ত্রৈলঙ্গস্বামী সমগ্র - অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়, জীবনীমুলক বই পিডিএফ
ডিজিটাল বইয়ের নাম- 'ত্রৈলঙ্গস্বামী সমগ্র'
লেখক- অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়
বইয়ের ধরন- জীবনীমুলক
ফাইলের ধরন- পিডিএফ
এই বইতে মোট পৃষ্টা আছে- ৪৪৪
ডিজিটাল বইয়ের সাইজ- ১৫এমবি
প্রিন্ট খুব ভালো, জলছাপ মুক্ত, ক্লিকেবল সূচীপত্র
ত্রৈলঙ্গ মহারাজ বারাণসীর ভৈরব। দীর্ঘ সাধনজীবন তিনি এই তীর্থভূমিতে অতিবাহিত করেছিলেন। তাঁর সম্পর্কে যা লেখা হয়েছে সব লেখাতেই তাঁর অলৌকিকত্বই প্রাধান্য পেয়েছে। প্রথম হল, তাঁর অবিশ্বাস্য দীর্ঘ জীবন। তিনি দেহে ছিলেন দুশো আশি বছর। এটি একটি অকল্পনীয় ব্যাপার। প্রাণায়াম সিদ্ধ যোগীদের আয়ু দীর্ঘ হয়, কারণ তাঁদের শ্বাসপ্রশ্বাস নিয়মিত। যাঁরা কুম্ভকে দীর্ঘক্ষণ থাকেন, মৌনাবলম্বন করেন তাঁদের পরমায়ু স্বাভাবিকভাবেই দীর্ঘ হয়। যুক্তি বা বিজ্ঞান হল—বারে বারে শ্বাস নিলে আয়ু খরচ হয়ে যায়। একজন মানুষ কতবছর বাঁচবেন তা নির্ভর করে তাঁর শ্বাসের নিয়ন্ত্রণের ওপর। আয়ু বছরে নয়, শ্বাসপ্রশ্বাসের অঙ্কে নির্ধারিত। ত্রৈলঙ্গস্বামী কুম্ভকে থাকতেন এবং মৌনী। যাঁরা ব্ৰহ্ম সাধন করেন তাঁদের পদ্ধতি এইরকমই।
এই জীবনীতে লেখক অনেক পরিশ্রম করে ত্রৈলঙ্গ মহারাজের সাধনার দিকটি দেখাবার চেষ্টা করেছেন। তিনি কি সাধন করেছিলেন? সচল বিশ্বনাথ এই বিশেষণটি দিয়ে কিস্তিমাত করা যায় না। দুশো আশি বছরের একটি জীবন, তাঁর বার্ধক্য না থাকলেও শৈশব, যৌবন, প্রৌঢ়ত্ব—স্বাভাবিকভাবেই ছিল। দেহ ধারণ করলে এই স্তরগুলি টপকে যাওয়া যায় না, ত্রৈলঙ্গস্বামী বৈষ্ণব, শাক্ত না শৈব, না অঘোরী, কিংবা তান্ত্রিক এটি জানা দরকার। প্রায় সব জীবনীতেই তাঁর কাশী পর্বটি প্রাধান্য পেয়েছে। আগে কী হয়েছে এই অনুসন্ধান তেমনভাবে হয়নি। লেখক সেই কাজটি করেছেন। তাঁর পারিবারিক জীবনের কথা বলেছেন। পরিবার ছাড়া মানুষ কোথায় আসবে। বিভিন্ন জীবনীতে সংক্ষেপে এইসব কথা বলা হয়েছে। গ্রন্থাকারের লেখায় সেটি বেশ বিস্তারিত। কারণ তিনি অনেক অনুসন্ধানে বেশ কিছু নতুন তথ্য সংগ্রহ করেছেন। ত্রৈলঙ্গ মহারাজের বর্তমান উত্তরাধিকারদের কাছ থেকে। তাঁর পরিবারের সদস্যরা সম্পূর্ণ অবলুপ্ত হননি। পূর্বের জীবনীকাররা এই তথ্যভাণ্ডারের দিকে হাত বাড়াননি, কারণ তাঁরা ত্রৈলঙ্গস্বামীর জীবনের অলৌকিক ঘটনাগুলিকেই গুরুত্ব দিতে চেয়েছেন। তাঁর শ্রেষ্ঠত্ব বোঝাবার জন্য এই প্রয়াস। কিন্তু প্রশ্ন হল, ত্রৈলঙ্গ মহারাজ কোন গুরুর আশ্রয়ে কী সাধন করে এমন অলৌকিক সিদ্ধমহাপুরুষ হয়েছিলেন। তিনি যে প্রায় তিন শতাব্দী ধরে স্বমহিমায় বিরাট ও স্বরাট–সে বিষয়ে কোনও বিতর্ক নেই। তিনি তিনিই, তুলনাহীন, দ্বিতীয় কেউ নেই।
তাঁর জীবন ঈশ্বর পরিচালিত। তিনি কিন্তু মা গঙ্গার পুত্র। এই গঙ্গাবক্ষে ছিল তাঁর লীলা প্রসারিত। কখনও কাষ্ঠখণ্ডের মতো ভাসছেন, কখনও তলিয়ে যাচ্ছেন। তিনি কী সাধন করেছিলেন তা জানতে হলে তাঁর প্রিয় শিষ্য উমাচরণ মুখোপাধ্যায়কে যে শাস্ত্রটি তৈরি করে দিয়ে গিয়েছিলেন, যার নাম 'মহাবাক্য রত্নাবলী', পড়তে হবে। নিরাকার ব্রহ্মের সাধনা। ত্রৈলঙ্গস্বামী জ্ঞানমার্গী, অষ্টসিদ্ধির অধিকারী। আমিই ব্ৰহ্ম—এই বাক্যটির সাক্ষাৎ প্রতিমূর্তি। এই জীবনীটি সর্ব অর্থে ব্যতিক্রমী। লেখক কতটা পরিশ্রম করেছেন তা পাঠ করলেই পাঠকগণ বুঝতে পারবেন। ভারতবর্ষের সাধন ঐতিহ্যের হিমালয় ত্রৈলঙ্গস্বামী। অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়ের এই প্রয়াস শুধু সাহিত্য নয়, সাধনা। মাসের পর মাস ত্রৈলঙ্গ ভাবনায় ভাবিত হয়ে নিবিড় এক তপস্যার কাল অতিবাহিত করেছে। আগে হৃদয়ে ধারণ, পরে উদগিরণ। এমন সমাবেশ এক তপস্যা।-
এই বইটির পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করুন অথবা অনলাইনে পড়ুন
প্রিয় পাঠকগণ, এই পোষ্ট হইতে জীবনীমুলক 'ত্রৈলঙ্গস্বামী সমগ্র - অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়' -এর বাংলা পিডিএফ সংগ্রহ করিতে পারিবেন।
No comments:
Post a Comment