অমৃত-দ্বীপ হেমেন্দ্রকুমার রায় দুষ্প্রাপ্য বই
ডিজিটাল বইয়ের নাম- অমৃত-দ্বীপলেখক- শ্রীহেমেন্দ্রকুমার রায়
বইয়ের ধরন- দুষ্প্রাপ্য বই
ফাইলের ধরন- পিডিএফ
এই বইতে মোট পৃষ্টা আছে- ৮০
ডিজিটাল বইয়ের সাইজ- ১১এমবি
প্রিন্ট ভালো, জলছাপ মুক্ত
চীনদেশের প্রাচীন পুথি-পত্রে প্রকাশ, ' তাও’সাধুদের মতে, প্রশান্ত মহাসাগরে একটি দ্বীপ আছে, তার নাম “অমৃত-দ্বীপ।” সেখানে ‘সিয়েন' অর্থাৎ অমররা বাস করে। সেখানে অমর-লতা জন্মায়, তার অমৃত-ফল ভক্ষণ করলে মানুষও অমর হয়। যারা 'তাও'-ধর্ম গ্রহণ করে তাদের জীবনের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে, অমৃত-দ্বীপে যাওয়া। আর, সেখানে গেলে লাউৎজুর মন্ত্রপূত প্রতিমূর্তি সঙ্গে থাকা চাই।
বৌদ্ধ ও হিন্দু ধর্মের মতন ‘তাও’-ধৰ্ম্মও পরের যুগে ভিন্ন রূপ ধারণ করে। তার মধ্যে ক্রমেই ভূত-প্রেত, মন্ত্র-তন্ত্র, ঝাড়-ফুক আর হরেক রকম ম্যাজিকের আবির্ভাব হয়। 'তাও’সাধকরা বলে, তাদের সিদ্ধপুরুষরা কেবল অমরই হয় না, জলে-স্থলে-শূন্যে তাদের গতি হয় অবাধ।
আধুনিক যুগে এ-সব কথা বিশ্বাসযোগ্য নয় বটে, কিন্তু চীনাদের পবিত্র পাহাড় ‘থাইমানে’র তলদেশে অবস্থিত ‘থাইআনফু মন্দিরে গিয়ে এক সমাধিমগ্ন 'তাও’ সিদ্ধপুরুষকে দেখে রিচার্ড উইলহেলম নামে এক জার্মান সাহেব সবিস্ময়ে লিখেছেন, “এই সমাধিস্থ ‘ও-সাধক মৌনব্রতী। তিনি কত কাল খাদ্য আর পানীয় গ্রহণ করেন নি। বাইরের কোন কিছুই তার ধ্যান ভঙ্গ করতে পারে না। তাঁর দেহ শুকিয়ে শীর্ণ হয়ে গেছে, দেখতেও তাঁকে মড়ার মত, কিন্তু তাঁর দেহ সম্পূর্ণ তাজা, একটুও পচে যায় নি।” ('The Soul of China নামক গ্রন্থ দ্রষ্টব্য।)
“অমৃত-দ্বীপে"র পাঠকদের পক্ষে এইটুকু তথ্যই যথেষ্ট।
প্রিয় বাংলা পাঠকগণ, এই পোষ্ট হইতে 'অমৃত-দ্বীপ' এই দুষ্প্রাপ্য বইটির পিডিএফ সংগ্রহ করিতে পারিবেন।
উপরোক্ত বাংলা বইটির পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করুন অথবা অনলাইনে পড়ুন
No comments:
Post a Comment