কী আছে বেদে - সুবোধকুমার চক্রবর্তী পিডিএফ - বাংলা বই এর pdf ডাউনলোড-Bangla Digital Boi Pdf

Latest

Sunday, September 4, 2022

কী আছে বেদে - সুবোধকুমার চক্রবর্তী পিডিএফ


 কী আছে বেদে - সুবোধকুমার চক্রবর্তী, ধার্মিক বই পিডিএফ
ডিজিটাল বইয়ের নাম- 'কী আছে বেদে'
লেখক- সুবোধকুমার চক্রবর্তী
বইয়ের ধরন- ধর্ম সমন্ধীয় বই
ফাইলের ধরন- পিডিএফ
এই বইতে মোট পৃষ্টা আছে- ২০৭
ডিজিটাল বইয়ের সাইজ- ৩২এমবি
প্রিন্ট ভালো, জলছাপ মুক্ত

কী আছে বেদে - সুবোধকুমার চক্রবর্তী
 

একটা কথা ভেবে আশ্চর্য হতে হয়। বেদ ভারতের নিজস্ব সম্পদ, কিন্তু ভারতবাসীর কাছে কতটা সমদিত ছিল তা জানা যায় না। ভারতের বিভিন্ন ভাষায় এই অমূল্য গ্রন্থ রক্ষার কী ব্যবস্থা ছিল তা পণ্ডিত ব্যক্তিরাই হয়তো জানেন। আমরা শুনেছি যে জার্মান ভাষায় সামবেদের প্রথম অনুবাদ হয় ১৮৪৮ খ্রীষ্টাব্দে, তার চার বৎসর পর শুক্ল যজুর্বেদ। এই সময়ের মধ্যেই অর্থাৎ ১৮৪৮ থেকে ১৮৫১ খ্রীষ্টাব্দের মধ্যেই ফরাসী ভাষায় প্রকাশিত হয় Rigveda on livre de Hymnes। ম্যাক্সমুলার সাহেব ইংরেজী ভাষায় সায়ন ভাষ্য সহ সমগ্র ঋগ্বেদ সংহিতা ছয় খণ্ডে প্রকাশ করেন ১৮৪৯ থেকে ১৮৭৩ খ্রীষ্টাব্দের মধ্যে। রমেশচন্দ্র দত্ত বাঙলায় এই গ্রহের টীকা সহ অনবাদ প্রকাশ করেন ১৮৮৫ থেকে ১৮৮৭ খ্রীষ্টাব্দের মধ্যে। এই গ্রহও ছয় খণ্ডে প্রকাশিত হয় এবং এই গ্রন্থ পাঠ করেই আমরা ঋগ্বেদের সঙ্গে পরিচিত হবার সুযোগ পেয়েছি। দুর্গাদাস লাহিড়ী ১৯২৫ থেকে ১৯৩৬ খ্রীষ্টাব্দের মধ্যে চার বেদের উপরে একুত্রিশটি খণ্ড প্রকাশ করে গেছেন। বেদের অনুবাদ ও বেদ বিষয়ে আলোচনা গ্রন্থের কিছু নাম এই গ্রন্থের শেষে গ্রন্থপঞ্জীতে দেওয়া হয়েছে।

বেদ হিন্দুদের ধর্মগ্রন্থ বলে পরিচিত। কিন্তু গীতা বা চণ্ডীপাঠের মতো বেদ পাঠের কোন বিধান আমাদের প্রচলিত শাস্ত্রে নেই। অনেক বিদ্যালয়ে বিভিন্ন ধর্ম গ্রন্থের সঙ্গে ছাত্রদের পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু বেদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেবার কোন ব্যবস্থা আজও হয় নি। তাই আমরা এই মহাগ্রন্থের বিষয় বস্তুর সঙ্গে আজও পরিচিত হতে পারি নি এবং বেদকে ধর্মগ্রন্থ রূপে মেনে নিয়ে তার কাছ থেকে দূরে থাকতেই আমরা অভ্যস্ত হয়ে গেছি।
সত্যিই কি বেদ হিন্দুর ধর্ম গ্রন্থ ? যদি তাই হয় তবে এই গ্রন্থে ধর্মের কী বিধান আছে ? কোন ধর্ম কার্যে এই গ্রন্থের প্রয়োজন হয় ? এই প্রশ্নের উত্তর কে দেবেন জানা নেই। তবে বেদ পাঠের পর সাধারণ পাঠকের যে কথা মনে আসতে পারে তা বলি। ঋগ্বেদের ছত্রে ছত্রে ছড়িয়ে আছে ঋষিদের ‘দেহি দেহি রব— আমাদের ধন দাও, গোধন দাও, আর বধ কর আমাদের শত্রুদের। চাই ছাড়া দেবতাদের কাছে আর আমাদের বলবার যেন কিছু নেই। পাঠকের মন খারাপ হয়ে যাবে, মনে হবে যেন এক ভিখারীর জাতের প্রতিনিধিদের লেখা পড়ছি। ঋগ্বেদের প্রথম দিকের এই সমস্ত রচনা পডে বুঝতে কষ্ট হবে না যে আর্য নামের একটি জাতি স্বদেশ থেকে এই দেশে এসে প্রচণ্ড অভাবের মধ্যে জীবন যাত্রা আরম্ভ করেছিলেন। স্বদেশেও হয়তো তাদের অবস্থা এই রকমই ছিল। তার পর ভারতভূমি শস্যশামল হয়ে
গোধন ও পশু দিয়ে যখন এই অভাব দূর করল, তখনই তাঁদের ভাবনার ধারা পালটে গেল। এক দিন যারা সমান্য জীবনের জন্য সর্বস্ব পণ করেছিলেন, সম্পদের আস্বাদে সেই চিন্তা বদলে গেল, সৃষ্টি হল ধনী ও দরিদ্রের, সমাজে এল বর্ণাশ্রম ধর্ম। ভূমিহীন সম্পদহীন দাস বা অনার্য জাতি শুদ্র নামে পরিচর্যা করবে আর্য ব্রাহ্মণ ক্ষত্রিয় ও বৈশ্যের। বেদের কোনখানে চার বর্ণের একটিরও উল্লেখ নেই। হঠাৎ শেষ মণ্ডলে একটি সুক্ত পাওয়া গেল যে পুরুষের দেহ থেকে উৎপত্তি হয়েছে এই চার বর্ণের। বেদের নাম করে যে ক্ষমতাশালী ব্যক্তিরাই বর্ণ বিদ্বেষ সষ্টি করেছে, তাতে কোন সন্দেহ নেই। আজ দিন বদলেছে, পরাজিত নিপীড়িত জনগণই ফিরে এসেছে ক্ষমতায়। তাই বর্ণভেদের যুগ শেষ হয়ে যাচ্ছে, সমান জীবন যাত্রার দিন আসছে ফিরে। ফিরে আসছে বেদের সেই পুরনো দিনগুলি, মানুষ যখন মানুষের সঙ্গে মিলিত হত সমান অধিকারে। শত্রুর সংজ্ঞা এখন পালটে গেছে, অভাব এখন আমাদের শত্রু, শত্রু, দারিদ্র। অভাবের সঙ্গে যুদ্ধ করে আমাদের বাঁচতে হবে। পড়ে দেখতে হবে ঋগ্বেদের সেই প্রাচীন সমাজ ব্যবস্থা।

না, বেদ কোন ধর্ম গ্রন্থ নয়। ঋগ্বেদে দেবতার কাছে প্রার্থনা আছে, কোন ধর্মনিষ্ঠানের কথা নেই। তার বদলে আছে সেই প্রাচীন আর্য জাতির সরল অনাড়ম্বর জীবন যাত্রার কথা, নারীর মর্যাদার কথা, কবি কল্পনা ও দার্শনিক চিন্তার কথা। ঋবেদ একাধারে ইতিহাস ভূগোল ও প্রাচীন সাহিত্য সংস্কৃতির অপরূপ নিদর্শন। এই গ্রন্থের সমস্ত আলোচনাই ঋকবেদ অবলম্বন করে, প্রয়োজন মতো ঋক বা সূক্তের বাঙলা অনুবাদ ব্যবহার করা হয়েছে বেদের ভাষা প্রায় দর্বোধ্য বলে। বেদাঙ্গ ও বেদান্তের কথাও সংক্ষেপে বলা হয়েছে। আর চার বেদের পরিচয় দেবার সময়ে প্রত্যেকটি বেদ থেকে কিছু পরিচিত মন্ত্রের উদ্ধতি ও তার বাঙলা অনুবাদ দেওয়া হয়েছে পাঠক সাধারনের অবগতি ও রসাস্বদের জন্য। বলা বাহুল্য যে এই গ্রন্থ প্রণয়নে গ্রন্থ পঞ্জীতে উল্লিখিত বহু গ্রন্থেরই সাহায্য নেওয়া হয়েছে।

এই বইটির পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করুন অথবা অনলাইনে পড়ুন
প্রিয় পাঠকগণ, এই পোষ্ট হইতে আপনারা একটি হিন্দু ধর্ম সমন্ধীয় বই 'কী আছে বেদে - সুবোধকুমার চক্রবর্তী' -এর বাংলা পিডিএফ সংগ্রহ করিতে পারিবেন।

No comments:

Post a Comment