নবারুণ ভট্টাচার্যের ছোটগল্প । বাংলা বই পিডিএফ
ডিজিটাল বইয়ের নাম- নবারুণ ভট্টাচার্যের ছোটগল্প
লেখক- নবারুণ ভট্টাচার্য
বইয়ের ধরন- ছোটগল্প সংগ্রহ
ফাইলের ধরন- পিডিএফ
এই বইতে মোট পৃষ্টা আছে- ১১৫
ডিজিটাল বইয়ের সাইজ- ৫এমবি
প্রিন্ট খুব ভালো, জলছাপ মুক্ত
বই-এর ভূমিকা-
নিজের গল্প সংকলনের ভূমিকা লেখা দুঃসাধ্য। এড়িয়ে যাবার উপায়ও নেই। অতএব বাধ্য হয়েই লিখতে হল। প্রথম চারটি ছাড়া বাকি গল্পগুলি গত এক দশক ধরে লেখা যে দশকে মানুষের এগিয়ে চলার, শোষণমুক্তি ও সমাজব্যবস্থা পালটানোর মডেল পুঁজি ও প্রতিক্রিয়ার আঘাতে ও বামপন্থীদের আবশ্যিক আত্মসমীক্ষার অভাবের কারণে অনেকটাই তছনছ হয়ে গেছে। যে শতক সবচেয়ে আশা জাগিয়েছিল সেই শতক শেষ হচ্ছে অবসাদে, বিষাদে, যন্ত্রণাজর্জর অবস্থায়। আমি দৈনন্দিনতায়, প্রত্যহ, নিকটে ও দূরে, নিয়ত যা দেখতে পাই তা হল পরতে পরতে, স্তরে স্তরে সমাজের ভিন্ন ভিন্ন বর্গের ওপর চাপিয়ে দেওয়া শশাষণ, নতুনতর ঔপনিবেশিকতা ও সংস্কৃতি-সাম্রাজ্যবাদের অমানুষীকরণের দেখা না দেখা হাতকড়া ও চোখভুলোনো ঠুলির ভার। সামন্ততন্ত্র বা পুঁজিবাদের বালক বয়সের প্রত্যক্ষ নিষ্ঠুরতার চেয়েও এ যেন। অধিকতর মারাত্মক, জঘন্য ও অপমানজনক। এই দলিত মথিত মানুষ ও তাদের জীবনের এক বিচিত্র ক্যালেইডোস্কোপের মধ্যে আমার জীবন কাটছে। চারপাশে তাই আমি দেখি। কিন্তু চুড়ান্ত নিরিখে এই বাস্তবকে আমি চিরস্থায়ী বলে মানি না। বাস্তবকে পালটাতে হবে। হবেই। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় চেতনা তৈরি করার ক্ষেত্রে সাহিত্যের অবশ্যই একটা বিশিষ্ট ভূমিকা রয়েছে। শুধু আমার দেশ বা উন্নয়নশীল ও গরিব অন্যান্য দেশ নয়, গোটা দুনিয়ার মানুষকে এক নিষ্ঠুর ‘ভুলা মাসানের পাকে' ফেলে দেওয়া হয়েছে। এই অপদেবতাকে আমি ঘৃণা করি ও তার নিঃশর্ত মৃত্যু চাই। সে আমাকে নতিস্বীকার করাতে চায়। বােঝাতে চায় যে ইতিহাসের সামনে আর কোনো পথ নেই, মতাদর্শ নিছকই হাত উড়ে যাওয়া মানুষের ফাকা আস্তিন যা গুটিয়ে কোনো লাভ নেই। সে যত একগুঁয়ে আমিও তার কথা বুঝতে ততটাই নারাজ। শেষ হাসিটা অপদেবতা নয়, মানুষই হাসবে। ইতিহাস সেই ভরসাই দেয়। যে অস্থির ও ঘটনাবহুল কালপর্বের মধ্যে এই গল্পগুলি লেখা হয়েছে তাতে করে দেখার ও বোঝার চোখ ও মন পালটে যেতে বাধ্য প্রকাশভঙ্গিও। তবে অস্তিত্বকে যা অভিমুখিনতা দেয় সেই মতাদর্শ ও বিশ্ববীক্ষার ক্ষেত্রে কোনো রদবদল বা পিঠটান দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। মনে হয় নিরেট, নির্বোধ আনন্দের সময়ের থেকে বিশ্বব্যাপী এই দুঃসময় প্রয়োজনীয়ই ছিল। এই সময় সম্ভবত এই শিক্ষাই দেয় যে কল্পস্বর্গবাদী হয়ে বেঁচে থাকা, বিশেষত এই আশা-নিরাশা, নির্মাণ ও নৃশংসতার শতকের শেষভাগে চূড়ান্ত আত্মপ্রবঞ্চনা হবে। আমার গল্পগুলিতে এই বোধের ছিটেফোঁটাও যদি পাঠক খুঁজে পান তাহলে নিজেকে ধন্য মনে করব। পরিশেষে প্রকাশকদের আমার কৃতজ্ঞতা জানাই। কৃতজ্ঞতা জানাই তাদের যারা আমার লেখার ব্যাপারে আগ্রহী হয়ে আমাকে প্রেরণা জুগিয়ে চলেছেন।- নবারুণ ভট্টাচার্য
নবারুণ ভট্টাচার্য (২৩ শে জুন, ১৯৪৮ - জুলাই ৩১, ২০১৪) বিখ্যাত নাট্যকার-অভিনেতা বিজন ভট্টাচার্য ও সাহিত্যিক মহাশ্বেতা দেবীর একমাত্র সন্তান, পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। নবারুণ বাবু ছিলেন বাংলা সাহিত্যের এক প্রথাবিরোধী লেখক। কবি, গল্পকার, ও ঐপন্যাসিক, এই তিনটি পরিচয়ের মিশ্রণে তিনি নিজস্ব একটি সাহিত্য ঘরানা তৈরি করছিলেন।
এই পোষ্টিটিতে নবারুণবাবুর লেখা ১৬টি গল্পের সংকলন বইটির পিডিএফ শেয়ার করা হল।
এই ছোটগল্প গুলি হল-
খোঁচড়
প্রতিবিপ্লব দীর্ঘজীবী হোক
মার্ডারারের ভাই
বুড়া কাহারের পুঁজিপাটা
ফোয়ারার সেই মানুষজন
ফোয়ারার জন্যে দুশ্চিন্তা
শেষ রাত
কালমন্ ও মোগলাই
পাঁচুগোপাল
এক টুকরো নাইলনের দড়ি
হাওয়া হাওয়া
মরণদান
মাথা নেই তো হয়েছে কি
টয়
৪+১
ফ্যাতাড়ু
বইটির পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করুন অথবা অনলাইনে পড়ুন
প্রিয় পাঠকগণ, আপনারা সংগ্রহ করতে পারেন একটি ছোটগল্প সংগ্রহ বই- 'নবারুণ ভট্টাচার্যের ছোটগল্প' বাংলা পিডিএফ।
ডিজিটাল বইয়ের নাম- নবারুণ ভট্টাচার্যের ছোটগল্প
লেখক- নবারুণ ভট্টাচার্য
বইয়ের ধরন- ছোটগল্প সংগ্রহ
ফাইলের ধরন- পিডিএফ
এই বইতে মোট পৃষ্টা আছে- ১১৫
ডিজিটাল বইয়ের সাইজ- ৫এমবি
প্রিন্ট খুব ভালো, জলছাপ মুক্ত
বই-এর ভূমিকা-
নিজের গল্প সংকলনের ভূমিকা লেখা দুঃসাধ্য। এড়িয়ে যাবার উপায়ও নেই। অতএব বাধ্য হয়েই লিখতে হল। প্রথম চারটি ছাড়া বাকি গল্পগুলি গত এক দশক ধরে লেখা যে দশকে মানুষের এগিয়ে চলার, শোষণমুক্তি ও সমাজব্যবস্থা পালটানোর মডেল পুঁজি ও প্রতিক্রিয়ার আঘাতে ও বামপন্থীদের আবশ্যিক আত্মসমীক্ষার অভাবের কারণে অনেকটাই তছনছ হয়ে গেছে। যে শতক সবচেয়ে আশা জাগিয়েছিল সেই শতক শেষ হচ্ছে অবসাদে, বিষাদে, যন্ত্রণাজর্জর অবস্থায়। আমি দৈনন্দিনতায়, প্রত্যহ, নিকটে ও দূরে, নিয়ত যা দেখতে পাই তা হল পরতে পরতে, স্তরে স্তরে সমাজের ভিন্ন ভিন্ন বর্গের ওপর চাপিয়ে দেওয়া শশাষণ, নতুনতর ঔপনিবেশিকতা ও সংস্কৃতি-সাম্রাজ্যবাদের অমানুষীকরণের দেখা না দেখা হাতকড়া ও চোখভুলোনো ঠুলির ভার। সামন্ততন্ত্র বা পুঁজিবাদের বালক বয়সের প্রত্যক্ষ নিষ্ঠুরতার চেয়েও এ যেন। অধিকতর মারাত্মক, জঘন্য ও অপমানজনক। এই দলিত মথিত মানুষ ও তাদের জীবনের এক বিচিত্র ক্যালেইডোস্কোপের মধ্যে আমার জীবন কাটছে। চারপাশে তাই আমি দেখি। কিন্তু চুড়ান্ত নিরিখে এই বাস্তবকে আমি চিরস্থায়ী বলে মানি না। বাস্তবকে পালটাতে হবে। হবেই। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় চেতনা তৈরি করার ক্ষেত্রে সাহিত্যের অবশ্যই একটা বিশিষ্ট ভূমিকা রয়েছে। শুধু আমার দেশ বা উন্নয়নশীল ও গরিব অন্যান্য দেশ নয়, গোটা দুনিয়ার মানুষকে এক নিষ্ঠুর ‘ভুলা মাসানের পাকে' ফেলে দেওয়া হয়েছে। এই অপদেবতাকে আমি ঘৃণা করি ও তার নিঃশর্ত মৃত্যু চাই। সে আমাকে নতিস্বীকার করাতে চায়। বােঝাতে চায় যে ইতিহাসের সামনে আর কোনো পথ নেই, মতাদর্শ নিছকই হাত উড়ে যাওয়া মানুষের ফাকা আস্তিন যা গুটিয়ে কোনো লাভ নেই। সে যত একগুঁয়ে আমিও তার কথা বুঝতে ততটাই নারাজ। শেষ হাসিটা অপদেবতা নয়, মানুষই হাসবে। ইতিহাস সেই ভরসাই দেয়। যে অস্থির ও ঘটনাবহুল কালপর্বের মধ্যে এই গল্পগুলি লেখা হয়েছে তাতে করে দেখার ও বোঝার চোখ ও মন পালটে যেতে বাধ্য প্রকাশভঙ্গিও। তবে অস্তিত্বকে যা অভিমুখিনতা দেয় সেই মতাদর্শ ও বিশ্ববীক্ষার ক্ষেত্রে কোনো রদবদল বা পিঠটান দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। মনে হয় নিরেট, নির্বোধ আনন্দের সময়ের থেকে বিশ্বব্যাপী এই দুঃসময় প্রয়োজনীয়ই ছিল। এই সময় সম্ভবত এই শিক্ষাই দেয় যে কল্পস্বর্গবাদী হয়ে বেঁচে থাকা, বিশেষত এই আশা-নিরাশা, নির্মাণ ও নৃশংসতার শতকের শেষভাগে চূড়ান্ত আত্মপ্রবঞ্চনা হবে। আমার গল্পগুলিতে এই বোধের ছিটেফোঁটাও যদি পাঠক খুঁজে পান তাহলে নিজেকে ধন্য মনে করব। পরিশেষে প্রকাশকদের আমার কৃতজ্ঞতা জানাই। কৃতজ্ঞতা জানাই তাদের যারা আমার লেখার ব্যাপারে আগ্রহী হয়ে আমাকে প্রেরণা জুগিয়ে চলেছেন।- নবারুণ ভট্টাচার্য
নবারুণ ভট্টাচার্য (২৩ শে জুন, ১৯৪৮ - জুলাই ৩১, ২০১৪) বিখ্যাত নাট্যকার-অভিনেতা বিজন ভট্টাচার্য ও সাহিত্যিক মহাশ্বেতা দেবীর একমাত্র সন্তান, পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। নবারুণ বাবু ছিলেন বাংলা সাহিত্যের এক প্রথাবিরোধী লেখক। কবি, গল্পকার, ও ঐপন্যাসিক, এই তিনটি পরিচয়ের মিশ্রণে তিনি নিজস্ব একটি সাহিত্য ঘরানা তৈরি করছিলেন।
এই পোষ্টিটিতে নবারুণবাবুর লেখা ১৬টি গল্পের সংকলন বইটির পিডিএফ শেয়ার করা হল।
এই ছোটগল্প গুলি হল-
খোঁচড়
প্রতিবিপ্লব দীর্ঘজীবী হোক
মার্ডারারের ভাই
বুড়া কাহারের পুঁজিপাটা
ফোয়ারার সেই মানুষজন
ফোয়ারার জন্যে দুশ্চিন্তা
শেষ রাত
কালমন্ ও মোগলাই
পাঁচুগোপাল
এক টুকরো নাইলনের দড়ি
হাওয়া হাওয়া
মরণদান
মাথা নেই তো হয়েছে কি
টয়
৪+১
ফ্যাতাড়ু
বইটির পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করুন অথবা অনলাইনে পড়ুন
প্রিয় পাঠকগণ, আপনারা সংগ্রহ করতে পারেন একটি ছোটগল্প সংগ্রহ বই- 'নবারুণ ভট্টাচার্যের ছোটগল্প' বাংলা পিডিএফ।
No comments:
Post a Comment