জেমস বন্ড রচনা সংগ্রহ (অখন্ড সংস্করণ) বাংলা অনুবাদ বই - বাংলা বই এর pdf ডাউনলোড-Bangla Digital Boi Pdf

Latest

Sunday, July 22, 2018

জেমস বন্ড রচনা সংগ্রহ (অখন্ড সংস্করণ) বাংলা অনুবাদ বই


জেমস বন্ড রচনা সংগ্রহ (অখন্ড সংস্করণ) বাংলা অনুবাদ বই পিডিএফ
ডিজিটাল বইয়ের নাম- 'জেমস বন্ড রচনা সংগ্রহ'
লেখক- ইয়ান ফ্লেমিং
বইয়ের ধরন- অনুবাদ গল্প
অনুবাদক-  উত্তম ঘোষ
মোট পৃষ্টা আছে- ৭১৯
পিডিএফ সাইজ- ৪০এমবি
জলছাপমুক্ত, ঝকঝকে প্রিন্ট

ইয়ান ফ্লেমিং লিখেছেন: 'বয়েস যখন তেতাল্লিশ, তখন আমি বিয়ে করি। এক ধরনের মানসিক জড়তা সেই বিয়ে থেকে। আর তারই প্রতিষেধক আমার এই সৃষ্টি জেমস বন্ড’...
প্রথম যে অভিনেতা জেমস বন্ডের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন, সেই শন কোনারির মতে, জেমস বন্ড এমন একটি পুরুষ যে প্রতিটি নারীর কাম্য। প্রত্যেকের মৃত্যুঞ্জয়ের প্রতীক। আধুনিক যুগের অমর নায়ক বন্ড। পুরুষ তার আদর্শ; ভক্ত, গুণগ্রাহী- আবার কিছুটা ঈর্ষাকাতরও বটে। তবু বন্ডের জীবন ও কাজের মধ্য দিয়ে সে নিজের অপূর্ণ ইচ্ছে, অ্যাম্বিশন, কামনা বাসনা পূরণ করে সার্থক হতে চায়, তৃপ্ত হতে চায়।
আর নারী জগতে? না, হারকিউলিস, টার্জানরা পিছিয়ে পড়েছে। হীরো’ বন্ড-- নায়ক ও বীর দুই অর্থের হীরো। একটি আন্তর্জাতিক চরিত্র। আর তার রোম্যান্স ও পৌরুষ! প্রতিটি নারী তাকে পাশে চাইবে। কাছে চাইবে। প্রয়োজনে নিষ্ঠুর, আবার অবস্থা বিশেষে উদার, কোমল, দয়াবান-- চূড়ান্ত অনুভূতিপ্রবণ।
তার দুঃখ কে বোঝে?
এটা ঠিক চলচ্চিত্র জেমস বন্ডকে আরও বেশি জনপ্রিয় করেছে। ইয়ান ফ্লেমিং এর লেখার পাতা থেকে উঠে আসা এই বিস্ময়কর ‘অ্যাডভেঞ্চারাস’ ব্যক্তিত্ব সিনেমার পর্দায় মূর্ত করেছে -- প্রথমে শন কোনারি; তারপর একে একে জর্জ লেজেনবি, রজার মুর ও টিমোথি ডালটন।
ভবিষ্যতের নায়করাও অপেক্ষারত।
কীভাবে লেখকের কলমে (টাইপরাইটারে) জন্ম নিয়েছিল জেমস বন্ড? আমরা শুনেছি, ইয়ান ফ্লেমিং-এর একটি হেলিডে-হোম ছিল জ্যামাইকা দ্বীপে। নাম ‘গোল্ডেন আই'। ১৯৫২ সালের ১৫ জানুয়াবির এক সকালে লেখক হঠাৎ আপন খেয়ালে টাইপ করতে থাকেন। তখন তার বয়েস চুয়াল্লিশ। তিনি বলেন-- প্রায় অন্ধ পাগলের মতো লিখতাম আমি। টাইপ হয়ে যাওয়া পাতাটার দিকে আর সাহস করে তাকাতাম না পাছে খারাপ লাগলে ছিড়ে ফেলি। সদা আশঙ্কা, বন্ধুরা কী ভাববে! ঝড়ের মতো কাজ। লেখকই যেন স্বয়ং বন্ড, তার টাইপ মেশিন নিয়ে যুদ্ধ করে যাচ্ছেন। শুরু ১৫ জানুয়ারি, মঙ্গলবার, ১৯৫২, শেষ ১৮ মার্চ, মঙ্গলবার, ১৯৫২। সেটাই বন্ড সিরিজের প্রথম গ্রন্থ। কয়েকমাসের মধ্যে সেই enfante terrible-- ‘বিরাট শিশু জন্ম নেয়।
ক্যাসিনো বয়্যাল ছাপা হয় ১৯৫৩ সালে।
একসময় (বহু আগে) বলা হয়েছিল, পাঠকের সংখ্যা দশ কোটি, সিনেমার দর্শকের সংখ্যা পনেরো কোটি। এখন সেই সংখ্যা আরো বহু বহু বেশি-- অগুনতি।
বন্ড নায়ক, না ভিলেন ? হৃদয়হীন, না হৃদয়বান?
এই প্রশ্ন ও বিতর্ক তাকে আরও অলৌকিক করেছে যাকে একটা পৰম্পর-বিরোধী শব্দ দিয়ে ভূষিত করা যায়-- অলৌকিক বাস্তব, real miracle।
এই সংকলনে সময়-কাল ধরে সূচিপত্র সাজানো হয়নি। আগু-পিছু করা হয়েছে। সময়-কাল ধরে সাজালে কিছু ঘটনার রেফারেন্স বুঝতে পাঠকের সুবিধা হত ঠিকই, কিন্তু যেহেতু সমগ্র (সম্পাদিত হলেও), তাই কিছুটা 'বেহিসাবি' পরম্পরা নতুন ধরনের কৌতূহলের সৃষ্টি করবে। তবু রচনার সময় কাল এই ভূমিকায় উল্লেখ করা হয়েছে, নীচে-
ক্যাসিনো রয়্যাল - ১৯৫৩
লিভ অ্যান্ড লেট ডাই -- ১৯৫৪
মুনরেকার - ১৯৫৫
ডায়মন্ডস আর ফর এভার - ১৯৫৬
ফ্রম রাশিয়া উইথ লাভ –১৯৫৬ (?)
ড. নো ১৯৫৭
গোল্ডফিঙ্গার - ১৯৫৮
ফর ইওর আইজ ওনলি - ১৯৬০
থান্ডারবল দ্য স্পাই হু লাভ মি - ১৯৬০
অন হার ম্যাজেস্টিজ সিক্রেট সার্ভিস – ১৯৬০
ইউ ওনলি লিভ টোয়াইস - ১৯৬০
দ্য ম্যান উইথ দ্য গোল্ডেন গান - ১৯৫৮
অক্টোপুসি -১৯৫৮
এই সংকলনে প্রথমে যে গল্পটি রয়েছে ‘ফ্রম রাশিয়া উইথ লাভ’– যা বোধহয় ইয়ান ফ্লেমিং-এর বন্ড সিরিজের শ্রেষ্ঠ কাহিনি। ১৯৫৭ সালে প্রকাশিত হয়। চলচ্চিত্রে নাম ছিল খুব সম্ভব ‘007 with love'। নানাকাহিনির বহু চরিত্র ঐতিহাসিক সাম্প্রতিককালের ঝঞ্ঝাপূর্ণ ইতিহাসে। ঐতিহাসিক মস্কো ট্রায়ালে যারা অভিযুক্ত ছিলেন লাবণ্যময়ী কুটুসোভা। পুরো নাম আনা কুটুসোভা। তিনি নাকি লেসলি থর্নটর্নের শয্যাসঙ্গিনী ছিলেন। ফ্রম রাশিয়া উইথ লাভ'এ তাতিয়ানা চরিত্রটিকে অনেকে কুটুসোভার প্রতীক বলে মনে করেন। সিনেমায় শন কোনারির সঙ্গে ওই চরিত্রে অভিনয় করেন সুন্দবী দানিয়েলা বিয়াঞ্চি।
ইয়ান ফ্লেমিং প্রচণ্ড সমালোচিত হয়েছেন একাধিকবার। যখন তিনি জনপ্রিয়তার শীর্ষে, সেই সময় নিউ স্টেটসম্যান (৫ এপ্রিল, ১৯৫৮) পত্রিকায় পল জনসন মন্তব্য করেন, আমার জীবনে পড়া সবচেয়ে জঘন্যতম উপন্যাসটি (ড. নো) শেষ করলাম। এত নোংরা বই আগে কখনও পড়েছি বলে মনে হয় না।... তিন তিনবার ঘৃণাভরে উপন্যাসটি ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছিলাম। তারপর মনে জোর এনে বইটা শেষ করি।... এর মধ্যে তিনটে জিনিস আছে। প্রতিটিই বিকৃত অসুস্থ ইংরেজ মনোবৃত্তির প্রকাশ। ... ফ্লেমিং-এর একটুও সাহিত্যবোধ নেই।...'  তাই সবসময়ে গোলাপ বিছানো পথে হাঁটা হয়নি লেখকের। সেটা বোধহয় কোনো সাহিত্যিক-শিল্পীর জীবনে সবসময় ঘটেও না।
সব সত্ত্বেও জেমস বন্ডের তুলনা জেমস বন্ডই, সে আজও অপ্রতিরোধ্য অমরত্বের দোরগোড়ায়। -উত্তম ঘোষ
জেমস বন্ড রচনা সংগ্রহ

উপরোক্ত বাংলা বইটির পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করুন অথবা অনলাইনে পড়ুন
পাঠকগণ এই পোষ্ট হইতে উপরোক্ত বইটি- জেমস বন্ড রচনা সংগ্রহ (অখন্ড সংস্করণ) বাংলা অনুবাদ পিডিএফ সংগ্রহ করিতে পারিবেন। বি:দ্র:- গল্পগুলি ছোটদের জন্য উপযুক্ত নয়।

No comments:

Post a Comment