কৃষ্ণা কুন্তী এবং কৌন্তেয়- নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ী বাংলা বই
ডিজিটাল বইয়ের নাম- কৃষ্ণা কুন্তী এবং কৌন্তেয়
লেখক- নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ী
বইয়ের ধরন- প্রবন্ধ বই
ফাইলের ধরন- পিডিএফ
এই বইতে মোট পৃষ্টা আছে- ৪৭১
ডিজিটাল বইয়ের সাইজ- ১৯এমবি
প্রিন্ট খুব ভালো, জলছাপ মুক্ত
কথামুখ-
মহাভারতের চরিত্র বিশ্লেষণ বড় কঠিন কাজ। একেকটি চরিত্র একেকটি হীরক-খণ্ডের মতো। বিশেষত কর্ণের। বিশেষত কুন্তীর। বিশেষত যুধিষ্ঠিরের। এই হীরক-চরিত্রের কাঠিন্য ভেদ করা আমার সাধ্য ছিল না। আমার পূর্বজন্মা সাধক-মনীষীরা তাঁদের চেতনা বজ্রাঘাতে এই সব কঠিন চরিত্রের অন্তর ভেদ করেছেন। আমি সেই ছিদ্রপথে সুতোর মতো প্রবেশ করেছি মাত্রমণে বজ্র-সমুৎকীর্ণে সুত্রস্যেবাস্তু মে গতিঃ।।
কুন্তী কিংবা কর্ণচরিত্রের জটিলতা বাদ দিলেও যুধিষ্ঠিরের চরিত্র বোঝা মোটেই সহজ নয়। সাধারণ জনের মধ্যেই শুধু নয়, অনেক পরিপক্ক মানুষের মধ্যেও যুধিষ্ঠিরকে নিয়ে যখন আলোচনা হয়, তখন দেখি—যুধিষ্ঠিরকে তাঁরা ক্লীব, মেরুদণ্ডহীন, ঘটনার স্রোতে গা-ভাসানো এক নমনীয় ধার্মিক বলে প্রমাণ করার চেষ্টা করেন। আমি হলফ করে বলতে পারি—এঁরা মহাভারতের অন্তর্গত যুধিষ্ঠিরের চরিত্র কিছু বোঝেন না। যুধিষ্ঠিরকে বুঝতে হলে সেকালের সমাজকে বুঝতে হবে, ভারতবর্ষের দর্শনকে বুঝতে হবে, বুঝতে হবে নীতি যুক্তি ধর্ম, বুঝতে হবে—আবিল সংসারের মধ্যে থেকেও মানব-নীতির পূর্ণতায় পৌঁছনোর চেষ্টাকে। সেই চেষ্টার নামই যুধিষ্ঠির। পার্থ-তৃতীয় অর্জুনকে আমরা মহাভারতের নায়ক বলে মনে করি এবং তিনিই পঞ্চপাণ্ডব-প্রিয়া দ্রৌপদীরও প্রিয়তম নায়ক। তাঁকে আমরা তাই দ্রৌপদীর অব্যবহিত পূর্বে রেখেছি। অবশ্য কৌন্তেয়দের অনুক্রমেও তাঁর ওই জায়গাতেই থাকবার কথা।
মহাভারতের সব চেয়ে খাপছাড়া চরিত্র হলেন ভীম। ভীম এমনই একজন মানুষ, যিনি মা, ভাই এবং তাঁর এক-পঞ্চমাংশের স্ত্রীটিকে পাগলের মতো ভালবাসেন। ভাইদের অনুক্রমেও তিনি মাঝখানে আছেন এবং আমাদের অনুক্রমেও তিনি মহাভারতের ছয় চরিত্রের মাঝখানে বসে তাঁর শক্তি এবং ভালবাসা একসঙ্গে বিকিরণ করছেন সবার ওপরে।
আমরা আরম্ভ করেছি কুন্তীকে দিয়েই। কারণ তিনি চার পুত্রের গর্ভধারিণী জননী। গর্ভধারিণীকে আগে জানলে তাঁর পুত্রগুলিকেও বুঝতে সুবিধে হবে, বিশেষত কর্ণকে। জননীর পরিত্যক্ত বলে কর্ণের ওপরে, আমাদের যে মায়া আছে, সে মায়া থাকতে হবে কুন্তীর ওপরেও, কারণ। ব্যক্তিগত জীবনে তিনিও কম দুঃখী নন, কম অভাগা নন। কর্ণ যদি সর্বকালীন পাঠকের করুণার আধার হন, তবে কুন্তীকেও সেই করুণ রসের মাহাত্ম্যেই দেখতে হবে। সে জন্যও হয়তো দুই করুণ। চরিত্রকে আমরা প্রথমে এবং শেষে রেখেছি। যাতে জননী এবং পুত্র দুই মেরুতে থাকা সত্ত্বেও তাঁদের অন্তর্গত চরিত্রের করুণ রসটির সাজাত্য থাকে।
* পাঠকগণ, এই লেখকের আরো একটি বইয়ের পিডিএফ সংগ্রহ করতে পারেন -
> মহাভারত নীতি অনীতি দুর্নীতি
> মহাভারতের ভারতযুদ্ধ এবং কৃষ্ণ
মহাভারতে স্ত্রী-চরিত্রগুলির মধ্যে যে দীপ্তি আছে, সেই দীপ্তিতে সবচেয়ে উজ্জ্বল আমার কাছে কুন্তী এবং তাঁর পরেই দ্রৌপদী। পঞ্চস্বামীগর্বিতা দ্রৌপদীর জীবন বিভিন্ন মানবিক বৈচিত্র্যে বিশাল। তাঁর মতো আধুনিক এবং বিদগ্ধা রমণীর কল্পনা মহাভারতের কবি কীভাবে করেছিলেন তা। ভাবতে গেলে শুধু অবাক হওয়া ছাড়া অন্য কোনও গতি থাকে না। কিন্তু দ্রৌপদীর এই বিশাল। চরিত্রের চেয়েও আমার কাছে কুন্তীর চরিত্র আরও অনেক বেশি বর্ণময়, বৈচিত্র্যময়। একটি স্ত্রীলোকের জীবনে যে সব অনাকাঙ্ক্ষিত জটিলতা থাকতে পারে, সেগুলি থাকা সত্ত্বেও নিজেকে একটি স্থির লক্ষ্যের দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য যে ব্যক্তিত্ব লাগে, যে রুচি লাগে এবং যে আত্মসচেতনতা লাগে—সেই ব্যক্তিত্ব, রুচি এবং মর্যাদার প্রতিরূপ হলেন কুন্তী। মহাভারতে কুন্তীর চরিত্র তাই দ্রৌপদীর চেয়েও বেশি মানবিক, অন্তত আমার কাছে তাই।...লেখক
সূচিপত্র-
কুন্তী
যুধিষ্ঠির
ভীম
অর্জুন
দ্রৌপদী
কর্ণ
উপরোক্ত বাংলা বইটির পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করুন অথবা অনলাইনে পড়ুন
অথবা হাই কোয়ালিটির পিডিএফ সংগ্রহ করুন
*পিডিএফটি পড়ে ভালো লাগলে এইবইটির অরিজিনাল কপি পেতে পারেন এখান থেকে
প্রিয় পাঠকগণ সংগ্রহ করে নিন মহাভারতের উপর অসাধারণ একটি প্রবন্ধ বই- 'কৃষ্ণা কুন্তী এবং কৌন্তেয়- নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ী' বাংলা বই পিডিএফ।
ডিজিটাল বইয়ের নাম- কৃষ্ণা কুন্তী এবং কৌন্তেয়
লেখক- নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ী
বইয়ের ধরন- প্রবন্ধ বই
ফাইলের ধরন- পিডিএফ
এই বইতে মোট পৃষ্টা আছে- ৪৭১
ডিজিটাল বইয়ের সাইজ- ১৯এমবি
প্রিন্ট খুব ভালো, জলছাপ মুক্ত
কথামুখ-
মহাভারতের চরিত্র বিশ্লেষণ বড় কঠিন কাজ। একেকটি চরিত্র একেকটি হীরক-খণ্ডের মতো। বিশেষত কর্ণের। বিশেষত কুন্তীর। বিশেষত যুধিষ্ঠিরের। এই হীরক-চরিত্রের কাঠিন্য ভেদ করা আমার সাধ্য ছিল না। আমার পূর্বজন্মা সাধক-মনীষীরা তাঁদের চেতনা বজ্রাঘাতে এই সব কঠিন চরিত্রের অন্তর ভেদ করেছেন। আমি সেই ছিদ্রপথে সুতোর মতো প্রবেশ করেছি মাত্রমণে বজ্র-সমুৎকীর্ণে সুত্রস্যেবাস্তু মে গতিঃ।।
কুন্তী কিংবা কর্ণচরিত্রের জটিলতা বাদ দিলেও যুধিষ্ঠিরের চরিত্র বোঝা মোটেই সহজ নয়। সাধারণ জনের মধ্যেই শুধু নয়, অনেক পরিপক্ক মানুষের মধ্যেও যুধিষ্ঠিরকে নিয়ে যখন আলোচনা হয়, তখন দেখি—যুধিষ্ঠিরকে তাঁরা ক্লীব, মেরুদণ্ডহীন, ঘটনার স্রোতে গা-ভাসানো এক নমনীয় ধার্মিক বলে প্রমাণ করার চেষ্টা করেন। আমি হলফ করে বলতে পারি—এঁরা মহাভারতের অন্তর্গত যুধিষ্ঠিরের চরিত্র কিছু বোঝেন না। যুধিষ্ঠিরকে বুঝতে হলে সেকালের সমাজকে বুঝতে হবে, ভারতবর্ষের দর্শনকে বুঝতে হবে, বুঝতে হবে নীতি যুক্তি ধর্ম, বুঝতে হবে—আবিল সংসারের মধ্যে থেকেও মানব-নীতির পূর্ণতায় পৌঁছনোর চেষ্টাকে। সেই চেষ্টার নামই যুধিষ্ঠির। পার্থ-তৃতীয় অর্জুনকে আমরা মহাভারতের নায়ক বলে মনে করি এবং তিনিই পঞ্চপাণ্ডব-প্রিয়া দ্রৌপদীরও প্রিয়তম নায়ক। তাঁকে আমরা তাই দ্রৌপদীর অব্যবহিত পূর্বে রেখেছি। অবশ্য কৌন্তেয়দের অনুক্রমেও তাঁর ওই জায়গাতেই থাকবার কথা।
মহাভারতের সব চেয়ে খাপছাড়া চরিত্র হলেন ভীম। ভীম এমনই একজন মানুষ, যিনি মা, ভাই এবং তাঁর এক-পঞ্চমাংশের স্ত্রীটিকে পাগলের মতো ভালবাসেন। ভাইদের অনুক্রমেও তিনি মাঝখানে আছেন এবং আমাদের অনুক্রমেও তিনি মহাভারতের ছয় চরিত্রের মাঝখানে বসে তাঁর শক্তি এবং ভালবাসা একসঙ্গে বিকিরণ করছেন সবার ওপরে।
আমরা আরম্ভ করেছি কুন্তীকে দিয়েই। কারণ তিনি চার পুত্রের গর্ভধারিণী জননী। গর্ভধারিণীকে আগে জানলে তাঁর পুত্রগুলিকেও বুঝতে সুবিধে হবে, বিশেষত কর্ণকে। জননীর পরিত্যক্ত বলে কর্ণের ওপরে, আমাদের যে মায়া আছে, সে মায়া থাকতে হবে কুন্তীর ওপরেও, কারণ। ব্যক্তিগত জীবনে তিনিও কম দুঃখী নন, কম অভাগা নন। কর্ণ যদি সর্বকালীন পাঠকের করুণার আধার হন, তবে কুন্তীকেও সেই করুণ রসের মাহাত্ম্যেই দেখতে হবে। সে জন্যও হয়তো দুই করুণ। চরিত্রকে আমরা প্রথমে এবং শেষে রেখেছি। যাতে জননী এবং পুত্র দুই মেরুতে থাকা সত্ত্বেও তাঁদের অন্তর্গত চরিত্রের করুণ রসটির সাজাত্য থাকে।
* পাঠকগণ, এই লেখকের আরো একটি বইয়ের পিডিএফ সংগ্রহ করতে পারেন -
> মহাভারত নীতি অনীতি দুর্নীতি
> মহাভারতের ভারতযুদ্ধ এবং কৃষ্ণ
মহাভারতে স্ত্রী-চরিত্রগুলির মধ্যে যে দীপ্তি আছে, সেই দীপ্তিতে সবচেয়ে উজ্জ্বল আমার কাছে কুন্তী এবং তাঁর পরেই দ্রৌপদী। পঞ্চস্বামীগর্বিতা দ্রৌপদীর জীবন বিভিন্ন মানবিক বৈচিত্র্যে বিশাল। তাঁর মতো আধুনিক এবং বিদগ্ধা রমণীর কল্পনা মহাভারতের কবি কীভাবে করেছিলেন তা। ভাবতে গেলে শুধু অবাক হওয়া ছাড়া অন্য কোনও গতি থাকে না। কিন্তু দ্রৌপদীর এই বিশাল। চরিত্রের চেয়েও আমার কাছে কুন্তীর চরিত্র আরও অনেক বেশি বর্ণময়, বৈচিত্র্যময়। একটি স্ত্রীলোকের জীবনে যে সব অনাকাঙ্ক্ষিত জটিলতা থাকতে পারে, সেগুলি থাকা সত্ত্বেও নিজেকে একটি স্থির লক্ষ্যের দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য যে ব্যক্তিত্ব লাগে, যে রুচি লাগে এবং যে আত্মসচেতনতা লাগে—সেই ব্যক্তিত্ব, রুচি এবং মর্যাদার প্রতিরূপ হলেন কুন্তী। মহাভারতে কুন্তীর চরিত্র তাই দ্রৌপদীর চেয়েও বেশি মানবিক, অন্তত আমার কাছে তাই।...লেখক
সূচিপত্র-
কুন্তী
যুধিষ্ঠির
ভীম
অর্জুন
দ্রৌপদী
কর্ণ
উপরোক্ত বাংলা বইটির পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করুন অথবা অনলাইনে পড়ুন
অথবা হাই কোয়ালিটির পিডিএফ সংগ্রহ করুন
*পিডিএফটি পড়ে ভালো লাগলে এইবইটির অরিজিনাল কপি পেতে পারেন এখান থেকে
প্রিয় পাঠকগণ সংগ্রহ করে নিন মহাভারতের উপর অসাধারণ একটি প্রবন্ধ বই- 'কৃষ্ণা কুন্তী এবং কৌন্তেয়- নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ী' বাংলা বই পিডিএফ।
No comments:
Post a Comment