কমেডিয়ানদের কথা - গৌরী দে, বাংলা বই পিডিএফ
ডিজিটাল বইয়ের নাম- 'কমেডিয়ানদের কথা'
লেখক- ডা. গৌরী দে
বইয়ের ধরন- পরিচিতি/জীবনীমুলক বই
ফাইলের ধরন- পিডিএফ
এই বইতে মোট পৃষ্টা আছে- ১৭৭
ডিজিটাল বইয়ের সাইজ- ১৮এমবি
প্রিন্ট খুব ভালো, জলছাপ মুক্ত, ক্লিকেবল সূচীপত্র
সিনেমা থিয়েটারে নায়ক-নায়িকার এবং সিরিয়াস আর্টিস্টদের যা নাম, আকর্ষণ, সাধারত কমেডিয়ানদের ঠিক ততটা নয়। তাঁরা যেন ভোজনের পাতে চাটনির মতন। অথচ পৃথিবীর সবচেয়ে বড় চিত্রপরিচালক চার্লি চ্যাপলিন একজন কমেডিয়ান। এইটিই প্যারাডক্স। তিনি কিন্তু ঠিক লোক হাসিয়ে নাম করেননি, তার হাসির ভেতর জীবনের একটা গভীর ট্র্যাজেডি লুকিয়ে থাকত। রবীন্দ্রনাথের একটা গানের লাইনের মতন—“হাসির কানায় কানায় নয়নের জল”। আমাদের বাংলায় প্রথম সবাক কমেডি চিত্র ‘জামাইষষ্ঠী। ১৯৩১ সালে অমর চৌধুরী ছবিটি পরিচালনা করেন। বাংলা ছবির গোড়ার যুগে বাংলা ছবিকে সুপ্রতিষ্ঠিত করে সর্বস্ব খুইয়েছেন যিনি—তিনি ধীরেন গঙ্গোপাধ্যায় D.G. নামে সুপরিচিত। তিনি মূলত ছিলেন একজন উচ্চমানের কমেডি অ্যাকটার। সুতরাং বাংলা ছবিতে কমেডিয়ানদের দান অনেক এবং অপূরণীয়। কমেডিয়ান আসেন যান মানুষ; ভুলে যায়। সুলেখিকা ড. গৌরী দে কিন্তু এদের ভোলেননি। তিনি বাংলা থিয়েটার-সিনেমায় আজ পর্যন্ত যত কমেডিয়ান এসেছেন তাদের অধিকাংশর ইতিকথা বহু কষ্টে সংগ্রহ করে, এই পুস্তকে লিপিবদ্ধ করেছেন। এ এক দুরূহ প্রচেষ্টা। বাংলা ছবি ও থিয়েটারের শিল্পীদের কোনো সঠিক ইতিহাস কোথাও একসঙ্গে লিপিবদ্ধ করা নেই। গৌরী দেবীকে বহুদিন ধরে নানান জায়গায় ঘুরে নানান পত্রিকা হাতড়ে এইসব কমেডিয়ানদের জীবনী সংগ্রহ করতে হয়েছে। এই বইটি তার অক্লান্ত পরিশ্রমের একটি অনবদ্য সৃষ্টি।
ডাক্তাররা শরীর ভালো রাখতে গেলে প্রেসক্রাইব করে, 'কিপ স্মাইল’, হাসুন। হাসলে মন ভালো থাকবে। আর মন ভালো থাকলে শরীর ভালো থাকবে।
ডঃ গৌরী দে-র এই বইটি তেমনি একটি হাসির টনিক।
রামগড়ুরের ছানা, হাসতে তাদের মানা’—যাদের হাসতে মানা তাদের সামনে যদি রঞ্জিত রায়, তুলসী চক্রবর্তী, ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়, জহর রায় কিংবা রবি ঘোষদের বসিয়ে দেওয়া যায় তাহলে কী তারাও না হেসে পারতেন? পারতেন না, ওঁরা যে রামগড়ুরের ছানাদেরও মুখে হাসি ফুটিয়ে তুলতেন। অথচ এই কমেডিয়ানরা সব দিক দিয়েই অবহেলিত। বড়ো অভিনেতা না হলে কিন্তু সফল কমেডিয়ান হওয়া যায় না। সেই জন্যে চার্লি চ্যাপলিন আজ কিংবদন্তি। শিল্পীদের গুরু। তার ছবি দেখে মানুষ যেমন হেসেছে, তেমনি কেঁদেছে।
মানুষকে হাসানো বড় কঠিন কাজ। অথচ এই কাজ যারা করেন—তারা ব্রাত্য। একবার হরিধন মুখোপাধ্যায় বড় দুঃখ করে বলেছিলেন, “কোনো বিপদে পড়ে রাস্তায় বেরুলে লোকে আমায় দেখে সহানুভূতির বদলে দাঁত বের করে হাসে। আমি কী চিড়িয়াখানার জন্তু!
আবার অনুপকুমারের গলায় শোনা গেছে আশ্বাসের সুর। তিনি বলেছেন, ‘ক্ষণিকের জন্য হলেও তো মানুষের দুঃখকে ভুলিয়ে আনন্দ দিতে পারি। এটাই আমার গর্ব।
যাঁদের কেউ মনে রাখে না, যাঁরা দুঃখ করে বলেন, সমাজের কাছে আমরা ভাঁড়’, অথচ তাদের বাদ দিয়ে কেউ কোনো ছবির কথা ভাবতে পারতেন না। সেই অবহেলিত কমেডিয়ানদের এক মলাটের মধ্যে তুলে ধরা সম্ভব হল লেখিকা ডঃ গৌরী দে-র আন্তরিক প্রচেষ্টায়। বইটি বাঙলার মানুষকে কমেডিয়ানদের নতুন করে চেনাবে বলেই বিশ্বাস।
লেখিকার সংক্ষিপ্ত পরিচয়:
১৯৩৯ সালের ২৬ জানুয়ারি, উত্তর কলকাতার অভিজাত মিত্র পরিবারে জন্ম। বিবাহিতা। বেথুন কলেজ থেকে বি. এ. পাশ করে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় এম. এ.। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রধান অধ্যাপকের কাছে মহাভারতের ভীষ্ম চরিত্রের ওপর প্রশংসামূলক গবেষণা ও ডক্টর-অফ-ফিলোজফি (Ph.D.) উপাধি প্রাপ্তি।
১৯৮০ সালে শান্তিনিকেতন থেকে সঙ্গীতে গীতভারতী উপাধি প্রাপ্তি। চতুরঙ্গন সেমিনার ক্লাবের সভাপতি ও রামমোহন লাইব্রেরির (উত্তর কলিকাতা) প্রাক্তন সহসভাপতি। ১৯৬৫ সাল থেকে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় লিখছেন।
১৯৭২ সালের আকাশবাণী বাংলা কথিকা বিভাগের শিল্পী নির্বাচিত ও ১৯৭৫ সাল থেকে ২০০৪ পর্যন্ত কলকাতা দূরদর্শনের ডি. ডি. সেভেন চ্যানেলের নির্বাচিত শিল্পী রূপে স্বীকৃত।
বিভিন্ন প্রকাশনা সংস্থা থেকে এ পর্যন্ত তার ১০টি বই বেরিয়েছে।
এই বইটির পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করুন অথবা অনলাইনে পড়ুন
*পিডিএফটি পড়ার পরে, আপনি যদি এই বইটির হার্ড-কপি আমাজন থেকে সংগ্রহ করিতে চান তাহলে এখানে ক্লিক করুন।
প্রিয় পাঠকগণ, এই পোষ্ট হইতে আপনারা পরিচিতি/জীবনীমুলক বই 'কমেডিয়ানদের কথা - গৌরী দে' -এর বাংলা পিডিএফ সংগ্রহ করিতে পারিবেন
No comments:
Post a Comment