খ্যাতি যাঁদের জগৎ জোড়া - নির্মলেন্দু রায়চৌধুরী বাংলা জীবনীমুলক বই পিডিএফ
ডিজিটাল বইয়ের নাম- ‘খ্যাতি যাঁদের জগৎ জোড়া’
লেখক- নির্মলেন্দু রায়চৌধুরী
ধরন- জীবনীমুলক বই
এই বইতে মোট পৃষ্টা আছে- ২৫৮
ডিজিটাল বইয়ের সাইজ- ১৪এমবি
জলছাপমুক্ত, ঝকঝকে প্রিন্ট
বিশ্বের দিকপালগণের জীবন-আলখ্য
'খ্যাতি যাদের জগৎ-জোড়া' গ্রন্থটি কোন বিশেষজ্ঞ বা বিদগ্ধ শ্রেণীর জন্য নয়। আমার এ প্রচেষ্টা প্রধানত শিক্ষার্থী ও শিক্ষকগণের উদ্দেশ্যে। আশা করি, রেফারেন্সের জন্য গ্রন্থটি হয়তাে বা জ্ঞান-পিপাসু সাধারণ পাঠকবৃন্দেরও প্রয়োজনে আসতে পারে।
সাম্প্রতিক কালে শিক্ষার্থীদের সাধারণ-জ্ঞানের দৈন্যের অভিযােগ শােনা যায়। কথাটা হয়তাে কিছুটা সত্যি। তবে এ কথা ঠিক,-দেশের মনীষীদের অবদানের কথা যদিও বা এদের কেউ কেউ কম বেশী পড়ে থাকে, সমগ্র বিশ্বে যারা জ্ঞানবিজ্ঞানের আলাে জ্বালালেন বা বিভিন্ন ক্রীড়াঙ্গন থেকে যারা জয়ের মুকুট অর্জন করে স্বদেশের গৌরব বাড়িয়েছেন, সেইসব বরণীয় দিপালগণের পরিচিতি সম্বন্ধে এসব সাধারণ শিক্ষার্থীদের ধ্যান-ধারণা খুব অস্পষ্ট।
হাতের কাছে এ ধরনের তথ্য-সম্বলিত একটি ছােট্ট রেফারেন্স বই থাকলে—যা ব্যবহারে সহজ এবং প্রশ্ন-সমাধানে যন্ত্রবৎ, ছােট ভাই-বােনদের বিশেষ সহায়ক হতে পারে।-সেই উদ্দেশ্যেই আমার এ প্রয়াস। বাংলা ভাষায় এ ধরনের প্রচেষ্টা। ইতিপূর্বে হয়েছে বলে জানি না। ভারতীয় অন্য কোন ভাষায় আছে কি না সন্দেহ।
সাধারণ জিজ্ঞাসার পরিপ্রেক্ষিতে গ্রন্থটিকে প্রধানতঃ সাতটি অধ্যায়ে ভাগ করা হয়েছে—সাহিত্য, শিল্প ও চিত্রকলা, ভাস্কর্য ও স্থাপত্য, বিজ্ঞান, ক্রীড়াঙ্গন, দুঃসাহসিক অভিযান, দেশনায়ক ও সমাজসংস্কারক এবং মহাশূন্যে অভিযানের বিবর্তন।
প্রত্যেক অধ্যায়-ই তত্ত্বমূলক ছোট্ট একটি ভূমিকা দিয়ে শুরু করা হয়েছে। তারপর বিষয় বিভাগে তাদের আবির্ভাবের কালানুক্রমিক বিশ্বের শ্রেষ্ঠগণের সংক্ষিপ্ত জীবনচরিত বিন্যস্ত করা হয়েছে।
অনুসন্ধিৎসু পাঠক-পাঠিকাদের সুবিধার জন্য গ্রন্থটির শেষে পুস্তকে উল্লেখিত দিপালগণের নামের নির্দেশিকা’ যুক্ত করা হয়েছে।
বলা বাহুল্য, এটি আমার মৌলিক রচনা নয়, সংকলন। বহু পরিশ্রম করে। নির্ভরযােগ্য গ্রন্থসমূহ থেকে তথ্য আহরণ করে তা যথাসম্ভব সহজ ভাষায় পরিবেশন করতে চেষ্টা করেছি কিশাের এবং তরুণ পাঠকমনে আগ্রহ সঞ্চারের। উদ্দেশ্যে।
প্রসঙ্গত, বর্তমান সংকলনটি স্বয়ংসম্পূর্ণ বলে দাবি করি না। এ সংকলনের উক্ত সাতটি অধ্যায়ে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি এমন আরও কিছু শ্রেষ্ঠ কৃতীব্যক্তি থাকা অস্বাভাবিক নয়। তবে এ গ্রন্থে সংকলিত দিকৃপালগণকে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ। বলে গ্রহণ করতে কোন শ্রেণীর পাঠক-পাঠিকা কুষ্ঠিত হবেন না বলেই আমার বিশ্বাস।
গ্রন্থটি সংকলন করতে যাদের কাছ থেকে নানাভাবে সাহায্য পেয়েছি তাদের মধ্যে অগ্রজপ্রতিম সর্বশ্রী কানাইলাল মুখােপাধ্যায় এবং বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র-এর নাম। বিশেষ ভাবে উল্লেখযােগ্য। ক্রীড়াঙ্গন' অধ্যায়টি লিখতে শ্রীখেলােয়াড়-এর সহায়তা পেয়েছি। এ ছাড়াও ক’জন সহৃদয় পণ্ডিত ব্যক্তি মূল্যবান উপদেশনির্দেশ দিয়ে আমাকে উপকৃত করেছেন। এদের সকলকে আমি কৃতজ্ঞ চিত্তে স্মরণ করছি।
সবশেষে, গ্রন্থটির মূল পরিকল্পনা শ্রদ্ধেয় শ্রী অমিয়রঞ্জন মুখােপাধ্যায় মহাশয়ের। এই দুরূহ কাজের গুরুত্ব উপলব্ধি করে প্রথমে আমি এ দায়িত্ব নিতে যথেষ্ট দ্বিধাগ্রস্ত ছিলাম। আমার অক্ষমতার কথাও তাকে জানিয়েছিলাম। শেষ পর্যন্ত তিনি-ই আমাকে এ কাজে উৎসাহিত এবং প্রবৃত্ত করেন। এ জন্য তার কাছেও আমি কৃতজ্ঞ।
নিজের যােগ্যতা বিচার না করে একদিন এ কাজে ব্রতী হয়েছিলাম। কারণ, এ ধরণের একটি বইয়ের প্রয়ােজনীয়তা ছিল। এবং সে প্রয়ােজনের কথা আগেই উল্লেখ করেছি।
স্বল্পপরিসরের মধ্যে গ্রন্থটিকে সুসম্পূর্ণ করতে যথাসম্ভব চেষ্টা করেছি। কতদূর সফল হয়েছি জানি না। | ‘খ্যাতি যাদের জগৎজোড়া পড়ে যদি পাঠক-পাঠিকার, বিশেষ করে কিশাের এবং তরুণ পাঠক-বন্ধুরা উপকৃত হন অথবা সেই পাঠকমনে যদি বিশ্বের আরও সব শ্রেষ্ঠ দিপালগণের জীবনচরিত পড়বার আগ্রহ জাগে—তাহলেই আমার পরিশ্রম এবং উদ্দেশ্য সিদ্ধ হবে। আর, তাদের ভেতর যদি দু'চার জনও সংকলিত কোন শ্রেষ্ঠ মনীষীর আদর্শে উদ্বুদ্ধ হন তাহলে আমি নিজেকে ধন্য মনে করবাে। ইতি- নির্মলেন্দু রায়চৌধুরী
বইটির পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করুন
বাংলা জীবনীমুলক বই পিডিএফ 'খ্যাতি যাঁদের জগৎ জোড়া - নির্মলেন্দু রায়চৌধুরী'
ডিজিটাল বইয়ের নাম- ‘খ্যাতি যাঁদের জগৎ জোড়া’
লেখক- নির্মলেন্দু রায়চৌধুরী
ধরন- জীবনীমুলক বই
এই বইতে মোট পৃষ্টা আছে- ২৫৮
ডিজিটাল বইয়ের সাইজ- ১৪এমবি
জলছাপমুক্ত, ঝকঝকে প্রিন্ট
বিশ্বের দিকপালগণের জীবন-আলখ্য
'খ্যাতি যাদের জগৎ-জোড়া' গ্রন্থটি কোন বিশেষজ্ঞ বা বিদগ্ধ শ্রেণীর জন্য নয়। আমার এ প্রচেষ্টা প্রধানত শিক্ষার্থী ও শিক্ষকগণের উদ্দেশ্যে। আশা করি, রেফারেন্সের জন্য গ্রন্থটি হয়তাে বা জ্ঞান-পিপাসু সাধারণ পাঠকবৃন্দেরও প্রয়োজনে আসতে পারে।
সাম্প্রতিক কালে শিক্ষার্থীদের সাধারণ-জ্ঞানের দৈন্যের অভিযােগ শােনা যায়। কথাটা হয়তাে কিছুটা সত্যি। তবে এ কথা ঠিক,-দেশের মনীষীদের অবদানের কথা যদিও বা এদের কেউ কেউ কম বেশী পড়ে থাকে, সমগ্র বিশ্বে যারা জ্ঞানবিজ্ঞানের আলাে জ্বালালেন বা বিভিন্ন ক্রীড়াঙ্গন থেকে যারা জয়ের মুকুট অর্জন করে স্বদেশের গৌরব বাড়িয়েছেন, সেইসব বরণীয় দিপালগণের পরিচিতি সম্বন্ধে এসব সাধারণ শিক্ষার্থীদের ধ্যান-ধারণা খুব অস্পষ্ট।
হাতের কাছে এ ধরনের তথ্য-সম্বলিত একটি ছােট্ট রেফারেন্স বই থাকলে—যা ব্যবহারে সহজ এবং প্রশ্ন-সমাধানে যন্ত্রবৎ, ছােট ভাই-বােনদের বিশেষ সহায়ক হতে পারে।-সেই উদ্দেশ্যেই আমার এ প্রয়াস। বাংলা ভাষায় এ ধরনের প্রচেষ্টা। ইতিপূর্বে হয়েছে বলে জানি না। ভারতীয় অন্য কোন ভাষায় আছে কি না সন্দেহ।
সাধারণ জিজ্ঞাসার পরিপ্রেক্ষিতে গ্রন্থটিকে প্রধানতঃ সাতটি অধ্যায়ে ভাগ করা হয়েছে—সাহিত্য, শিল্প ও চিত্রকলা, ভাস্কর্য ও স্থাপত্য, বিজ্ঞান, ক্রীড়াঙ্গন, দুঃসাহসিক অভিযান, দেশনায়ক ও সমাজসংস্কারক এবং মহাশূন্যে অভিযানের বিবর্তন।
প্রত্যেক অধ্যায়-ই তত্ত্বমূলক ছোট্ট একটি ভূমিকা দিয়ে শুরু করা হয়েছে। তারপর বিষয় বিভাগে তাদের আবির্ভাবের কালানুক্রমিক বিশ্বের শ্রেষ্ঠগণের সংক্ষিপ্ত জীবনচরিত বিন্যস্ত করা হয়েছে।
অনুসন্ধিৎসু পাঠক-পাঠিকাদের সুবিধার জন্য গ্রন্থটির শেষে পুস্তকে উল্লেখিত দিপালগণের নামের নির্দেশিকা’ যুক্ত করা হয়েছে।
বলা বাহুল্য, এটি আমার মৌলিক রচনা নয়, সংকলন। বহু পরিশ্রম করে। নির্ভরযােগ্য গ্রন্থসমূহ থেকে তথ্য আহরণ করে তা যথাসম্ভব সহজ ভাষায় পরিবেশন করতে চেষ্টা করেছি কিশাের এবং তরুণ পাঠকমনে আগ্রহ সঞ্চারের। উদ্দেশ্যে।
প্রসঙ্গত, বর্তমান সংকলনটি স্বয়ংসম্পূর্ণ বলে দাবি করি না। এ সংকলনের উক্ত সাতটি অধ্যায়ে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি এমন আরও কিছু শ্রেষ্ঠ কৃতীব্যক্তি থাকা অস্বাভাবিক নয়। তবে এ গ্রন্থে সংকলিত দিকৃপালগণকে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ। বলে গ্রহণ করতে কোন শ্রেণীর পাঠক-পাঠিকা কুষ্ঠিত হবেন না বলেই আমার বিশ্বাস।
গ্রন্থটি সংকলন করতে যাদের কাছ থেকে নানাভাবে সাহায্য পেয়েছি তাদের মধ্যে অগ্রজপ্রতিম সর্বশ্রী কানাইলাল মুখােপাধ্যায় এবং বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র-এর নাম। বিশেষ ভাবে উল্লেখযােগ্য। ক্রীড়াঙ্গন' অধ্যায়টি লিখতে শ্রীখেলােয়াড়-এর সহায়তা পেয়েছি। এ ছাড়াও ক’জন সহৃদয় পণ্ডিত ব্যক্তি মূল্যবান উপদেশনির্দেশ দিয়ে আমাকে উপকৃত করেছেন। এদের সকলকে আমি কৃতজ্ঞ চিত্তে স্মরণ করছি।
সবশেষে, গ্রন্থটির মূল পরিকল্পনা শ্রদ্ধেয় শ্রী অমিয়রঞ্জন মুখােপাধ্যায় মহাশয়ের। এই দুরূহ কাজের গুরুত্ব উপলব্ধি করে প্রথমে আমি এ দায়িত্ব নিতে যথেষ্ট দ্বিধাগ্রস্ত ছিলাম। আমার অক্ষমতার কথাও তাকে জানিয়েছিলাম। শেষ পর্যন্ত তিনি-ই আমাকে এ কাজে উৎসাহিত এবং প্রবৃত্ত করেন। এ জন্য তার কাছেও আমি কৃতজ্ঞ।
নিজের যােগ্যতা বিচার না করে একদিন এ কাজে ব্রতী হয়েছিলাম। কারণ, এ ধরণের একটি বইয়ের প্রয়ােজনীয়তা ছিল। এবং সে প্রয়ােজনের কথা আগেই উল্লেখ করেছি।
স্বল্পপরিসরের মধ্যে গ্রন্থটিকে সুসম্পূর্ণ করতে যথাসম্ভব চেষ্টা করেছি। কতদূর সফল হয়েছি জানি না। | ‘খ্যাতি যাদের জগৎজোড়া পড়ে যদি পাঠক-পাঠিকার, বিশেষ করে কিশাের এবং তরুণ পাঠক-বন্ধুরা উপকৃত হন অথবা সেই পাঠকমনে যদি বিশ্বের আরও সব শ্রেষ্ঠ দিপালগণের জীবনচরিত পড়বার আগ্রহ জাগে—তাহলেই আমার পরিশ্রম এবং উদ্দেশ্য সিদ্ধ হবে। আর, তাদের ভেতর যদি দু'চার জনও সংকলিত কোন শ্রেষ্ঠ মনীষীর আদর্শে উদ্বুদ্ধ হন তাহলে আমি নিজেকে ধন্য মনে করবাে। ইতি- নির্মলেন্দু রায়চৌধুরী
বইটির পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করুন
বাংলা জীবনীমুলক বই পিডিএফ 'খ্যাতি যাঁদের জগৎ জোড়া - নির্মলেন্দু রায়চৌধুরী'
No comments:
Post a Comment