ফুল-ফোটানো মানুষ, বাংলা পিডিএফ
ডিজিটাল বইয়ের নাম- 'ফুল-ফোটানো মানুষ'
অনুবাদক- দেবীপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায়
বইয়ের ধরন- জাপানী রূপকথার বই
ফাইলের ধরন- পিডিএফ
এই বইতে মোট পৃষ্টা আছে- ১৭১
ডিজিটাল বইয়ের সাইজ- ৮এমবি
প্রিন্ট খুব ভালো, জলছাপ মুক্ত
ফুল-ফোটানো দেশের গল্প-
পুবদেশি দুনিয়ার পূর্বপ্রান্তের সাগর-ভাসা দ্বীপভূমির মতো উদয়সূর্যের দেশ জাপান, সুর্য তাদের দেবী, দেবী অমতেরাসু। আরো দেবতারা উর্ধ্ব থেকে করুণাচোখে চেয়ে তার দিকে, তার শরৎপাহাড়ের গা ভরা হলুদ-গোলাপি পত্রপুষ্পের রঙ- এই সূর্য আর সমুদ্রের নিরবধি বিস্তারের মধ্যে জাপান একদিন সাধনা করেছিল সৌন্দর্য আর প্রশান্তির। কোরিয়ার হাত ধরে সোনার বুদ্ধ মূর্তি আর অমূল্য বুদ্ধ বাণী পৌছল এসে যষ্ঠ শতাব্দীতে, বুদ্ধ অমিদর অবিসংবাদী প্রতিষ্ঠা হল দ্বাদশ শতাব্দীতে-ইতিহাসের কামাকুরা অধ্যায়ে।
ফুল বড়ো প্রিয় সবার এখানে। কোন ফুল?শরতের চন্দ্রমল্লিকা, না বসন্তের চেরী? না কি বরফ-শীতের বেগুনি-রক্তিম প্লাম ফুল, জাপানিতে যাকে বলে উমে? রবীন্দ্রনাথ জাপানে গিয়ে একটি মেয়েকে পুষ্পপাত্রে ফুল সাজাতে দেখেছিলেন :“সে যেন কার আরাধনা, তাতে কত নৈপুণ্য, কত নিষ্ঠা।” আরো দেখেছিলেন, “এখানে যে লোক অত্যন্ত গরিব সেও নিজের পেটের ক্ষুধাকে বঞ্চনা করেও এক-আধ পয়সায় ফুল না কিনে বাঁচে না।” আর এমন ফুল যে ফোটাতে পারে আপন হাতে? অসময়েও পারে? পুরোনো জাপানী তরুলতাপশুপ্রাণীর রূপকথায় এমনই এক গরিব বুড়োমানুষের গল্প পাই দৈবশক্তি পেয়েছিল যে গাছে গাছে ফুল ফোটাবার।
জাপানে পুরোনো গল্প হল হানাশি বা মোনোগাতারি, রূপকথার গল্প বলতে মুকাশি-বানাশি। এই ধরনের নানান গল্পের সঙ্গে এ বইয়ে জোড়া দেয়া হল দু-একটি পদ্য লেখাও- লোকস্মৃতির ভাণ্ডার থেকে উদধৃত করে।
সূচীপত্র-
চাঁদের খরগোশ
পাহাড়ের দেবতা
কথা রাখা
ফুজি পাহাড়
চড়ুই আর কাঠঠোকরা
ঠোটকাটা চড়ুই
দুই ব্যাঙের গল্প
চললুম কুবানা শহর
নকশাই কিমোনোর গল্প
পরীর মতন মেয়েটা গো
কান্ননের বর
উরশিমার গল্প
আদাচিগাহারার ডাইনী
ঘুমতাড়ানি, ঘুমপাড়ানি
ফুল ফোটানো মানুষ
চাঁদনী
ফড়িঙের কবিতা
যাঁতা ঘুরোও ইচ্ছে পুরোও
এই বইটির পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করুন অথবা অনলাইনে পড়ুন
প্রিয় কিশোর/কিশোরী পাঠকগণ, এই পোষ্ট হইতে তোমরা একটি খুবসুন্দর জাপানী রূপকথার বই 'ফুল-ফোটানো মানুষ' -এর বাংলা পিডিএফ সংগ্রহ করিতে পারিবে।
No comments:
Post a Comment