অপরূপা অজন্তা, নারায়ণ সান্যাল বাংলা বই - বাংলা বই এর pdf ডাউনলোড-Bangla Digital Boi Pdf

Latest

Saturday, October 13, 2018

অপরূপা অজন্তা, নারায়ণ সান্যাল বাংলা বই


অপরূপা অজন্তা, নারায়ণ সান্যাল বাংলা বই

ডিজিটাল বইয়ের নাম- অপরূপা অজন্তা
লেখক- নারায়ণ সান্যাল
বইয়ের ধরন- ঐতিহাসিক উপন্যাস
ফাইলের ধরন- পিডিএফ
এই বইতে মোট পৃষ্টা আছে- ২১৮
ডিজিটাল বইয়ের সাইজ-  ১৮ এমবি
প্রিন্ট মোটামুটি ভালো, অবশ্যই জলছাপমুক্ত

বইটি সমন্ধে লেখকের কিছু কথা-
দেবদূতরাও যেখানে সন্তর্পণ পদসঞ্চারে সঙ্কুচিত, সেখানে কেন হুড়মুড় করে ঢুকে পড়েছি, তার কৈফিয়ৎ দিতে বসে প্রথমে সেই দেবদুতদেরই কৈফিয়ৎ দাবি করার ইচ্ছা জাগছে। পৃথিবী যদি আজ ভারতবর্ষকে জিজ্ঞাসা করে তোমার ওখানে কোন স্থাপত্যকীর্তি দেখতে যাব, ভারতবর্ষ বোধ করি তার উত্তরে বলবে—অজন্তা-ইলোরা, কোণারক আর তাজমহল। পৃথিবী আজও তাই দেখতে ভারতবর্ষে আসে। কিন্তু দুর্ভাগ্য আমাদের, সেই অজন্তাকে দেখাবার, বোঝাবার কোন আয়োজন আমরা আজও করি নি। অজন্তায় প্রতি বছর লক্ষাধিক দর্শক আসেন, অজন্তার নামে সরকার লক্ষাধিক মুদ্রা প্রতি বছর ব্যয় কবেন, তবু অজন্তা-বিষয়ে প্রকৃত গাইড বই এখনও ছাপা হয় নি। প্রায় ত্রিশ বছর পূর্বে প্রকাশিত ডঃ ইয়াজদানীর যে গ্রন্থটিকে অজন্তা-বিষয়ে শেষ প্রামাণিক পুস্তক বলতে পারি তা দীর্ঘদিন ছাপা নেই; তার মূল্যও বোধ করি সহস্র রজতখণ্ড। ভুল তথ্যে-ভরা কিছু নিন্নমানের পুস্তকিমাত্র অজন্তার কাছে-পিঠে পাওয়া যায়। ইউনেস্কোর এ্যালবামে অথবা আকাদেমী প্রকাশিত চিত্রসম্ভারে কিছু ভালো ছবি আছে; কিন্তু তাদের কোন পরিচয় নেই। জাতক-কাহিনীগুলির সঙ্গে ঐ চিত্রগুলির কি সম্বন্ধ, কোথায় তাদের অবস্থিতি তা উপলব্ধি করা যায় না। ডাব-না-করা ফেলিনি বা বেয়ারিম্যানের চলচ্চিত্র দেখে আপনি, আমি যতটা রস গ্রহণ করতে পারি, পৃথিবী আজ ডলার-রুবল-ফ্রাঁস্টালিনের বিনিময়ে শুধু ততটাই রস আহরণ করে নিয়ে যায়।
বিদেশীদের কথা যাক। সে দায়িত্ব ভারত সরকারের ; কিন্তু ভ্রমণ-পাগল অগণিত বাঙালী যাত্রীকে আমি অজন্তায় দিশেহারা হয়ে ফিরতে দেখেছি। চম্পেয়্য-জাতকের মর্মস্পর্শী চিত্রকে সাপুড়ের ছবি বলে হেসে ওড়াতে স্বকর্ণে শুনেও এসেছি। অজন্তার পূর্ণ-রসাস্বাদনের সহায়ক কোন নির্দেশক গ্রন্থের অভাবে তাঁদেব অপরিসীম অনুশোচনাও অনুভব করেছি।
চিত্রশিল্প, স্থপতি ও ইতিহাসের উপর যাদের প্রকৃত অধিকার আছে, সেই দেবদূতদের কেউ যাত্রীদের সে অভাব মোচন করতে আজও এগিয়ে আসেন নি বলেই অনধিকারী বর্তমান গ্রন্থকারের এই মুর্খামি।
আমার সবচেয়ে সঙ্কোচ, সবচেয়ে আপসোস চিত্রগুলির যথার্থ অনুকরণের ব্যর্থতায়। অসিত হালদার, নন্দলাল, ডরোথি লার্চাব প্রভৃতির আঁকা-ছবির পাশাপাশি আমার স্কেচগুলিকে দেখে বারে বারে মনে দ্বিধা জেগেছে এগুলির ব্লক আদৌ করানো উচিত কিনা। কিন্তু গ্রন্থকারের অসহায়ত্বের কথা বিচার করে পাঠক আমাকে ক্ষমা করবেন, এটুকু ভরসা রাখি। প্রামাণিক গ্রন্থ থেকে ফটো নিয়ে ব্লক করানো প্রায় অসম্ভব, কোন প্রকৃত অধিকারী চিত্রশিল্পীকে দিয়ে এগুলির অনুকৃতি করালে এ পুস্তকের মূল্য বোধ করি চতুগুণ বৃদ্ধি পেত এবং যে ভ্রমণ-বিলাসী মধ্যবিত্ত বাঙালী রসপিপাষুর অন্য বইটি লিখতে বসেছি, তাঁদেব নাগালের বাইরে চলে যায়। তাই আমি সবিনয়ে নিবেদন করব, আমার আঁকা ছবিগুলিকে পাঠক যেন শুধু নিদেশক-চিত্র বা ‘ইণ্ডিকেটরি-স্কেচ’-রূপেই গ্রহণ কবেন। মূলের নাগাল না পেলে অন্ততঃ গ্রিফিথ, হেরিংহ্যাম, ইয়াজদানী অথবা ইউনেস্কো এ্যালবামে খুজে নেবার জন্যই যেন শুধু আমার স্কেচগুলিকে কাজে লাগানো হয়। আমার আঁকা স্কেচ দেখে মলচিত্রের বিচার করতে বসলে অজন্থার তো বটেই, আমার উপবেও অবিচার করা হবে।
একই কারণে কোন বহু-বঙা চিত্রে সংযোজন করা গেল না।
অজন্তা অতি দ্রুতগতিতে অবক্ষয়ের পথে চলেছে। আজ যা আছে হয়তো দশ বছর পর তাও থাকবে না। এ অবক্ষয়েব কারণ নির্ণয় কববেন বিশেষজ্ঞ, তার গতিরোধ করবেন ভাবত সকার। আমি শুধু শতাব্দীর দুই পারের দুটি উদ্ধৃতি দিয়ে এ প্রসঙ্গে ছেদ টানব। প্রথমটি লেখক স্যাব জেমস ফাগুসন (Cave Temples of India by Fergusson & Burgess, London 1880, P-812 )। গত শতাব্দীর শেষপাদে তিনি লিখেছিলেন:
"Mr. Griffiths proposed years ago that doors and shutters should be employed to shut out bats and nest-building insects from the few Caves that contain much painting, but this excellent suggestion was only carried out in the case of Cave I. .... -নারায়ণ সান্যাল

পাঠকগণ, এই লেখকের লেখা আরো একটি অসাধারণ উপন্যাস সংগ্রহ করিতে পারবেন এই ব্লগ হইতে- সুতনুকা একটি দেবদাসীর নাম

অপরূপা অজন্তা
অপরূপা অজন্তা
উপরোক্ত বাংলা বইটির পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করুন অথবা অনলাইনে পড়ুন
পঠকগণ, নারায়ণ সান্যালের এই অসাধারণ ঐতিহাসিক উপন্যাস 'অপরূপা অজন্তা' -এর পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করুন এবং উপন্যাসটি পড়ুন।

No comments:

Post a Comment