মনোজ বসুর শ্রেষ্ঠ রচনা সম্ভার (রজত খন্ড) বাংলা বই - বাংলা বই এর pdf ডাউনলোড-Bangla Digital Boi Pdf

Latest

Sunday, October 21, 2018

মনোজ বসুর শ্রেষ্ঠ রচনা সম্ভার (রজত খন্ড) বাংলা বই


মনোজ বসুর শ্রেষ্ঠ রচনা সম্ভার (রজত খন্ড) বাংলা বই পিডিএফ

ডিজিটাল বইয়ের নাম- মনোজ বসুর শ্রেষ্ঠ রচনা সম্ভার (রজত খন্ড)
লেখক- মনোজ বসু
বইয়ের ধরন- উপন্যাস
ফাইলের ধরন- পিডিএফ
এই বইতে মোট পৃষ্টা আছে- ৮৫৫
ডিজিটাল বইয়ের সাইজ-  ৩৪ এমবি
প্রিন্ট ভালো, অবশ্যই জলছাপমুক্ত
মনোজ বসুর শ্রেষ্ঠ রচনা সম্ভার
মনোজ বসুর শ্রেষ্ঠ রচনা সম্ভার
বঙ্গাব্দ ১৩০৮ সালের ৪ শ্রাবণ (ইংরেজি ১৯০১ সালের ২৫শে জুলাই) যশোহর জেলার ডোঙ্গাঘাটা গ্রামের (বর্তমান বাংলাদেশ) বিখ্যাত বসু পরিবারে মনোজ বসুর জন্ম। কৈশোর বয়স থেকেই লেখক হওয়ার স্বপ্ন। দারিদ্র্যের সঙ্গে সংগ্রাম করেছেন প্রায় চল্লিশ বছর বয়স পর্যন্ত। কিন্তু শত প্রলোভনেও সাহিত্যসাধনা ত্যাগ করেন নি। লেখকের ভাষায় শুনুনঃ
“লেখার দুর্মতি কি করে এলো শুনুন সেই গল্প। বাবা অল্প-সল্প লিখতেন।  ঠাকুরদাদার হাতের লেখা বড় কেতাব অতি শৈশবে দেখেছি-নিজের
রচনা অথবা অন্যের কেতাব নকল করা-সঠিক বলতে পারব না। লেখার বীজ ছিল অতএব রক্তের মধ্যেই।"••••••
"•••••অভাব-দুঃখের মধ্যে ফেলে বিধাতাপুরুষ বিস্তর মেহনত করেছিলেন বীজটুকু নিঃশেষ করে দিতে। পারেন নি। মনের তলে চাপা ছিল। সযোগ এতটুকু পেয়েছে কি অঙ্কুরোদ্গম্।”
এই রজত খন্ডের সূচী-

তিনটি উপন্যাস রয়েছে এখানে-
১. বন কেটে বসত
২. মানুষ গড়ার কারিগর
৩. সেই গ্রাম সেই সব মানুষ

উপন্যাসগুলি সমন্ধে কিছু কথা:-

সুন্দরবন নিয়ে দুটো উপন্যাস লিখেছেন মনোজ বসু। জলজঙ্গল (১৩৫৮) ও বন কেটে বসত (১৩৬৮)। লেখকের ভাষায় "গ্রাম আমার সুন্দরবন অঞ্চল থেকে দুরবর্তী নয়। -কাঠ কাটতে মধু ভাঙতে জীবিকার নানাবিধ প্রয়োজনে লোকে বনে যায়, বাঘ-কুমির সাপের কবলে পড়ে—তার মধ্যে কত জনে আর ফেরে না। জনালয় থেকে বিচ্ছিন্ন, বনবিবি ও বাঘের সওয়ার গাজি-কালুর রাজ্য রহস্যময় সুন্দরবন ছোটবেলা থেকে আমার আকর্ষণ করত। সুন্দরবন নিয়ে দুটো উপন্যাস (জলজঙ্গল, বন কেটে বসত) ও কতকগুলো গল্প লিখেছি আমি। কোন কোন অংশ একেবারে বনের ভিতরে খালের উপর নৌকায় বসে লেখা।”
বাদাবন প্রকৃতির বিচিত্র লীলাভূমি। বাদা অঞ্চলের মানুষের বসতি স্থাপনের পেছনে আছে সামাজিক, অর্থনৈতিক ও গ্লানিময় জীবন-সমস্যা। কিন্তু তাতেও
নিস্তার নেই এই সব ছিন্নমূল মেহনতী মানুষের । বন কেটে বসত উপন্যাস শেষাংশে লেখক সমাপ্তি রেখা টানেন নি। সেটা সম্ভবও নয়। কারণ, এই সব মানুষেরা শুধু বন কেটে বসত বানায়। কিন্তু টিকতে পারে না। ঠেলা খেয়ে আরও গভীরে বনাঞ্চলে চলে যায়, নতুন জায়গায় সন্ধানে-অধৈ কালাপানির সামনে। জগন্নাথের মত সরল, নির্লোভ লোকেরা মিলেমিশে বন কেটে বসত নির্মাণ করে। তারপর লো্ভী, স্বার্থপর মানুষের দল এসে তাদের উৎখাত করে সব কিছু ভোগ করে। 'বন কেটে বসত' বাদার মানুষের সুখ-দুঃখের বাস্তব কাহিনী-বাদাবনের ইতিহাস। বিভিন্ন চরিত্রকে, বিশেষতঃ গগনকে অনুসরণ করে পাঠক বাদারাজ্যে নিজের অজান্তেই চলে আসেন। যখন ঘোর ভাঙে, তখন পাঠক দেখেন-সামনে অথৈ কালাপানি। আর এখানেই লেখকের এই দুর্লভ উপন্যাস রচনার সার্থকতা।
মানুষ গড়ার কারিগর:-
নিম্নমধ্যবিত্ত একান্নবর্তী বহৎ পরিবারের সন্তান তিনি। কৈশোর থেকে লেখক হওয়ার সাধ। চরম দারিদ্রের সঙ্গে আপোষহীন সংগ্রাম করে নিজেকে যে ক'জন লেখক বাংলা সাহিত্যে প্রতিষ্ঠিত করেছেন, মনোজ বসু নিঃসন্দেহে তাদের অন্যতম। ১৯৯৯ সালে ম্যাট্রিক পরীক্ষায় অনেকগুলি লেটারসহ ফাস্ট ডিভিসনে পাশ করলেন। শুনলে অবাক হবেন অংকে তিনি সবচেয়ে বেশি নম্বর পেতেন। বিজ্ঞান পড়ার সাধ ছিল। স্বপ্ন দেখতেন ডাক্তার অথবা ইঞ্জিনীয়ার হবেন। কিন্তু একদিকে চরম দারিদ্র ও অন্য দিকে রাজনীতির সঙ্গে জড়িত হয়ে কয়েক বছর পরে (১৯২৪) বি. এ. পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেন কৃতিত্বের সঙ্গে। কিন্তু এর পর দারিদ্রের জন্য পড়া বন্ধ করতে হল। আর করলেন শিক্ষকতার কাজ মাত্র তেইশ বছর বয়সে। সাহিত্যচর্চার সঙ্গে পাশাপাশি চলল স্কুলপাঠ্য বই লেখা পেটের দায়ে। দীর্ঘ একুশ বছর ধরে কঠোর সংগ্রাম এবং শিক্ষক জীবনের নানা অভিজ্ঞতা তাঁকে এই উপন্যাস রচনার প্রেরণা জুগিয়েছে। লেখকের ভাষায়-
“আমি একটা বই লিখতে চাই ইস্কুল নিয়ে। খানিকটা আক্রোশ নিয়ে বইকি! কলেজে পড়া সেরেই ঢুকি, বেরিয়ে এলাম তখন প্রৌঢ়ত্বে পৌঁছেছি। যৌবনের প্রতিটি মধুভরা দিনমানের অপমত্যু ঘটেছে কলকাতার একটি ইস্কুলের চতুঃসীমার মধ্যে। ছিলাম জনৈক সাধারণ মাষ্টার।•••মাইনে চল্লিশে শুরু-বিশ বছর পরে... আশি ধরো-ধরো করেছি। বিদ্যাগার বলব না, মানুষ গড়ার কারখানা। নিচের ক্লাসের মেশিনের ভিতরে ছেলেগুলোকে ফেলে ধাপে ধাপে নানান ক্লাস ঘুরিয়ে একদিন তৈরি মাল বাজারে ছেড়ে দেওয়া। আমি জনৈক কারিগর ছিলাম সেই কারখানায়।••• মহামতি কত চাণক্য ও চার্চিল দিবানিদ্রাটা পরের ক্লাসে সেরে নিয়ে রাত্রে ও সকালে গুপ্ত-অধ্যাপনা অর্থাৎ প্রাইভেট ট্যুইশানিতে দুটোছুটি করেন, দুর্ধর্ষ কত হিটলার কলে-কৌশলে কারখানার কতা হয়ে বসে কারিগরবর্গকে নাস্তানাবুদ করেন-পরিচয় পেলে চমৎকৃত হবেন।
মহিম মাষ্টার’কে সামনে রেখে গোটা শিক্ষা ব্যবস্থায় স্বরূপ উৎঘাটন করাই লেখকের উদ্দেশ্য। সেকালের একটি বিশিষ্ট পত্রিকা 'শিক্ষক' এই উপন্যাসকে 'আঙ্কল টমস কেবিন' এর সমগোত্রীয় সর্বকালের উপন্যাস হিসাবে চিহিত করেছেন।
সেই গ্রাম সেই সব মানুষঃ-
“তোমরা ছিলে। ত্রিভঙ্গ স্বাধীনতার তাড়নায় বড় তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে গেলে।
এরপর লেখক তার এই অভিনব উপন্যাস শুরু করছেন,
“যবনিকা তুলছি। এই শতকের প্রথম পাদ। মানুষেরা সেই সময়ের। গ্রামের চেহারা ভিন্ন।”

উপরোক্ত বাংলা বইটির পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করুন অথবা অনলাইনে পড়ুন
পঠকগণ, মনোজ বসুর শ্রেষ্ঠ রচনা সম্ভার এর পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করুন এবং উপন্যাসগুলি পড়ুন

No comments:

Post a Comment