মঙ্গলকাব্যের ইতিহাস- আশুতোষ ভট্টাচার্য বাংলা বই পিডিএফ
ডিজিটাল বইয়ের নাম- মঙ্গলকাব্যের ইতিহাস
লেখক- শ্রী আশুতোষ ভট্টাচার্য এম. এ, বিবিধ গ্রন্থ-প্রণেতা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যায়ের বঙ্গভাষা ও সাহিত্যের অধ্যাপক
বইয়ের ধরন- তথ্যমুলক বই
ফাইলের ধরন- পিডিএফ
এই বইতে মোট পৃষ্টা আছে- ৫৬৭
ডিজিটাল বইয়ের সাইজ- ২৮এমবি
প্রিন্ট খুব ভালো, জলছাপ মুক্ত
মধ্যযুগের বাঙ্গালা সাহিত্য এখনও অনেকটা অজ্ঞাত-ভূমি। মাত্র বৈষ্ণব সাহিত্য সম্বন্ধে বিস্তৃত আলোচনা হইয়াছে। এইরূপ স্থলে শ্ৰীমান আশুতোষ ভট্টাচার্যের “বাঙ্গালা মঙ্গল কাব্যের ইতিহাস” একটি চির অনুভূত অভাবের অনেকটা পূরণ করিবে, আশা করা যায়।
আমরা কৃত্তিবাসের রামায়ণের উত্তরাকাণ্ডে দেখিতে পাই, শিবদুর্গার বিবাহ উপলক্ষে-
“নাটগীত দেখি শুনি পরম কুতূহলে।
কেহ বেদ পঢ়ে কেহো পঢ়এ মঙ্গলে।।
নানা মঙ্গল নাটগীত হিমালয়ের ঘরে।
পরম আনন্দে লোক আপনা পাসরে।”
(সাহিত্য পরিষৎ সংস্করণ পৃঃ ৬)
ইহা হইতে বুঝিতে পারি, খ্ৰীষ্টীয় চতুর্দশ পঞ্চদশ শতকে উৎসব উপলক্ষে মঙ্গলকাব্য পড়ার রীতি ছিল। মঙ্গল গানও হইত। বৃন্দাবন দাসের চৈতন্য ভাগবতে আমরা পাই,
“ধৰ্মকৰ্ম্ম লোক সভে এই মাত্র জানে।
মঙ্গল চণ্ডীর গীতে করে জাগরণে।।
দম্ভ করি বিষহরী পূজে কোন জনে।
পুত্তলি পূজয়ে কেহ দিয়া বহু ধনে ॥”
পুনশ্চ, "বাশুলী পূজয়ে কেহ নানা উপহারে।
মদ্য মাংস দিয়া কেহহ যক্ষ পূজা করে ।।
নিরবধি নৃত্যগীত বাদ্য কোলাহলে।
না শুনে কৃষ্ণের নাম পরম মঙ্গলে।।”
-আদিখণ্ড
ইহাতে দেখা যাইতেছে যে, বাংলায় মধ্যযুগের আদিতে চণ্ডীমঙ্গল ও মনসা-মঙ্গল ছিল। হয়ত বাসুলী-মঙ্গলও ছিল। হয়ত আরও লৌকিক দেবতার মঙ্গল ছিল।
ডিজিটাল বইয়ের নাম- মঙ্গলকাব্যের ইতিহাস
লেখক- শ্রী আশুতোষ ভট্টাচার্য এম. এ, বিবিধ গ্রন্থ-প্রণেতা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যায়ের বঙ্গভাষা ও সাহিত্যের অধ্যাপক
বইয়ের ধরন- তথ্যমুলক বই
ফাইলের ধরন- পিডিএফ
এই বইতে মোট পৃষ্টা আছে- ৫৬৭
ডিজিটাল বইয়ের সাইজ- ২৮এমবি
প্রিন্ট খুব ভালো, জলছাপ মুক্ত
মঙ্গলকাব্যের ইতিহাস- বইটি সমন্ধে কিছু কথা
প্রবেশকমধ্যযুগের বাঙ্গালা সাহিত্য এখনও অনেকটা অজ্ঞাত-ভূমি। মাত্র বৈষ্ণব সাহিত্য সম্বন্ধে বিস্তৃত আলোচনা হইয়াছে। এইরূপ স্থলে শ্ৰীমান আশুতোষ ভট্টাচার্যের “বাঙ্গালা মঙ্গল কাব্যের ইতিহাস” একটি চির অনুভূত অভাবের অনেকটা পূরণ করিবে, আশা করা যায়।
আমরা কৃত্তিবাসের রামায়ণের উত্তরাকাণ্ডে দেখিতে পাই, শিবদুর্গার বিবাহ উপলক্ষে-
“নাটগীত দেখি শুনি পরম কুতূহলে।
কেহ বেদ পঢ়ে কেহো পঢ়এ মঙ্গলে।।
নানা মঙ্গল নাটগীত হিমালয়ের ঘরে।
পরম আনন্দে লোক আপনা পাসরে।”
(সাহিত্য পরিষৎ সংস্করণ পৃঃ ৬)
ইহা হইতে বুঝিতে পারি, খ্ৰীষ্টীয় চতুর্দশ পঞ্চদশ শতকে উৎসব উপলক্ষে মঙ্গলকাব্য পড়ার রীতি ছিল। মঙ্গল গানও হইত। বৃন্দাবন দাসের চৈতন্য ভাগবতে আমরা পাই,
“ধৰ্মকৰ্ম্ম লোক সভে এই মাত্র জানে।
মঙ্গল চণ্ডীর গীতে করে জাগরণে।।
দম্ভ করি বিষহরী পূজে কোন জনে।
পুত্তলি পূজয়ে কেহ দিয়া বহু ধনে ॥”
পুনশ্চ, "বাশুলী পূজয়ে কেহ নানা উপহারে।
মদ্য মাংস দিয়া কেহহ যক্ষ পূজা করে ।।
নিরবধি নৃত্যগীত বাদ্য কোলাহলে।
না শুনে কৃষ্ণের নাম পরম মঙ্গলে।।”
-আদিখণ্ড
ইহাতে দেখা যাইতেছে যে, বাংলায় মধ্যযুগের আদিতে চণ্ডীমঙ্গল ও মনসা-মঙ্গল ছিল। হয়ত বাসুলী-মঙ্গলও ছিল। হয়ত আরও লৌকিক দেবতার মঙ্গল ছিল।
* এছাড়া আপনারা সংগ্রহ করিতে পারেন- মঙ্গল কাব্যের গল্প - পরেশচন্দ্র ভট্টাচার্য
মধ্যযুগের সাহিত্যে আমরা প্রধানতঃ ধৰ্ম্মমঙ্গল, চণ্ডীমঙ্গল ও মনসামঙ্গল কাব্য গতানুগতিকভাবে একের পর আর এক কবির রচনায় দেখিতে পাই। বঙ্গের বিভিন্ন স্থানে একই সময় বিভিন্ন কবি একই মঙ্গলকাব্য লিখিতেছেন তাহাও দেখিতে পাওয়া যায়। পরে চৈতন্য-মঙ্গল, অন্নদামঙ্গল, শীতলা-মঙ্গল, কালিকা-মঙ্গল, দুর্গামঙ্গল প্রভৃতি রচিত হয়। এই মঙ্গলকাব্যগুলির অন্ততঃ কয়েকটির সূত্রপাত বাংলা দেশের মুসলমানপূর্ব যুগেই হইয়াছিল ইহাতে কোন সন্দেহ নাই। হয়ত ইহাদের কোন কোনটি প্রাগৈতিহাসিক। কোল-সাঁওতাল জাতিদের ধর্মতত্ব আলোচনায় এই বিষয়ে কিছু আলোক-পাত হইতে পারে।
“বাংলা মঙ্গল কাব্যের ইতিহাসে" অতি বিস্তৃতভাবে এই মঙ্গল কাব্যগুলির ইতিহাস বর্ণিত হইয়াছে। পাঁচ শত পৃষ্ঠাধিক পুস্তকে শ্রীমান আশুতোষ ভট্টাচাৰ্য মধ্যযুগের এই সাহিত্য সম্বন্ধে বিশেষ গবেষণা ও মৌলিক চিন্তার পরিচয় দিয়াছে। যাহারা মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের এক প্রধান অংশ সম্বন্ধে অভিজ্ঞতা লাভ করিতে চান তাহাদের নিকট পুস্তকখানি উপাদেয় এবং মূল্যবান্ বলিয়া বিবেচিত হইবে।- মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়)
উপরোক্ত বাংলা বইটির পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করুন অথবা অনলাইনে পড়ুন
প্রিয় পাঠকগণ, আপনারা এই পোষ্ট হইতে- 'মঙ্গলকাব্যের ইতিহাস- আশুতোষ ভট্টাচার্য'-এর পিডিএফ সংগ্রহ করিতে পারিবেন।
No comments:
Post a Comment