জ্যোতিরিন্দ্র নন্দীর নির্বাচিত গল্প বাংলা বই - বাংলা বই এর pdf ডাউনলোড-Bangla Digital Boi Pdf

Latest

Friday, August 10, 2018

জ্যোতিরিন্দ্র নন্দীর নির্বাচিত গল্প বাংলা বই


জ্যোতিরিন্দ্র নন্দীর নির্বাচিত গল্প বাংলা বই পিডিএফ
ডিজিটাল বইয়ের নাম- 'জ্যোতিরিন্দ্র নন্দীর নির্বাচিত গল্প'
লেখক- জ্যোতিরিন্দ্র নন্দী
সম্পদনা ও ভূমাকা- ডাঃ নিতাই বসু
বইয়ের ধরন- ছোট গল্প
মোট পৃষ্টা আছে- ৩৩৫
পিডিএফ সাইজ- ১৩এমবি
জলছাপমুক্ত, ভালো প্রিন্ট

নির্জনতা জ্যোতিরিন্দ্র নন্দীর বরাবরই প্রিয় ছিল, আবাল্য নিঃসঙ্গ এই শিল্পী অন্তর্মগ্নতায় আবিষ্ট হয়ে দিনরাত্রি চুপ করে বসে-বসে ভাবতে ভালোবাসতেন। শখ ও শৌখিনতা বলতে তার প্রায় কিছুই ছিল না। পঞ্চাশ বছর ধরে লিখেছেন কিন্তু কোনো গোষ্ঠীতে তিনি কখনও সংযুক্ত হন নি। তার গ্রন্থের সংখ্যা সত্তরের ওপর কিন্তু চলচ্চিত্রায়িত হয়েছে মাত্র একখানি। তাঁর সৃষ্টিকর্ম বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণার যোগ্য বলে বিবেচিত হয়েছে অথচ আজ পর্যন্ত কোনো বাণিজ্যিক মঞ্চে স্থান পায়নি তাঁর কোন উপন্যাস বা গল্প। কলকাতার সব কয়টি প্রতিষ্ঠিত পত্রপত্রিকায় প্রায় অর্ধশতাব্দী ধরে লিখলেও এখনও পর্যন্ত মাত্র একবারের বেশি পুরস্কৃত হন নি। তাঁর সাহিত্যের অবয়বে আদ্যন্ত জড়ানো রয়েছে প্রকৃতির আবরণ আর সেই প্রকৃতিকে পটভূমিতে রেখে নর-নারীর পারস্পরিক সম্পর্কের মূল্যায়ন করেছেন তিনি বারবার। অনেকগুলো হত্যার সঙ্গে সুন্দর ফুল ও চমৎকার পাখির সহবাস ঘটিয়ে, কখনও বা অনেকগুলো অপরিণত মৃত্যুর সঙ্গে ঈশ্বর বিশ্বাসী মানুষের সংগ্রামের বিশ্বস্ত দলিল রচনা করে জ্যোতিরিন্দ্র পাঠককে বিস্ময়ে অভিভূত করেন। কাচের পাত্রের মতো স্নেহ-মায়া-মমতা গুড়িয়ে দিয়ে যারা ঈপ্সিত জগৎ গড়ে তোলে, তাদের সামনে প্রতিবাদী মূর্তির মতো ভালোবাসার ভেলায় ভাসতে ভাসতে অন্ধকারের অতলে তলিয়ে যাওয়া অজস্র চরিত্র সৃজনেও তিনি ক্লান্তিহীন। একদিকে প্রচুর হত্যা, অনেক মৃত্যু, অবিমিশ্র বীভৎসতা, অবিরত ক্ৰন্দন—অন্যদিকে ফুল-পাখি-সমুদ্র-জ্যোৎস্না ও বৃষ্টির সমারোহ; আদিম মানুষ ও আদিম প্রকৃতির দ্বৈত সমাবেশ।
দ্বিতীয় বিধাতা রূপে আত্মপ্রকাশের আগে নিতান্ত শৈশব থেকে কৈশোরের স্বপ্নরঙিন দিনগুলোর গণ্ডী না পেরোনো পর্যন্ত জ্যোতিরিন্দ্র প্রকৃতির রূপ-রস-সুধা আকণ্ঠ পান করতেন সমস্ত ইন্দ্রিয় দিয়ে। নিতান্ত শৈশবে ধনু নামক যে-শিশুটি মেঘলা আকাশের মতো মুখভার করে ঘুরে বেড়াত, যাকে দুর্গা প্রতিমা বিসর্জনের দৃশ্য বা তিতাসের জলে নৌকো-বাইচের সুতীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা আকর্ষণ করত না অথচ যে আকর্ষণ বোধ করত খেজুর আর ডালপালা-ছড়ানো একটা শ্যাওড়া গাছের পিছন থেকে লাল টকটকে আকাশের দিকে তাকিয়ে সূর্যাস্ত দেখতে, তেমনই গভীর-গম্ভীর ধনু ওরফে জ্যোতিরিন্দ্রকে নিয়ে কারও কোনো আগ্রহ ছিল না।
জ্যোতিরিন্দ্র প্রকৃতিকে প্রথম জীবনে ছবিতে ধরতে চেয়েছিলেন কিন্তু সময়ের হাত ধরে যতই তিনি লেখক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে থাকলেন ততই ধীরে ধীরে তিনি রঙ-তুলির জগৎ থেকে সরে গেলেন। কৈশোরে বাবার কাছে চমৎকার আবৃত্তি শিখেছিলেন ইংরেজি বাংলা ও সংস্কৃত ভাষায়, কিন্তু পরবর্তীকালে আবৃত্তিচর্চা তার মনোহরণ করেনি। এমন কি, বিদ্যালয়ের বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রায় তিন শো ছেলের অভিভাবকদের বিরাট সমাবেশে আবৃত্তি প্রতিযোগিতায় প্রথম পুরস্কার লাভ করলেও কবিতা তার শিল্পীমনে কোনো গাঢ় বা গুঢ় ছাপ রাখে না। কবিতা পড়তে পড়তেই কবিতার রসাস্বাদনের সূত্রপাত ঘটল, কাব্যচর্চাও শুরু হল, তাঁর কবিতা পরিচিত মহলে তাকে কবি-হিসেবে কিঞ্চিৎ স্বীকৃতিও দিল এবং জনৈক স্কুল-শিক্ষকের সস্নেহ পৃষ্ঠপোষণাও তার ভাগ্যে জুটেছিল। সেই শিক্ষক স্নেহার্থী ছাত্রকে অনেক কবিতা লিখতে দেখেছেন কিন্তু তার অনুপ্রেরণা জ্যোতিরিন্দ্রকে কবিতা থেকে ছুটি নিতে আটকাতে পারেনি। এই তার পুরস্কার’ উপন্যাসে কবি ও কবিতার সপক্ষে সন্ধিহীন যুদ্ধ ঘোষণা সত্বেও, স্ব-রচিত ভাষার শরীরে কবিতার স্নিগ্ধ সুষমা মাখিয়েও অদ্যাবধি প্রকাশিত তাঁর পুস্তকাবলীর তালিকায় সংযুক্ত হয়নি কোনো কাব্যগ্রন্থের নাম।
কলকাতার সুবিশাল অট্টালিকাসমূহ তার চোখে কোনো সন্ত্রম জাগায় না অথচ একটা ছোট্ট চারা কীভাবে বিশাল বৃক্ষ হয়ে ওঠে তা তার ভাবনা-চেতনাকে দিনরাত্রি দখল করে থাকে। হাওড়া ব্রিজের নির্মাণশৈলী সঞ্জয় ভট্টাচার্যের সশ্রদ্ধ মনোযোগ আদায় করলেও জ্যোতিরিন্দ্র তা নিয়ে মোটেই অভিভূত হন না। তিনি তার প্রিয় কবি জীবনানন্দ দাশের মতোই প্রকৃতির বুকে বারংবার আশ্রয় পেয়ে খুশি হন। অথচ প্রকৃতি তাঁকে দিয়ে কখনও কবিতা লেখায় না, প্রায়ই তাঁর গদ্যের পোশাক তৈরি করিয়ে নেয়।
তিনি কখনও কারো কাছে বিশেষভাবে উৎসাহিত হন নি, প্রবীণতর বা সমকালীন কোনো সাহিত্য-সহযাত্রীর কাছে কৃতজ্ঞতার কোনো ঋণ নেই তাঁর। যখন তিনি পূর্ব বাংলার একটি প্রাচীন শিক্ষায়তন, অন্নদা উচ্চ ইংরাজি বিদ্যালয়ের ছাত্র, তখন ওই বিদ্যালয়ের বাংলা শিক্ষক সাহিত্যরসিক হরেন্দ্র ভট্টাচার্যের কাছে মেহরকালীবাড়ির মেলায় ভ্রমণ করা সম্পর্কে এমন মনোজ্ঞ একটি রচনা পরীক্ষার প্রশ্নোত্তরে উপহার দিয়েছিলেন যেটি হরেন্দ্রবাবু ক্লাসে এনে সবাইকে পড়ে শুনিয়েছিলেন এবং উদ্ভাসিত প্রশংসা করেছিলেন। তখন থেকেই সুনিশ্চিতভাবে তার সাহিত্যসাধনার সূত্রপাত ঘটল।
ইতিপূর্বে কবিতা লিখে বা কবিতা পড়ে তার মন তৃপ্ত হচ্ছিল না। একদিন যাবার টেবিলে আইনের বইয়ের পাশে মলাট-ছেড়া ‘রাজপূত জীবনসন্ধ্যা’, ‘মাধবী কঙ্কন’ ও ‘মহারাষ্ট্র জীবন প্রভাত’ পেয়ে গেলেন। ইতিপূর্বে তার পরিচয় ঘটেছিল 'চারু-হারু’, 'ঠাকুরমার ঝুলি’ ও ‘ঠাকুরদার ঝুলির' সঙ্গে, এইবারই মাত্র এগারোবারো বছর বয়সে রমেশচন্দ্র দত্তকে নিয়ে তার সাবালক সাহিত্যপাঠ শুরু হল। শুধু পাঠ নয়, তিনি নিজেকে উপন্যাসগুলোর নায়ক অথবা নায়িকা ভেবে তৃপ্তি পেতেন। মাত্র কয়েক বছর পরে বিয়োগান্ত ও মিলনান্ত বহু নাটকে অভিনয় করে তিনি দর্শকদের অকুণ্ঠ প্রশংসা অর্জন করেছিলেন। অভিনয় করা দূরে থাক, পরবর্তীকালে তিনি অভিনয় দেখাও সম্পূর্ণ ছেড়ে দেন। সমগ্র জীবনে তিনি মাত্র দশ-বারোটির বেশি সিনেমা দেখেন নি যদিও তিনি চলচ্চিত্রকে অন্যতম শ্রেষ্ঠ শিল্প হিসেবে স্বীকার করেন। তিনি থিয়েটারও দেখতেন না তবে থিয়েটারের প্রভাব সম্পর্কে তিনি ওয়াকিবহাল ছিলেন বলেই ‘একটি একাঙ্ক নাটক’-এর মত গল্প লিখতে পারেন।
রমেশচন্দ্রের উপন্যাস পড়ার সময় তিনি পাহাড় ঝর্ণা গুহা বা গিরিবত্ম নিয়ে পরিবেশ কল্পনা করতেন। পরিবেশের কল্পনা ওঁকে বাধ্য করল রঙ তুলি ও কাগজের জগতে ডুবে যেতে। ওঁর ছবি আঁকার সঙ্গী হিসেবে উনি পেয়েছিলেন চিত্রাঙ্কনবিদ্যায় দক্ষ ওঁর ছোটমামাকে।
ছবি আঁকার সঙ্গে সাহিত্যপাঠও চলতে লাগল। রমেশচন্দ্র দত্তের পর জলধর সেন হয়ে যতীন্দ্রমোহন সিংহের ধ্রুবতারা’য় পৌঁছলেন। জ্যোতিরিন্দ্র যেন স্তম্ভিত হয়ে ভাবতে থাকলেন, চরিত্রগুলো ওঁর একান্ত পরিচিত। উপন্যাসটির নায়ক উপীনের মতো উনি ওঁর জীবনের ধ্রুবতারা কোনো নায়িকাকে খুঁজতে লাগলেন। তরুণটির হাব-ভাব বাবার উকিল বন্ধুর চোখে স্বাভাবিক লাগত না, তিনি ছেলেকে শাসন ও নিয়ন্ত্রণ করতে বাবাকে পরামর্শ দিলেন। কিন্তু বাবা তার স্বভাবসিদ্ধ উদারতার জন্য ছেলের সাহিত্যপাঠ, ছবি আঁকা বা কবিতা লেখার ব্যাপারে কিছুই বললেন না।
জ্যোতিরিন্দ্র সপ্তম শ্রেণীতে পড়ার সময় আবৃত্তি করে একখণ্ড ‘গল্পগুচ্ছ’ উপহার পেয়েছিলেন এবং রবীন্দ্রনাথের ছোটগল্প পড়ে তিনি আবিষ্ট হয়ে যান, ক্রমশ প্রভাতকুমার ও শরৎচন্দ্র তার প্রিয় লেখকের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হলেন। কিন্তু ভাবলেও অবাক হতে হয়, তার এই প্রিয়তম লেখকগোষ্ঠী তার রসাস্বাদ মিটিয়েছেন, চিত্তকে নন্দিত করেছেন কিন্তু শিল্পভাবনাকে বিন্দুমাত্র প্রভাবিত করতে পারেন নি। রবীন্দ্রনাথের বিষাদব্যাকুল বৈরাগ্য, প্রভাতকুমারের তরলমধুর হাস্যরস এবং শরৎচন্দ্রের বাঙালিসুলভ ভাবালুতা থেকে সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র তার রচনা। তাঁর গল্পে বিষাদ আছে কিন্তু বৈরাগ্য নেই, হাস্যরস পরিবেশনায় তার কোন আগ্রহ নেই এবং ভাবালুতার তিনি ঘোরতম শত্রু। তিনি পাঠকদের ভাবিয়ে
তোলেন কিন্তু ভাসিয়ে নিয়ে যান না। তার অধিকাংশ গ্রন্থের পুনর্মুদ্রণ হয়নি, বিরল ব্যতিক্রম হয়ে বেঁচে থাকে তার মাত্র একটিমাত্র উপন্যাস বারো ঘর এক উঠোন’, যেটি প্রায় আধ ডজন সংস্করণ পেরিয়েও এখনও বাঙালি পাঠকের ঔৎসুক্য জাগায়। ‘গল্পগুচ্ছ’-এর মাত্র একটি খণ্ড তিনি উপহার পেয়েছিলেন, বাকি খণ্ডগুলো সংগ্রহ করতে কুমিল্লা শহরের সেই আধা-মফস্বলী আবহাওয়ায় এই উদ্যমী তরুণকে আরো প্রায় দু’তিন বছর অপেক্ষা করতে হয়েছিল। গল্পগুচ্ছ ওঁকে উপন্যাস পড়ার নেশা কাটিয়ে দিল। পনেরোর পা দেওয়ার প্রাক-মুহূর্তে, বয়ঃসন্ধির সেই ভয়ঙ্কর সময়ে, রবীন্দ্রনাথের ছোটগল্প আঁকে ছবি আঁকা ছাড়িয়ে ছোটগল্প লিখতে প্রেরণা দিল। মফস্বল শহরগুলাের বিভিন্ন হাতে-লেখা পত্রিকায় তার ছোটগল্পের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে মেটাতে তিনি নবম শ্রেণীর সিড়ি পেরিয়ে দশম শ্রেণীতে পৌছে যান। উত্তেজনার দুর্বার ঝেকে এই দৃপ্ত তরুণ প্রচণ্ড দাপটে এমন একটি হাতে লেখা পত্রিকা প্রকাশ করেন যেটির প্রথম সংখ্যাই অন্তিম, যদিও পত্রিকার সেই সংখ্যাটিতে সঙ্কলিত হয়েছিল একমাত্র ওঁরই লেখা কবিতা ও গল্প, ঔরই আঁকা ছবি।
যখন তিনি মাত্র আঠারো বছরের তরুণ, তখন কুমিল্লায় যুব সম্মিলনে উপস্থিত হয়েছিলেন নেতাজী সুভাষচন্দ্র। সঙ্গে ছিলেন শরৎচন্দ্র। ওই অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে হাতে-লেখা পত্রিকা বের করলেন সঞ্জয় ভট্টাচার্য, জ্যোতিরিন্দ্রর সাহিত্যজীবনের অন্যতম সুরকার। ওই হাতে-লেখা পত্রিকায় জ্যোতিরিন্দ্রের যে-গল্পটি প্রকাশিত হয়, তার পাশে শরৎচন্দ্র স্বহস্তে প্রশস্তিসূচক মন্তব্য লিখে দেন। ভিক্টোরিয়া কলেজের বাংলার অধ্যাপক সুধীর সেনের সস্নেহ আনুকূল্যে গল্পটি নারায়ণ চৌধুরী সম্পাদিত “কলেজ ক্রনিকল’-এ ছাপা হয়। গল্পটির নাম অন্তরালে।
সক্রিয়ভাবে তখন লেখার ব্যাপারে উৎসাহিত হতে চান নি জ্যোতিরিন্দ্র । ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও কুমিল্লায় তিনি তখন সব কাজেই প্রচুর উৎসাহ উদ্দীপনা অনুভব করতেন। ওখানকার তদানীন্তন বিখ্যাত নেতা ললিত বর্মণের নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত কল্যাণ সঙ্ঘের হাতে-লেখা মুখপত্রের পরিচালনা করেছেন, প্রচুর বই পড়েছেন এবং নাট্যাভিনয়ে নিজেকে সংযুক্ত করেছেন। প্রথম যৌবনে তার যাবতীয় সামাজিক সংযোগ সম্ভবত তাকে রাজনীতির দিকে ঠেলে দেয় এবং সন্ত্রাসবাদী আন্দোলনের তপ্ত হাওয়ায় উত্তপ্ত এই যুবকটিকে পুলিশী নির্যাতন সহ্য করে ছমাস কুমিল্লা জেলে বন্দী থাকতে হয়। অতঃপর আরো এক বছর স্ব-গৃহে তাকে অন্তরীণ থাকতে হল এবং এই সময় তিনি স্নাতক হলেন। জীবনের ওই রাজনৈতিক পর্বে তার অন্তর্গত রক্তের ভিতরে বাসা বেঁধেছিল ভাবী লেখক জীবনের গূঢ়-গোপন স্বপ্ন। গোপনে সরকারী নির্দেশ উপেক্ষা করে লেখার চর্চা শুরু করলেন 'জ্যোৎস্না রায়’ ছদ্মনামের আড়ালে। প্রকৃতিপ্রেমিক এই শিল্পীর উপযুক্ত ছদ্মনামে তিনি 'সোনার বাংলা’ ও ‘বাংলার বাণী’তে অনেক গল্প লিখলেন। - ডাঃ নিতাই বসু
যে গল্পগুলি এই বইতে রয়েছে, সেগুলি হল-
নদী ও নারী
রাইচরণের বাবরি
সমুদ্র
বৃষ্টির পরে
বনের রাজা
বন্ধুপত্নী
গিরগিটি
স্বাপদ
তারিণীর বাড়ি-বদল
মঙ্গলগ্রহ
চোর
নীল পেয়ালা
চন্দ্রমল্লিকা
পার্বতীপুরের বিকেল
খালপোল ও টিনের ঘরের চিত্রকর
পতঙ্গ
পাশের ফ্ল্যাটের মেয়েটা
জ্বালা
সামনে চামেলি
গাছ
জ্যোতিরিন্দ্র নন্দীর নির্বাচিত গল্প

উপরোক্ত বাংলা বইটির পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করুন অথবা অনলাইনে পড়ুন
প্রিয় পাঠকগণ, এই পোষ্ট হইতে উপরোক্ত নির্বাচিত বাংলা গল্প সংগ্রহ বই- 'জ্যোতিরিন্দ্র নন্দীর নির্বাচিত গল্প' -এর পিডিএফ সংগ্রহ করিতে পারিবেন।

No comments:

Post a Comment