লালন সমগ্র - বাউল গান সংগ্রহ বাংলা বই পিডিএফ
ডিজিটাল বইয়ের নাম- 'লালন সমগ্র'
সম্পাদনা- মোবারক হোসেন খান
বইয়ের ধরন- বাউল গান সংগ্রহ
ফাইলের ধরন- পিডিএফ
এই বইতে মোট পৃষ্টা আছে- ৫১৫
ডিজিটাল বইয়ের সাইজ- ৯এমবি
প্রিন্ট ভালো, জলছাপ মুক্ত
আমি একদিনও না দেখিলাম তারে
বাড়ির কাছে আরশিনগর পড়শি বসত করে।
গেরাম বেড়ে অগাধ পানি,
নাই কিনারা, নাই তরণী পারে।
এই গানের কথা আর সুরের সঙ্গে সবাই পরিচিত। কে লিখেছেন এই আশ্চর্য সুন্দর গান। তা আমাদের অজানা নয়। তিনি হলেন বাউল সম্রাট লালন শাহ।
লালন শাহ'র গানের মধ্য দিয়ে সৃষ্টিকর্তাকে খুঁজে বেড়াতেন। ঘরবাড়ি ছেড়ে তিনি বেছে নিয়েছিলেন বাউল জীবন। তিনি নিজেকে একজন সাধারণ মানুষ মনে করতেন, জাত গোত্র তাঁর কাছে মোটেই বড় ছিল না। চণ্ডীদাসের মতো তিনিও বিশ্বাস করতেন,
‘সবার পরে মানুষ সত্য
তাহা উপরে নাই।'
একবার তাঁর পরিচয় জানতে চাওয়া হয়েছিল, তিনি গানের কথায় সেই প্রশ্নের জবাব দিয়েছিলেন,
সব লোকে কয় লালন কি জাত সংসারে
লালন বলে জাতির কী রূপ দেখলাম না দুই নজরে ॥
মানুষের দেহ, স্রষ্টা, সৃষ্টি এইসব নিয়ে বেশি গান লিখেছেন লালন।
খাঁচার ভিতর অচিন পাখি।
ক্যামনে আসে যায়।
ধরতে পারলে মন-বেড়ি
দিতাম পাখির পায় ।
এরকম কত শত গান যে এই সাধক লিখেছেন তার সঠিক হিসেব পাওয়া কঠিন। এই বইটিতে সর্বাধিক ৮৫১টি গানের সন্ধান দেওয়া হয়েছে। ৮৫১টি গানের সংকলনই ‘লালন সমগ্র'।
লালন সাহ একজন অসাধারণ পণ্ডিত ধর্মতত্ত্বজ্ঞ ব্যাক্তি ছিলেন। তিনি আরবী ও ফারসী ভাষাতে সমান দক্ষ ছিলেন। হিন্দু ও মুসলিম উভয় শাস্ত্রেই তাঁর অগাধ পাণ্ডিত্য ছিল।
লালনের গান তত্ত্ববহুল। তাঁর গানের মূল বিষয় দেহতত্ত্ব ও আত্মতত্ত্ব। তাঁর গান সাধন-সংগীত। তাই এর ভাব অস্পষ্ট। গানে একটা আলো-আঁধারের খেলা বিদ্যমান।
লালনের প্রায় সমস্ত গানই আধ্যাত্মিক। যার ভেতরকার মর্মবাণী খুব গভীর। তিনি মানুষের একাল-সেকাল, জন্ম-মৃত্যু নিয়ে আশ্চর্য সব গান লিখেছেন। অসম্ভব জনপ্রিয় তাঁর গান । বাংলার সাধারণ মানুষের মুখে মুখে তার গান।
বাংলার মাটি ও মানুষের একান্ত আপনজন লালন সাহ। তিনি হলেন বাউল সঙ্গীতের গুরু।
এই বইটির পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করুন অথবা অনলাইনে পড়ুন
প্রিয় পাঠকগণ, এই পোষ্ট হইতে আপনারা বাউল গান সংগ্রহ 'লালন সমগ্র' -এর বাংলা পিডিএফ সংগ্রহ করিতে পারিবেন
No comments:
Post a Comment