জয় অ্যাডামসন অমনিবাস বাংলায় অনুবাদিত বই পিডিএফ
ডিজিটাল বইয়ের নাম- 'জয় অ্যাডামসন অমনিবাস'
লেখক- জয় অ্যাডামসন
অনুবাদিত গল্পের বই
অনুবাদক- অর্ণব রায়, ইন্দুভূষণ দাস
এই বইতে মোট পৃষ্টা আছে- ৪৪৯
ডিজিটাল বইয়ের সাইজ- ১০এমবি
জলছাপমুক্ত, ঝকঝকে প্রিন্ট
গল্পের নমুনা-
কেনিয়ার উত্তর সীমান্ত প্রদেশ। বহু বছর আছি আমরা এখানে। বিশ হাজার কয়েকশো মাইল জুড়ে আধশুকনো কাঁটাঝোপের বিস্তার। কেনিয়া পাহাড় থেকে ইথিওপীয়ার সীমানা অবধি এলাকা। আফ্রিকার এই অংশে সভ্যতার প্রভাব পড়েনি। অন্য দেশ থেকে কেউ আসেনি এখানে বসতি করতে। এখানকার মাটির যারা মানুষ তারা আজও পিতৃপিতামহের জীবনধারায় বজায় রেখেছে নিজের নিজের জীবন জীবিকা। চারদিকে ছড়িয়ে আছে অরণ্যজীবনের বহুতর বৈচিত্র্য। এই বিশাল এলাকার প্রধান অরণ্যপ্রাণী সংরক্ষক আমার স্বামী জর্জ। এই প্রদেশের দখিন দুয়ারে আমাদের আবাস। জনাত্রিশ শ্বেতকায় সরকারী কর্মচারীর ছোট্ট উপনগরী ইসিওলোর কাছে। অনেক কাজ জর্জের। শিকারের আইন মানা হচ্ছে কিনা দেখা; বেআইনী, চোরাগোপ্তা বন্য প্রাণী শিকার বন্ধ করা ; স্থানীয় অধিবাসীদের ওপর হিংস্র বন্যপ্রাণীর হামলা হলে তা বন্ধ করা। এসব কাজের একটা না একটাতে জর্জকে এই বিশাল এলাকার এক প্রান্ত থেকে আর একপ্রান্ত অবধি দৌড়ঝাঁপ করে বেড়াতে হয়, অনেক ঘুরতে হয়। এমন ঘোরাঘুরিকে আমরা বলি, সফারী। সম্ভব হলেই জর্জের সঙ্গে সঙ্গে আমিও ঘুরি। এমনি করেই এই বই প্রকৃতির অবাধ লীলা রঙ্গভূমির কোলে ঝাপিয়ে পড়ি, পড়ার সুযোগ পাই। জীবন এখানে বড় কঠোর, প্রকৃতির নিয়ম তার নিজেরই হাতে। এ কাহিনীর সূত্রপাত এমনি এক সফারীতে।
মানুষখেকো এক সিংহ বোরা উপজাতির একজনকে মেরে ফেলেছে। খবর এলো জর্জের কাছে-এই মানুষখেকোটা দু’দুটি সঙ্গিনী নিয়ে কাছাকাছি কোনো পাহাড়ে ঘাঁটি গেড়েছে। কাজেই জর্জের দায়িত্ব এসে গেলো এদের খুজে বার করার। এজন্যে বোরদের বসতির মাঝে এসে ক্যাম্প করেছিইসিওলোর উত্তরে, অনেকটা দূরে। পয়লা ফেব্রুয়ারী, উনিশশো ছাপ্পান্ন । ভোর বেলা ঘুম ভেঙে দেখি, ক্যাম্পে একা আমি। সঙ্গে আছে শুধু প্যাটি-সাড়ে ছ-বছর বয়সের পাহাড়ী হাইয়্যান্স, আমাদের পোষা ছোট্টটি থেকে। ওকে দেখায় যেন কাঠবিড়ালী বা গিনিপিগ । যদিও ওর পা আর দাতের ধরনধারণ দেখলে পশুবিজ্ঞানবিদরা ওকে গণ্ডার বা হাতীর সঙ্গে এক গোত্রে ফেলবেন। অবশ্য ব্যাপারটাঅনেকটা বিড়ালকে বাঘের মাসী বলা গোছের। আমার গলায় প্যাটি সোহাগভরে ওর গায়ের নরম লোম জড়িয়ে রয়েছে। ওর কাছে এটা সব থেকে নির্ঝঞ্ঝাট জায়গা আর সেখান থেকেই চারদিক চেয়ে চেয়ে দেখছে। ক্যাম্পের চারধারটা শুকনো। গ্রানাইট পাথরের খাজ বেরিয়ে বেরিয়ে আছে আর গাছপালা ঝোপঝাড় অল্প অল্প ছিটিয়ে ছড়িয়ে আছে। তবুও জন্তু জানোয়ার খুব একটা কম নেই। বরং বেশ আছে বলতে পারা যায়। প্রচুর সংখ্যায় জেবরা, অন্যান্য গেজেল বা গজল হরিণ ইত্যাদি, অর্থাৎ বলতে গেলে এক কথায়, এমন শুকনো অবস্থায় সারা জীবনকে মানিয়ে নিয়েছে তেমন সব প্রাণী। কচিৎ কদাচিৎ এদের জল খাওয়ার দরকার হয়, আবার তা হয় না। হঠাৎ শুনি গাড়ির শব্দ। এতো তাড়াতাড়ি তে জর্জের ফেরার কথা নয় তবুও ফিরছে নিশ্চয়ই। কাঁটাঝোপের মধ্যে দিয়ে দেখা দিল আমাদের ল্যাণ্ডরোভার। থামল তাঁবুর কাছে। শুনলাম জর্জ চেঁচাচ্ছে, “জয় ! কোথায় গেলে? দেখো। কি এনেছি তোমার জন্যে...” কাঁধের ওপরে প্যাটিকে নিয়ে গেলাম তাড়াতাড়ি ; দেখি একটা সিংহের চামড়া। জিজ্ঞাসা করব, শিকার হল কেমন করে, তার আগেই গাড়ির পেছনটা দেখাল জর্জ ইশারায়। গিয়ে দেখি, ছোট ছোটু লোমের তিনটে ছোট্ট ছোট্ট পুটলি – সিংহশিশু তিনটি, যেন সরমে মুখ আড়াল করতে চাইছে। মনে হল মাত্র দিন কয়েকের বাচ্চা ; চোখ ফোটেনি, তখনো চোখের ওপর নীচে স্বচ্ছ পর্দা। হামাগুড়ি দিতে পারছে না, তবুও যেন বুকে হেঁটে নাগালের বাইরেই থাকতে চাইছে। ওদের কোলে তুলে নিলাম, জজকে মনে হচ্ছিল বেশ বিপর্যস্ত। গল্পটা বলল ও তখনই।..
গল্পগুলি অনুবাদ করেছেন- অর্ণব রায়, ইন্দুভূষণ দাস
এই বইতে জয় অ্যাডামসনের লেখা যে তিনটি গল্প রয়েছে, সেগুলি হল-
বর্ন ফ্রী
লিভিং ফ্রী
ফরএভার ফ্রী
জয় অ্যাডামসন অমনিবাস গল্প সংগ্রহ অনুবাদ বইটির পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করুন অথবা অনলাইনে পড়ুন
বাংলা অনুবাদিত গল্পের বইয়ের পিডিএফ 'জয় অ্যাডামসন অমনিবাস'
ডিজিটাল বইয়ের নাম- 'জয় অ্যাডামসন অমনিবাস'
লেখক- জয় অ্যাডামসন
অনুবাদিত গল্পের বই
অনুবাদক- অর্ণব রায়, ইন্দুভূষণ দাস
এই বইতে মোট পৃষ্টা আছে- ৪৪৯
ডিজিটাল বইয়ের সাইজ- ১০এমবি
জলছাপমুক্ত, ঝকঝকে প্রিন্ট
গল্পের নমুনা-
কেনিয়ার উত্তর সীমান্ত প্রদেশ। বহু বছর আছি আমরা এখানে। বিশ হাজার কয়েকশো মাইল জুড়ে আধশুকনো কাঁটাঝোপের বিস্তার। কেনিয়া পাহাড় থেকে ইথিওপীয়ার সীমানা অবধি এলাকা। আফ্রিকার এই অংশে সভ্যতার প্রভাব পড়েনি। অন্য দেশ থেকে কেউ আসেনি এখানে বসতি করতে। এখানকার মাটির যারা মানুষ তারা আজও পিতৃপিতামহের জীবনধারায় বজায় রেখেছে নিজের নিজের জীবন জীবিকা। চারদিকে ছড়িয়ে আছে অরণ্যজীবনের বহুতর বৈচিত্র্য। এই বিশাল এলাকার প্রধান অরণ্যপ্রাণী সংরক্ষক আমার স্বামী জর্জ। এই প্রদেশের দখিন দুয়ারে আমাদের আবাস। জনাত্রিশ শ্বেতকায় সরকারী কর্মচারীর ছোট্ট উপনগরী ইসিওলোর কাছে। অনেক কাজ জর্জের। শিকারের আইন মানা হচ্ছে কিনা দেখা; বেআইনী, চোরাগোপ্তা বন্য প্রাণী শিকার বন্ধ করা ; স্থানীয় অধিবাসীদের ওপর হিংস্র বন্যপ্রাণীর হামলা হলে তা বন্ধ করা। এসব কাজের একটা না একটাতে জর্জকে এই বিশাল এলাকার এক প্রান্ত থেকে আর একপ্রান্ত অবধি দৌড়ঝাঁপ করে বেড়াতে হয়, অনেক ঘুরতে হয়। এমন ঘোরাঘুরিকে আমরা বলি, সফারী। সম্ভব হলেই জর্জের সঙ্গে সঙ্গে আমিও ঘুরি। এমনি করেই এই বই প্রকৃতির অবাধ লীলা রঙ্গভূমির কোলে ঝাপিয়ে পড়ি, পড়ার সুযোগ পাই। জীবন এখানে বড় কঠোর, প্রকৃতির নিয়ম তার নিজেরই হাতে। এ কাহিনীর সূত্রপাত এমনি এক সফারীতে।
মানুষখেকো এক সিংহ বোরা উপজাতির একজনকে মেরে ফেলেছে। খবর এলো জর্জের কাছে-এই মানুষখেকোটা দু’দুটি সঙ্গিনী নিয়ে কাছাকাছি কোনো পাহাড়ে ঘাঁটি গেড়েছে। কাজেই জর্জের দায়িত্ব এসে গেলো এদের খুজে বার করার। এজন্যে বোরদের বসতির মাঝে এসে ক্যাম্প করেছিইসিওলোর উত্তরে, অনেকটা দূরে। পয়লা ফেব্রুয়ারী, উনিশশো ছাপ্পান্ন । ভোর বেলা ঘুম ভেঙে দেখি, ক্যাম্পে একা আমি। সঙ্গে আছে শুধু প্যাটি-সাড়ে ছ-বছর বয়সের পাহাড়ী হাইয়্যান্স, আমাদের পোষা ছোট্টটি থেকে। ওকে দেখায় যেন কাঠবিড়ালী বা গিনিপিগ । যদিও ওর পা আর দাতের ধরনধারণ দেখলে পশুবিজ্ঞানবিদরা ওকে গণ্ডার বা হাতীর সঙ্গে এক গোত্রে ফেলবেন। অবশ্য ব্যাপারটাঅনেকটা বিড়ালকে বাঘের মাসী বলা গোছের। আমার গলায় প্যাটি সোহাগভরে ওর গায়ের নরম লোম জড়িয়ে রয়েছে। ওর কাছে এটা সব থেকে নির্ঝঞ্ঝাট জায়গা আর সেখান থেকেই চারদিক চেয়ে চেয়ে দেখছে। ক্যাম্পের চারধারটা শুকনো। গ্রানাইট পাথরের খাজ বেরিয়ে বেরিয়ে আছে আর গাছপালা ঝোপঝাড় অল্প অল্প ছিটিয়ে ছড়িয়ে আছে। তবুও জন্তু জানোয়ার খুব একটা কম নেই। বরং বেশ আছে বলতে পারা যায়। প্রচুর সংখ্যায় জেবরা, অন্যান্য গেজেল বা গজল হরিণ ইত্যাদি, অর্থাৎ বলতে গেলে এক কথায়, এমন শুকনো অবস্থায় সারা জীবনকে মানিয়ে নিয়েছে তেমন সব প্রাণী। কচিৎ কদাচিৎ এদের জল খাওয়ার দরকার হয়, আবার তা হয় না। হঠাৎ শুনি গাড়ির শব্দ। এতো তাড়াতাড়ি তে জর্জের ফেরার কথা নয় তবুও ফিরছে নিশ্চয়ই। কাঁটাঝোপের মধ্যে দিয়ে দেখা দিল আমাদের ল্যাণ্ডরোভার। থামল তাঁবুর কাছে। শুনলাম জর্জ চেঁচাচ্ছে, “জয় ! কোথায় গেলে? দেখো। কি এনেছি তোমার জন্যে...” কাঁধের ওপরে প্যাটিকে নিয়ে গেলাম তাড়াতাড়ি ; দেখি একটা সিংহের চামড়া। জিজ্ঞাসা করব, শিকার হল কেমন করে, তার আগেই গাড়ির পেছনটা দেখাল জর্জ ইশারায়। গিয়ে দেখি, ছোট ছোটু লোমের তিনটে ছোট্ট ছোট্ট পুটলি – সিংহশিশু তিনটি, যেন সরমে মুখ আড়াল করতে চাইছে। মনে হল মাত্র দিন কয়েকের বাচ্চা ; চোখ ফোটেনি, তখনো চোখের ওপর নীচে স্বচ্ছ পর্দা। হামাগুড়ি দিতে পারছে না, তবুও যেন বুকে হেঁটে নাগালের বাইরেই থাকতে চাইছে। ওদের কোলে তুলে নিলাম, জজকে মনে হচ্ছিল বেশ বিপর্যস্ত। গল্পটা বলল ও তখনই।..
গল্পগুলি অনুবাদ করেছেন- অর্ণব রায়, ইন্দুভূষণ দাস
এই বইতে জয় অ্যাডামসনের লেখা যে তিনটি গল্প রয়েছে, সেগুলি হল-
বর্ন ফ্রী
লিভিং ফ্রী
ফরএভার ফ্রী
জয় অ্যাডামসন অমনিবাস গল্প সংগ্রহ অনুবাদ বইটির পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করুন অথবা অনলাইনে পড়ুন
বাংলা অনুবাদিত গল্পের বইয়ের পিডিএফ 'জয় অ্যাডামসন অমনিবাস'
No comments:
Post a Comment