ব্রহ্ম পুরাণ - ধর্মশাস্ত্র পিডিএফ - বাংলা বই এর pdf ডাউনলোড-Bangla Digital Boi Pdf

Latest

Friday, December 17, 2021

ব্রহ্ম পুরাণ - ধর্মশাস্ত্র পিডিএফ


 ব্রহ্ম পুরাণ - ধর্মশাস্ত্র বাংলা পিডিএফ
ডিজিটাল বইয়ের নাম- 'ব্রহ্ম পুরাণ'
বইয়ের ধরন- হিন্দু ধর্মগ্রন্থ
ফাইলের ধরন- পিডিএফ
এই বইতে মোট পৃষ্টা আছে- ৪২৯
ডিজিটাল বইয়ের সাইজ- ৪৬এমবি
প্রিন্ট ভালো, জলছাপ মুক্ত, 

ব্রহ্ম পুরাণ

বৈদিক সাহিত্য প্রধানত ব্রাহ্মণ্যধারার ইতিহাসকেই বহন করে। সে যুগে বেদ ছিল মুনি, ঋষি, জ্ঞানী, গুণী ব্যক্তিদের মধ্যে সীমাবদ্ধ ; ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয় ও বৈশ্য ছাড়া অন্যান্য জনসাধারণের বেদমার্গে প্রবেশের অধিকার ছিল না। এদিক দিয়ে বিচার করলে বৈদিক ধর্ম বা বৈদিক সাহিত্যকে জনগণের ধর্ম বা সাহিত্য বলা যায় না। পুরাণ সেই ধর্মকে, সেই সাহিত্যকে লোকশিক্ষার বাহনরূপে সাধারণের মধ্যে প্রচার করল। সমাজের তথাকথিত নিম্নস্তরের অধিবাসীদের সঙ্গে বেদের বা বেদশাসিত অনুশাসনের প্রত্যক্ষ যোগাযোগ ছিল না। সেজন্যই দেখা যায় ভাষার কাঠিন্যকে দূর করে, শুষ্ক কর্মকাণ্ডকে ভক্তিরসে সঞ্জীবিত করে বৈদিক ধর্মেরই এক নবীন ভাষ্য পুরাণে রচিত হয়েছে। পৌরাণিক ব্রাহ্মণগণ বৈদিক ধর্মকে অবজ্ঞা করেন নি, যুগধর্মের পরিপ্রেক্ষিতে তার সংস্কার সাধন করেছেন মাত্র। হিন্দুব, ধর্ম, জ্ঞান ও সংস্কৃতির সাধারণীকরণ হল পুরাণের বিশেষ অবদান। সনাতন ভারতীয় ধর্মের এই যুগোপযোগী ধারাভাষ্য রচনা ব্যাসদেবেরই অন্যতম কীর্তি। বৈদিক চিন্তাধারাকে সাধারণের উপযোগী করে প্রচার করে ব্যাস এবং তাঁর অনুগামীরা বিশ্বমানবের যে কল্যাণ সাধন করে গিয়েছেন, সেজন্য অনাদি, অনন্ত কাল ধরে আপামর জনসাধারণ তাদের উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধা নিবেদন করে যাবে। মূলত এঁদের প্রচেষ্টার গুণেই বৈদিক ঋষিদের সাধনালব্ধ এক অখণ্ড ব্রহ্ম পৌরাণিকদের প্রেমের দৃষ্টিতে ভক্তি মধুময় স্পর্শে অনেক হয়ে উঠল। একটিই পরমতত্ত্ব ভিন্ন রপ ও নামে বিচিত্র শক্তিসম্পন্ন, সামর্থযুক্ত এবং সৌন্দর্যমণ্ডিত হয়ে নিজেকে প্রকটিত করল, একেই সৃষ্টির লীলাবিলাস বলে। মানুষের ইতিহাস-বিশেষ করে ভারতবর্ষের প্রাচীন ইতিহাস বর্ণনা পুরাণের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য-এ বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। বিচক্ষণ ঐতিহাসিকের নিরপেক্ষ দৃষ্টি নিয়ে যদি কেউ বিচার করেন, তবে পুরাণে বর্ণিত কাহিনীসমূহের মধ্যে ভারতবর্ষের প্রাচীন যুগের ইতিহাসের যত উপাদান আছে অন্য কোথাও তা পাওয়া যাবে না। 'সূত’ দের বিশেষ কাজই ছিল দেবতা, ঋষি, রাজা ও মহান ব্যক্তিগণের বংশাবলী ও কাজকর্ম সম্পর্কে সঠিক বিবরণ সংরক্ষণ করা ; পুরাণের প্রাথমিক উপাদান হিসেবে আমরা একেই চিহ্নিত করতে পারি। ভারতবর্ষের প্রাচীনতম পুরাণখানি যদি আমাদের পক্ষে পাওয়া সম্ভব হত, তবে অনেক জিজ্ঞাসার সদুত্তর আমরা পেয়ে যেতে পারতাম। তাহলেও এ কথা নিঃসঙ্কোচেই বলা যায় যে, বর্তমানে প্রচলিত পুরাণগুলোতে ভারতবর্যের রাজবংশের যে ইতিহাস সংরক্ষিত আছে, তার এক বড় অংশের ঐতিহাসিক সত্যতাকে স্বীকার করে নিতেই হয়! পাশ্চাত্য পণ্ডিত Pargiter-ই প্রথম পুরাণগুলোর ঐতিহাসিক মূল্যের উপর আলোকপাত করেন। ইতিহাস-বর্ণনা পুরাণের অন্যতম লক্ষ্য হলেও এর প্রধান উদ্দেশ্য হল সমস্ত সংসার শ্রীভগবানের লীলাবিলাস এ কথা প্রতিপন্ন করা। সুতরাং বৈদিক ধর্মকে লোকপ্রিয় করার যে পুণ্য তা পুরাণকারদেরই প্রাপ্য।

ব্রহ্মপুরাণের রচনা স্থান কি-সে সম্পর্কে নিশ্চিতভাবে কিছু বলা কঠিন। তবে মনে হয় এর কিছু কিছু অংশ বিভিন্ন স্থানে রচিত হয়েছিল। এই পুরাণের মতে পৃথিবীর মধ্যে ভারতবর্ষই শ্রেষ্ঠ এবং ভারতবর্ষের মধ্যে দণ্ডকারণ্য প্রধান। এই দণ্ডকারণ্যের মধ্য দিয়ে গোদাবরী নদী প্রবাহিত এবং এই নদীই নদীদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ। ব্রহ্মপুরাণের ৬৯ অধ্যায় থেকে ১৭৫ অধ্যায় পর্যন্ত মোট ১০৬টি অধ্যায় জড়ে এই নদীতীরে অবস্থিত সমস্ত তীর্থক্ষেত্রের সম্পূর্ণ বিবরণ আছে। এই পুরাণকারের দণ্ডকারণের বা গোদাবরী তটপ্রান্ত ভূখণ্ডের উপর বিশেষ আগ্রহ লক্ষ্য করে বলা যায় যে, এই অধ্যায়গুলোর রচনাস্থান গোদাবরী প্রদেশ । আবার প্রথম থেকে উনসত্তর অধ্যায় পয়ন্ত উড়িষ্যায় রচিত হয়েছিল বলে মনে হয়। কারণ, এই অধ্যায়গুলোয় পুরুষোত্তম ক্ষেত্র (বর্তমান পুরী), কোণাদিত্য (বর্তমান কোণারক), একাম্রক্ষেত্র (বর্তমান ভুবনেশ্বর) প্রভৃতির কথা বলা হয়েছে। তাছাড়া জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রা এবং গুন্ডিবাযাত্রার কথাও বলা হয়েছে।
এর কালনির্ণয় প্রসঙ্গে পণ্ডিতেরা মনে করেন যে, এটি খ্রীষ্টীয় দশম শতকের পরে কিছুতেই বিরচিত বা সংকলিত হয় নি। ব্রহ্মপুরাণে প্রারম্ভিক শ্লোকের পর সৃষ্টিতত্ত্ব, সূর্যবংশ এবং চন্দ্রবংশে জাত রাজাদের কাহিনী সংক্ষেপে বিরচিত হয়েছে। তারপর ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে অবস্থিত নানা তীর্থ, ভূগোল বর্ণনা প্রভৃতি বিবৃত হয়েছে। দশটি অধ্যায় জুড়ে শিব ও পার্বতীর উপাখ্যান পাওয়া যায়। কিন্তু ব্ৰহ্মপুরাণের অধিকাংশ স্থান অধিকার করে রয়েছে 'গৌতমী মাহাত্ম'। শ্রীকৃষ্ণের চরিত্রের তথা যদবংশের বিস্তৃত বিবরণ বত্রিশটি অধ্যায় জড়ে দেখতে পাওয়া যায়। তারপর কয়েকটি অধ্যায়ে নরকের বর্ণনা দেখতে পাওয়া যায়। কিছু, অধ্যায়ে কর্মবিপাকের কথা, শ্রাদ্ধের কথা, ভবিষ্যৎ যুগের কথা, এবং সাংখ্য ও যোগদর্শনের কথা আলোচিত হয়েছে।....

উপরোক্ত বাংলা বইটির পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করুন অথবা অনলাইনে পড়ুন
প্রিয় পঠকগণ, এই পোষ্ট হইতে হিন্দু ধর্মগ্রন্থ বই- 'ব্রহ্ম পুরাণ'-এর পিডিএফ সংগ্রহ করিতে পারিবেন।

No comments:

Post a Comment