ছোটগল্প- মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলা পিডিএফ - বাংলা বই এর pdf ডাউনলোড-Bangla Digital Boi Pdf

Latest

Tuesday, August 20, 2019

ছোটগল্প- মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলা পিডিএফ


ছোটগল্প- মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলা পিডিএফ
ডিজিটাল বইয়ের নাম- ছোটগল্প
লেখক- মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়
বইয়ের ধরন- ছোটগল্প সংগ্রহ
ফাইলের ধরন- পিডিএফ
এই বইতে মোট পৃষ্টা আছে- ১০৩
ডিজিটাল বইয়ের সাইজ- ১৭এমবি
প্রিন্ট খুব ভালো, জলছাপ মুক্ত

লেখক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় জীবনকথা

তিনি ১৯০৮ সালে ২৯ মে বিহারের সাঁওতাল পরগনার দুমকায় জন্মগ্রহণ করেন। তার প্রকৃত নাম প্রবোধকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পিতার নাম হরিহর বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মাতার নাম নীরদাসুন্দরী দেবী। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পৈতৃক নিবাস মুন্সিগঞ্জ জেলার বিক্রমপুর অঞ্চলের মালদিয়া গ্রাম এবং মায়ের বাড়ি একই অঞ্চলের গাওদিয়া গ্রামে। তার পিতা ছিলেন সরকারি কর্মচারি। সেই সূত্রে তাকে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে হয়েছে। তার ডাকনাম মানিক। এই ডাক নামেই তিনি পরবর্তীকালে সাহিত্যিক হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছেন।
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় মেদিনীপুর জেলা স্কুল থেকে ১৯২৬ সালে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন । ১৯২৮ সালে তিনি বাঁকুড়া ওয়েলসিয়ন মিশন কলেজ থেকে আইএসসি পাস করেন। তারপর গণিতে অনার্স নিয়ে তিনি কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে বিএসসিতে ভর্তি হন। এ সময়ে বন্ধুদের সঙ্গে বাজি ধরে 'অতসীমামী' নামক গল্প বিচিত্রা পত্রিকায় প্রকাশিত হলে লেখক হিসেবে তার নিয়তি নির্ধারিত হয়ে যায়। এ সময় তিনি সাহিত্যসাধনায় এতই মগ্ন হয়ে পড়েন যে অসাধারণ এই কৃতী ছাত্রের আর অনার্স পাস করা হয়নি।
সাহিত্য জগতে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আবির্ভাব ঘটেছিল আকস্মিকভাবে। তিনি যখন প্রেসিডেন্সি কলেজে বিজ্ঞানের ছাত্র, তখন একদিন বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেওয়ার সময় নামী-দামি পত্রিকায় লেখা ছাপানোর প্রসঙ্গ ওঠে। বন্ধুদের মধ্যে কেউ কেউ বলেছিল নামকরা লেখক না হলে বিখ্যাত পত্রিকাগুলোতে লেখা ছাপা হয় না। মানিক তার প্রতিবাদ করেন। তাঁর বক্তব্য ছিল, ভালো লেখা হলে নিশ্চয়ই ছাপা হবে। এ নিয়ে তর্ক বাধলে তিনি বলেন যে, তিন মাসের মধ্যে তিনি নিজেই তা প্রমাণ করে দেবেন। মানিক অর্থাৎ প্রবোধকুমার ' অতসীমামী' নামে একটি গল্প লিখে তখনকার খুব নামী পত্রিকা 'বিচিত্রা'র অফিসে জমা দিয়ে আসেন। লেখক হিসেবে প্রবোধকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় নাম না দিয়ে তাঁর ডাক নাম মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় নাম দেন। যথাসময়ে সেই গল্প 'বিচিত্রা'য় ছাপা হয় এবং গল্পটি অনেক পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে।
এভাবেই মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখক জীবনের সূচনা। 'অতসীমামী' প্রকাশের পর বিভিন্ন জায়গা থেকে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ে লেখার জন্যে আহবান আসতে থাকে। তিনিও মনপ্রাণ দিয়ে লিখতে থাকেন। অভিভাবকেরা তার অতিরিক্ত সাহিত্যপ্রীতি লক্ষ করে লেখাপড়ার প্রতি মনোযোগী হওয়ার পরামর্শ দিলেও তিনি সাহিত্যচর্চাতেই বেশি মনোনিবেশ করেন। এর অবশ্যম্ভাবী পরিণমি লেখাপড়ায় ইস্তফা। ছোটবেলা থেকেই মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন জেদি স্বভাবের। পরবর্তী কালে তার জীবনযাপন ও সাহিত্যচর্চার মধ্যেও সেই জেদের প্রকাশ লক্ষ করা যায়। নিরাপদ সুখী জীবনের হাতছানি উপেক্ষা করে তিনি বেছে নিয়েছিলেন সাহিত্যিকের অনিশ্চিত জীবন।
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় জীবনকে দেখেছেন তার অন্তর্ভেদী দৃষ্টি দিয়ে। মার্কসীয় দর্শন এবং ফ্রয়েডীয় মনস্তত্ব তার রচনাকে নানাভাবে প্রভাবিত করেছে। ডক্টর শ্রীকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় এ প্রসঙ্গে বলেছেন “মার্কস-এর শ্রেণিসংগ্রমতত্ত্ব ও ফ্রয়েডের মনোবিশ্লেষণ বাংলার অতীত আচ্ছন্ন জীবনচর্চায় যতখানি শিল্পসম্মতভাবে রূপায়িত হইতে পারে, মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপন্যাস তাহার চরম সীমায় পৌছিয়াছে।"


মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় উপন্যাস ও ছোটগল্প দুই-ই রচনা করেছেন। দুটি ক্ষেত্রেই তিনি সার্থক। বেশ কিছু কবিতাও রচনা করেছেন তিনি। সব মিলিয়ে তিনি প্রায় পঞ্চাশটিরও বেশি উপন্যাস লিখেছেন। তাঁর ছোটগল্পের সংখ্যাও নেহাৎ কম নয়। “দিবারাত্রির কাব্য” নামে বইটি তার একুশ বছর বয়সের রচনা। এটি প্রচলিত গল্প উপন্যাসের ধাচে লেখা নয়। দিবারাত্রির কাব্য সম্পর্কে তাঁর অভিমত হচ্ছে, “বইখানা খাপছাড়া, অস্বাভাবিক তখন মনে রাখতে হবে এটি গল্পও নয়, উপন্যাসও নয়, রূপক কাহিনি। রূপকের এ একটা নতুন রূপ।"
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ে প্রথম প্রকাশিত উপন্যাসের নাম 'জননী' (১৯৩৫)। তাঁর ‘পুতুলনাচের ইতিকথা' (১৯৩৬) এবং ‘পদ্মানদীর মাঝি' (১৯৩৬) উপনাস দুটি বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে বিশেষ স্থান অধিকার করে আছে। এছাড়া তাঁর উল্লেখযোগ্য কয়েকটি উপন্যাস হলো: শহরতলী (১৯৪০), দর্পণ (১৯৪৫), সহবাসের ইতিকথা (১৯৪৬), চতুকোণ (১৯৪৮), স্বাধীনতার স্বাদ (১৯৯৫১, সোনার চেয়ে দামী (১৯৫১) ইতিকথার পরের কথা (১৯৫২), হলুদ নদী সবুজ বন (১৯৫৬) প্রভৃতি।
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় অনেক বিখ্যাত ছোটগল্পের স্রষ্টা। তাঁর গল্পগ্রন্থের মধ্যে "অতসীমামী' (১৯৩৫), 'প্রাগৈতিহাসিক' (১৯৩৭), 'মিহি ও মোটা-কাহিনী' (১৯৩৮) ‘সরীসৃপ' (১৯৩৯), 'লাজুকতা' প্রভৃতি। 'প্রাগৈতিহাসিক',  'সরীসৃপ', 'কুষ্ঠরোগীর বউ', হলুদণপাড়া, 'শিল্পী', 'হারানের নাতজামাই', 'ছোট বকুলপুরের যাত্রী', 'মমতাদি', ‘মাসি-পিসি' প্রভৃতি ছোটগল্প তাঁর কালজয়ী সৃষ্টি। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় দীর্ঘ জীবনের অধিকারী হতে পারেননি। তাঁর সাহিত্যিক জীবন কেটেছে কঠোর দারিদ্র্যের সাথে সংগ্রাম করে। ১৯৫৬ সালের ৩ ডিসেম্বর এই অসাধারণ প্রতিভাবান মানুষটির জীবনাবসান ঘটে।

পাঠকগণ, আপনারা এই পোষ্ট হইতে এই লেখকের লেখা ৮টি অসাধারণ ছোটগল্প সংকলিত বইয়ে পিডিএফ সংগ্রহ করিতে পারিবেন।
যে গল্পগুলি রয়েছে-
প্রাগৈতিহাসিক
সিঁড়ি
সরীসৃপ
কুষ্ঠ-রোগীর বউ
সমুদ্রের স্বাদ
আজ কাল পরশুর গল্প
হারানের নাত জামাই
ছোট বকুলপুরের যাত্রী

ছোটগল্প- মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়

উপরোক্ত বাংলা বইটির পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করুন অথবা অনলাইনে পড়ুন
প্রিয় পাঠকগণ, আপমরা এই পোষ্ট হইতে অসাধারণ একটি বাংলা ছোট গল্প সংগ্রহ বই- 'ছোটগল্প- মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়'-এর পিডিএফ সংগ্রহ করিতে পারিবেন।

No comments:

Post a Comment