রাঙ্গা ভাঙ্গা চাঁদ- প্রতিভা বসু বাংলা উপন্যাস
ডিজিটাল বইয়ের নাম- রাঙ্গা ভাঙ্গা চাঁদ
লেখক- প্রতিভা বসু
বইয়ের ধরন- উপন্যাস
ফাইলের ধরন- পিডিএফ
এই বইতে মোট পৃষ্টা আছে-১৯৩
ডিজিটাল বইয়ের সাইজ- ১০ এমবি
প্রিন্ট পুরনো তবে ভালো, অবশ্যই জলছাপমুক্ত
ডিজিটাল বইয়ের নাম- রাঙ্গা ভাঙ্গা চাঁদ
লেখক- প্রতিভা বসু
বইয়ের ধরন- উপন্যাস
ফাইলের ধরন- পিডিএফ
এই বইতে মোট পৃষ্টা আছে-১৯৩
ডিজিটাল বইয়ের সাইজ- ১০ এমবি
প্রিন্ট পুরনো তবে ভালো, অবশ্যই জলছাপমুক্ত
রাঙ্গা ভাঙ্গা চাঁদ- প্রতিভা বসু |
'রাঙ্গা ভাঙ্গা চাঁদ' -এর গল্পের ধরন-
“উগো, বাবাগো, মাগো, মেরে ফেলছে গো।’রাত্রির নিস্তব্ধতা ছিন্নভিন্ন করে দিয়ে যুধিষ্ঠিরের মায়ের প্রচণ্ড গলা পাড়ার এই প্রান্ত থেকে ঐ প্রান্তে গিয়ে পৌঁছুলো।
ধুপছায়া গ্রামের কৈবর্তপাড়ায় এই রকম চিৎকার চঁচামেচি কিছু নতুন নয়, ঝগড়া মারামারি এদের জলভাত, এদের অবসর বিনোদনের একটি অন্যতম উপায়। কিন্তু যুধিষ্ঠিরের মায়ের পক্ষে এই ধরনের কাতর আর্তনাদ সেটা নতুন, অপ্রত্যাশিত। কেননা | তার মতো প্রবল শক্তিশালী ঝগড়াটে সেই তল্লাটে তো বটেই, সেই গ্রামেই খুব কম। যেমন তার গলায় জোর, গালিগালাজের ক্ষমতাও তেমনি অসীম। এই জন্য তাকে বড়ো একটা কেউ ঘটায় না। তার সঙ্গে যুঝতে পারে এমন কলিজার জোর বলতে গেলে একমাত্র কাদুবালার ছাড়া আর কারোই নেই।
কাদুবালা যুধিষ্ঠিরের জ্ঞাতি খুড়ি। বাতাসে পাতাটি নড়লেও সে পায়ের বুড়ো নখ ভর দিয়ে ডিঙি মেরে এততখানি উচু হয়ে দাড়িয়ে ওঠে, হাতের ঝাঁটা মুঠো করে ধরে, সারা শরীরের সব কাপড় কোমরে গুঁজে, দাঁত কিড়মিড় করে 'ক্যাড়া’ বলে নাসারন্ধ্র ফুলিয়ে চক্ষে আগুন ছুটিয়ে এগিয়ে যায়। কিন্তু আজ কদিন যাবত তার বেশী সাড়াশব্দ নেই। একটা গর্হিত কর্ম করে সে ঈষৎ দমিত হয়ে আছে। দিন সাতেক আগে সন্ধ্যাবেলা তার একমাত্র পুত্রবধূ রঙ্গেশ্বরী যখন ছেলে ঘুম পাড়াচ্ছিলো, তখন হাঁড়ি ভরতি ভাত ফুটছিলো উনুনে। কাদুবালা রান্নাঘরের দাওয়ায় চাঁদের আলোয় বসে সুপুরি কাটছিলো, চিৎকার করে বৌকে ডাকলো, ‘বলি ও নবাবের বিটি, এই সাঁঝবেলায় আবার কোন ভাতারের সঙ্গে শুতে গেছিস লো?
শাউড়ির সুমধুর সম্ভাষণের জবাবে রঙ্গেশ্বরী তিক্ত গলায় জবাব দিলো, ‘ক্যানে, তাতে তোমার কী দরকার?
‘ইদিগে যে ভাত পোড়া গন্ধ ছেইরেছে সিদিগে নজর আছে? হারামজাদীর আবার চোপা দ্যাখোনা।' |
সাতমাস পোয়াতি বৌ, সদ্য বিধবা, বয়েস কুড়ি, এই নিয়ে তৃতীয় সন্তানের জননী হতে চলেছে। শরীরে এক ফোটা রক্ত নেই, মুখে রুচি নেই, রাত্রে ঘুম নেই। খাটুনি সাড়ে ষোলো আনা, মেজাজ প্রায় ছিলে-বাঁধা ধনুকের মতো টান টান হয়ে আছে, সহ্যের সীমার প্রান্তে এসে গলা চড়িয়ে দিলো সে, “নজর কি কেবল একজনেরি থাইকবে? ক্যানে, আমি কি মনুষ্য না? আমার শইলে কি শ্বাস বয় না? না কি ভাতের পানারা একা আমিই মারি। বইসে বইসে সুপারি ফালা না দিইয়ে ভাতটা নামলেই তো হয়।
‘কী, কী বললি ?
‘ঐ যা বললাম, বললাম।' |
‘আবার বল, আবার আমি তর মুয়ে শুনি, গুরুজনেরে অছেদ্ধা করা তোর বার করি।'
'আরে আমার গুরুজনরে, ঐ যা বুলছি শুইনে লও, বাক্যি আমি দু’বার ছুটাই না।
‘তবে লো ভাতারখাগি, মরকুনি'—এক লাফে কাদুবালা কোমর বেকিয়ে উঠে দাড়ালো, এক পলকে ধন্দুমার বাধিয়ে দিয়ে হাতের সুপুরি কাটা জাতি ছুড়ে মারলে বৌকে তাক করে। আর দেখতে হলো না। ধার অংশটা কপালের বাঁ পাশে আধখানা ডুবে গিয়ে কাঁপতে লাগল থর থর করে। মুখ দিয়ে শব্দ বার হবার আগেই ঢলে পড়লো মেঝেতে। ছেলেটা চিৎকার করে কেঁদে উঠলো, ঘরের কুপি জ্বলা আধো অন্ধকারে রক্তের ঢেউ দেখে তখুনি থেমে গেল আবার। কাদুবালার গলাও থামলো। এতোটা ভাবেনি সে। মুহুর্তের জন্য একটা শিহরণ খেলে গেল বুকের মধ্যে। তারপরেই দৌড়ে গিয়ে লেপ কাঁথা দিয়ে ঠেসে ধরলো বৌকে। কে কোথায় রক্ত দেখে ফেলবে ঠিক আছে কিছু? লাস নিয়ে মন টানাটানি। আর মানুষ খুন করলে যে ফাঁসি হয় এ সংবাদ কাদুবালাও জানে। তারপর...
সম্পুর্ন গল্পটি পড়তে উপন্যাসটির পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করুন এই পোষ্ট হইতে।
উপরোক্ত বাংলা বইটির পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করুন অথবা অনলাইনে পড়ুন
পঠকগণ, প্রতিভা বসুর এই অসাধারণ উপন্যাস 'রাঙ্গা ভাঙ্গা চাঁদ' -এর পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করুন এবং উপন্যাসটি পড়ুন।
No comments:
Post a Comment