মহাভোজ রাজভোজ - প্রতাপকুমার রায় পিডিএফ - বাংলা বই এর pdf ডাউনলোড-Bangla Digital Boi Pdf

Latest

Sunday, July 10, 2022

মহাভোজ রাজভোজ - প্রতাপকুমার রায় পিডিএফ


 মহাভোজ রাজভোজ - প্রতাপকুমার রায়, বাংলা বই পিডিএফ
ডিজিটাল বইয়ের নাম- 'মহাভোজ রাজভোজ'
লেখক- প্রতাপকুমার রায়
বইয়ের ধরন- গল্পের বই
ফাইলের ধরন- পিডিএফ
এই বইতে মোট পৃষ্টা আছে- ২৯৪
ডিজিটাল বইয়ের সাইজ- ২৩এমবি
প্রিন্ট খুব ভালো, জলছাপ মুক্ত, ক্লিকেবল সূচীপত্র

মহাভোজ রাজভোজ - প্রতাপকুমার রায়

ভোজন মানে শুধু উদরপূর্তি নয়। পেটভরানো কিংবা খিদে মেটানোর বাইরেও খাদ্য-পানীয়ের অন্য এক ভূমিকা আছে। তা হল রসনাতৃপ্তি। সব মানুষের মধ্যেই কমবেশি থাকে রসনাতৃপ্তির বাসনা। আর যাঁরা খাদ্যরসিক তাঁরা তো এই রসনাতৃপ্তির ওপরেই জোর দেন সবচেয়ে বেশি। সাধারণ বা অসাধারণ যে-ধরনের আহার্যই হোক না কেন, তাঁরা সেসবের আস্বাদ গ্রহণ করেন জিভ, মন, স্থান, পাত্র, পরিপার্শ্ব, অভিজ্ঞতা ও স্মৃতি দিয়ে। এতগুলো বিষয়ের সংযোগে যে-কোনও আহারই হয়ে ওঠে অতি স্বাদু। এই গ্রন্থের ভোজনরসিক লেখক নানা কিসিমের খাদ্য ও পানীয় নিয়ে রচনা করেছেন এক একটি স্মৃতিমেদুর রচনা। কলকাতা থেকে পশ্চিমবাংলা হয়ে ভারতের বিভিন্ন প্রদেশ ছুঁয়ে তিনি চলে গেছেন বিদেশে। নামী-অনামী ভোজনালয়ে, ফুটপাতের স্টলে, পাকশালায়, অভিজাত কিংবা সস্তাদরের সরাইখানায়, রেস্তোরাঁয় চেনা-অচেনা নানাপদের আস্বাদ নিয়েছেন তিনি লক্ষ করেছেন খাওয়ার জায়গার চেহারা-চরিত্র জেনেছেন পদটির ইতিহাস ও পাকপ্রণালী। খুঁটিয়ে দেখেছেন পরিবেশনের রীতি এবং অবশাই বলেছেন সেই খাদ্যবস্তুটির ইন্দ্রিয়াতীত স্বাদের কথা। পাশাপাশি ফুচকা, ঝালমুড়ি, ডালমুট, তেলেভাজার মতো অতি পরিচিত ও অকুলীন আহার্যও তাঁর রচনার গুণে হয়ে উঠেছে পরমলোভনীয়। ব্যস্ত জীবনযাত্রার চাপে রসনার যে-সুখ থেকে আমরা ক্রমশ বঞ্চিত, তারই কিছু সুখস্বাদ মনে ফিরিয়ে আনবে মহাভোজ রাজভোজ। সরস ভঙ্গি ও রম্য গদ্যে রচিত, স্মৃতি উসকে দেওয়া এই বই ভোজনবিলাসী তো বটেই, সুখাদ্যসন্ধানী সকলের পক্ষেই অবশ্যপাঠ্য।

লেখকের কথা-
এই সংকলন প্রধানত তাঁদের জন্য, ভোজনের ক্ষেত্রে যাঁরা অর্জুন। অর্জুন পাখির চোখের প্রতিফলনে নিবদ্ধদৃষ্টি, পরিপার্শ্বের অন্য কিছু তাঁর চোখেই পড়ছে না। যুধিষ্ঠিরেরা নিশ্চয়ই ভাল, আদর্শবান, অনুকরণযোগ্য। কিন্তু তাঁরা পুরো পাখিটা দেখেন, পাখির চোখে তির বেঁধাতে ব্যর্থ হন। তাঁরা যুদ্ধ জয় করতে পারেন না। জয় হয় অর্জুনদের, যাঁরা সুখাদ্যের সম্মুখীন হলে সুখাদ্যটি ছাড়া আর কোনও কিছুই দেখতে পান না, কোনও বাধাই সুখাদ্যগ্রহণে তাঁদের অন্তরায় হয় না।
এই কথাটিই আমার একটি বইয়ের আলোচনা প্রসঙ্গে শ্রীমতী লীলা মজুমদার অতি সুন্দরভাবে লিখেছিলেন: কে না জানে, কোনও কিছু পরিপূর্ণভাবে উপভোগ করতে হলে, তখনকার মতো বিচারবুদ্ধিকে বিদায় দিতে হয়।
খাবার-আসরের ক্ষেত্রে এই বাক্যটি যতটা সত্য, বই পড়বার সময় ততটা নয়। পড়বার সময় ভোজনশালার শোভা, থালা-বাসনের পরিচ্ছন্নতা, পরিচারকের পোশাক-আশাক অথবা এই গুণগুলির অভাব কিছুই পাঠককে পীড়া দেয় না বলেই আমার বিশ্বাস।
গ্রন্থবদ্ধ রচনাগুলির বিভিন্ন স্থানে নানা ভোজ্যের স্বাদ-সুগন্ধের বর্ণনার মাঝে আমার একটি বিলাপ পাঠকের নজরে পড়বে। সেটা হল বাংলা রান্নার অধোগতি। যদিচ আমরা মৎস্যপ্রেমী এবং মাংসাশী, তবু আমার মনে হয়েছে, বাংলা রান্নার উজ্জ্বলতর প্রকাশ ছিল নিরামিষ রন্ধনে। সেই পরম্পরা প্রায় চলে যাবার মুখে। মাছ বা মাংসকে গ্রহণযোগ্য স্বাদু করা কঠিন কাজ নয়। অন্যপক্ষে, নিরামিষ পদ রন্ধনকুশলতা না-থাকলে সুখের আকর হয় না। বাংলা নিরামিষ রান্না একযোগে অতিসরল ও অতিকঠিন উপকরণ বেশি লাগে না। কিন্তু উপকরণের মাত্রা এবং যথাসময়ে তা প্রয়োগ করতে না-পারলে নিরামিষ রান্না উতরোয় । এই কাজে সময় ও ধৈর্যের দরকার হয়, অথচ আজকের জীবনে দুটোরই অভাব।
ব্যস্ত জীবনযাত্রায় রান্নার যে-সুখ থেকে আমরা ক্রমশ বঞ্চিত, তারই কিঞ্চিত সুখস্বাদ মনে ফিরিয়ে আনবার জন্যেই এই লেখা। যেহেতু নানা সময়ে লেখা, ফলে ইতিমধ্যে অনেক ভোজনশালা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। সব ক্ষেত্রেই বদলে গিয়েছে বিভিন্ন পদের দামও। এগুলি শোধরাবার চেষ্টা করিনি। কারণ, আমার ধারণা এই তথ্যগুলি প্রক্ষিপ্ত। আসল কথা হল, একের আনন্দ অন্যের মনে সঞ্চারিত করা। সেই চেষ্টাই এই বইয়ের মুখ্য উদ্দেশ্য।

এই বইটির পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করুন অথবা অনলাইনে পড়ুন
প্রিয় পাঠকগণ, আপনারা এই পোষ্ট হইতে খাদ্য রসিকদের জন্য অসাধারণ একটি বই 'মহাভোজ রাজভোজ - প্রতাপকুমার রায়' এর বাংলা পিডিএফ সংগ্রহ করিতে পারিবেন।

No comments:

Post a Comment