কালিদাসের মেঘদূত - বুদ্ধদেব বসু, বাংলা পিডিএফ
ডিজিটাল বইয়ের নাম- 'কালিদাসের মেঘদূত '
অনুবাদক- বুদ্ধদেব বসু
বইয়ের ধরন- অনুবাদিত কাব্যগ্রন্থ
ফাইলের ধরন- পিডিএফ
এই বইতে মোট পৃষ্টা আছে- ৯৩ (ডাবল)
ডিজিটাল বইয়ের সাইজ- ৬এমবি
প্রিন্ট ভালো, জলছাপ মুক্ত
সংস্কৃত কবিতার সঙ্গে আজকের দিনে আমাদের বিচ্ছেদ ঘটেছে। সেই বিচ্ছেদ দুস্তর না হোক, সুস্পষ্ট। আর তার কারণ শুধু এই নয় যে সংস্কৃত ব্যাকরণের চর্চা আমরা করি না। চর্চা করি না—এ-কথা সত্য কিনা তাও সন্দেহ করা যেতে পারে। ইংরেজ আমলে সংস্কৃত শিক্ষার মর্যাদাহাস, আধুনিক যন্ত্রযুগে সংস্কৃত বিদ্যার আর্থিক মূল্যের অবনতি, কর্মক্ষেত্রে ও সামাজিক জীবনে সংস্কৃতের ক্ষীয়মাণ প্রয়োজন—এই সব নৈরাশ্যকর তথ্য। সত্ত্বেও আমাদের মধ্যে অনেকেই সংস্কৃত ভাষার চর্চা করে থাকেন ; যাঁরা নামত এবং প্রকৃতপক্ষে পণ্ডিত, তাঁদের সংখ্যাও খুব কম নয়। এমন নয় যে দেশসুদ্ধ সবাই সংস্কৃত ভুলে গেছে, স্কুল-কলেজে তা পড়ানো হয় না, কিংবা আধুনিক বাংলার সঙ্গে সংস্কৃতের কোনো যোগ নেই। বরং আধুনিক বাংলা ভাষায় দেশজ শব্দের বদলে তৎসম ও তদভবের প্রচার বেড়েছে (তথাকতিত বীরবলী ভাষাও এর ব্যতিক্রম নয়), এবং রবীন্দ্রনাথ, যিনি আধুনিক বাংলা সাহিত্যের প্রতিষ্ঠাতা, তার বিরাট মূলধনের বৃহত্তম অংশটিও সংস্কৃত থেকে আহৃত। অথচ, যাঁরা রবীন্দ্রনাথ পড়েন, তাঁদের মধ্যে হাজারে একজনও কোনো সংস্কৃত কাব্যের পাতা ওল্টান কিনা সন্দেহ। যে-সব শিক্ষাপ্রাপ্ত বা শিক্ষালাভেচ্ছু বাঙালি ‘হ্যামলেট' পড়ে থাকেন, বা গ্যেটের ফাউষ্ট' বা, এমনকি ‘রাজা অয়দিপৌস' অথবা 'ইনফের্নো', তাদের মধ্যে ক-জন আছেন যাদের 'মেঘদূত' বা 'শকুন্তলা' পড়ার কৌতূহল জাগে, কিংবা যারা ভাবেন যে সংস্কৃত সাহিত্যের সঙ্গে কিছু পরিচয় না-থাকলে তাদের শিক্ষা সম্পূর্ণ হলো না? মানতেই হয়, তাদের সংখ্যা অকিঞ্চিৎকর।...অনুবাদক
কালিদাসের মধ্যে ঐতিহ্যবোধ প্রবল ; কোনো-কোনো আধুনিক কবি নিজেকে যেমন নূতন ও অপূর্ব বলে ধারণা করেন ('না জানি কেন রে এত দিন পরে / জাগিয়া উঠিল প্রাণ' ; 'কেউ যাহা জানে নাই, কোনো এক বাণী-/আমি ব'হে আনি'); তেমনি, এই রোমান্টিক মানসের বিপরীত মেরুতে, তিনি নিজেকে জানেন এক দীর্ঘ কবিংশের উত্তরাধিকারী ব'লে, আর তাঁর রচনার মধ্যে দেখতে পান যবনিকার প্রথম উত্তোলন নয়—মহত্তর পূর্বাঞ্চসমূহের বিনয়বদ্ধ অনুগমন। রঘুবংশে'র সূচনায় এই কথাটা খুব স্পষ্ট করে বলা আছে। যে-সব পূর্বসূরিদের তিনি সেখানে নমস্কার জানিয়েছেন, তাদের অনেকেরই নামসুদ্ধ লুপ্ত হয়ে গেছে, আর কারো কারো নামমাত্র কালস্রোতে ভাসমান ; তাঁর নিকটতর উত্তমর্ণ কারা ছিলেন, এই অতিশয় কৌতূহলোদ্দীপক প্রশ্নের উত্তরে ঐতিহাসিকের বেশি কিছু বলার নেই । মনিয়র উইলিয়মস লিখেছেন, পৃথিবীর প্রাচীন ভাষাগুলির মধ্যে সংস্কৃতে গ্রন্থসংখ্যা বিপুলতম ; কিন্তু ও নিশ্চিত যে বহু গ্রন্থ লুপ্ত হয়ে গেছে, নয়তো কালিদাসের পূর্বে অশ্বঘোষ ও ভাস ছাড়া আর কোনো প্রধান কাব্য-রচয়িতার অস্তিত্ব নেই কেন ?
যাইহোক ‘মেঘদূত' সংস্কৃত ভাষার সেই একটি কাব্য যা আমরা পৌনঃপুনিকভাবে পাঠ করতে প্রস্তুত ও উৎসুক, যার বহু অংশকে আমরা স্মরণের অন্তরঙ্গ করে নিয়েছি, এবং যাতে নতুন আবিষ্কারের অবকাশ না-থাকলেও—আমরা বার-বার নতুন করে আনন্দ পাই ।
এই পোষ্ট হইতে আপনারা বুদ্ধদেব বসুর অনুবাদিত কালিদাসের মেঘদূত কাব্যগ্রন্থটির পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করিতে পারিবেন।
উপরোক্ত বাংলা বইটির পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করুন অথবা অনলাইনে পড়ুন
প্রিয় পাঠকগণ, আপনারা কালিদাসের রচিত প্রাচীন কাব্যগ্রন্থ মেঘদূত' -এর বাংলা অনুবাদ বই- 'কালিদাসের মেঘদূত - বুদ্ধদেব বসু'-এর পিডিএফ সংগ্রহ করিতে পারিবেন।
No comments:
Post a Comment