পরশুরামের সেরা হাসির গল্প বাংলা বই
ডিজিটাল বইয়ের নাম- পরশুরামের সেরা হাসির গল্প
লেখক- রাজশেখর বসু (পরশুরাম)
বইয়ের ধরন- সরস/মজাদার গল্প
ফাইলের ধরন- পিডিএফ
এই বইতে মোট পৃষ্টা আছে- ৮০
ডিজিটাল বইয়ের সাইজ- ১০এমবি
প্রিন্ট ভালো, জলছাপ মুক্ত
সম্পাদকের কথা-
রাজশেখর বসু (জ. ১৮৮০) ১৮৯৯ সালে রসায়ন ও পদার্থবিজ্ঞানে অনার্সসহ বিএ, ১৯০৩ সালে রসায়নে এমএ এবং ১৯০২ সালে আইন পাস করে সুসভ্য ও যৌক্তিক হন। ১৯০৩ থেকে আমরণ আচার্য প্রফুল্লচন্দ্রের বেঙ্গল কেমিক্যাল কোম্পানির সঙ্গে পরিচালক এবং উপদেষ্টার মর্যাদায় যুক্ত থেকে যুগপৎ বিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনার বিচিত্র ও প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতায় পুষ্ট হন। অবশেষে বিয়াল্লিশ বছর বয়েসে হাস্যরসাত্মক রচনায় হাত দিয়েই কিস্তিমাত করেন পরশুরামের ছদ্মনামে। এর অন্যতম কারণ : ব্যক্তিগত জীবনে আচরিত প্রবচনীয় নিয়মশৃঙ্খলা সংযমসংহতি ন্যায়নিষ্ঠা ইত্যাদি মূল্যবোধের পশ্চাদপটে, মানবের চরিত্রগত দুর্মতি-দুর্গতি এবং সমাজের চিত্রগত অবিচার-অসঙ্গতি প্রভৃতি অতি সহজেই তার অন্তরের দৃষ্টিগোচর হয়েছিল। এই আদর্শ ব্যক্তিত্বের রচনার উপকরণে যেমন বিপুল উপাদান জুগিয়েছিল বৈসাদৃশ্য, তেমনি তার সাধনার উপজীব্যেও ব্যবধান রচনা করেছিল বিরাট এক বৈপরীত্য। যে-হাতে রচিত হয়েছিল গডডলিকা-কঞ্জলীর মতো হাসির গল্প, সে-হাতেই সঙ্কলিত হয়েছিল চলন্তিকার মতো অভিনব অভিধান এবং অনূদিত হয়েছিল রামায়ণ মহাভারতের মতো চিরায়ত মহাকাব্য। এই অসাধারণ কর্মযজ্ঞের যথাযোগ্য স্বীকৃতিও পেয়ে গিয়েছিলেন কর্মীর পরশুরাম (মৃ. ১৯৬০) তার মহাপ্রয়াণের আগেই : রবীন্দ্র পুরস্কার, আকাদেমি পুরস্কার, কলকাতা ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ডক্টরেট এবং রাষ্ট্রের পদ্মভূষণ উপাধির মতো পরম শ্রদ্ধার অনেক অর্ঘ্য।
এবার তাঁর হাস্যরস সম্পর্কিত সাধারণ কিছু কথা। তাঁর প্রধানত প্রসন্ন হাস্যরস, শ্রেয়তর বিষণ হাস্যরস, তাতে তেমন নেই যেমন আছে বঙ্কিমে। তার বেশি বুদ্ধিবৃত্তি, যেমন ত্রৈলোক্যনাথে বেশি হৃদয়বৃত্তি। একই কারণে পরশুরামের হাস্যরস সমধিক বিদ্রূপপুষ্ট। তবে আমার মতে সার্থক বিদ্রুপ হাস্যরসের মান ব্যাহত করে না, করে বরং শাণিত। কারণ, বিদ্রূপের অন্যতম উপাদান উইট। প্রসঙ্গত, উইট আর হিউমার সম্পর্কে প্রচলিত বিভ্রান্তিকর কথাবার্তার ওপর একটু মন্তব্য না করা পরশুরামের রসাস্বাদনের অন্তরায় হবে। উল্লিখিত দুটি উপাদানের বৈশিষ্ট্যগত বৈষম্যটুকু ফুটিয়ে তোলার অত্যুৎসাহে, সংজ্ঞনির্মাণের নেহাইয়ের উপর চেপে ধরে কূটযুক্তির আনাড়ি হাতুড়ির বিগত দ্বিশতাব্দীর পণ্ডিতি পিটুনিতে, উভয়ের মধ্যে যা প্রকট হয়ে উঠেছে তা হচ্ছে, এক কথায়, অবাস্তব অসামঞ্জস্য।
স্থানাভাবে ব্যাখ্যার বখেড়ায় না গিয়ে এখানে আমি কেবল গ্রহণযোগ্য কয়টি সিদ্ধান্ত উচ্চারণ করেই ক্ষান্ত হতে চাই যে : উইট হচ্ছে হিউমারের উন্নয়নের উপাদান, বুদ্ধিপ্রধান বৈদগ্ধরসরূপে প্রাণবান হাস্যরসের শক্তিসঞ্চারী জ্ঞাতি ; অর্থাৎ হিউমার যদি হয় মানসিক অবস্থা, উহট তবে মানসিক শক্তি হিউমার যদি বিশেষ, উইট তবে নির্বিশেষ—এবং এই নির্বিশেষের পরশেই নেহাত জীবনানুসৃতি হয়ে ওঠে মহতী শিল্পকৃতি। পরশুরামের উপস্থিত সেরা হাসির গল্পগুলো উইট-হিউমার-শ্লেষ-বিদ্রুপ প্রভুতির সহযোগেই হয়ে উঠেছে রসোত্তীর্ণ শিল্পকৃতি।
অতঃ কিম্? বঁনা প্যতি, শুভ বুভুক্ষা! - আবদুশ শাকুর
এই বইটিতে যে গল্পগুলি সংকলিত হয়েছে, সগুলি হল-
চিঠি-বাজি,
চিকিৎসা সঙ্কট,
ভূশন্ডীর মাঠে,
গগন-চটি,
স্বয়ম্বরা,
শ্রী শ্রী সিদ্বেশরী লিমিটেড,
জাবালি,
গামানুষ জাতির কথা,
গুলবুলিস্থান (অরব্য উপনাসের উপসংহার)
উপরোক্ত বাংলা বইটির পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করুন অথবা অনলাইনে পড়ুন
প্রিয় পাঠকগণ, এই পোষ্ট হইতে আপনারা রসাত্মবোধ গল্প সংগ্রহ - 'পরশুরামের সেরা হাসির গল্প' বইটির পিডিএফ সংগ্রহ করিবেন।
ডিজিটাল বইয়ের নাম- পরশুরামের সেরা হাসির গল্প
লেখক- রাজশেখর বসু (পরশুরাম)
বইয়ের ধরন- সরস/মজাদার গল্প
ফাইলের ধরন- পিডিএফ
এই বইতে মোট পৃষ্টা আছে- ৮০
ডিজিটাল বইয়ের সাইজ- ১০এমবি
প্রিন্ট ভালো, জলছাপ মুক্ত
সম্পাদকের কথা-
রাজশেখর বসু (জ. ১৮৮০) ১৮৯৯ সালে রসায়ন ও পদার্থবিজ্ঞানে অনার্সসহ বিএ, ১৯০৩ সালে রসায়নে এমএ এবং ১৯০২ সালে আইন পাস করে সুসভ্য ও যৌক্তিক হন। ১৯০৩ থেকে আমরণ আচার্য প্রফুল্লচন্দ্রের বেঙ্গল কেমিক্যাল কোম্পানির সঙ্গে পরিচালক এবং উপদেষ্টার মর্যাদায় যুক্ত থেকে যুগপৎ বিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনার বিচিত্র ও প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতায় পুষ্ট হন। অবশেষে বিয়াল্লিশ বছর বয়েসে হাস্যরসাত্মক রচনায় হাত দিয়েই কিস্তিমাত করেন পরশুরামের ছদ্মনামে। এর অন্যতম কারণ : ব্যক্তিগত জীবনে আচরিত প্রবচনীয় নিয়মশৃঙ্খলা সংযমসংহতি ন্যায়নিষ্ঠা ইত্যাদি মূল্যবোধের পশ্চাদপটে, মানবের চরিত্রগত দুর্মতি-দুর্গতি এবং সমাজের চিত্রগত অবিচার-অসঙ্গতি প্রভৃতি অতি সহজেই তার অন্তরের দৃষ্টিগোচর হয়েছিল। এই আদর্শ ব্যক্তিত্বের রচনার উপকরণে যেমন বিপুল উপাদান জুগিয়েছিল বৈসাদৃশ্য, তেমনি তার সাধনার উপজীব্যেও ব্যবধান রচনা করেছিল বিরাট এক বৈপরীত্য। যে-হাতে রচিত হয়েছিল গডডলিকা-কঞ্জলীর মতো হাসির গল্প, সে-হাতেই সঙ্কলিত হয়েছিল চলন্তিকার মতো অভিনব অভিধান এবং অনূদিত হয়েছিল রামায়ণ মহাভারতের মতো চিরায়ত মহাকাব্য। এই অসাধারণ কর্মযজ্ঞের যথাযোগ্য স্বীকৃতিও পেয়ে গিয়েছিলেন কর্মীর পরশুরাম (মৃ. ১৯৬০) তার মহাপ্রয়াণের আগেই : রবীন্দ্র পুরস্কার, আকাদেমি পুরস্কার, কলকাতা ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ডক্টরেট এবং রাষ্ট্রের পদ্মভূষণ উপাধির মতো পরম শ্রদ্ধার অনেক অর্ঘ্য।
এবার তাঁর হাস্যরস সম্পর্কিত সাধারণ কিছু কথা। তাঁর প্রধানত প্রসন্ন হাস্যরস, শ্রেয়তর বিষণ হাস্যরস, তাতে তেমন নেই যেমন আছে বঙ্কিমে। তার বেশি বুদ্ধিবৃত্তি, যেমন ত্রৈলোক্যনাথে বেশি হৃদয়বৃত্তি। একই কারণে পরশুরামের হাস্যরস সমধিক বিদ্রূপপুষ্ট। তবে আমার মতে সার্থক বিদ্রুপ হাস্যরসের মান ব্যাহত করে না, করে বরং শাণিত। কারণ, বিদ্রূপের অন্যতম উপাদান উইট। প্রসঙ্গত, উইট আর হিউমার সম্পর্কে প্রচলিত বিভ্রান্তিকর কথাবার্তার ওপর একটু মন্তব্য না করা পরশুরামের রসাস্বাদনের অন্তরায় হবে। উল্লিখিত দুটি উপাদানের বৈশিষ্ট্যগত বৈষম্যটুকু ফুটিয়ে তোলার অত্যুৎসাহে, সংজ্ঞনির্মাণের নেহাইয়ের উপর চেপে ধরে কূটযুক্তির আনাড়ি হাতুড়ির বিগত দ্বিশতাব্দীর পণ্ডিতি পিটুনিতে, উভয়ের মধ্যে যা প্রকট হয়ে উঠেছে তা হচ্ছে, এক কথায়, অবাস্তব অসামঞ্জস্য।
স্থানাভাবে ব্যাখ্যার বখেড়ায় না গিয়ে এখানে আমি কেবল গ্রহণযোগ্য কয়টি সিদ্ধান্ত উচ্চারণ করেই ক্ষান্ত হতে চাই যে : উইট হচ্ছে হিউমারের উন্নয়নের উপাদান, বুদ্ধিপ্রধান বৈদগ্ধরসরূপে প্রাণবান হাস্যরসের শক্তিসঞ্চারী জ্ঞাতি ; অর্থাৎ হিউমার যদি হয় মানসিক অবস্থা, উহট তবে মানসিক শক্তি হিউমার যদি বিশেষ, উইট তবে নির্বিশেষ—এবং এই নির্বিশেষের পরশেই নেহাত জীবনানুসৃতি হয়ে ওঠে মহতী শিল্পকৃতি। পরশুরামের উপস্থিত সেরা হাসির গল্পগুলো উইট-হিউমার-শ্লেষ-বিদ্রুপ প্রভুতির সহযোগেই হয়ে উঠেছে রসোত্তীর্ণ শিল্পকৃতি।
অতঃ কিম্? বঁনা প্যতি, শুভ বুভুক্ষা! - আবদুশ শাকুর
এই বইটিতে যে গল্পগুলি সংকলিত হয়েছে, সগুলি হল-
চিঠি-বাজি,
চিকিৎসা সঙ্কট,
ভূশন্ডীর মাঠে,
গগন-চটি,
স্বয়ম্বরা,
শ্রী শ্রী সিদ্বেশরী লিমিটেড,
জাবালি,
গামানুষ জাতির কথা,
গুলবুলিস্থান (অরব্য উপনাসের উপসংহার)
উপরোক্ত বাংলা বইটির পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করুন অথবা অনলাইনে পড়ুন
প্রিয় পাঠকগণ, এই পোষ্ট হইতে আপনারা রসাত্মবোধ গল্প সংগ্রহ - 'পরশুরামের সেরা হাসির গল্প' বইটির পিডিএফ সংগ্রহ করিবেন।
No comments:
Post a Comment