হার্ট নিয়ে একডজন - ডাঃ সুভাষ সান্যাল পিডিএফ - বাংলা বই এর pdf ডাউনলোড-Bangla Digital Boi Pdf

Latest

Sunday, September 18, 2022

হার্ট নিয়ে একডজন - ডাঃ সুভাষ সান্যাল পিডিএফ


 হার্ট নিয়ে একডজন - ডাঃ সুভাষ সান্যাল, স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বই পিডিএফ
ডিজিটাল বইয়ের নাম- 'হার্ট নিয়ে একডজন'
লেখক- ডাঃ সুভাষ সান্যাল
বইয়ের ধরন- স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বই
ফাইলের ধরন- পিডিএফ
এই বইতে মোট পৃষ্টা আছে- ১০৪
ডিজিটাল বইয়ের সাইজ- ১৫এমবি
অরজিনাল আপলোডার- বিনিতা চ্যাটার্জী
প্রিন্ট ভালো, জলছাপ মুক্ত, 

হার্ট নিয়ে একডজন

লেখকের কথা-

কথায় বলে—শরীর ব্যাধির মন্দির। শরীর থাকলে অসুখও থাকবে। হাল আমলের সমীক্ষাগুলো বলছে সারা দুনিয়ায় যত মানুষ অসুখে ভুগে মারা যান প্রতিবছর, তার সিংহ ভাগটাই পড়ে হাট, রক্তচাপ ও সেই সংক্রান্ত নানা অসুখের শিরোনামায়। কয়েকবছর আগে মাকিন যুক্তরাষ্ট্রের এক সমীক্ষায় জানা গেছে ওদেশে প্রতি বছর প্রায় আড়াই কোটি মানুষ এই ধরনের উপসর্গের শিকার হন, ফি-বছর এতে মারা যান অন্ততঃ ষাট হাজার জন ! শুধুমাত্র মাকিন যুক্তরাষ্ট্রের পরিসংখ্যান যদি এই হয়, সারা দুনিয়ার হিসেবে সংখ্যাটা কোথায় গিয়ে দাঁড়াচ্ছে—ভাবতেও ভয় হয়।
১৯৮০-র শেষের দিকে, ছোটদের জন্য মাসিক বিজ্ঞান পত্রিকা বিজ্ঞানমেলা’র তরফে সম্পাদক, আমাকে অনুরোধ করেন পত্রিকার ‘শরীর-স্বাস্থ্য বিভাগটির দায়িত্ব নিতে। উদ্দেশ্য—শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের কাজকর্মের সঙ্গে কিশোর পাঠক পাঠিকাদের পরিচয় করিয়ে দেওয়া। প্রথম কিস্তির লেখা শর; হয়েছিলো হার্ট নিয়ে। ইচ্ছে ছিলো পরের সংখ্যায় অন্য কিছু নিয়ে লেখার। অসংখ্য পাঠক-পাঠিকার অনুরোধে এবং পত্রিকা সম্পাদকের নির্দেশে হাট নিয়ে অন্ততঃ দু-ডজন লেখা লিখতে হয়েছিলো ১৯৮১ থেকে ৮৩—এই তিনবছর সময়ে। তারই অংশবিশেষের পরিমার্জন ও পরিবর্ধন করে লেখা হলো ‘হার্ট নিয়ে একডজন’। এ কাজে বন্ধুবর সুভাষ দাস ও সাধন দাশগুপ্তের কাছে কৃতজ্ঞ না হয়ে উপায় নেই।
অনেকে হয়তো প্রশ্ন তুলবেন-বিজ্ঞানের বই, তাতে গল্পের ঢং-এর অবতারণা কেন ? কেনই বা ইংরেজী শব্দের এত ছড়াছড়ি ? সাধারণ মানুষের কাছে বিজ্ঞানকে পৌঁছে দেবার দায়িত্ব সম্পর্কে আমার বাস্তব অভিজ্ঞতা বলে— বিজ্ঞান অনেকটা তেতো ওষধের মতো। তেতো ওষধের ওপর যেমন ক্যাপসুলের মোড়ক দেওয়াই নিরাপদ, তেমনি বিজ্ঞানকে গল্প, কথোপকথনের বা ঐ রকম কোনো মোড়কে গড়ে পরিবেশন করলেই বোধহয় সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছোয় চটপট-বিশেষতঃ পাঠক-পাঠিকা যদি বয়সে নবীন হয়। এ বই আগাগোড়া কথ্যভাষার ঢং-এ লেখার চেষ্টা করেছি, প্রচলিত মুখের ভাষায় এখন বাংলা আর ইংরাজী মেশামেশি, এখানেও তাই সেটা পাল্টানোর চেষ্টা করিনি। এ বই-এর প্রধান দুটি চরিত্র দুই ভাইবোন—গাবলু আর টুপী। তাদের রোজকার জীবনে নানা অভিজ্ঞতা আর প্রশ্নের কাঠামোয় রঙতুলি বলিয়েছে। সদ্য পাশ করা ডাক্তার—ছোটমামা। ছোটমামার গল্প গবিল-
টপ কতটা বুঝতে পারলো তা জানার জন্যেই বোধহয় কথার ফাঁকে ফাঁকে সত্যবাবু এসেছেন। এই চারজন --নিজেদের ভূমিকা কে কতটা পালন করলেন, সে বিচারের ভার পাঠক-পাঠিকাদের। সবশেষে একটা প্রশ্ন থেকেই যায়, হাটের মতো জটিল বিষয়, কিশোরকিশোরীদের কাছে অবতারণা করার দরকারটা ছিলো কি? বোধহয় ছিল। যদিও বলা হয়, হার্টের অসুখের সত্ৰপতি মোটামুটিভাবে চল্লিশ বহুর বয়সের পর থেকে, তবু আজ এটা প্রমাণিত হয়েছে রোগের প্রথম সুত্রপাত ঘটে আরো দশ কি পনেরো বছর আগে, চল্লিশের পর তার বহিঃপ্রকাশ ঘটে মাত্র ! ত্রিশ-বছরে যে গণ্ডগোলের সুত্রপাত, তা কিন্তু আবার একদিনে আসে না, রোজকার জীবনে নানা খুঁটিনাটি অভ্যেস, খাওয়াদাওয়া, জীবনযাপনের ধারা, মানসিক উদ্বেগ, সব কিছুই এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে। ছোট বয়স থেকেই যদি কারণগুলো সম্পকর্কে একট, ওয়াকিবহাল হওয়া যায়, আখেরে তাতে লোকসান নেই, বরং লাভই আছে।
এছাড়া, ধন্যবাদ জানাই মণ্ডল এ্যাণ্ড সন্সের শ্রীশঙ্কর মণ্ডলকে, যাঁর সক্রিয় সহযোগীতা ছাড়া এ বই পাঠক-পাঠিকাদের হাতে তুলে দেওয়াই সম্ভব হতো না।
এই বই যদি সেই পরিপ্রেক্ষিতে পাঠক-পাঠিকাদের সামান্যতম কোন সাহায্য করতে পারে, তবেই এ লেখা সার্থক হবে।- ডাঃ সুভাষ সান্যাল


* স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়ে আরো বই সংগ্রহ করুন-  স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বই

হার্ট নিয়ে যত ভয়, যত ভাবনা, তার অনেকটা অজানা বলেই। জানলে, ভয়ভাবনা কমে, আশঙ্কাকে এড়িয়ে থাকা যায়। সেই জানানোর প্রচেষ্টা রয়েছে বইটিতে।

এই বইটির পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করুন অথবা অনলাইনে পড়ুন
প্রিয় পাঠকগণ, এই পোষ্ট হইতে আপনারা একটি স্বাস্থ্য সংক্রান্ত খুবই গুরুত্বপূর্ণ বই 'হার্ট নিয়ে একডজন' -এর অনুবাদিত বাংলা বই পিডিএফ সংগ্রহ করিতে পারিবেন।

No comments:

Post a Comment