মুক্তি-সংগ্রাম (১৯৩৫-৪২) - নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু, বাংলা বই পিডিএফ
ডিজিটাল বইয়ের নাম- 'মুক্তি-সংগ্রাম (১৯৩৫-৪২)'
লেখক- সুভাষচন্দ্র বসু
বইয়ের ধরন- ইতিহাস সমন্ধীয় বই
ফাইলের ধরন- পিডিএফ
এই বইতে মোট পৃষ্টা আছে- ১১৩
ডিজিটাল বইয়ের সাইজ- ৮এমবি
প্রিন্ট ভালো, জলছাপ মুক্ত,
মুল ইংরাজী হইতে নীরেন্দ্রনাথ চক্রবতী কর্তৃক অনুদিত।
গত অর্ধ-শতাব্দীব্যাপী ভারতের নব অভুত্থান ও মুক্তি-সংগ্রামের ইতিহাস নেতাজী সুভাষচন্দ্রের জীবন-সংগ্রামের মধ্যেই প্রতিফলিত হইয়াছে। এই মহাজাতির সেই গৌরবময় ইতিহাস যথার্থভাবে উপলব্ধি করিতে হইলে নেতাজীকে বুঝিতে হইবে, তাঁহার লেখনী ও বাণী হইতে প্রেরণা ও শিক্ষালাভ করিতে হইবে।
নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর “মুক্তি-সংগ্রাম” এ-বিষয়ে একখানি প্রামাণ্য গ্রন্থ। ইহা ইংরাজী ভাষায় রচিত এবং ভারতে প্রকাশিত হইয়াছে। বাংলার জনসাধারণের স্বার্থে বইখানি বাংলা ভাষায় প্রকাশের ব্যবস্থা হইয়াছে। নেতাজীর "মুক্তি-সংগ্রাম” ১৯৩৫ সালে প্রথম ইংলণ্ডে প্রকাশিত হয়। আলোচ্য পুস্তকখানি সেই গ্রন্থেরই শেষাংশ। ভারতের স্বাধীনতাসংগ্রামের যুগসন্ধিক্ষণের সঙ্কটময় অধ্যায় ইহাতে বর্ণিত হইয়াছে। ভারতীয় বিপ্লবের শ্রেষ্ঠ নায়কের সুলিখিত সেই ইতিহাস পড়িবার অপূর্ব সুযোগ বাংলার নরনারী ইহাতে পাইবেন। কেবল তাহা নহে, ভবিষ্যতের সন্ধান ও পথের ইঙ্গিতও নেতাজী এই পুস্তকে দিয়াছেন।
*এছাড়া আপনারা নেতাজি সমন্ধীয় আরো বই পেতে পারেন-
> তরুনের স্বপ্ন - সুভাষচন্দ্র বসু
> নেতাজী সঙ্গ ও প্রসঙ্গ- নরেন্দ্র নারায়ন চক্রবর্ত্তী
নেতাজীর পূর্ব প্রকাশিত গ্রন্থের ন্যায় এই পুস্তকখানিও ইউরোপে ইংরাজী ভাষায় রচিত হইয়াছিল। ইহার প্রণয়নকালে তাঁহার সুযোগ্যা পত্নী তাঁহাকে বিশেষভাবে সাহায্য করিয়াছিলেন এবং তাঁহারই সৌজন্যে ইহা বাংলা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভবপর হইল।
ভারত হইতে ঐতিহাসিক অন্তর্ধানের পর ১৯৪১ খৃষ্টাব্দের এপ্রিল মাসে জার্মাণীতে পৌছিয়াই সুভাষচন্দ্র বহিভারতে আজাদ হিন্দ আন্দোলন গড়িয়া তুলিবার কার্যে আত্মনিয়োগ করেন। এই আন্দোলনের ভিত্তি স্থাপনের পর ১৯৪১ খৃষ্টাব্দের সেপ্টেম্বর মাসে কিছুদিনের জন্য বিশ্রামলাভের আশায় তিনি অস্ট্রিয়াস্থিত বাদগাস্টাইন শহরে যান। সেখানে এই পুস্তক রচনা আরম্ভ হয়। ১৯৪৩ খৃষ্টাব্দের ফেব্রুয়ারী মাসে পূর্ব-এশিয়ায় ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের সর্বাধিনায়কত্ব গ্রহণের জন্য নেতাজীকে সাবমেরিণযোগে বিপদসঙ্কুল সমুদ্রযাত্রা করিতে হয়। ইউরোপ-ত্যাগের পূর্বেই তাঁহার অতি-কর্মব্যস্ত জীবনের অবসর সময়ে তিনি এই পুস্তক রচনা শেষ করেন।
নেতাজীর কর্মনীতি ও চিন্তাধারার মৌলিকত্ব, তাঁহার রাজনৈতিক মতবাদ ও জীবনদর্শনের বৈশিষ্ট্য আমাদের এক নতুন আলোকের সন্ধান দেয়। তাঁহার সেই সুনির্দিষ্ট, সুপরিকল্পিত মত ও পথই আজ সুভাষবাদ’রূপে স্বীকৃতি লাভ করিয়াছে। সুভাষবাদের অন্তর্নিহিত ভাব ও অর্থ সম্যক ভাবে উপলব্ধি করা যাহাতে সাধারণ বাঙালী পাঠকের পক্ষে সহজ হয়, সেই উদ্দেশ্যে নেতাজীর তিনটি অনন্যসাধারণ প্রবন্ধ এই গ্রন্থের পরিশিষ্টে সন্নিবিষ্ট করা হইল। প্রথমটি ‘সংগ্রাম ও তাহার পর’–১৯৩৩ খৃষ্টাব্দে লণ্ডনে অনুষ্ঠিত ভারতীয় রাজনৈতিক সম্মেলনের সভাপতির অভিভাষণ। দ্বিতীয়টি, 'ফরওয়ার্ড ব্লকের প্রয়োজনীয়তা'—১৯৪১ খৃষ্টাব্দের ফেব্রুয়ারী-মার্চ মাসে কাবুলে লিখিত হইয়াছিল। তৃতীয়টি, ভারতের মৌলিক সমস্যা সম্বন্ধে ১৯৪৪ খৃষ্টাব্দে টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ে নেতাজীর বক্তৃতা।
ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রকৃত রপ, গতি ও লক্ষ্য যথার্থভাবে উপলব্ধি করিতে এবং সুভাষবাদের প্রকৃত অর্থ হদয়ঙ্গম করিতে নেতাজীর এই পুস্তক যথেষ্ট সহায়তা করিবে। - বিভাবতী বসু
এই বইটির পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করুন অথবা অনলাইনে পড়ুন
প্রিয় পাঠকগণ, এই পোষ্ট হইতে আপনারা ভারতের স্বাধীনতা বিষয়ক একটি মূল্যবান বই 'মুক্তি-সংগ্রাম (১৯৩৫-৪২) - সুভাষচন্দ্র বসু' -এর বাংলা পিডিএফ সংগ্রহ করিতে পারিবেন
No comments:
Post a Comment