কৃষ্ণস্তু ভগবান- ডঃ দীপক চন্দ্র । বাংলা বই পিডিএফ - বাংলা বই এর pdf ডাউনলোড-Bangla Digital Boi Pdf

Latest

Saturday, December 12, 2020

কৃষ্ণস্তু ভগবান- ডঃ দীপক চন্দ্র । বাংলা বই পিডিএফ


 কৃষ্ণস্তু ভগবান- ডঃ দীপক চন্দ্র । বাংলা বই পিডিএফ
ডিজিটাল বইয়ের নাম- 'কৃষ্ণস্তু ভগবান'
লেখক- ডঃ দীপক চন্দ্র
বইয়ের ধরন- পৌরাণিক উপন্যাস
ফাইলের ধরন- পিডিএফ
এই বইতে মোট পৃষ্টা আছে- ১৪৯
ডিজিটাল বইয়ের সাইজ- ৮এমবি
প্রিন্ট খুব ভালো, জলছাপ মুক্ত

কৃষ্ণস্তু ভগবান- ডঃ দীপক চন্দ্র

দৃষ্টিকোণ-
“শ্রীকৃষ্ণ পুরুষোত্তম”এর অগণিত পাঠক-পাঠিকা কৃষ্ণের উপর আরোপিত ঈশ্বরত্ব নিয়ে অনেককাল ধরে চিঠিপত্রে নানা প্রশ্ন ও অনুরোধ করে আসছেন। তাদের সেই আকাঙ্ক্ষা পূরণের প্রতিশ্রুতি নিয়ে প্রকাশিত হলঃ “কৃষ্ণস্তু ভগবান”।

ভগবান আছেন কি নেই, তা নিয়ে নানান সংশয়। কারণ, ভগবানকে চোখে দেখা যায় না। তিনি প্রত্যক্ষ নন। তিনি শূন্য নিরাকার। তবু অনাদি, অনন্তকাল ধরে মানুষের মনের মধ্যে, তার বিশ্বাসের মধ্যে তিনি ভীষণভাবে আছেন। আজও আছেন। জাতি, বর্ণ, ধর্ম, সম্প্রদায় নির্বিশেষে সকল মানুষের তিনি পরম আশ্রয়।

মানুষের চোখে ভগবান পরম করুণাময়, মঙ্গলময়, প্রেমময়। তিনি কোন বিভেদ জানেন না। সকলকেই তিনি কোল দেন। দুঃখী, দুর্গত, অসহায় মানুষের প্রতি তাঁর দরদ ও সহানুভূতির অন্ত নেই। ক্ষমতায়, প্রেমে, মহত্বে, ত্যাগে তিনি সুন্দর। ভগবান হল ভালবাসার আর এক নাম। রবীন্দ্রনাথের ভাষায় “দেবতারে যাহা দিতে পারি তাই দিই প্রিয়জনে/ প্রিয়জনে যাহা দিতে পারি, তাই দিই দেবতারে।/ দেবতারে প্রিয় করি, প্রিয়েরে দেবতা।” অথাৎ কিনা, ভগবানের কাছে মানুষ যা প্রত্যাশা করে, মর্তের মানুষের মধ্যে হঠাৎ কালেভদ্রে যখন তা পায় তখন সাক্ষাৎ ভগবান হয়ে উঠে সে। ভগবান অলৌকিক, কিন্তু মানুষরূপী ভগবান প্রত্যক্ষ এবং লৌকিক !

কোন কোন মানুষ বিশেষ গুণ, কর্ম এবং আদর্শের জন্য শ্রদ্ধেয় হয়ে উঠেন। শ্রদ্ধা ও অনুরাগের পূজাঞ্জলি দিয়ে ভগবানের মত তাকে পূজা না করলে আমরা স্বস্তি পাই না। এইভাবেই রক্ত-মাংসের বরণীয় মহান মানুষ স্মণীয় হয়ে যুগ-যুগান্তর ধরে পূজিত হন। রামচন্দ্র, শ্রীকৃষ্ণ, বুদ্ধদেব, চৈতন্য, রামকৃষ্ণ, সারদা, প্রমূখ মানব-মানবী তিরোধানের অব্যবহিত পরেই ভগবানরূপে বন্দিত হলেন। একালে সুভাষ বসু, গান্ধীজী, লেনিন প্রমুখ মনীষীরা গুণ ও কর্মের জোরে পূজার পাত্র হয়ে উঠলেন।

এই গ্রন্থে আমি বোঝাতে চেয়েছি, ভগবান হয় না, ভগবানের গুণগুলি নিয়ে মানুষ ভগবান হয়ে যায়। একদিন মহাভারতের প্রাণপুরুষ শ্রীকৃষ্ণ একইভাবে ভগবানের গুণ ও কর্মগুলি নিয়ে মানুষের ভগবান হয়ে গেলেন। কৃষ্ণ একদিনে ভগবান হয়ে যাননি। বহু শতাব্দী ধরে ভগবান হওয়ার জন্যে প্রতীক্ষা করতে হয়েছে তাঁকে। এবং একটু একটু করে তাঁর উপর ঈশ্বরত্ব আরোপিত হয়েছে।

মহাভারতের প্রথম অবস্থায় কৃষ্ণ দেবতা নন। তিনি একজন অসাধারণ প্রজ্ঞাবান রাজনৈতিক নেতা। এক আশ্চর্য সুন্দর মানুষ। পরহিতার্থে তাঁর জীবন উৎসর্গীকৃত। নিজের জন্য কিছুই আকাক্ষা নেই তাঁর। তিনি নির্লোভ। বিশাল সাম্রাজ্যের অধিপতি হয়েও ভোগে নিষ্পৃহ। পরিবর্তে অপরের দুঃখ দুর্দশাকে আপন ভেবে প্রতিকারে যত্নবান হয়েছেন। তার পরহিতৈষণা, মহত্ত্ব, ত্যাগ শত্রুকেও অবাক করেছে। প্রেমে এবং মহত্বে তাদের বশ করেছেন। তাঁর অসাধারণ পৌরুষ, চরিত্র মাধুর্য, নম্র স্বভাব, স্নিগ্ধ আচরণ, আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্ব, রাজনৈতিক প্রজ্ঞা সকলের প্রিয় ও শ্রদ্ধেয় হয়েছে। তাই শ্রীকৃষ্ণ চরিত্র মানুষের অন্তরকে বিকশিত করল। শ্রদ্ধার স্বণ সিংহাসনে বসিয়ে ভক্তির শতদলে পূজা করল শত্রুমিত্র নির্বিশেষে। মানুষের হৃদয়ের পূজা পেয়ে শ্রীকৃষ্ণ হলেন ভগবান, মানুষের প্রাণের ঠাকুর। শ্রীকৃষ্ণের ঈশ্বরত্ব মানুষের সৃষ্টি। ভক্ত ও প্রেমিক মানুষের পুজাঞ্জলি। এই পূজা পেয়ে শ্রীকৃষ্ণ হয়ে উঠলেন মানুষের প্রাণের ঠাকুর।

ভক্তির এই অর্ঘ্য নিবেদিত হল মহাভারতের দ্বিতীয় স্তরে। তৃতীয় ও তার পরবর্তী স্তরে সেই ভক্তি ও পূজা এক পারমার্থিক দার্শনিক স্তরে পেীঁছল। ভক্তিই কৃষ্ণপ্রাপ্তির উপায় । মহাভারতের কর্মমার্গের উপর ভক্তিমার্গ প্রতিষ্ঠিত হল। এই ভগবান শ্রীকৃষ্ণের অমানুষী লীলা ও তাঁর দিব্যকর্ম বর্ণিত হল, হরিবংশে, বিষ্ণুপুরাণে, ও শ্রীমদ্ভাগবতে, আর শ্রীমতী রাধিকার তত্ত্ব বিখ্যাত হল ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণে |

“শ্রীকৃষ্ণ পরষোত্তম”-এ যেসব কাহিনী অলৌকিক বলে বর্জিত হয়েছিল, আলোচ্য উপন্যাসে সেই অলৌকিক কাহিনীগুলির ক্যানভাসে কৃষ্ণের ঈশ্বরত্ব নিরূপণ করেছি। কারণ যে চরিত্রগুণে ও ব্যক্তিত্বের জোরে কৃষ্ণ ধীরে ধীরে মানবসন্তান থেকে এক অলৌকিক শক্তিধর লীলাময় ভগবানে উত্তীর্ণ হলেন, তার জ্যোতি বিকীর্ণ হয়েছে এই কাহিনীগুলিতে। তাই এগুলি এড়িয়ে যাইনি। বরং কীভাবে, কেমন করে জীবনের ঘটনা অলৌকিক হয়ে উঠল তার একটা পরিবেশ অঙ্কন করেছি। আধুনিক ধর্মপ্রাণ মানুষের শিক্ষা, চিন্তা, রুচি ও মেজাজের প্রতি লক্ষ্য রেখে সেগুলির সঙ্গে কৃষ্ণের অসাধারণ ব্যক্তিত্ব, বুদ্ধিবল, মনোরঞ্জনক্ষমতা, পরহিতৈষণা, করুণা, মমতার এক আশ্চর্য সমীকরণ হয়েছে উপন্যাসের আঙ্গিকে।

এই কঠিন কাজটি করতে গিয়ে মনে হয়েছে স্বর্গের ধরাচূড়া পরে ভগবান মর্তে নেমে আসে না। মানবী মাতার গর্ভে আর পাঁচটা শিশুর মত তাঁকেও জন্মগ্রহণ করতে হয়। তবু তিনি স্বতন্ত্র। বিশ্ব-সৃষ্টির আদি-অনন্তস্বরূপ হয়ে তিনি জন্মমাত্র নিজেকে প্রকাশ করেন। কিন্তু কোন চরিত্রগুণে এবং ব্যক্তিত্বের জোরে কৃষ্ণ ধীরে ধীরে মানবসন্তান থেকে এক অলৌকিক শক্তিধর লীলাময় ভগবানে উত্তীর্ণ হলেন তার এক শ্রদ্ধাদীপ্ত সংঘাতময় উপন্যাস “কৃষ্ণস্তু ভগবান”।- ডঃ দীপক চন্দ্র

এই বইটির পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করুন অথবা অনলাইনে পড়ুন
প্রিয় পাঠকগণ, এই পোষ্ট হইতে আপনারা পৌরাণিক উপন্যাস 'কৃষ্ণস্তু ভগবান- ডঃ দীপক চন্দ্র' -এর বাংলা পিডিএফ সংগ্রহ করিতে পারিবেন।

No comments:

Post a Comment