হস্তরেখা বিচার - সূর্যসিদ্ধান্ত ভট্টাচার্য্য, বাংলা জ্যোতিষ বই পিডিএফ
ডিজিটাল বইয়ের নাম- 'হস্তরেখা বিচার'
লেখক- শ্রীসূর্যসিদ্ধান্ত ভট্টাচার্য্য (জ্যোতীরঞ্জন)
বইয়ের ধরন- জ্যোতিষশাস্ত্র
ফাইলের ধরন- পিডিএফ
এই বইতে মোট পৃষ্টা আছে- ১৩০
ডিজিটাল বইয়ের সাইজ- ৫ এমবি
প্রিন্ট ভালো, অবশ্যই জলছাপমুক্ত
হস্তরেখা বিচার শাস্ত্র মতে, মানুষের ভাগ্য এবং ব্যক্তিত্ব তার হাতের রেখাতেই আঙ্কিত থাকে। এই শাস্ত্র আরও মনে করে, হাতের তালুতে রেখার দ্বারা গঠিত কয়েকটি বিশেষ চিহ্ন বিরল সৌভাগ্যের ইঙ্গিত দেয়। জ্যোতিষ শাস্ত্রে হস্তরেখা বিচার পদ্ধতির মাধ্যমে আমরা আমাদের ভবিষ্যৎ সমন্ধে জানতে ও বুঝতে পারি।
সমস্ত পৃথিবীর মধ্যে জ্যোতিষচর্চ্চা , সামুদ্রিক বিচার অর্থাৎ হস্তরেখা বিচার প্রভৃতি সর্বপ্রথম শুরু হয় এই ভারতবর্ষে । সামুদ্রিক বিদ্যা অর্থাৎ হস্তরেখা বিদ্যা অতি প্রাচীন বিদ্যা। কোন অতীত কাল হইতে ভারতবর্ষে সামুদ্রিক বিদ্যা বা হস্ত, ললাট প্রভৃতি অঙ্গপ্রত্যঙ্গ দর্শনে মানব জীবনের শুভাশুভ বিচার করিবার প্রথা চলিয়া আসিতেছে, তাহা নিদ্ধারণ করিবার উপায় নাই। বরাহমিহির কৃত বৃহৎসংহিতায় দেখিতে পাওয়া যায়, “মনুষ্যের উত্থান ( দৈর্ঘ্য ), মান (ভার), গতি, সংহতি ( অঙ্গুলি দর্শনাদির পর্ব ), সার (মেদ মজ্জা রক্ত মাংসাদি), বর্ণ (নেত্র করতলাদির), স্নেহ ( জিহ্বাদন্তনেত্রাদির স্নিগ্ধতা ), কণ্ঠস্বর, প্রকৃতি বা সত্ব (ক্ষিত্যপ তেজাদি), অনক (মুখের আকৃতি), ক্ষেত্র ( পাদ গুলফ জঙ্ঘাদি) ও মৃজা (দেহের কান্তি) এই সকল বিষয় শিক্ষিত সমুদ্রবিৎ বিচার করিয়া গত ও অনাগত ইষ্টানিষ্ট ফল বলিবেন। সমুদ্র নামে শাস্ত্র হইতে সামুদ্রিক নাম উৎপন্ন হইয়াছে। এই শাস্ত্রের উৎপত্তি বৱাহ মিহিরেরও পূৰ্ব্বে হইয়াছিল । উৎপলভট্ট, পুরুষ ও কন্যালক্ষণে সমুদ্রশাস্ত্রের বহুবচন উদ্ধৃত করিয়াছেন। সমুদ্র ব্যতীত গর্গ ও পরাশরের নামও এই বিদ্যার সম্পর্কে দৃষ্ট হয়। মহাপুরুষের করতলে শ্রীবৎস ধ্বজাঙ্কুশাদি চিহ্নদর্শন বহুকাল হইতে প্রচলিত আছে। মহাভারতেও (সভাপর্ব ৫ উত্তর পর্ব ৩৪, ১০২, কর্ণপর্ব ৫০, অশ্বমেধ পর্ব ৮৫) সামুদ্রিক শাস্ত্রের উল্লেখ আছে। তথার সামুদ্রিক, শব্দেরই প্রয়োগ আছে। সুতরাং এই শাস্ত্র যে খ্রীষ্টপূৰ্ব অন্ততঃ পঞ্চম শতাব্দীতে প্রচলিত ছিল, তাহাতে সন্দেহ নাই। পরে রাশি গ্রহাদি গণনা চলিত হইলে করতলাদির রেখা দেখিয়া জন্মরাশিচক্র ও তাহা হইতে জাতকের শুভাশুভ গণনা আরম্ভ হইয়াছিল।
* এছাড়াও আপনারা সংগ্রহ করিতে পারেন-
> কোষ্ঠী-দেখা - জ্যোতি বাচস্পতি
কিন্তু আমাদের দেশে প্রাচীন সকল বিদ্যার যেরূপ দশা হইয়াছিল, এই বিদ্যার ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হয় নাই। ভারতবর্ষে ইহার গবেষণা ও চর্চা লুপ্তপ্রায় হইয়া আসিয়াছিল এবং য়ুরোপখণ্ডে গ্রীকদেশ ও পরে ইতালি, জার্মানি, ফ্রান্সে সামুদ্রিক শাস্ত্রের বিলক্ষণ আলোচনা হইয়াছিল। তাহার ফলে পাশ্চাত্য পণ্ডিতগণ এই বিষয়ে নানা উন্নতি সাধন করিয়া নূতন পদ্ধতিতে গ্রন্থাদি রচনা করিতেছেন। এদিকে আমাদের দেশের প্রাচীন গ্রন্থগুলি প্রায় লুপ্ত হইতে চলিয়াছে। ইহার অন্যতম কারণ এই যে, যিনি সামুদ্রিক বিদ্যার চর্চা করিতেন, তাহার মৃত্যুর পর হয়ত কেহ সে বিদ্যার চর্চা করিতে অগ্রসর হইল না। আবার আমাদের দেশে গুরু ও শিক্ষক শিষপরম্পরায় মুখে মুখে বিদ্যাদান করিতেন, তাহাতেও এ বিদ্যার কিয়দংশ লুপ্ত হইয়াছে। কেহ কেহ বা এ-বিদ্যায় বিশেষ পারদশী হইয়াও তাহার প্রতিপত্তি ক্ষুন্ন হইবার ভয়ে অন্য কাহাকেও এ-বিদ্যা দান করিতে অগ্রসর হন না। এই সকল কারণে আমাদেরদেশে সামুদ্রিক বিদ্যার গবেষণা লুপ্ত প্রায় হইয়া আসিয়াছে।
এই গ্রন্থ রচনায় লেখক পাশ্চাত্যদেশে প্রচলিত প্রসিদ্ধ গ্রন্থাদির সাহায্য গ্রহণ করিয়াছেন এবং প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য পণ্ডিতগণের বিচারপদ্ধতির সমন্বয় করিয়া এই গ্রন্থ প্রণয়ন করিয়াছেন।
এই দুষ্প্রাপ্য বইটি সংগ্রহ করুন এবং হস্তরেখা সম্পর্কে সমস্ত তথ্য সহজ-সরল ভাষায় বুঝে নিন।
উপরোক্ত বাংলা বইটির পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করুন অথবা অনলাইনে পড়ুন
প্রিয় পাঠকগণ, ,এই পোষ্ট হইতে 'হস্তরেখা বিচার - সূর্যসিদ্ধান্ত ভট্টাচার্য্য' এই অসাধারণ জ্যোতিষ বিষয়ক বইটির পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করুন।
Kivabe download hobe kono option e dicche na
ReplyDelete"পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করুন অথবা অনলাইনে পড়ুন"- এই লেখাগুলিতে লিংক দেওয়া হয়েছে।
ReplyDelete