সেকালে বড়লোকদের খেয়াল-খুশি- বিশ্বনাথ মুখোপাধ্যায় বাংলা বই

সেকালে বড়লোকদের খেয়াল-খুশি- বিশ্বনাথ মুখোপাধ্যায় বাংলা বই পিডিএফ
ডিজিটাল বইয়ের নাম- সেকালে বড়লোকদের খেয়াল-খুশি
লেখক- বিশ্বনাথ মুখোপাধ্যায়
বইয়ের ধরন- তথ্যমূলক
ফাইলের ধরন- পিডিএফ
এই বইতে মোট পৃষ্টা আছে- ১০৯
ডিজিটাল বইয়ের সাইজ- ২এমবি
প্রিন্ট খুব ভালো, জলছাপ মুক্ত

সেকালে বড়লোকদের খেয়াল-খুশি এই বইটি সম্পর্কে লেখকের কয়েকটি কথা- 

আঠারো শতকের শেষভাগ থেকে উনিশ শতকের অনেকখানি সময় কলকাতা তথা বঙ্গদেশের বাবু অথবা নব-বাবুসমাজের অকল্পনীয় কীর্তিকলাপে এদেশ ছিল গড়ের বাদ্যির মতো গর্জমানরূপে মুখরিত। পুজো-আচ্চা, বিয়ে-শ্রাদ্ধ, দোল-দুর্গোৎসব, বাৎসরিক ক্রিয়াকর্ম, এমন কি গঙ্গাযাত্রার শোকাবহ মুহূর্তেও এই 'বাবু'রা আমোদ লুটতেন হরিলুটের মতো অর্থের অপব্যয় ঘটিয়ে। এরই সমান্তরালে আড়ম্বরময় জীবনযাপন, বাঈজী নাচ, বাগানবাড়ি, মাইফেল, বুলবুলির লড়াই, কুকুর-বেড়ালের বিয়ে, শ্রাদ্ধে ব্রাহ্মণভোজনের প্রতিযোগিতা, গোলাপজল দিয়ে জলশৌচ, আতর দিয়ে বাড়ি ধোয়ানো, মুক্তাভস্ম দিয়ে পান খাওয়া প্রভৃতি ছিল সেকালের বড়লোকদের খেয়াল-খুশি। এসব খেয়াল-খুশির জোয়ারে ভেসে গেছেন অনেক বিত্তশালী ব্যক্তি। যেমন চলন-বলনে, তেমনি পোশাক-আশাকেও এরা ছিলেন অভিনব, সেকালের বাবুকালচারে এক অভিনব দৃষ্টান্ত। অসূয়াপ্রবণ এইসব বাবু নিজের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের জন্য অন্যের উপর টেক্কা দিতে গিয়ে কী ভীষণভাবে অর্থের অপব্যয় করেছেন তা ভাবলে আজকের দিনে অবাক হতে হয়। ‘বাবু’দের এইসব খেয়াল-খুশির গল্প নিয়েই এ বই।
চলচ্চিত্র-বিষয়ক পত্রিকা 'প্রসাদ’-এর তৎকালীন নির্বাহী সম্পাদক বন্ধুবর শ্রীপ্রণব বিশ্বাসের তাগাদায় গল্পগুলি লিখেছিলাম 'প্রসাদ'-এ। সময়টা ছিল ১৯৮২-৮৩। এর অনেকগুলি গল্পই নাটকাকারে ১৯৮৪ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে কলকাতা বেতারকেন্দ্রের ‘বিবিধ-ভারতী’তে ‘বাবুবিত্তান্ত' নাম দিয়ে পরিবেশিত হয় ধারাবাহিকভাবে 'কোহিনুর টেলারিং’-এর সৌজন্যে। প্রচারবিদ শ্রীউদয় বসু ছিলেন এর হোতা এই অনুষ্ঠানটিও অনেকের প্রশংসা পায় ।
কলকাতার ‘বাবু'-কালচারের এই বিশেষ দিকটি নিয়ে লেখা গল্পগুলি 'প্রসাদ’-এ প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে অনেকের প্রশংসা অর্জন করে। চিঠিপত্রের মাধ্যমে অনেকেই জানিয়েছিলেন গল্পগুলি একত্রে দুটি মলাটের মধ্যে গ্রথিত করে রাখতে। তাদের এই আশা আজ পূর্ণ করলেন ‘যোগমায়া' প্রকাশনসংস্থার কর্ণধার অনুজপ্রতিম কথাসাহিত্যিক গৌরীপ্রসাদ ঘোষ। তিনিই কলকাতা তথা বাংলার জনসাধারণকে উপহার দিলেন ‘সেকালে বড়লোকদের খেয়াল-খুশি'। গল্পগুলো লেখার সময়ে অনুজপ্রতিম সুহৃদ শ্রীঅভয় মৈত্র ও শ্রীলক্ষ্মীকান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়ের উৎসাহ আমাকে যথেষ্ট উৎসাহিত করেছিল। কল্যাণীয়া শ্ৰীমতী শ্যামলী ঘোষ মুদ্রণপ্রমাদ সংশোধন করে আমাকে কৃতজ্ঞ করেছেন। এদের সঙ্গে আমার যা সম্পর্ক তাতে এরা আমার ধন্যবাদের অপেক্ষা রাখেন না। প্রসঙ্গত জানাই, তৎকালীন বঙ্গদেশের সমাজব্যবস্থা তথা ‘বাবু-কালচার’ নিয়ে যারা কাজ করতে চান, তাঁদের কাছে এই বইটি অপরিহার্যরূপে বিবেচিত হবে।- বিশ্বনাথ মুখোপাধ্যায়

উপরোক্ত বাংলা বইটির পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করুন অথবা অনলাইনে পড়ুন
প্রিয় পাঠকগণ, আপনারা এই পোষ্ট হইতে বনেদী বাঙ্গালীদের জীবনযাত্রা সম্পর্কে অসাধারণ একটি বই- 'সেকালে বড়লোকদের খেয়াল-খুশি'-এর পিডিএফ সংগ্রহ করিতে পারিবেন।