শরৎচন্দ্রের প্রণয়-কাহিনী বাংলা বই
ডিজিটাল বইয়ের নাম- শরৎচন্দ্রের প্রণয়-কাহিনী
লেখক- শ্রীগোপালচন্দ্র রায়
ফাইলের ধরন- পিডিএফ
এই বইতে মোট পৃষ্টা আছে- ১২৪
ডিজিটাল বইয়ের সাইজ- ৬এমবি
প্রিন্ট মন্দ নয়, জলছাপ মুক্ত
গ্রন্থকারের কথা-
শরৎচন্দ্রের বিবাহিত জীবনটা একটা বড় ধোঁয়াটে ব্যাপার। তাই এ সম্বন্ধে নানা জনে নানা ধরণের মজার মজার গল্প বলেন। কেউ কেউ এ সম্বন্ধে কিছু কিছু লিখেওছেন। এদের এই সব লেখা নিয়ে এবং শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় বিয়ে করে ছিলেন কিনা, বিয়ে করলে ক'টা বিয়ে করেছিলেন, তাঁর জীবনসঙ্গিনী হিরন্ময়ী দেবী কোথাকার মেয়ে এবং কোথায় তাকে পান, আর ঐ রাজলক্ষ্মীই বা কে, এই সব সম্বন্ধে এক সময় আমি পাঁচ মাস ধরে 'ভারতবর্ষ” মাসিক পত্রিকায় “শরৎচন্দ্রের বিবাহ-প্ৰসঙ্গ” নাম দিয়ে এক দীর্ঘ প্রবন্ধ লিখেছিলাম।
বিভূতিভূষণ ভট্টকে লেখা শরৎচন্দ্রের পূর্বোক্ত চিঠিটি 'পরিক্রমা' নামক একটি পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হলে, শ্রীযুক্ত সজনীকান্ত দাস মহাশয় সেই সময় শারদীয় সংখ্যা “শনিবারের চিঠিতে" প্রথমেই সম্পাদকীয় স্তম্ভে লিখেছিলেন—এবারের সম্পাদকীয় আর দুর্গাস্তুতি বা শরৎকালের বর্ণনা নয়, এবারের শারদীয় সম্পাদকীয় হচ্ছে, শরৎ চাটুজ্যে সম্পর্কিত। হিটলার ও সুভাষ বসুর বিবাহ নিয়ে আমরা অনেক গল্প শুনতে পাই। শরৎচন্দ্রের বিবাহ নিয়েও তাই। শেষ শরৎ-গবেষক অত্যুৎসাহী গোপালচন্দ্র রায় ‘ভারতবর্ষ' পত্রিকায় কয়েকমাস ধরে শরৎচন্দ্রের বিবাহ প্রসঙ্গ নিয়ে আলোচনা করে একটা সিদ্ধান্ত করে দেন। গোপালচন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের পর আমরা নিশ্চিন্ত হয়ে পাশ ফিরে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। কিন্তু শরৎচন্দ্রের বাল্যবন্ধু পুটু অর্থাৎ বিভূতিভূষণ ভট্ট তার পুরাতন ঝাঁপি হতে কালভূজদের ন্যায় হঠাৎ একখানি পত্র বার করে একি কাণ্ড বাধালেন! এর এখন উত্তর দিতে পারেন, একমাত্র গোপালচন্দ্র রায়। আমরা তাঁরই শরণাপন্ন হচ্ছি।
শনিবারের চিঠিতে সজনীবাবুর এই লেখা পড়ে শ্রীযুক্ত শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয় পুণা থেকে এক পত্রে, ঐ সম্বন্ধে আমি কোন কিছু লিখব কিনা, আমার কাছে জানতে চেয়েছিলেন।
এরপরেও সজনীবাবু একদিন কথাপ্রসঙ্গে আমাকে বলেছিলেন শরৎচন্দ্রের বিবাহ ও প্রণয়-কাহিনী নিয়ে যে সব প্রচার ও অপপ্রচার রয়েছে, সে সবের একটা সুষ্ঠ, আলোচনা হওয়া দরকার। তুমি ঐ সম্বন্ধে একটা পরিষ্কার আলাোচনা করে দাও।
শরৎচন্দ্রের বাল্যবন্ধু প্রবীণ সাহিত্যিক সৌরীন্দ্রমোহন মুখোপাধ্যায় এবং শরৎচন্দ্রের আর এক বন্ধু কবিশেখর শ্রীকালিদাস রায় এঁরাও আমাকে ঐ কথাই বলেন।
শরৎচন্দ্র সম্বন্ধে যে সব জনশ্রুতি, প্রবাদ ও অপপ্রচার আছে, সেগুলির যে এখনি একটা সুষ্ঠ, আলোচনা দরকার, এ কথা বোধ করি সকলেই স্বীকার করবেন। কেননা, তা না হলে, বিশ্ববিদ্যালয়ের খ্যাতনামা অধ্যাপকের ভূমিকা সমম্বিত, কয়েক সংস্করণ নিঃশেষিত পূর্বোক্ত "শরৎচন্দ্র” গ্রন্থটির ন্যায়, আরও অনেক গ্রন্থেই শরৎচন্দ্র সম্বন্ধে, বিশেষ করে তাঁর বিবাহ ও প্রণয়-ঘটিত কাহিনীগুলি নিয়ে নানা বিকৃত ও মনগড়া আজগুবি গল্প ক্রমশঃ প্রচারিত হতে থাকবে। তখন সে সব রোধ করা কষ্টকর হয়ে পড়বে। এই কারণেই আমি “শরৎচন্দ্রের প্রণয়-কাহিনী” নাম দিয়ে এই গ্রন্থটি রচনা করেছি।
শরৎচন্দ্রকে সাধু সাজানো, বা হেয় করা এই গ্রন্থের আদৌ উদ্দেশ্য নয়। তিনি যা, তাই, নানা নজীর ও প্রমাণ সহযোগে আমি দেখাবার চেষ্টা করেছি মাত্র।
এই বইতে যে সূচীপত্র রয়েছে, তাহা হইল-
গ্রন্থকারের নিবেদন
হৃদয়-দৌর্বল্য
ব্যর্থ প্রণয়
রজকিনী
পরের প্রণয়িনী
শান্তি দেবী
হিরন্ময়ী দেবী
রাজলক্ষ্মী
উপরোক্ত বাংলা বইটির পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করুন অথবা অনলাইনে পড়ুন
প্রিয় পাঠকগণ, এই পোষ্ট হইতে আপনারা বিশিষ্ট লেখক গোপালচন্দ্র রায়ের লেখা শরৎবাবুর ব্যক্তিগত জীবন সম্বন্ধে বই - 'শরৎচন্দ্রের প্রণয়-কাহিনী' এর পিডিএফ সংগ্রহ করিতে পারিবেন।
ডিজিটাল বইয়ের নাম- শরৎচন্দ্রের প্রণয়-কাহিনী
লেখক- শ্রীগোপালচন্দ্র রায়
ফাইলের ধরন- পিডিএফ
এই বইতে মোট পৃষ্টা আছে- ১২৪
ডিজিটাল বইয়ের সাইজ- ৬এমবি
প্রিন্ট মন্দ নয়, জলছাপ মুক্ত
গ্রন্থকারের কথা-
শরৎচন্দ্রের বিবাহিত জীবনটা একটা বড় ধোঁয়াটে ব্যাপার। তাই এ সম্বন্ধে নানা জনে নানা ধরণের মজার মজার গল্প বলেন। কেউ কেউ এ সম্বন্ধে কিছু কিছু লিখেওছেন। এদের এই সব লেখা নিয়ে এবং শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় বিয়ে করে ছিলেন কিনা, বিয়ে করলে ক'টা বিয়ে করেছিলেন, তাঁর জীবনসঙ্গিনী হিরন্ময়ী দেবী কোথাকার মেয়ে এবং কোথায় তাকে পান, আর ঐ রাজলক্ষ্মীই বা কে, এই সব সম্বন্ধে এক সময় আমি পাঁচ মাস ধরে 'ভারতবর্ষ” মাসিক পত্রিকায় “শরৎচন্দ্রের বিবাহ-প্ৰসঙ্গ” নাম দিয়ে এক দীর্ঘ প্রবন্ধ লিখেছিলাম।
বিভূতিভূষণ ভট্টকে লেখা শরৎচন্দ্রের পূর্বোক্ত চিঠিটি 'পরিক্রমা' নামক একটি পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হলে, শ্রীযুক্ত সজনীকান্ত দাস মহাশয় সেই সময় শারদীয় সংখ্যা “শনিবারের চিঠিতে" প্রথমেই সম্পাদকীয় স্তম্ভে লিখেছিলেন—এবারের সম্পাদকীয় আর দুর্গাস্তুতি বা শরৎকালের বর্ণনা নয়, এবারের শারদীয় সম্পাদকীয় হচ্ছে, শরৎ চাটুজ্যে সম্পর্কিত। হিটলার ও সুভাষ বসুর বিবাহ নিয়ে আমরা অনেক গল্প শুনতে পাই। শরৎচন্দ্রের বিবাহ নিয়েও তাই। শেষ শরৎ-গবেষক অত্যুৎসাহী গোপালচন্দ্র রায় ‘ভারতবর্ষ' পত্রিকায় কয়েকমাস ধরে শরৎচন্দ্রের বিবাহ প্রসঙ্গ নিয়ে আলোচনা করে একটা সিদ্ধান্ত করে দেন। গোপালচন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের পর আমরা নিশ্চিন্ত হয়ে পাশ ফিরে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। কিন্তু শরৎচন্দ্রের বাল্যবন্ধু পুটু অর্থাৎ বিভূতিভূষণ ভট্ট তার পুরাতন ঝাঁপি হতে কালভূজদের ন্যায় হঠাৎ একখানি পত্র বার করে একি কাণ্ড বাধালেন! এর এখন উত্তর দিতে পারেন, একমাত্র গোপালচন্দ্র রায়। আমরা তাঁরই শরণাপন্ন হচ্ছি।
শনিবারের চিঠিতে সজনীবাবুর এই লেখা পড়ে শ্রীযুক্ত শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয় পুণা থেকে এক পত্রে, ঐ সম্বন্ধে আমি কোন কিছু লিখব কিনা, আমার কাছে জানতে চেয়েছিলেন।
এরপরেও সজনীবাবু একদিন কথাপ্রসঙ্গে আমাকে বলেছিলেন শরৎচন্দ্রের বিবাহ ও প্রণয়-কাহিনী নিয়ে যে সব প্রচার ও অপপ্রচার রয়েছে, সে সবের একটা সুষ্ঠ, আলোচনা হওয়া দরকার। তুমি ঐ সম্বন্ধে একটা পরিষ্কার আলাোচনা করে দাও।
শরৎচন্দ্রের বাল্যবন্ধু প্রবীণ সাহিত্যিক সৌরীন্দ্রমোহন মুখোপাধ্যায় এবং শরৎচন্দ্রের আর এক বন্ধু কবিশেখর শ্রীকালিদাস রায় এঁরাও আমাকে ঐ কথাই বলেন।
শরৎচন্দ্র সম্বন্ধে যে সব জনশ্রুতি, প্রবাদ ও অপপ্রচার আছে, সেগুলির যে এখনি একটা সুষ্ঠ, আলোচনা দরকার, এ কথা বোধ করি সকলেই স্বীকার করবেন। কেননা, তা না হলে, বিশ্ববিদ্যালয়ের খ্যাতনামা অধ্যাপকের ভূমিকা সমম্বিত, কয়েক সংস্করণ নিঃশেষিত পূর্বোক্ত "শরৎচন্দ্র” গ্রন্থটির ন্যায়, আরও অনেক গ্রন্থেই শরৎচন্দ্র সম্বন্ধে, বিশেষ করে তাঁর বিবাহ ও প্রণয়-ঘটিত কাহিনীগুলি নিয়ে নানা বিকৃত ও মনগড়া আজগুবি গল্প ক্রমশঃ প্রচারিত হতে থাকবে। তখন সে সব রোধ করা কষ্টকর হয়ে পড়বে। এই কারণেই আমি “শরৎচন্দ্রের প্রণয়-কাহিনী” নাম দিয়ে এই গ্রন্থটি রচনা করেছি।
শরৎচন্দ্রকে সাধু সাজানো, বা হেয় করা এই গ্রন্থের আদৌ উদ্দেশ্য নয়। তিনি যা, তাই, নানা নজীর ও প্রমাণ সহযোগে আমি দেখাবার চেষ্টা করেছি মাত্র।
এই বইতে যে সূচীপত্র রয়েছে, তাহা হইল-
গ্রন্থকারের নিবেদন
হৃদয়-দৌর্বল্য
ব্যর্থ প্রণয়
রজকিনী
পরের প্রণয়িনী
শান্তি দেবী
হিরন্ময়ী দেবী
রাজলক্ষ্মী
উপরোক্ত বাংলা বইটির পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করুন অথবা অনলাইনে পড়ুন
প্রিয় পাঠকগণ, এই পোষ্ট হইতে আপনারা বিশিষ্ট লেখক গোপালচন্দ্র রায়ের লেখা শরৎবাবুর ব্যক্তিগত জীবন সম্বন্ধে বই - 'শরৎচন্দ্রের প্রণয়-কাহিনী' এর পিডিএফ সংগ্রহ করিতে পারিবেন।
No comments:
Post a Comment