, বিষ্ণুর ষষ্ঠ অবতার, কুঠার বা পরশু ধারণকারী রাম তথা পরশুরাম নাম নিয়ে তাঁর ভয়ংকর পরশু দিয়ে একুশ বার ক্ষত্রিয়কুল নির্মূল করেছিলেন। সেই পরশুরাম নাম নিয়ে রাজশেখর বসু তার হাস্যমুখর কলম দিয়ে সমাজনাট্যের কুশীলবদের কাউকে উন্মল, কাউকে উলঙ্গ, কাউকে ব্যঙ্গবিদ্ধ আর কাউকে শুধুই হাস্যকর করেছেন। অন্যথায় তিনি সবাইকে হাসিয়েছেন। কেবল নিজে হাসেননি। কারণ মহৎ হাস্যরসিকগণ হাসেন না। যেমন বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, ত্রৈলোক্যনাথ মুখোপাধ্যায়, প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়—তাঁরা কেউই হাসেননি। কেন জানি সকলেই এঁরা স্বভাবগম্ভীর হয়ে থাকেন । অন্তত চটুল হন না কখনো ! সবার বড়ো হাস্যরসিক রবীন্দ্রনাথ বঙ্কিমের মতো ততো গম্ভীর না-হলেও, ছিলেন তো গম্ভীর প্রকৃতিরই । বস্তুত তার ধরনটাই জাত হাস্যরসিকের ধরন ।
আসলে গাম্ভীর্যের উপাদান প্রকৃত হাস্যরসের মধ্যেই বর্তমান থাকে। কারণ হাসির মূলে করুণার সার আছে । কথাটা অনেকের বোধে অথবা মনে সর্বদা থাকে না বলেই হাস্যরসমণ্ডিত লেখককে দেখতে গিয়ে তারা আমুদে লোকের প্রত্যাশা করেন এবং প্রথম দর্শনে হতাশ হন। এ কারণেই কলকাতার ‘কথাসাহিত্য' পত্রিকার ১৯৫৩ সালের ‘রাজশেখর বসু সংবর্ধনা সংখ্যা'য় ঔপন্যাসিক অনুরূপা দেবী আক্ষেপের সঙ্গে শিখেছিলেন, “আমার বিশ্বাস ছিল 'পরশুরাম', 'আমার পরম স্নেহাস্পদ 'বিশু'র স্বামী, ভঁর লেখার মতই খুব হাসিখুশিতে ভরা অত্যন্ত সামাজিক, ঢালাক, চটপটে একটি আমুদে লোক হবেন। কিন্তু ওকে দেখে মনে মনে ভাবলাম—ইনি কি করে এই সব অপূর্ব হাস্যরসের আধার হলেন?" অনুরূপা তো পরে এ বিষয়ে সামঞ্জস্য করবার সুযোগ পেয়েছিলেন এবং লিখেছিলেন, “তাঁর লেখার মতোই তার গভীর সৌজন্যপূর্ণ গাষ্টীর্যময় সুমিষ্ট ব্যবহারে তাঁর অন্তরের কোন গভীরে যে তাঁর অন্তঃসলিল সহজাত হাস্যরস প্রবাহিত ছিল তার সম্যক সন্ধান লাভ করেছি” । অনেকে কিন্তু শেষ দর্শনেও হিসাব মিলাতে পারতেন না পরশুরামকে শান্তসমাহিত এবং ধ্যানমগ্ন চরিত্রমণ্ডিত দেখে—অন্য কথায়, কেতাদেরস্ত তথা চটপটে না-দেখে। সোজা কথায়, চলনে-বলনে জীবনের যাপনে তাঁর মধ্যে কোনো বাহ্য স্মার্টনেস না-দেখে।


পরশুরামের রসগর্ভ বস্তু আহরণের উৎসগুলো কোথায়? বিশেষ কোথাও নয়, জীবনের নানাবিধ স্থান-কাল-পাত্রই তাঁর সংগৃহীত এবং বিতরিত নানা রকম রসের পাত্র। যাপিত জীবনটাও ছিল তার আর-দশজনের মতোই সাধারণ । অর্থাৎ সুখ-দুঃখ, উত্থান-পতন, অথবা কান্না-হাসির দোদুল দোলায় দোলানো নয় । বহুবর্ণ, বহুবিচিত্র, দ্বন্দ্ব-সংঘাতময় ঘটনার ঘনঘটায় নাট্যরসঘন বা চিত্ররসে ভরপুর ছিল না তার পরিবার কিংবা প্রতিবেশ! বলতে চাচ্ছি যে দেখার চোখ এবং লেখার হাত ধরেই নেহাত-সাধারণ অতি-অসাধারণ হয়ে উঠেছে পরশুরামের রচনায় ।
১৮৯৯ সালে কেমিস্ট্রি এবং ফিজিক্সে দ্বিতীয় শ্রেণির অনার্স নিয়ে বি.এ.পাশ করেন রাজশেখর বসু। ১৯০০ সালে রসায়নশাস্ত্রে প্রথম স্থান অধিকার করে এম.এ.পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন । ১৯০২ সালে বি.এল. পাশ করে প্র্যাক্টিসের ইচ্ছায় আদালতে গিয়ে তিনদিনেই বুঝে ফেলেন যে ওটা তাঁর কাজ নয়, বরং তাঁর ভেতরের শান্ত সংযত এবং অন্তর্মুখী মানুষটিকে দিয়ে গবেষণাধর্মী চিন্তাপ্রধান কাজই ভালো হতে পারে । ১৯০৩ সালে আচার্য প্রফুলচন্দ্র রায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাঁর বেঙ্গল কেমিক্যাল ওয়ার্কস'-এ রাসায়নিকের পদে কাজ পান রাজশেখর এবং এক বছরের মধ্যেই প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজার হয়ে যান । ১৯০৬ সালে তিনি বেঙ্গল কেমিক্যালের সর্বময় কর্তৃত্বভার পান এবং প্রতিষ্ঠানটির প্রভূত উন্নতি সাধন করে ১৯৩২ সালে চাকরি থেকে অবসর নেন। চাকরিটি নেবার অল্প কিছুকাল পর থেকে পরশুরামের বাকি জীবন কেটেছে তাঁদের চার ভাইয়ের যৌথ পরিবারের সঙ্গে, ১৪ নম্বর পার্শীবাগানের পৈত্রিক গৃহে।
বঙ্কিমচন্দ্রের মতো রাজশেখরও না-ছিলেন খুব মিশুক লোক, না-করেছেন বেশি দেশভ্রমণ। তাঁদের গল্প-উপন্যাসে বিচিত্র নর-নারীর বেশির ভাগই নিজেদের কার্যব্যপদেশেই এসে দেখা দিয়েছে লেখকের কর্মক্ষেত্রে। একজনের আদালতের এজলাসে-প্রাঙ্গণে, আরেকজনের কেমিক্যালের অফিসে-কারখানায় । বাকিটুকু প্রতিভার রসায়ন। সাহিত্যের আসরে পরশুরামের (১৮৮০-১৯৬০) আবির্ভাৰ বিয়াল্লিশ বছর বয়সে, শ্রীশ্রীসিদ্ধেশ্বরী লিমিটেড' গল্পটি নিয়ে । পরশুরামের কুঠারের সেই এক ঘায়েই পাঠক কাত । আর উঠতেই পারলেন না বেচারা আসর থেকে। গল্প আসতে থাকল একের পর এক 'চিকিৎসা-সংকট', 'মহাবিদ্যা', 'লম্বকর্ণ', 'ভূশণ্ডীর মাঠে' । একত্রে গ্রন্থাকারে এল 'গডডলিকা'। আসর মাত । বেশি বয়েসে লেখা শুরু করেছেন ভিক্টরিয়ান নভেলিস্ট জন গলুওয়ার্নিও (১৮৬৭-১৯৩৩) এবং নোবেল পুরস্কারও পেয়েছেন (১৯৩২) তাঁর 'ফরসাইট সাগ”-নামক উপন্যাসগুচ্ছের জন্য। তবে সাইত্রিশ বছর বয়সে স্বনামে লেখা শুরু করার আগে তিরিশ বছর বয়স থেকেই বেনামে গল্প-উপন্যাস ছাপিয়ে হাত পাকিয়ে নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ১৯২২ সালে প্রকাশিত উল্লিখিত ‘কার্টেন-রেজার'টির আগে রাজশেখর বা পরশুরামের মুদ্রিত কোনো রচনার উল্লেখ দেখি না কোথাও।

**আপনারা এই লেখকের আরো বই সংগ্রহ করতে পারবেন- পরশুরামের সেরা হাসির গল্প

‘গডডলিকা’র পরপরই প্রকাশিত হল পরশুরামের দ্বিতীয় গল্পগ্রন্থ ‘কঞ্জলী'—'বিরিঞ্চিবাবা', 'জাবালি', 'দক্ষিণ রায়', 'স্বয়ম্বরা', 'কচি-সংসদ" ও 'উলট-পুরাণ'-এর সংকলন। পরে আর সাতটি গল্পের বই বেরিয়েছে পরশুরামের। তবে তাঁর ন'থানা গ্রন্থের শ-খানেক গল্পের মধ্যে প্রথম দুটি গ্রন্থের এগারোটি গল্পই অদ্যাবধি সমধিক জনপ্রিয়।- আবদুশ শাকুর

'শ্রেষ্ঠ গল্প' এই বইতে যে চব্বিশটি গল্প রয়েছে, সেগুলি হল-

গগন-চটি
সত্যসন্ধ বিনায়ক
কাশীনাথের জন্মান্তর
গুরুবিদায়
পরশ পাথর
ভুশণ্ডীর মাঠে
শ্রীশ্রী সিদ্ধেশ্বরী লিমিটেড
চিকিৎসা-সঙ্কট
উলটপুরাণ
বিরিঞ্চি বাবা
কচি-সংসদ
অটলবাবুর অন্তিম চিন্তা
মাঙ্গলিক
ভূষণ পাল
কৃষ্ণকলি
রাতারাতি
জটাধর বকশী
আনন্দীবাঈ
বদন চৌধুরীর শোকসভা
নির্মোক নৃত্য
মাৎস্য ন্যায়
উৎকোচ তত্ত্ব
দাঁড়কাগ
নিকষিত হেম


শ্রেষ্ঠ গল্প- পরশুরাম

উপরোক্ত বাংলা বইটির পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করুন অথবা অনলাইনে পড়ুন
প্রিয় পাঠকগণ, আপনারা এই পোষ্ট হইতে অসাধারণ একটি রসাত্মক গল্পসংগ্রহ বই- 'শ্রেষ্ঠ গল্প- পরশুরাম (রাজশেখর বসু)'-এর পিডিএফ সংগ্রহ করিতে পারিবেন।

No comments:

Post a Comment