ভারতের সাধিকা - শঙ্করনাথ রায় বাংলা আধ্যাত্মিক বই পিডিএফ
ডিজিটাল বইয়ের নাম- ভারতের সাধিকা (পর্ব- ২)
লেখক- শঙ্করনাথ রায়
বইয়ের ধরন- আধ্যাত্মিক গল্প
ফাইলের ধরন- পিডিএফ
এই বইতে মোট পৃষ্টা আছে- ২৫৭
ডিজিটাল বইয়ের সাইজ- ১৬ এমবি
প্রিন্ট ভালো, অবশ্যই জলছাপমুক্ত
ব্ৰহ্মবিদ্-অধ্যুষিত ভারতে ব্ৰহ্মবাদিনী ঋষি ও সাধিকাদের অভাব কোনদিনই ঘটে নি। যুগে যুগে তারা আবির্ভূত হয়েছেন এই দেশের মাটিতে, ছড়িয়ে গেছেন সাধনার পরম ঐশ্বর্য অকৃপণ করে।
ঋকবেদের মন্ত্র যার দর্শন করেছিলেন সেই ঋষিদের ভেতরে রয়েছেন নারীঋষি -ঘোষা, রোমশা, লোপমুদ্রা, বিশ্ববারা প্রভৃতি।
ব্ৰহ্মবাদিনী বাক্ ছিলেন অম্ভৃণ ঋষির কন্যা, দেবীসূক্তের ঋষিরূপে ভারতীয় সাধনজগতে চিরস্মরণীয় হয়ে রয়েছেন তিনি। বৈদিক ভারতের মহত্তম অবদান হচ্ছে বৃহদারণ্যক উপনিষদ। এই সুপ্রাচীন উপনিষদের রচয়িতা মহর্ষি যাজ্ঞবল্ক্য যিনি শুধু মন্ত্রদ্রষ্টাই ছিলেন না, ছিলেন মন্ত্রের উৎস, ছিলেন ‘যোগীশ্বর’রূপে ঋষি যোগীদের সংপৃজিত পরমপ্রভু। এই যাজ্ঞবল্ক্যের বৃহদারণ্যকে ধ্বনিত হতে দেখি তার পত্নী মৈত্রেয়ীর আকুল প্রশ্নটি যেনাহং নামৃত স্যাম্ কিম্ অহং তেন কুৰ্য্যাম,-যে বস্তু পেলে অমৃত্ব লাভ হবে না, সে বস্তুতে আমার কি প্রয়োজন? মৈত্রেয়ী তাঁর পতি ও গুরুর কাছ থেকে লাভ করেছিলেন পূর্ণ ব্ৰহ্মজ্ঞান, হয়েছিলেন আপ্তকামা।
আজকের দিনেও ব্ৰহ্মজ্ঞ মহলে আলোচিত হয়ে থাকে মহর্ষি যাজ্ঞবল্ক্যের মানসকন্যা মহাসাধিকা সেই ব্ৰহ্মদুতির কথা যিনি ছিলেন ব্রহ্মবিদ্যা স্বরূপিণী, গায়ত্ৰীমন্ত্রের মূর্ত প্রতিমা।
বেদের ব্রাহ্মণে মহাতাপসী বাচক্লবী গার্গীর কথা আমরা পাই। সেই গার্গী এবং মহর্ষি যাজ্ঞবল্ক্যের ব্রহ্মবিচারের কাহিনী আজো এদেশের সাধককুলের কাছে হয়ে রয়েছে অবিস্মরণীয়। আচার্য শঙ্করের উক্তি থেকে স্পষ্টতই বোঝা যায়- গার্গী পরিণয়সূত্রে আবদ্ধ হন নি, সংসারধর্ম কখন পালন করেন নি, সন্ন্যাসিনীই ছিলেন আজীবন।
রামায়ণ, মহাভারত ও অন্যান্য পুরাণে দেখতে পাই, তাপসী নারীদের অনেকেই ব্রহ্মচারিণী ও সন্ন্যাসিনীর জীবন যাপন করেছেন, তাঁদের সার্থক তপস্যা ও কুপার দানে সমৃদ্ধ হয়েছে সমকালীন সমাজ।
ধর্মশাস্ত্রকার যমের মতে, প্রাচীন যুগের সাধনার্থিনী কুমারী কন্যাদের মধ্যে উপনয়ন, বেদ অধ্যয়ন ও গায়ত্ৰীমন্ত্র পাঠ প্রচলিত ছিল। শাস্ত্ৰবেত্তা হারীতও সমর্থন করেছেন এই প্রথার কথা।
অনেকের ধারণা, বৌদ্ধ ও জৈন যুগের আগে নারী সন্ন্যাসিনী বা নারী পরিব্রাজিকা এদেশে দেখতে পাওয়া যেত না। প্রাচীন শাস্ত্র ও সাহিত্যের আধুনিক গবেষকেরা কিন্তু প্রমাণ করেছেন, এ ধারণা একেবারে ভ্রান্ত। বেদপন্থী সন্ন্যাসিনীদের অবশ্যই দেখা যেতো প্রাকৃবৌদ্ধ যুগে এবং সমাজে তারা অধিকার করতেন শ্রদ্ধা ও সম্ভ্রমের স্থান।
বৌদ্ধ ভিক্ষুণী ও জৈন তপস্বিনীদের কথা আমাদের প্রাচীন সাহিত্যের বহুস্থানে ছড়ানো রয়েছে। পরবর্তীকালে তন্ত্রানুসারিণী ভৈরব ও নারী সাধিকাদের জীবনতথ্যও আমরা নানা স্থানে পাই।
আধুনিক যুগে এবং আমাদের সমকালীন সমাজেও উচ্চকোটি নারী সাধিকাগণ, ব্রহ্মজ্ঞাগণ, দুর্লভ নন। আসমুদ্র হিমাচলের নানা পুণ্যকেন্দ্রে এঁরা বিচরণ করেন, শাশ্বত আত্মিক জীবনের আলোয় আলোকিত করেন বহু নরনারীর জীবনপথ, ছড়িয়ে যান জ্ঞান, ভক্তি, প্রেম ও নিষ্কাম কর্মের পরম সম্পদ।
সারা দেশের রাষ্ট্র ও সমাজে আজ দেখা যাচ্ছে চরম অনাচার, অবক্ষয় ও আত্মহননের বিভীষিকা। এই দুর্দিনে 'ভারতের সাধিকা’র মত গ্রন্থের বিশেষ প্রয়োজন রয়েছে। সাধিকাগণ সাত্বিকী মাতৃশক্তির প্রতীক, জাতীয় উজ্জীবনের প্রেরণাদাত্রী। তাঁদের সেই মাতৃশক্তির স্বরূপকে এই গ্রন্থের মাধ্যমে জনজীবনের সম্মুখে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। ইতি- গ্রন্থকার
এই বইতে যেসব সাধিকাগণের কথা আলোচনা করা হয়েছে তাঁহারা হলেন- বিষ্ণুপ্রিয়া, ভৈরবী যোগেশ্বরী, সিদ্ধা পরমেশ্বরী বাঈ, গোপালের মা, নিবেদিতা
বাংলা বইটির পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করুন অথবা অনলাইনে পড়ুন
এছাড়া আপনারা-
ভারতের সাধিকা (পর্ব- ১) - ভবেশ দত্ত
ভারতের সাধক- শঙ্করনাথ রায় ১ম হইতে ১২ তম খন্ড
এই বইটিগুলিও সংগ্রহ করতে পারেন।
প্রিয় পাঠকগণ, এই পোষ্ট হইতে 'ভারতের সাধিকা (পর্ব- ২) - শঙ্করনাথ রায়' এই অসাধারণ আধ্যাত্মিক গল্পের বইটির পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করুন।
ডিজিটাল বইয়ের নাম- ভারতের সাধিকা (পর্ব- ২)
লেখক- শঙ্করনাথ রায়
বইয়ের ধরন- আধ্যাত্মিক গল্প
ফাইলের ধরন- পিডিএফ
এই বইতে মোট পৃষ্টা আছে- ২৫৭
ডিজিটাল বইয়ের সাইজ- ১৬ এমবি
প্রিন্ট ভালো, অবশ্যই জলছাপমুক্ত
ব্ৰহ্মবিদ্-অধ্যুষিত ভারতে ব্ৰহ্মবাদিনী ঋষি ও সাধিকাদের অভাব কোনদিনই ঘটে নি। যুগে যুগে তারা আবির্ভূত হয়েছেন এই দেশের মাটিতে, ছড়িয়ে গেছেন সাধনার পরম ঐশ্বর্য অকৃপণ করে।
ঋকবেদের মন্ত্র যার দর্শন করেছিলেন সেই ঋষিদের ভেতরে রয়েছেন নারীঋষি -ঘোষা, রোমশা, লোপমুদ্রা, বিশ্ববারা প্রভৃতি।
ব্ৰহ্মবাদিনী বাক্ ছিলেন অম্ভৃণ ঋষির কন্যা, দেবীসূক্তের ঋষিরূপে ভারতীয় সাধনজগতে চিরস্মরণীয় হয়ে রয়েছেন তিনি। বৈদিক ভারতের মহত্তম অবদান হচ্ছে বৃহদারণ্যক উপনিষদ। এই সুপ্রাচীন উপনিষদের রচয়িতা মহর্ষি যাজ্ঞবল্ক্য যিনি শুধু মন্ত্রদ্রষ্টাই ছিলেন না, ছিলেন মন্ত্রের উৎস, ছিলেন ‘যোগীশ্বর’রূপে ঋষি যোগীদের সংপৃজিত পরমপ্রভু। এই যাজ্ঞবল্ক্যের বৃহদারণ্যকে ধ্বনিত হতে দেখি তার পত্নী মৈত্রেয়ীর আকুল প্রশ্নটি যেনাহং নামৃত স্যাম্ কিম্ অহং তেন কুৰ্য্যাম,-যে বস্তু পেলে অমৃত্ব লাভ হবে না, সে বস্তুতে আমার কি প্রয়োজন? মৈত্রেয়ী তাঁর পতি ও গুরুর কাছ থেকে লাভ করেছিলেন পূর্ণ ব্ৰহ্মজ্ঞান, হয়েছিলেন আপ্তকামা।
আজকের দিনেও ব্ৰহ্মজ্ঞ মহলে আলোচিত হয়ে থাকে মহর্ষি যাজ্ঞবল্ক্যের মানসকন্যা মহাসাধিকা সেই ব্ৰহ্মদুতির কথা যিনি ছিলেন ব্রহ্মবিদ্যা স্বরূপিণী, গায়ত্ৰীমন্ত্রের মূর্ত প্রতিমা।
বেদের ব্রাহ্মণে মহাতাপসী বাচক্লবী গার্গীর কথা আমরা পাই। সেই গার্গী এবং মহর্ষি যাজ্ঞবল্ক্যের ব্রহ্মবিচারের কাহিনী আজো এদেশের সাধককুলের কাছে হয়ে রয়েছে অবিস্মরণীয়। আচার্য শঙ্করের উক্তি থেকে স্পষ্টতই বোঝা যায়- গার্গী পরিণয়সূত্রে আবদ্ধ হন নি, সংসারধর্ম কখন পালন করেন নি, সন্ন্যাসিনীই ছিলেন আজীবন।
রামায়ণ, মহাভারত ও অন্যান্য পুরাণে দেখতে পাই, তাপসী নারীদের অনেকেই ব্রহ্মচারিণী ও সন্ন্যাসিনীর জীবন যাপন করেছেন, তাঁদের সার্থক তপস্যা ও কুপার দানে সমৃদ্ধ হয়েছে সমকালীন সমাজ।
ধর্মশাস্ত্রকার যমের মতে, প্রাচীন যুগের সাধনার্থিনী কুমারী কন্যাদের মধ্যে উপনয়ন, বেদ অধ্যয়ন ও গায়ত্ৰীমন্ত্র পাঠ প্রচলিত ছিল। শাস্ত্ৰবেত্তা হারীতও সমর্থন করেছেন এই প্রথার কথা।
অনেকের ধারণা, বৌদ্ধ ও জৈন যুগের আগে নারী সন্ন্যাসিনী বা নারী পরিব্রাজিকা এদেশে দেখতে পাওয়া যেত না। প্রাচীন শাস্ত্র ও সাহিত্যের আধুনিক গবেষকেরা কিন্তু প্রমাণ করেছেন, এ ধারণা একেবারে ভ্রান্ত। বেদপন্থী সন্ন্যাসিনীদের অবশ্যই দেখা যেতো প্রাকৃবৌদ্ধ যুগে এবং সমাজে তারা অধিকার করতেন শ্রদ্ধা ও সম্ভ্রমের স্থান।
বৌদ্ধ ভিক্ষুণী ও জৈন তপস্বিনীদের কথা আমাদের প্রাচীন সাহিত্যের বহুস্থানে ছড়ানো রয়েছে। পরবর্তীকালে তন্ত্রানুসারিণী ভৈরব ও নারী সাধিকাদের জীবনতথ্যও আমরা নানা স্থানে পাই।
আধুনিক যুগে এবং আমাদের সমকালীন সমাজেও উচ্চকোটি নারী সাধিকাগণ, ব্রহ্মজ্ঞাগণ, দুর্লভ নন। আসমুদ্র হিমাচলের নানা পুণ্যকেন্দ্রে এঁরা বিচরণ করেন, শাশ্বত আত্মিক জীবনের আলোয় আলোকিত করেন বহু নরনারীর জীবনপথ, ছড়িয়ে যান জ্ঞান, ভক্তি, প্রেম ও নিষ্কাম কর্মের পরম সম্পদ।
সারা দেশের রাষ্ট্র ও সমাজে আজ দেখা যাচ্ছে চরম অনাচার, অবক্ষয় ও আত্মহননের বিভীষিকা। এই দুর্দিনে 'ভারতের সাধিকা’র মত গ্রন্থের বিশেষ প্রয়োজন রয়েছে। সাধিকাগণ সাত্বিকী মাতৃশক্তির প্রতীক, জাতীয় উজ্জীবনের প্রেরণাদাত্রী। তাঁদের সেই মাতৃশক্তির স্বরূপকে এই গ্রন্থের মাধ্যমে জনজীবনের সম্মুখে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। ইতি- গ্রন্থকার
এই বইতে যেসব সাধিকাগণের কথা আলোচনা করা হয়েছে তাঁহারা হলেন- বিষ্ণুপ্রিয়া, ভৈরবী যোগেশ্বরী, সিদ্ধা পরমেশ্বরী বাঈ, গোপালের মা, নিবেদিতা
বাংলা বইটির পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করুন অথবা অনলাইনে পড়ুন
এছাড়া আপনারা-
ভারতের সাধিকা (পর্ব- ১) - ভবেশ দত্ত
ভারতের সাধক- শঙ্করনাথ রায় ১ম হইতে ১২ তম খন্ড
এই বইটিগুলিও সংগ্রহ করতে পারেন।
প্রিয় পাঠকগণ, এই পোষ্ট হইতে 'ভারতের সাধিকা (পর্ব- ২) - শঙ্করনাথ রায়' এই অসাধারণ আধ্যাত্মিক গল্পের বইটির পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করুন।
No comments:
Post a Comment