প্রাচীন হিন্দুশাস্ত্র ও ভারতীয় বিজ্ঞান- সুধাংশু পাত্র বাংলা বই
ডিজিটাল বইয়ের নাম- প্রাচীন হিন্দুশাস্ত্র ও ভারতীয় বিজ্ঞান
লেখক- সুধাংশু পাত্র
বইয়ের ধরন- হিন্দু ধর্ম সম্পর্কিত
ফাইলের ধরন- পিডিএফ
এই বইতে মোট পৃষ্টা আছে- ১৯৩
ডিজিটাল বইয়ের সাইজ- ১১এমবি
প্রিন্ট খুব ভালো, জলছাপ মুক্ত
বইটির ভূমিকার কিছু অংশ-
প্রাচীন ভারত বিজ্ঞানের বিশেষ কয়েকটি শাখায় চরম উন্নতি লাভ করেছিল। সে পরিচয় বিক্ষিপ্তভাবে ছড়িয়ে আছে বেদপুরাণের কাহিনীগুলিতে। কাহিনীগুলির মধ্যে যেমন কিছু ব্যক্তি অসম্ভব ও অবাস্তবতার গন্ধ পান, অপর দিকে কিছ, ভারতীয় মনে করেন বর্তমান কালের বিস্ময়কর বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারগুলি পুরাকালে ভারতের অজানা ছিল না। কেউ কেউ আরও মন্তব্য করেন, বিদেশীরা ভারতীয় পৌরাণিক কাহিনীগুলি থেকে অনুপ্রেরণা লাভ করেছেন। উপরোক্ত মন্তব্যগুলির কোনটিই সমর্থনযোগ্য নয়। প্রাচীনকালে ভারতবর্ষে যেসব বৈজ্ঞানিক তথ্য আবিস্কৃত হয়েছিল সেগুলি দীর্ঘকাল অবহেলিত অবস্থায় পড়েছিল। তারপর বহুকাল ধরে বহুলোকের অতিরঞ্জন ও তিশয়োক্তির ফলে আসল কাঠামোটাই কবে হারিয়ে গেছে। মূল তত্ত্ব জানার আজ আর কোনো উপায় নেই। তাই যাঁরা অবাস্তবতার অভিযোগ আনয়ন করেন তারা বড় একটা ভুল করেন না। আর যাঁরা কেবল প্রশংসার বাণীই উচ্চারণ করেন তাঁরাও একদেশদর্শিতার পরিচয় প্রদান করেন। আমরা জানি, জ্ঞান-বিজ্ঞানের শ্রেষ্ঠ আবিষ্কারগুলি এক-আধ দিন কিংবা এক-আধ বছরের প্রচেষ্টায় সফল হয়নি। তার পশ্চাতে আছে শত শত বিজ্ঞানীর বহু বছরের অতন্দ্র সাধনা। উন্নত বিজ্ঞানচিন্তা সংস্কারে রপাতরিত হল কিংবা গল্পকথার মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে থাকল। আর সংস্কারমুক্ত পাশ্চাত্ত্য জ্ঞানবিজ্ঞানে দখল করল শ্রেষ্ঠ আসন।
আজ আমরা দেখতে পাচ্ছি দিকে দিকে বিজ্ঞানের জয়যাত্রা। কিছুটা জাগরণ এসেছে ভারতে ঠিকই, কিন্তু পাশ্চাত্তের সঙ্গে সমতালে পা ফেলতে সক্ষম হচ্ছে না। তার প্রধান কারণ ভারত বিজ্ঞানচর্চার পরিবেশ আজও সৃষ্টি করতে পারেনি। আজও দেখি, দিকে দিকে সেই অন্ধ কুসংস্কার আর আত্মতৃপ্তির ভাব। আত্মশুদ্ধি এখনও হল না আমাদের। আত্মশুদ্ধি না হলে আবার জ্ঞান-বিজ্ঞানের চর্চাও হয় না। তার উপর আমরা নিজেদের জন্য যত চিন্তা করি জাতির জন্য তার শতাংশের একাংশও করি না। সুখের কথা, বিজ্ঞান অনুশীলনের মধ্য দিয়ে জাতির নবজাগরণের সূচনা হয়েছে।
জাতির জাগরণের দিনে তাকে স্মরণ করতে হয় তার প্রাচীন ঐতিহ্যকে। নিজেকে চিনতে হয় ভালভাবে। ভারতের অমূল্য রত। তার প্রাচীন গ্রন্থরাজি। বিজ্ঞান, দর্শন, সাহিত্য, রাজনীতি যার যেমন প্রয়োজন সবটুকুই লাভ করতে পারে, যদি সে প্রাচীন পুথিপত্রের শরণাপন্ন হয়। অনেক কিছু হারিয়ে গেছে, তবুও যেটুকু টিকে আছে তাও বড় কম নয়। বহু দেশী ও বিদেশী গবেষক ইতিমধ্যে উদ্ধার করেছেন বহু মণিমুক্তা এবং এখনও তাঁদের সাধনা অব্যাহত রেখেছেন। তাঁদের আবিষ্কৃত তথ্য সমুদয় প্রচারিত হয়েছে বহু পুস্তক-পুস্তিকা ও পত্র-পত্রিকার মাধ্যমে। কিন্তু সব আলোচনা একত্রভাবে কোথাও বড় একটা দেখা যায় না। বর্তমান পুস্তকে তারই ক্ষীণ প্রয়াস লক্ষ্য করা যাবে। - সুধাংশু পাত্র
উপরোক্ত বাংলা বইটির পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করুন অথবা অনলাইনে পড়ুন
প্রিয় পাঠকগণ, এই পোষ্ট হইতে - 'প্রাচীন হিন্দুশাস্ত্র ও ভারতীয় বিজ্ঞান- সুধাংশু পাত্র'-এর পিডিএফ সংগ্রহ করিতে পারিবেন।
ডিজিটাল বইয়ের নাম- প্রাচীন হিন্দুশাস্ত্র ও ভারতীয় বিজ্ঞান
লেখক- সুধাংশু পাত্র
বইয়ের ধরন- হিন্দু ধর্ম সম্পর্কিত
ফাইলের ধরন- পিডিএফ
এই বইতে মোট পৃষ্টা আছে- ১৯৩
ডিজিটাল বইয়ের সাইজ- ১১এমবি
প্রিন্ট খুব ভালো, জলছাপ মুক্ত
বইটির ভূমিকার কিছু অংশ-
প্রাচীন ভারত বিজ্ঞানের বিশেষ কয়েকটি শাখায় চরম উন্নতি লাভ করেছিল। সে পরিচয় বিক্ষিপ্তভাবে ছড়িয়ে আছে বেদপুরাণের কাহিনীগুলিতে। কাহিনীগুলির মধ্যে যেমন কিছু ব্যক্তি অসম্ভব ও অবাস্তবতার গন্ধ পান, অপর দিকে কিছ, ভারতীয় মনে করেন বর্তমান কালের বিস্ময়কর বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারগুলি পুরাকালে ভারতের অজানা ছিল না। কেউ কেউ আরও মন্তব্য করেন, বিদেশীরা ভারতীয় পৌরাণিক কাহিনীগুলি থেকে অনুপ্রেরণা লাভ করেছেন। উপরোক্ত মন্তব্যগুলির কোনটিই সমর্থনযোগ্য নয়। প্রাচীনকালে ভারতবর্ষে যেসব বৈজ্ঞানিক তথ্য আবিস্কৃত হয়েছিল সেগুলি দীর্ঘকাল অবহেলিত অবস্থায় পড়েছিল। তারপর বহুকাল ধরে বহুলোকের অতিরঞ্জন ও তিশয়োক্তির ফলে আসল কাঠামোটাই কবে হারিয়ে গেছে। মূল তত্ত্ব জানার আজ আর কোনো উপায় নেই। তাই যাঁরা অবাস্তবতার অভিযোগ আনয়ন করেন তারা বড় একটা ভুল করেন না। আর যাঁরা কেবল প্রশংসার বাণীই উচ্চারণ করেন তাঁরাও একদেশদর্শিতার পরিচয় প্রদান করেন। আমরা জানি, জ্ঞান-বিজ্ঞানের শ্রেষ্ঠ আবিষ্কারগুলি এক-আধ দিন কিংবা এক-আধ বছরের প্রচেষ্টায় সফল হয়নি। তার পশ্চাতে আছে শত শত বিজ্ঞানীর বহু বছরের অতন্দ্র সাধনা। উন্নত বিজ্ঞানচিন্তা সংস্কারে রপাতরিত হল কিংবা গল্পকথার মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে থাকল। আর সংস্কারমুক্ত পাশ্চাত্ত্য জ্ঞানবিজ্ঞানে দখল করল শ্রেষ্ঠ আসন।
আজ আমরা দেখতে পাচ্ছি দিকে দিকে বিজ্ঞানের জয়যাত্রা। কিছুটা জাগরণ এসেছে ভারতে ঠিকই, কিন্তু পাশ্চাত্তের সঙ্গে সমতালে পা ফেলতে সক্ষম হচ্ছে না। তার প্রধান কারণ ভারত বিজ্ঞানচর্চার পরিবেশ আজও সৃষ্টি করতে পারেনি। আজও দেখি, দিকে দিকে সেই অন্ধ কুসংস্কার আর আত্মতৃপ্তির ভাব। আত্মশুদ্ধি এখনও হল না আমাদের। আত্মশুদ্ধি না হলে আবার জ্ঞান-বিজ্ঞানের চর্চাও হয় না। তার উপর আমরা নিজেদের জন্য যত চিন্তা করি জাতির জন্য তার শতাংশের একাংশও করি না। সুখের কথা, বিজ্ঞান অনুশীলনের মধ্য দিয়ে জাতির নবজাগরণের সূচনা হয়েছে।
জাতির জাগরণের দিনে তাকে স্মরণ করতে হয় তার প্রাচীন ঐতিহ্যকে। নিজেকে চিনতে হয় ভালভাবে। ভারতের অমূল্য রত। তার প্রাচীন গ্রন্থরাজি। বিজ্ঞান, দর্শন, সাহিত্য, রাজনীতি যার যেমন প্রয়োজন সবটুকুই লাভ করতে পারে, যদি সে প্রাচীন পুথিপত্রের শরণাপন্ন হয়। অনেক কিছু হারিয়ে গেছে, তবুও যেটুকু টিকে আছে তাও বড় কম নয়। বহু দেশী ও বিদেশী গবেষক ইতিমধ্যে উদ্ধার করেছেন বহু মণিমুক্তা এবং এখনও তাঁদের সাধনা অব্যাহত রেখেছেন। তাঁদের আবিষ্কৃত তথ্য সমুদয় প্রচারিত হয়েছে বহু পুস্তক-পুস্তিকা ও পত্র-পত্রিকার মাধ্যমে। কিন্তু সব আলোচনা একত্রভাবে কোথাও বড় একটা দেখা যায় না। বর্তমান পুস্তকে তারই ক্ষীণ প্রয়াস লক্ষ্য করা যাবে। - সুধাংশু পাত্র
উপরোক্ত বাংলা বইটির পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করুন অথবা অনলাইনে পড়ুন
প্রিয় পাঠকগণ, এই পোষ্ট হইতে - 'প্রাচীন হিন্দুশাস্ত্র ও ভারতীয় বিজ্ঞান- সুধাংশু পাত্র'-এর পিডিএফ সংগ্রহ করিতে পারিবেন।
No comments:
Post a Comment