রাজ-প্রেয়সী রাজবধু - শ্যামলী বসু, বাংলা উপন্যাস পিডিএফ
ডিজিটাল বইয়ের নাম- রাজ-প্রেয়সী রাজবধু
লেখক- শ্যামলী বসু
বইয়ের ধরন- ঐতিহাসিক উপন্যাস
ফাইলের ধরন- পিডিএফ
এই বইতে মোট পৃষ্টা আছে- ১৫৬
ডিজিটাল বইয়ের সাইজ- ৭ এমবি
প্রিন্ট খুব ভালো, জলছাপ মুক্ত
জয়াপীড় যগন কাশ্মীর হইতে সরিয়া গেলে, তাঁহার শ্যালক জজ্জ জোড়করিয়া সিংহাসন দখল করিয়াছিলেন।
তারপর সৈন্যগণও 'জয়াপীড়ের সঙ্গ ছাড়িয়া, ক্রমে ক্রমে স্বদেশে প্রত্যাবর্ত্তন করিয়াছিল।
তারপরে তিনি সামন্ত সাম্রাজ্যপতিদের বিদায় জানালেন, একটি ছোট সেনাবাহিনী নিয়ে প্রয়াগের দিকে যাত্রা করলেন; এবং সেখান থেকে তিনি ছদ্মবেশে একা বেরিয়ে এসে ধীরে ধীরে পৌন্দ্রবর্ধন শহরে পৌঁছেছিলেন। পৌণ্ড্রবর্দ্ধন তখন গৌড় রাজার দ্বারা আশ্রিত এবং 'জয়ন্ত' নামক সামন্ত রাজার শাসনে ছিল। জয়াপীড় তখন পৌণ্ড্রবর্দ্ধন নগরে এক নর্ত্তকীর গৃহে আশ্রয় লইলেন; এবং একটি সিংহ-হত্যা করিয়া, আত্মপ্রকাশ করিতে বাধ্য হইলেন। তারপরে রাজা জয়ন্ত তাঁর কন্যা কল্যাণাদেবীকে জয়পীরের সাথে বিবাহসূত্রে আবদ্ধ করেছিলেন।
এর পরে, জয়পীর কোনরূপ সংগঠনিক শক্তি ছাড়াই গৌড়ের পাঁচটি নরপালকে পরাজিত করেছিলেন এবং গৌরধিশের আসনে শ্বশুরকে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এভাবে তিনি তার শক্তি প্রদর্শন করেছিলেন।
এরপর অনেকগুলি রাজ্য জয়ের পরে,
বিনয়াদিত্য জয়াপীড়ের বিজয় বাহিনী সেনাপতি দেবশর্মার অধীনে কাশ্মীরের দিকে অগ্রসর হচ্ছে, এ সংবাদ কাশ্মীরেও পৌছেছিল।
জজ্জ প্রস্তুত ছিল তার সেনাবাহিনী নিয়ে। কাশ্মীররাজ্যের দক্ষিণ সীমান্তে একটি গণ্ডগ্রাম পুঞ্চলে।
পুস্কলে গ্রামের বিশাল প্রান্তরে, উভয় পক্ষের সেনাবাহিনীর প্রচণ্ড যুদ্ধ আরম্ভ হলো।
এবার বিজয়লক্ষ্মী বিনয়াদিত্যের উপর প্রসন্ন হলেন।
যুদ্ধ চলার সময় শ্রীদেব নামে এক রাজভক্ত চণ্ডাল নির্ভুল লক্ষ্যে তার ক্ষেপণী অস্ত্রের সাহায্যে প্রস্তর খণ্ড দিয়ে প্রচণ্ড আঘাত করলে জজ্জকে। জজ্জ অশ্বপৃষ্ঠ থেকে ভূপাতিত হলো।
শীঘ্রই মৃত্যু হলো জজ্জের। জজ্জের সেনাদল ছত্রভঙ্গ হয়ে গেলো, যুদ্ধ শেষ হলো। বিজয়ী হলেন জয়াপীড়।
রাজ্য হারানাের তিন বৎসর পরে—আবার হৃতরাজ্য ফিরে পেলেন, কাশ্মীররাজ বিনয়াদিত্য জয়াপীড়।
গৌড়ের রাজকন্যা কল্যাণদেবী সত্যই ছিলেন তার সৌভাগ্যলক্ষ্মী। কল্যাণস্বরূপিনী।
স্বামীর বিজয় চিরস্মরণীয় করে রাখবার জন্য, রাজশত্রু জজ্জ যেখানে নিহত হয়, সেখানে রাজবধূ স্থাপন করলেন কল্যাণপুর নামে একটি জনপদ। কোমলঙ্গী, মধুরভাষিণী আর অনুরাগবতী এই পুণ্ডবধন রাজকন্যার ব্যবহারে কাশ্মীরপতি বিনয়াদিত্য এতো মুগ্ধ, এতো প্রীত হয়েছিলেন যে তিনি স্বয়ং রাজবধূ কল্যাণদেবীর প্রতিহারীর পদ নিয়ে তাঁকে সম্মানিত করেন।
কল্যাণদেবীর পুত্রই সংগ্রামপীড় এবং পৃথিব্যাপীড় নাম নিয়ে পরে সিংহাসনের উত্তরাধিকারী হন।
আর কমলা?
কমলা ছিল বিনয়াদিত্য জয়াপীড়ের চিরপ্রেয়সী। জয়াপীড় খুবই অনুরক্ত ছিলেন কমলার প্রতি। সুদূর কাশ্মীরে কমলাপুর নামেও একটি ক্ষুদ্র জনপদ গড়ে উঠেছিল পুণ্ড_বর্ধনের দেবনর্তকীর নামে।
কাশ্মীরপতি বিনয়াদিত্য জয়াপীড়ের জীবনের সঙ্গে অচ্ছেদ্য ৰন্ধনে জড়িয়ে গিয়েছিল দুই গৌড়কন্যার জীবন। একজন–রাজবালা, রাজবধূ। অন্য জন—অজ্ঞাতপরিচয় এক দেবনর্তকী।
জয়াপীড় দুজনের প্রতিই অনুরক্ত ছিলেন। ইতিহাস তার সাক্ষী।
প্রিয় পাঠকগণ, এই অসাধাধারণ ঐতিহাসিক উপন্যাসটি অবশ্যই পড়ুন।
বইটির পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করুন অথবা অনলাইনে পড়ুন
প্রিয় পাঠকগণ, ইতিহাসের পক্ষাপটে রচিত এই অসাধারণ উপন্যাসটি সংগ্রহ করুন- 'রাজ-প্রেয়সী রাজবধু - শ্যামলী বসু' বাংলা বইয়ের পিডিএফ।
ডিজিটাল বইয়ের নাম- রাজ-প্রেয়সী রাজবধু
লেখক- শ্যামলী বসু
বইয়ের ধরন- ঐতিহাসিক উপন্যাস
ফাইলের ধরন- পিডিএফ
এই বইতে মোট পৃষ্টা আছে- ১৫৬
ডিজিটাল বইয়ের সাইজ- ৭ এমবি
প্রিন্ট খুব ভালো, জলছাপ মুক্ত
ঐতিহাসিক কাশ্মীর শাসক ললিতাদিত্য ও জয়াপীড় আশ্রিত উপন্যাস- 'রাজ-প্রেয়সী রাজবধু '
ললিতাদিত্যের পৌত্র জয়াপীড়, তিনি কাশ্মীরের সিংহাসনে অভিষেক করিয়াই, এক বৃহৎ সৈন্যদলের সাথে পিতামহের ন্যায় দিগ্বিজয়ে বাহির হইয়াছিলেন।জয়াপীড় যগন কাশ্মীর হইতে সরিয়া গেলে, তাঁহার শ্যালক জজ্জ জোড়করিয়া সিংহাসন দখল করিয়াছিলেন।
তারপর সৈন্যগণও 'জয়াপীড়ের সঙ্গ ছাড়িয়া, ক্রমে ক্রমে স্বদেশে প্রত্যাবর্ত্তন করিয়াছিল।
তারপরে তিনি সামন্ত সাম্রাজ্যপতিদের বিদায় জানালেন, একটি ছোট সেনাবাহিনী নিয়ে প্রয়াগের দিকে যাত্রা করলেন; এবং সেখান থেকে তিনি ছদ্মবেশে একা বেরিয়ে এসে ধীরে ধীরে পৌন্দ্রবর্ধন শহরে পৌঁছেছিলেন। পৌণ্ড্রবর্দ্ধন তখন গৌড় রাজার দ্বারা আশ্রিত এবং 'জয়ন্ত' নামক সামন্ত রাজার শাসনে ছিল। জয়াপীড় তখন পৌণ্ড্রবর্দ্ধন নগরে এক নর্ত্তকীর গৃহে আশ্রয় লইলেন; এবং একটি সিংহ-হত্যা করিয়া, আত্মপ্রকাশ করিতে বাধ্য হইলেন। তারপরে রাজা জয়ন্ত তাঁর কন্যা কল্যাণাদেবীকে জয়পীরের সাথে বিবাহসূত্রে আবদ্ধ করেছিলেন।
এর পরে, জয়পীর কোনরূপ সংগঠনিক শক্তি ছাড়াই গৌড়ের পাঁচটি নরপালকে পরাজিত করেছিলেন এবং গৌরধিশের আসনে শ্বশুরকে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এভাবে তিনি তার শক্তি প্রদর্শন করেছিলেন।
এরপর অনেকগুলি রাজ্য জয়ের পরে,
বিনয়াদিত্য জয়াপীড়ের বিজয় বাহিনী সেনাপতি দেবশর্মার অধীনে কাশ্মীরের দিকে অগ্রসর হচ্ছে, এ সংবাদ কাশ্মীরেও পৌছেছিল।
জজ্জ প্রস্তুত ছিল তার সেনাবাহিনী নিয়ে। কাশ্মীররাজ্যের দক্ষিণ সীমান্তে একটি গণ্ডগ্রাম পুঞ্চলে।
পুস্কলে গ্রামের বিশাল প্রান্তরে, উভয় পক্ষের সেনাবাহিনীর প্রচণ্ড যুদ্ধ আরম্ভ হলো।
এবার বিজয়লক্ষ্মী বিনয়াদিত্যের উপর প্রসন্ন হলেন।
যুদ্ধ চলার সময় শ্রীদেব নামে এক রাজভক্ত চণ্ডাল নির্ভুল লক্ষ্যে তার ক্ষেপণী অস্ত্রের সাহায্যে প্রস্তর খণ্ড দিয়ে প্রচণ্ড আঘাত করলে জজ্জকে। জজ্জ অশ্বপৃষ্ঠ থেকে ভূপাতিত হলো।
শীঘ্রই মৃত্যু হলো জজ্জের। জজ্জের সেনাদল ছত্রভঙ্গ হয়ে গেলো, যুদ্ধ শেষ হলো। বিজয়ী হলেন জয়াপীড়।
রাজ্য হারানাের তিন বৎসর পরে—আবার হৃতরাজ্য ফিরে পেলেন, কাশ্মীররাজ বিনয়াদিত্য জয়াপীড়।
গৌড়ের রাজকন্যা কল্যাণদেবী সত্যই ছিলেন তার সৌভাগ্যলক্ষ্মী। কল্যাণস্বরূপিনী।
স্বামীর বিজয় চিরস্মরণীয় করে রাখবার জন্য, রাজশত্রু জজ্জ যেখানে নিহত হয়, সেখানে রাজবধূ স্থাপন করলেন কল্যাণপুর নামে একটি জনপদ। কোমলঙ্গী, মধুরভাষিণী আর অনুরাগবতী এই পুণ্ডবধন রাজকন্যার ব্যবহারে কাশ্মীরপতি বিনয়াদিত্য এতো মুগ্ধ, এতো প্রীত হয়েছিলেন যে তিনি স্বয়ং রাজবধূ কল্যাণদেবীর প্রতিহারীর পদ নিয়ে তাঁকে সম্মানিত করেন।
কল্যাণদেবীর পুত্রই সংগ্রামপীড় এবং পৃথিব্যাপীড় নাম নিয়ে পরে সিংহাসনের উত্তরাধিকারী হন।
আর কমলা?
কমলা ছিল বিনয়াদিত্য জয়াপীড়ের চিরপ্রেয়সী। জয়াপীড় খুবই অনুরক্ত ছিলেন কমলার প্রতি। সুদূর কাশ্মীরে কমলাপুর নামেও একটি ক্ষুদ্র জনপদ গড়ে উঠেছিল পুণ্ড_বর্ধনের দেবনর্তকীর নামে।
কাশ্মীরপতি বিনয়াদিত্য জয়াপীড়ের জীবনের সঙ্গে অচ্ছেদ্য ৰন্ধনে জড়িয়ে গিয়েছিল দুই গৌড়কন্যার জীবন। একজন–রাজবালা, রাজবধূ। অন্য জন—অজ্ঞাতপরিচয় এক দেবনর্তকী।
জয়াপীড় দুজনের প্রতিই অনুরক্ত ছিলেন। ইতিহাস তার সাক্ষী।
প্রিয় পাঠকগণ, এই অসাধাধারণ ঐতিহাসিক উপন্যাসটি অবশ্যই পড়ুন।
বইটির পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করুন অথবা অনলাইনে পড়ুন
প্রিয় পাঠকগণ, ইতিহাসের পক্ষাপটে রচিত এই অসাধারণ উপন্যাসটি সংগ্রহ করুন- 'রাজ-প্রেয়সী রাজবধু - শ্যামলী বসু' বাংলা বইয়ের পিডিএফ।
No comments:
Post a Comment