ঐতিহাসিক কাহিনী সমগ্র- হেমেন্দ্র কুমার রায় বাংলা ডিজিটাল বই পিডিএফ
ডিজিটাল বইয়ের নাম- ঐতিহাসিক কাহিনী সমগ্র
বইয়ের ধরন- ঐতিহাসিক কাহিনী
লেখক- হেমেন্দ্র কুমার রায়
এই বইতে মোট পৃষ্টা আছে- ৬৩৬
ডিজিটাল বইয়ের সাইজ- ৩৯ এমবি
জলছাপমুক্ত, ঝকঝকে পৃষ্টা
প্রাগৈতিহাসিক কালে আর্যাবর্তে বিচরণ করতেন রঘু, কুরু, পাণ্ডব, যদু ও ইক্ষুকু প্রভৃতি বংশের মহা মহা বীররা। তঁদের কেউ কেউ অবতার রূপে আজও পূজিত হন। কিন্তু আধুনিক ঐতিহাসিকদের জগতে ভারতে প্রথম প্ৰভাত এনেছিলেন উত্তর-পশ্চিম ভারতবিজয়ী আলেকজান্ডার এবং গ্রিকবিজয়ী সম্রাট চন্দ্ৰগুপ্ত।
রাম-রাবণ ও কুরু-পাণ্ডবের যুদ্ধকাহিনির মধ্যে অল্পবিস্তর ঐতিহাসিক সত্য থাকা সম্ভব নয়। কিন্তু সে সম্বন্ধে তর্ক না তুলে আপাতত এইটুকু বললেই যথেষ্ট হবে যে, পুরাণবিখ্যাত সেই সব যুদ্ধের পরেও ভারতে এসেছিল দীর্ঘকাল ব্যাপী এক তমিস্ৰযুগ। তারই মধ্যে কেবল সত্যের সন্ধান দেয়-নিষ্কম্প দীপশিখার মতো বুদ্ধদেবের বিস্ময়কর অপূর্ব মূর্তি। আজ ইতিহাস বলতে আমরা যা বুঝি, তখনও তার অস্তিত্ব ছিল না বটে, কিন্তু কী এদেশি, কী বিদেশি কোনও ঐতিহাসিকেরই এমন সাহস হয়নি যে বুদ্ধদেবকে অস্বীকার করে উড়িয়ে দেন। সেই খ্রিস্টপূর্ব যুগে মৌর্য চন্দ্রগুপ্তের আবির্ভাব না হওয়া পর্যন্ত ভারতের ইতিহাস বলতে বুঝি, বুদ্ধদেবের জীবনচরিত।
বৌদ্ধ ধর্মগ্রন্থ এবং শিলালিপি প্রভৃতির দৌলতে বুদ্ধদেবের আবির্ভাবের পরবর্তী যুগের ভারতের কতকগুলি প্রমাণিক ছবি আমরা পেয়েছি। যদিও সে যুগের বৌদ্ধচিত্রশালা সম্পূর্ণ নয়, তবু আলো-আঁধারের ভিতর থেকে ভারতের যে মূৰ্তিখনি আমরা দেখতে পাই, বিচিত্র তা—মোহনীয়া!
তারপরই সেই ছায়ামায়াময় প্রাচীন আর্যাবের্ত সমুজ্জ্বল মশাল হাতে নিয়ে প্রবেশ করলেন দ্বিগ্বজয়ী আলেকজান্ডার। যে শ্রেনির কাহিনীকে আজ আমরা ইতিহাস বলে গ্রাহ্য করি, তার জন্ম হয়েছিল সর্বপ্রথমে সেকালকার গ্রিক দেশেই। কাজেই আলেকজান্ডারের ভারত অভিযান স্থানলাভ করল গ্রিক ইতিহাসেও এবং আলেকজান্ডারের পরেও প্রাচীন ভারতের সঙ্গে গ্রিসের আদান-প্রদানের সম্পর্ক বিলুপ্ত হয়নি। তাই সে যুগের ভারতবর্ষের অনেক কথাই আমরা জানতে পেরেছি। গ্রিক লেখকদের প্রসাদে। সেলিউকস প্রেরিত গ্রিক দূত মেগাস্থিনিস লিপিবদ্ধ করে না রাখলে আমরা মৌর্য চন্দ্রগুপ্তের যুগে মগধ সাম্রাজ্য তথা অনেক কথাই জানতে পারতুম না। এজন্যে গ্রিসের কাছে ভারতবর্ষ হয়ে থাকবে চিরকৃতজ্ঞ।
প্রাকৃতিক জগতে যেমন কখনও মেঘ কখনও রোদের খেলা, কখনও আলো কখনও ছায়ার মেলা, প্রত্যেক দেশের সভ্যতার ইতিহাসেও তেমনই পরিবর্তনের লীলা দেখা যায়। মৌর্য চন্দ্ৰগুপ্ত মগধের বা ভারতের সিংহাসনে আরোহণ করেন খ্রিস্টপূর্ব ৩২৩ কি আরও দুই-এক বছর আগে। তার কিছু কম দেড় শতাব্দী পরে মৌর্য সাম্রাজ্য বিলুপ্ত হয়। তারপর ভারতবর্ষের ইতিহাসে দেখি সুঙ্গ, কন্ব ও অন্ধ প্রভৃতি বংশের কমবেশি প্ৰভূত্ব। ইতিমধ্যে গ্রীকরাও বারকয়েক ভারতের মাটিতে আসন পাতবার চেষ্টা করেছিল বটে, কিন্তু বিশেষ সুবিধা করে উঠতে পারেনি।
কেবল গ্রিকরা নয়, মধ্য এশিয়ার ভবঘুরে মোগলজাতি তখন থেকেই ভারতবর্ষে হানা দেবার চেষ্টা করছিল। মোগল বলতে তখন মুসলমান বোঝাত না (নিজ মঙ্গোলিয়ায় আজও বৌদ্ধধর্মাবলম্বী মোগলরা আছে) এবং মোগল বলতে আসলে কী বোঝায়। সে সম্বন্ধেও সকলের খুব পরিষ্কার ধারণা নেই। যুগে যুগে নানা জাতি মোগলদের নানা নামে ডেকেছে৷ এদের বাহন ছিল ঘোড়া, খাদ্য ছিল মাংস, পানীয় ছিল দুগ্ধ। গ্রিক ঐতিহাসিক হিরোদোতাস এদের ডেকেছেন “সিথিয়ান’ বলে, পরবর্তী যুগের রোমানরা এদের হুন’ নামে ডাকতেন, প্রাচীন ভারতে এদের নাম ছিল "শক", এবং চিনারা এদের নাম দিয়েছিল Hiungnu আসলে মোগল, শক, হুন, তাতার ও তুর্কিরা একরকম এক জাতেরই লোক, কারণ তাদের সকলেরই উৎপত্তি মধ্য এশিয়ায় বা মঙ্গোলিয়ায়। এই আশ্চর্য জাতি ধরতে গেলে এক সময়ে প্রাচীন পৃথিবীর অধিকাংশ সভ্য দেশকেই দখল করেছিল এবং ভারতবর্ষ তাদের অধিকারে এসেছিল দুইবার। প্রথমবারে তাদের বংশ কুষাণ বংশ বলে পরিচিত হয়। বৌদ্ধধর্মাবলম্বী বিখ্যাত সম্রাট কনিষ্ক এই বংশেরই ছেলে। দ্বিতীয়বারে তারা মোগল রাজত্বের প্রতিষ্ঠা করে।
এই সবই আমরা গল্পের মতো করে জানতে পারবো 'ঐতিহাসিক কাহিনী সমগ্র- হেমেন্দ্র কুমার রায়' -এর লেখা বইটি হইতে। এতে রয়েছে ঐতিহাসিক উপন্যাস ও গল্পের সমাহার।
বাংলা ডিজিটাল বই ঐতিহাসিক কাহিনী সমগ্র- হেমেন্দ্র কুমার রায় ডাউনলোড পিডিএফ
ডিজিটাল বইয়ের নাম- ঐতিহাসিক কাহিনী সমগ্র
বইয়ের ধরন- ঐতিহাসিক কাহিনী
লেখক- হেমেন্দ্র কুমার রায়
এই বইতে মোট পৃষ্টা আছে- ৬৩৬
ডিজিটাল বইয়ের সাইজ- ৩৯ এমবি
জলছাপমুক্ত, ঝকঝকে পৃষ্টা
প্রাগৈতিহাসিক কালে আর্যাবর্তে বিচরণ করতেন রঘু, কুরু, পাণ্ডব, যদু ও ইক্ষুকু প্রভৃতি বংশের মহা মহা বীররা। তঁদের কেউ কেউ অবতার রূপে আজও পূজিত হন। কিন্তু আধুনিক ঐতিহাসিকদের জগতে ভারতে প্রথম প্ৰভাত এনেছিলেন উত্তর-পশ্চিম ভারতবিজয়ী আলেকজান্ডার এবং গ্রিকবিজয়ী সম্রাট চন্দ্ৰগুপ্ত।
রাম-রাবণ ও কুরু-পাণ্ডবের যুদ্ধকাহিনির মধ্যে অল্পবিস্তর ঐতিহাসিক সত্য থাকা সম্ভব নয়। কিন্তু সে সম্বন্ধে তর্ক না তুলে আপাতত এইটুকু বললেই যথেষ্ট হবে যে, পুরাণবিখ্যাত সেই সব যুদ্ধের পরেও ভারতে এসেছিল দীর্ঘকাল ব্যাপী এক তমিস্ৰযুগ। তারই মধ্যে কেবল সত্যের সন্ধান দেয়-নিষ্কম্প দীপশিখার মতো বুদ্ধদেবের বিস্ময়কর অপূর্ব মূর্তি। আজ ইতিহাস বলতে আমরা যা বুঝি, তখনও তার অস্তিত্ব ছিল না বটে, কিন্তু কী এদেশি, কী বিদেশি কোনও ঐতিহাসিকেরই এমন সাহস হয়নি যে বুদ্ধদেবকে অস্বীকার করে উড়িয়ে দেন। সেই খ্রিস্টপূর্ব যুগে মৌর্য চন্দ্রগুপ্তের আবির্ভাব না হওয়া পর্যন্ত ভারতের ইতিহাস বলতে বুঝি, বুদ্ধদেবের জীবনচরিত।
বৌদ্ধ ধর্মগ্রন্থ এবং শিলালিপি প্রভৃতির দৌলতে বুদ্ধদেবের আবির্ভাবের পরবর্তী যুগের ভারতের কতকগুলি প্রমাণিক ছবি আমরা পেয়েছি। যদিও সে যুগের বৌদ্ধচিত্রশালা সম্পূর্ণ নয়, তবু আলো-আঁধারের ভিতর থেকে ভারতের যে মূৰ্তিখনি আমরা দেখতে পাই, বিচিত্র তা—মোহনীয়া!
তারপরই সেই ছায়ামায়াময় প্রাচীন আর্যাবের্ত সমুজ্জ্বল মশাল হাতে নিয়ে প্রবেশ করলেন দ্বিগ্বজয়ী আলেকজান্ডার। যে শ্রেনির কাহিনীকে আজ আমরা ইতিহাস বলে গ্রাহ্য করি, তার জন্ম হয়েছিল সর্বপ্রথমে সেকালকার গ্রিক দেশেই। কাজেই আলেকজান্ডারের ভারত অভিযান স্থানলাভ করল গ্রিক ইতিহাসেও এবং আলেকজান্ডারের পরেও প্রাচীন ভারতের সঙ্গে গ্রিসের আদান-প্রদানের সম্পর্ক বিলুপ্ত হয়নি। তাই সে যুগের ভারতবর্ষের অনেক কথাই আমরা জানতে পেরেছি। গ্রিক লেখকদের প্রসাদে। সেলিউকস প্রেরিত গ্রিক দূত মেগাস্থিনিস লিপিবদ্ধ করে না রাখলে আমরা মৌর্য চন্দ্রগুপ্তের যুগে মগধ সাম্রাজ্য তথা অনেক কথাই জানতে পারতুম না। এজন্যে গ্রিসের কাছে ভারতবর্ষ হয়ে থাকবে চিরকৃতজ্ঞ।
প্রাকৃতিক জগতে যেমন কখনও মেঘ কখনও রোদের খেলা, কখনও আলো কখনও ছায়ার মেলা, প্রত্যেক দেশের সভ্যতার ইতিহাসেও তেমনই পরিবর্তনের লীলা দেখা যায়। মৌর্য চন্দ্ৰগুপ্ত মগধের বা ভারতের সিংহাসনে আরোহণ করেন খ্রিস্টপূর্ব ৩২৩ কি আরও দুই-এক বছর আগে। তার কিছু কম দেড় শতাব্দী পরে মৌর্য সাম্রাজ্য বিলুপ্ত হয়। তারপর ভারতবর্ষের ইতিহাসে দেখি সুঙ্গ, কন্ব ও অন্ধ প্রভৃতি বংশের কমবেশি প্ৰভূত্ব। ইতিমধ্যে গ্রীকরাও বারকয়েক ভারতের মাটিতে আসন পাতবার চেষ্টা করেছিল বটে, কিন্তু বিশেষ সুবিধা করে উঠতে পারেনি।
কেবল গ্রিকরা নয়, মধ্য এশিয়ার ভবঘুরে মোগলজাতি তখন থেকেই ভারতবর্ষে হানা দেবার চেষ্টা করছিল। মোগল বলতে তখন মুসলমান বোঝাত না (নিজ মঙ্গোলিয়ায় আজও বৌদ্ধধর্মাবলম্বী মোগলরা আছে) এবং মোগল বলতে আসলে কী বোঝায়। সে সম্বন্ধেও সকলের খুব পরিষ্কার ধারণা নেই। যুগে যুগে নানা জাতি মোগলদের নানা নামে ডেকেছে৷ এদের বাহন ছিল ঘোড়া, খাদ্য ছিল মাংস, পানীয় ছিল দুগ্ধ। গ্রিক ঐতিহাসিক হিরোদোতাস এদের ডেকেছেন “সিথিয়ান’ বলে, পরবর্তী যুগের রোমানরা এদের হুন’ নামে ডাকতেন, প্রাচীন ভারতে এদের নাম ছিল "শক", এবং চিনারা এদের নাম দিয়েছিল Hiungnu আসলে মোগল, শক, হুন, তাতার ও তুর্কিরা একরকম এক জাতেরই লোক, কারণ তাদের সকলেরই উৎপত্তি মধ্য এশিয়ায় বা মঙ্গোলিয়ায়। এই আশ্চর্য জাতি ধরতে গেলে এক সময়ে প্রাচীন পৃথিবীর অধিকাংশ সভ্য দেশকেই দখল করেছিল এবং ভারতবর্ষ তাদের অধিকারে এসেছিল দুইবার। প্রথমবারে তাদের বংশ কুষাণ বংশ বলে পরিচিত হয়। বৌদ্ধধর্মাবলম্বী বিখ্যাত সম্রাট কনিষ্ক এই বংশেরই ছেলে। দ্বিতীয়বারে তারা মোগল রাজত্বের প্রতিষ্ঠা করে।
এই সবই আমরা গল্পের মতো করে জানতে পারবো 'ঐতিহাসিক কাহিনী সমগ্র- হেমেন্দ্র কুমার রায়' -এর লেখা বইটি হইতে। এতে রয়েছে ঐতিহাসিক উপন্যাস ও গল্পের সমাহার।
বাংলা ডিজিটাল বই ঐতিহাসিক কাহিনী সমগ্র- হেমেন্দ্র কুমার রায় ডাউনলোড পিডিএফ
আপনাকে ধন্যবাদ জানানোর ভাষা নেই..
ReplyDeleteThank you bro.
ReplyDelete