এলবার্ট আইনস্টাইন : সঙ্গ ও নিঃসঙ্গ - সাধন দাশগুপ্ত পিডিএফ - বাংলা বই এর pdf ডাউনলোড-Bangla Digital Boi Pdf

Latest

Wednesday, September 7, 2022

এলবার্ট আইনস্টাইন : সঙ্গ ও নিঃসঙ্গ - সাধন দাশগুপ্ত পিডিএফ


 এলবার্ট আইনস্টাইন : সঙ্গ ও নিঃসঙ্গ - সাধন দাশগুপ্ত, বাংলা বই পিডিএফ
ডিজিটাল বইয়ের নাম- 'এলবার্ট আইনস্টাইন : সঙ্গ ও নিঃসঙ্গ'
লেখক- সাধন দাশগুপ্ত
বইয়ের ধরন- জীবনীমুলক বই
ফাইলের ধরন- পিডিএফ
এই বইতে মোট পৃষ্টা আছে- ২১৬
ডিজিটাল বইয়ের সাইজ- ১৮এমবি
প্রিন্ট ভালো, জলছাপ মুক্ত

এলবার্ট আইনস্টাইন : সঙ্গ ও নিঃসঙ্গ

বিংশশতাব্দীর বিজ্ঞানচিন্তার ক্ষেত্রে আইনস্টাইন একপরম বিস্ময়। বিস্ময়ের কারণ বহু। তিনি যে কয়টি প্রবন্ধ লিখলেন তারা একদিকে যেমন ছিল যুগান্তকারী, অন্যদিকে সেগুলিই বিজ্ঞানচিন্তার জগতে নবদিগন্তে পথনির্দেশ করছে। বিশ্বসৃষ্টির অপার রহস্যের সন্ধান বিজ্ঞানসাধনায় প্রধানতম লক্ষ্য। শিল্পী, দ্রষ্টা ও কবির সম্মুখে বিশ্বের অনন্ত সৌন্দর্য ও অপার সুষমা প্রতিভাত হয়—তবু তার সামগ্রিক উপলব্ধি নিরন্তর কঠিন সাধনার দ্বারাই সম্ভব। যে মনে ঐ সৌন্দর্যের ছোঁয়া লাগে, তাকে আনুষ্ঠানিক অনুশীলনের সীমার মধ্যে ধরে রাখা যায় না। হয়তো এজন্যই বিদ্যায়তনের নিরানন্দ শিক্ষা-পদ্ধতি আইনস্টাইনের মনে সায় পায় নি।

বিজ্ঞানের সাধনার ক্ষেত্রে তাঁকে মনে হয়েছে নিবাসক্ত। এই আসক্তিহীনতা তাঁকে শুষ্ক সন্ন্যাসী হতে দেয়নি, কারণ তাঁর মনের গঠন, তাঁর সৌন্দর্যপিপাসা। উপনিষদে একে বলা হয়েছে, তিনি আনন্দ, তিনি সরস, তিনি কবি। তাঁর নিজস্ব বিজ্ঞানের সত্যের সন্ধানে তিনি সৌন্দর্যরসিক; কারণ সত্য শুধু অদ্বৈত নয় তাঁর সত্য মঙ্গলময় শিব, সে সুন্দর। কবি রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে আলোচনাকালে সেই সর্বব্যাপী এবং মঙ্গলময় সুন্দর-সুকুমার সতত্যর কথা বললেন। এই কারণে তিনি মানবতাবাদী, শান্তিবাদী। এখানেও তিনি সৌন্দর্যপিয়াসী।
হিটলারের অখানে মানব মুল্যবোধের ধংসের সুচনা দেখলেন। আবার মহাযুদ্ধের কালে এবং পরে দেখা গেল চিরায়ত লোকায়ত মানব মূল্যবোধের অবক্ষয় ; এর জন্য দায়ী বিজ্ঞানের প্রয়োগবিদ্যা, প্ৰলিত ধারণাকে বিজ্ঞানের ভেঙ্গে ফেলা—এই তাঁর বিশ্বাস। লোকায়ত বিশ্বাসকে প্রচলিত ধর্ম লোকোত্তরে উত্তীর্ণ করতে পারছে না-কেননা সেখানে নেই মহান চিন্তার মুখরতা; সমানত্বের সাধনা।
চিন্তার এই দিশেহারা কালে ১৯৩৪ সালে তিনি বললেন, ‘অহংবোধের মুক্তির চেতনা ও পরিমাণের উপর মুখ্যত মানব মূল্যায়ন স্থির হয়। আমার দৃঢ় বিশ্বাস পথিবীর সব সম্পদ উৎসর্গিত-প্রাণ কর্মীদের হাতে এলেও মানব জাতির অগ্রগতি ঘটে না একমাত্র বিশিষ্ট ও স্বতন্ত্র মহাপুরুষরা আমাদের সৎচিন্তা ও সৎকর্মের পথে নিয়ে যেতে পারে। অর্থ শুধু স্বার্থ সিদ্ধির উপায়, শুধু দুর্দম অপব্যবহারের পথ দেখায়। মুসা যিশু অথবা গান্ধী যে কার্নেগীর টাকার থলি নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন একথা কি কল্পনা করা যায়? তাঁর চিন্তার আড়ালে আছে মৈত্রেয়ীর উক্তি—'যাতে আমি অমৃতা হব না, তা নিয়ে আমি কি করব? আর আছে মহাভারতীয় ঘোষণা- মহাজনদের পথই পথ। এই মহাজনরা নিঃস্বার্থপর, চিন্তাবিদ, যুক্তিবান; এঁরা স্বতন্তু, বিশিষ্ট এঁরা সত্যদ্রষ্টা অথবা সত্যান্বেষী। বিজ্ঞানের সত্যের পথযাত্রীরা সেই মহতোমহীয়ান পথের সচনার ইঙ্গিত জানতে পারে। এঁরাই সত্যকাম-ব্রাক্ষণ। এঁদের হাতে উপনিষদের নব ব্যাখ্যা গড়ে উঠবে, মানব জাতির নবমূল্যায়ন স্থিরীকৃত হবে। বিজ্ঞানীদের দায়িত্ব অনেক, এই তাঁর বিশ্বাস, তাঁর প্রত্যয়। কারণ বিজ্ঞানই ধর্মের পরিপূরক- যা সমাজকে ধারণ করে তার সহযোগী।

সংগ্রহ করুন এলবার্ট আইনস্টাইনের জীবন ও কালের কথা।

এই বইটির পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করুন অথবা অনলাইনে পড়ুন
প্রিয় পাঠকগণ, এই পোষ্ট হইতে আপনারা একটি জীবনীমুলক বই 'এলবার্ট আইনস্টাইন : সঙ্গ ও নিঃসঙ্গ - সাধন দাশগুপ্ত' -এর বাংলা পিডিএফ সংগ্রহ করিতে পারিবেন।

No comments:

Post a Comment