স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা সমগ্র সকল খন্ড বাংলা পিডিএফ
ডিজিটাল বইয়ের নাম- বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা সমগ্র (প্রথম হইতে দশম খন্ড একত্রে)
লেখক- স্বামী বিবেকানন্দ
বইয়ের ধরন- ধর্ম সম্পর্কিত বই
ফাইলের ধরন- পিডিএফ
এই বইতে মোট পৃষ্টা আছে- ২৫৪১
ডিজিটাল বইয়ের সাইজ- ২০এমবি
প্রিন্ট খুব ভালো, ক্লিকযোগ্য সূচিপত্র (Subject Index), জলছাপ মুক্ত
স্বামী বিবেকানন্দ (জানুয়ারী ১২, ১৮৬৩ - জুলাই ৪, ১৯০২, পিতার দেওয়া নাম - নরেন্দ্রনাথ দত্ত) একজন ভারতীয় উচ্চশিক্ষিত হিন্দু সন্ন্যাসী এবং উনিশ শতকের হিন্দু ধর্মগুরু শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসের বিশিষ্ট শিষ্য ছিলেন। এই বিশিষ্ট সন্ন্যাসী পশ্চিম বিশ্বের সাথে ভারতের বেদান্ত ও যোগ দর্শনের পরিচয় ঘটানোর ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিলেন। উনিশ শতকে বিভিন্ন ধর্মের লোকদের মধ্যে একে অপরের ধর্ম সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিতে এবং হিন্দু ধর্মকে বিশ্বের অন্যতম প্রধান ধর্মের মর্যাদায় পরিণত করার ক্ষেত্রেও তিনি বিশেষ অবদান রেখেছেন। এছাড়াও তিনি ছিলেন ভারতের হিন্দু নবজাগরণের অন্যতম পথিকৃৎ এবং ব্রিটিশ ভারতে জাতীয়তাবাদী ধারণার প্রবক্তা। এই মহান সন্ন্যাসী রামকৃষ্ণ মঠ এবং রামকৃষ্ণ মিশন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
মাত্র উনচল্লিশ বৎসর কাল স্বামীজী এই মর্ত্যলোকে অবস্থান করেন, প্রকাশ্যভাবে তাঁহার ব্যাপক ও গভীর কর্মজীবন মাত্র নয় বৎসর কাল। পরিব্রাজক জীবনের শেষে শ্রীগুরুর ইঙ্গিতে ১৮৯৩ খ্রীষ্টাব্দে তিনি চিকাগো ধর্ম-মহাসভায় যান। সেখানে অপুর্ব সাফল্যের পর তিনি আমেরিকা ও ইওরোপে সার্বভৌম আধ্যাত্মিক বাণী প্রচার করেন। পাশ্চাত্যে বেদান্ত-প্রচারের কার্য দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত করিয়া ১৮৯৭ খ্রীঃ তিনি ভারতে ফিরিয়া আসেন ও স্বদেশে এক প্রান্ত হইতে অপর প্রান্ত পর্যন্ত বজ্রনির্ঘোষে নবজাগরণের বাণী শুনাইতে থাকেন। অতঃপর শ্রীরামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের ভিত্তি স্থাপন করিয়া ১৮৯৯ খ্রীষ্টাব্দে স্বামীজী পুনরায় পাশ্চাত্যে গমন করেন ও বিভিন্ন দেশে বিশেষতঃ আমেরিকায় নবযুগের উদার ভাব প্রচার করিতে থাকেন। ১৯০০ খ্রীষ্টাব্দের শেষ দিকে তিনি বেলুড় মঠে ফিরিয়া আসেন। কঠোর পরিশ্রমে তখন তাঁহার শরীর ক্লান্ত, মনও নির্বাণমুখী; তাই অতি শীঘ্র জগতের সর্ববিধ কল্যাণের জন্য বহুজনহিতায়, বহুজনসুখায়’ শ্রীরামকৃষ্ণ মঠ-মিশনের কাজ যোগ্য হস্তে সমৰ্পণ করিয়া ১৯০২ খ্রীঃ ৪ঠা জুলাই তিনি তাঁহার নশ্বর দেহ ত্যাগ করেন। এই অল্প সময়ের মধ্যে তিনি যাহা করিয়া গিয়াছেন, বিস্ময়-বিমুগ্ধ জগৎ বহুদিন তাহার দিকে তাকাইয়া থাকিবে। বক্তৃতা এবং রচনার মাধ্যমে স্বামীজীর বাণী প্রচারের কাল মাত্র সাত বৎসর (১৮৯৩-১৯০০), অবশ্য পত্র-রচনার কাল ইহা অপেক্ষা কিছু বেশী। (১৮৮৮-১৯০২)।
অত্যন্ত দুঃখের বিষয় স্বামীজীর বক্তৃতাবলীর অধিকাংশই আশানুরূপভাবে লিপিবদ্ধ হয় নাই। তথাপি তাঁহার যে-কয়টি ভাষণ ও বক্তৃতা আমরা পাইয়াছি তাহা চিরদিনই মানব-সমাজের অমূল্য সম্পদৃ রূপে পরিগণিত হইবে। বিভিন্ন দেশের বহু ব্যক্তিকে লিখিত তাঁহার পত্রগুলি এবং তাঁহার কথোপকথনও বলিষ্ঠ চিন্তাধারার উৎস।
স্বামীজীর বাংলা পত্র ও প্রবন্ধ কিছু কিছু তাঁহার জীবকালেই তৎপ্রতিষ্ঠিত পাক্ষিক উদ্বোধন' পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। বিদেশে প্রদত্ত তাঁহার ইংরেজী বক্তৃতাবলীর কিছু কিছু সেই দেশেই পুস্তকাকারে বাহির হয়। আমেরিকার বিভিন্ন পত্রিকাতেও স্বামীজীর কয়েকটি দার্শনিক প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়।
স্বামীজীর উৎসাহে মান্দ্রাজ হইতে ‘ব্ৰহ্মবাদি’ ও পরে ‘প্রবুদ্ধ ভারত' পত্রিকা প্রকাশিত হইলে তাহাতেও তাঁহার পত্র, প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী বাহির হইতে থাকে। কিছুকাল পরে ‘প্রবুদ্ধ ভারত' হিমালয়ে স্থানান্তরিত হয়, তখন উহাতে নিয়মিতভাবে তাঁহার লেখা ও বক্তৃতাগুলি প্রকাশিত হইতে থাকে।
স্বামীজীরই নির্দেশে গুরুসেবার অঙ্গরূপে স্বামী শুদ্ধানন্দ স্বামীজীর ইংরেজী বক্তৃতা ও পত্রাবলীর বঙ্গানুবাদ করিতে আরম্ভ করেন। স্বামীজী কর্তৃক অনুমোদিত হইয়া এগুলি ধারাবাহিকভাবে 'উদ্ধোধন'-এ প্রকাশিত হয়; পরে স্বামীজীর গুরুভ্রাতা শ্রীরামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের তদানীন্তন সম্পাদক স্বামী সারদানন্দজীর ব্যবস্থাপনায় উদ্বোধন কার্যালয় হইতে সেগুলি বিভিন্ন পুস্তকাকারে প্রকাশিত হইতে থাকে এবং এখনও হইতেছে।
স্বামীজীর জন্মের শত বৎসর পরে তাঁহার ঐ সকল বাণী, রচনা ও পত্রাদি এবং আজ পর্যন্ত আরও যে-সকল অপ্রকাশিত বক্তৃতা ও পত্রাদি পাওয়া গিয়াছে, সেগুলি সব একত্র করিয়া শতবর্ষ-স্মারক-গ্রন্থাবলীরূপে প্রকাশ করার কথা দুই-তিন বৎসর পূর্বে আমাদের অনেকের মনে উদিত হয়। শ্রীরামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের তদানীন্তন সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান অধ্যক্ষ স্বামী। মাধবানন্দজীর পরামর্শক্রমে এই বিষয়ে আলোচনার জন্য মঠের কয়েকজন বিশিষ্ট সন্ন্যাসী ও আমাদের সুহৃদ্ কয়েকজন অধ্যাপককে লইয়া একটি ছােটখাট সভার অধিবেশন হয়। এই আলোচনা-সভায় সর্বাদিসম্মতভাবে স্থির হয় যে, স্বামীজীর পত্রাবলী সময়ানুক্রমে সাজাইয়া এবং বক্তৃতা ও রচনা, কথোপকথন—যথাসম্ভব বিষয়ানুযায়ী সাজাইয়া ১০ম খণ্ডে বিভক্ত করিয়া উদ্বোধন কার্যালয় হইতে জন্মশতবর্ষ-স্মারকগ্রন্থ-রূপে প্রকাশিত হইবে।
দশটি খণ্ডে বিভক্ত এই গ্রন্থাবলীর ১ম খণ্ডে চিকাগো বক্তৃতা, কর্মযোগ ও রাজযোগ; ২য় খণ্ডে জ্ঞানযোগ; ৩য় খণ্ডে ধর্ম ও দর্শন; ৪র্থ
খণ্ডে ভক্তিযোগ এবং ‘দেববাণী';৫ম খণ্ডে ‘ভারতে বিবেকানন্দ এবং ভারত-প্রসঙ্গে বক্তৃতা ও রচনাবলী মুদ্রিত হইতেছে। ৬ষ্ঠ খণ্ডে স্বামীজীর মৌলিক বাংলা রচনা (গদ্য ও কবিতা) এবং পত্রাবলী; ৭ম খণ্ডে পত্রাবলী ও ইংরেজী কবিতার অনুবাদ; ৮ম খণ্ডে পত্রাবলী এবং “মহাপুরুষ-প্রসঙ্গ; ৯ম খণ্ডে স্বামী-শিষ্য-সংবাদ’, স্বামীজীর সহিত বিভিন্ন ব্যক্তির কথোপকথন এবং ১০ম খণ্ডে মেরী লুই বার্ক লিখিত গ্রন্থে (Swami Vivekananda: New Discoveries in America) প্রকাশিত স্বামীজীর বক্তৃতার বিবরণীর বঙ্গানুবাদ এবং বিবিধ বিষয়ের লেখা ও বক্তৃতা সন্নিবেশিত হইতেছে। স্বামীজীর সমগ্র বাণী ও রচনা'র মুখবন্ধরূপে ভগিনী নিবেদিতা-লিখিত স্বামীজীর ইংরেজী গ্রন্থাবলীর ভুমিকা ‘Our Master and his Message অনুবাদ করিয়া প্রথম খণ্ডের প্রারম্ভেই সন্নিবেশিত হইল। প্রতি খণ্ডে স্বামীজীর রচনাদির সহিত একটি তথ্যপঞ্জী। ও নির্দেশিকা দেওয়া হইয়াছে। পুরাতন অনুবাদগুলিতে যথাসম্ভব স্বামী শুদ্ধানন্দজীর রীতিই অনুসরণ করা হইয়াছে। একান্ত প্রয়োজনবোধে কিছু কিছু ভাষার সংস্কার করা হইয়াছে। বানানে বর্তমান রীতি অনুসৃত।
এই গ্রন্থমালার সম্পাদন-ভার সর্বসম্মতিক্রমে ‘উদ্বোধন’-পত্রিকার বর্তমান সম্পাদক স্বামী নিরাময়ানন্দকে দেওয়া হয়। ইহাও | স্থির হয় যে, স্বামী বিশ্বাশ্রয়ানন্দ এবং অধ্যাপক প্রণবরঞ্জন ঘোষ ও অধ্যাপক শঙ্করীপ্রসাদ বসু এ-বিষয়ে তাঁহাকে সাহায্য করিবেন। প্রকাশনের অন্যান্য কার্যের ভার উদ্বোধনের প্রকাশন বিভাগের পরিচালক স্বামী অতন্দ্রানন্দের উপর অর্পিত হয়। এই গ্রন্থসম্পাদনায় রামকৃষ্ণ-বিবেকানন্দ সাহিত্যে সুপরিচিত স্বামী গম্ভীরানন্দের সাহায্য এবং পরামর্শও বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
এই গ্রন্থমালা-প্ৰকাশ-প্রসঙ্গে আমরা সর্বপ্রথম কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক সরকারের নিকট আমাদের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করিতেছি। তাঁহাদের উৎসাহে ও প্রাথমিক অর্থানুকূল্যে এই প্রকাশন-কার্য আমরা আরম্ভ করি। শান্তিনিকেতনের স্বনামধন্য শিল্পী আচার্য শ্রীনন্দলাল বসু মহাশয় এই গ্রন্থমালার প্রচ্ছদপট পরিকল্পনা ও অঙ্কন করিয়া দিয়া আমাদিগকে অশেষ কৃতজ্ঞতাপাশে আবদ্ধ করিয়াছেন। অনুবাদ প্রভৃতি কার্যে নানাভাবে সাহায্য করিয়াছেন ডক্টর রমা চৌধুরী, শ্রীযুক্তা সান্ত্বনা দাশগুপ্তা, শ্রীজ্ঞানেন্দ্রচন্দ্র দত্ত, শ্রীবিশ্বরঞ্জন। ভাদুড়ী, শ্রীসুধীন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, শ্রীমসরঞ্জন রায়, শ্রীবিজয়লাল চট্টোপাধ্যায়, শ্রীদেবব্রত রায়চৌধুরী, শ্রীরমণীকুমার দত্তগুপ্ত, স্বামী শ্ৰদ্ধানন্দ, স্বামী বীতশোকানন্দ, স্বামী হিরন্ময়ানন্দ, স্বামী অজজানন্দ, স্বামী অমলানন্দ, স্বামী আদীশ্বরানন্দ এবং প্রব্রাজিকা মুক্তিপ্রাণা প্রভৃতি অধ্যাপক, অধ্যাপিকা ও বুধমণ্ডলী। সেজন্য তাঁহাদের সকলের নিকট আমরা কৃতজ্ঞ।
আরও অনেকে এই গ্রন্থমালা প্রকাশনে নানাভাবে আমাদের সাহায্য করিয়াছেন, স্থানাভাবে সকলের নাম পৃথক ভাবে উল্লেখ করা। গেল না। তাঁহাদের শ্রম ও সাহায্য ব্যতীত এত অল্পসময়ে এই গ্রন্থাবলী প্রকাশ করা সম্ভব হইত না। গ্রন্থমালার তথ্যপঞ্জীর। পৌরাণিক অংশ অধ্যাপক শ্ৰীত্রিপুরারি চক্রবর্তী, ঐতিহাসিক অংশ অধ্যাপক শ্রীশৈলেন্দ্রনাথ ধর, নৃতাত্ত্বিক অংশ অধ্যাপক শ্ৰীনির্মলকুমার বসু সংগ্রহ করিয়া দিয়া এই গ্রন্থমালার সৌষ্ঠব বৃদ্ধি করিয়াছেন। দার্শনিক অংশের তথ্যপঞ্জী ডক্টর সতীশচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় দেখিয়া দিয়াছেন। তথ্যপঞ্জীর অন্যান্য অংশ এবং নুতন পত্রগুলির অনুবাদ হাওড়া রামকৃষ্ণ-বিবেকানন্দ আশ্রমের শ্রীমা সুশীলরঞ্জন দাশগুপ্ত ও শ্রীনারায়ণচন্দ্র সাউ-এর অক্লান্ত পরিশ্রমে ও যত্নে সংগৃহীত ও লিখিত হইয়াছে। অধ্যাপক শ্রীসুবোধচন্দ্র মুখোপাধ্যায় ও শ্রীমান্ শঙ্করনাথ চট্টোপাধ্যায় সমগ্র গ্রন্থাবলীর বিষয়-নির্দেশিকা (Subject Index) প্রণয়ন করিয়াছেন। প্রতিখণ্ডের শেষে নির্দেশিকা রচনা করিয়াছেন শ্রীমা তারকনাথ দে ও শ্রীসতীশচন্দ্র ঘোষ। হিসাব-রক্ষার ব্যাপারে প্রথম হইতেই শ্রীননীগোপাল চক্রবর্তীর অক্লান্ত পরিশ্রম উল্লেখযোগ্য। বাগবাজার নয়নকৃষ্ণ সাহা লেনের শ্রীবিজয়গোপাল গাঙ্গুলী মহাশয় তাঁহার বাড়ীর অনেকটা অংশ আমাদের এই প্রকাশন বিভাগের জন্য ছাড়িয়া না দিলে দীর্ঘদিন ধরিয়া গ্রন্থগুলির রক্ষণাবেক্ষণ এবং সুষ্ঠু বিতরণ আমাদের পক্ষে সম্ভব হইত না।
ইহাদের সকলের উপর শ্রীভগবানের শুভাশীর্বাদ সর্বদা বর্ষিত হউক; স্বামীজীর জীবনপ্রদ ভাবধারা সকলের হৃদয়ে প্রবাহিত হউক। —বিবেকানন্দ শতবার্ষিকীর পুণ্য বৎসরে, এই গ্রন্থাবলী প্রকাশনের শুভক্ষণে ইহাই আমাদের একান্ত প্রার্থনা।- প্রকাশক
উপরোক্ত বাংলা বইটির পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করুন অথবা অনলাইনে পড়ুন
প্রিয় পাঠকগণ, আপনারা এই পোষ্ট হইতে অমূল্য রচনা সমগ্র- 'বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা সমগ্র (প্রথম হইতে দশম খন্ড একত্রে)'-এর পিডিএফ সংগ্রহ করিতে পারিবেন।
ডিজিটাল বইয়ের নাম- বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা সমগ্র (প্রথম হইতে দশম খন্ড একত্রে)
লেখক- স্বামী বিবেকানন্দ
বইয়ের ধরন- ধর্ম সম্পর্কিত বই
ফাইলের ধরন- পিডিএফ
এই বইতে মোট পৃষ্টা আছে- ২৫৪১
ডিজিটাল বইয়ের সাইজ- ২০এমবি
প্রিন্ট খুব ভালো, ক্লিকযোগ্য সূচিপত্র (Subject Index), জলছাপ মুক্ত
স্বামী বিবেকানন্দ (জানুয়ারী ১২, ১৮৬৩ - জুলাই ৪, ১৯০২, পিতার দেওয়া নাম - নরেন্দ্রনাথ দত্ত) একজন ভারতীয় উচ্চশিক্ষিত হিন্দু সন্ন্যাসী এবং উনিশ শতকের হিন্দু ধর্মগুরু শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসের বিশিষ্ট শিষ্য ছিলেন। এই বিশিষ্ট সন্ন্যাসী পশ্চিম বিশ্বের সাথে ভারতের বেদান্ত ও যোগ দর্শনের পরিচয় ঘটানোর ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিলেন। উনিশ শতকে বিভিন্ন ধর্মের লোকদের মধ্যে একে অপরের ধর্ম সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিতে এবং হিন্দু ধর্মকে বিশ্বের অন্যতম প্রধান ধর্মের মর্যাদায় পরিণত করার ক্ষেত্রেও তিনি বিশেষ অবদান রেখেছেন। এছাড়াও তিনি ছিলেন ভারতের হিন্দু নবজাগরণের অন্যতম পথিকৃৎ এবং ব্রিটিশ ভারতে জাতীয়তাবাদী ধারণার প্রবক্তা। এই মহান সন্ন্যাসী রামকৃষ্ণ মঠ এবং রামকৃষ্ণ মিশন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
পুস্তক প্রকাশকের নিবেদন-
আজ হইতে শত বৎসর পূর্বে শ্রীভগবানের আশীর্বাদে সমগ্র মানবজাতির কল্যাণের জন্য জ্ঞান, ভক্তি, কর্ম ও ধ্যানের একটি পরিপূর্ণ আদর্শরূপে স্বামী বিবেকানন্দ আবির্ভূত হইয়াছিলেন। জড়বিজ্ঞানের চমকপ্রদ সাফল্যে ধর্মের প্রভাব তখন কিছুটা স্তিমিত; অশিক্ষা ও কুশিক্ষায়, পরাধীনতা ও দারিদ্র্যে ধর্মের প্রাণকেন্দ্র ভারতও যেন পথ হারাইয়া ফেলিয়াছে; সেই যুগসন্ধিক্ষণে ভবিষ্যৎ মানবজাতির অভ্রান্ত পথনির্দেশকরূপে স্বামী বিবেকানন্দের আবির্ভাব। তাঁহার আগমনে শুধু যে তমসাচ্ছন্ন ভারত কর্মযোগে জাগিয়া উঠিয়াছে—তাহা নয়, রজোগুণে উন্মত্ত ইওরোপ-আমেরিকাও তাঁহার শিক্ষা-দীক্ষায় ধ্যান-জ্ঞানের নূতন আলোকের সন্ধান পাইয়াছে, আধ্যাত্মিকতার একটি শাশ্বতরূপ দেখিয়া মানুষ আজ ধর্ম-বিষয়ে নিজের ভুল বুঝিতে আরম্ভ করিয়াছে।মাত্র উনচল্লিশ বৎসর কাল স্বামীজী এই মর্ত্যলোকে অবস্থান করেন, প্রকাশ্যভাবে তাঁহার ব্যাপক ও গভীর কর্মজীবন মাত্র নয় বৎসর কাল। পরিব্রাজক জীবনের শেষে শ্রীগুরুর ইঙ্গিতে ১৮৯৩ খ্রীষ্টাব্দে তিনি চিকাগো ধর্ম-মহাসভায় যান। সেখানে অপুর্ব সাফল্যের পর তিনি আমেরিকা ও ইওরোপে সার্বভৌম আধ্যাত্মিক বাণী প্রচার করেন। পাশ্চাত্যে বেদান্ত-প্রচারের কার্য দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত করিয়া ১৮৯৭ খ্রীঃ তিনি ভারতে ফিরিয়া আসেন ও স্বদেশে এক প্রান্ত হইতে অপর প্রান্ত পর্যন্ত বজ্রনির্ঘোষে নবজাগরণের বাণী শুনাইতে থাকেন। অতঃপর শ্রীরামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের ভিত্তি স্থাপন করিয়া ১৮৯৯ খ্রীষ্টাব্দে স্বামীজী পুনরায় পাশ্চাত্যে গমন করেন ও বিভিন্ন দেশে বিশেষতঃ আমেরিকায় নবযুগের উদার ভাব প্রচার করিতে থাকেন। ১৯০০ খ্রীষ্টাব্দের শেষ দিকে তিনি বেলুড় মঠে ফিরিয়া আসেন। কঠোর পরিশ্রমে তখন তাঁহার শরীর ক্লান্ত, মনও নির্বাণমুখী; তাই অতি শীঘ্র জগতের সর্ববিধ কল্যাণের জন্য বহুজনহিতায়, বহুজনসুখায়’ শ্রীরামকৃষ্ণ মঠ-মিশনের কাজ যোগ্য হস্তে সমৰ্পণ করিয়া ১৯০২ খ্রীঃ ৪ঠা জুলাই তিনি তাঁহার নশ্বর দেহ ত্যাগ করেন। এই অল্প সময়ের মধ্যে তিনি যাহা করিয়া গিয়াছেন, বিস্ময়-বিমুগ্ধ জগৎ বহুদিন তাহার দিকে তাকাইয়া থাকিবে। বক্তৃতা এবং রচনার মাধ্যমে স্বামীজীর বাণী প্রচারের কাল মাত্র সাত বৎসর (১৮৯৩-১৯০০), অবশ্য পত্র-রচনার কাল ইহা অপেক্ষা কিছু বেশী। (১৮৮৮-১৯০২)।
অত্যন্ত দুঃখের বিষয় স্বামীজীর বক্তৃতাবলীর অধিকাংশই আশানুরূপভাবে লিপিবদ্ধ হয় নাই। তথাপি তাঁহার যে-কয়টি ভাষণ ও বক্তৃতা আমরা পাইয়াছি তাহা চিরদিনই মানব-সমাজের অমূল্য সম্পদৃ রূপে পরিগণিত হইবে। বিভিন্ন দেশের বহু ব্যক্তিকে লিখিত তাঁহার পত্রগুলি এবং তাঁহার কথোপকথনও বলিষ্ঠ চিন্তাধারার উৎস।
স্বামীজীর বাংলা পত্র ও প্রবন্ধ কিছু কিছু তাঁহার জীবকালেই তৎপ্রতিষ্ঠিত পাক্ষিক উদ্বোধন' পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। বিদেশে প্রদত্ত তাঁহার ইংরেজী বক্তৃতাবলীর কিছু কিছু সেই দেশেই পুস্তকাকারে বাহির হয়। আমেরিকার বিভিন্ন পত্রিকাতেও স্বামীজীর কয়েকটি দার্শনিক প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়।
স্বামীজীর উৎসাহে মান্দ্রাজ হইতে ‘ব্ৰহ্মবাদি’ ও পরে ‘প্রবুদ্ধ ভারত' পত্রিকা প্রকাশিত হইলে তাহাতেও তাঁহার পত্র, প্রবন্ধ ও বক্তৃতাবলী বাহির হইতে থাকে। কিছুকাল পরে ‘প্রবুদ্ধ ভারত' হিমালয়ে স্থানান্তরিত হয়, তখন উহাতে নিয়মিতভাবে তাঁহার লেখা ও বক্তৃতাগুলি প্রকাশিত হইতে থাকে।
স্বামীজীরই নির্দেশে গুরুসেবার অঙ্গরূপে স্বামী শুদ্ধানন্দ স্বামীজীর ইংরেজী বক্তৃতা ও পত্রাবলীর বঙ্গানুবাদ করিতে আরম্ভ করেন। স্বামীজী কর্তৃক অনুমোদিত হইয়া এগুলি ধারাবাহিকভাবে 'উদ্ধোধন'-এ প্রকাশিত হয়; পরে স্বামীজীর গুরুভ্রাতা শ্রীরামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের তদানীন্তন সম্পাদক স্বামী সারদানন্দজীর ব্যবস্থাপনায় উদ্বোধন কার্যালয় হইতে সেগুলি বিভিন্ন পুস্তকাকারে প্রকাশিত হইতে থাকে এবং এখনও হইতেছে।
স্বামীজীর জন্মের শত বৎসর পরে তাঁহার ঐ সকল বাণী, রচনা ও পত্রাদি এবং আজ পর্যন্ত আরও যে-সকল অপ্রকাশিত বক্তৃতা ও পত্রাদি পাওয়া গিয়াছে, সেগুলি সব একত্র করিয়া শতবর্ষ-স্মারক-গ্রন্থাবলীরূপে প্রকাশ করার কথা দুই-তিন বৎসর পূর্বে আমাদের অনেকের মনে উদিত হয়। শ্রীরামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের তদানীন্তন সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান অধ্যক্ষ স্বামী। মাধবানন্দজীর পরামর্শক্রমে এই বিষয়ে আলোচনার জন্য মঠের কয়েকজন বিশিষ্ট সন্ন্যাসী ও আমাদের সুহৃদ্ কয়েকজন অধ্যাপককে লইয়া একটি ছােটখাট সভার অধিবেশন হয়। এই আলোচনা-সভায় সর্বাদিসম্মতভাবে স্থির হয় যে, স্বামীজীর পত্রাবলী সময়ানুক্রমে সাজাইয়া এবং বক্তৃতা ও রচনা, কথোপকথন—যথাসম্ভব বিষয়ানুযায়ী সাজাইয়া ১০ম খণ্ডে বিভক্ত করিয়া উদ্বোধন কার্যালয় হইতে জন্মশতবর্ষ-স্মারকগ্রন্থ-রূপে প্রকাশিত হইবে।
দশটি খণ্ডে বিভক্ত এই গ্রন্থাবলীর ১ম খণ্ডে চিকাগো বক্তৃতা, কর্মযোগ ও রাজযোগ; ২য় খণ্ডে জ্ঞানযোগ; ৩য় খণ্ডে ধর্ম ও দর্শন; ৪র্থ
খণ্ডে ভক্তিযোগ এবং ‘দেববাণী';৫ম খণ্ডে ‘ভারতে বিবেকানন্দ এবং ভারত-প্রসঙ্গে বক্তৃতা ও রচনাবলী মুদ্রিত হইতেছে। ৬ষ্ঠ খণ্ডে স্বামীজীর মৌলিক বাংলা রচনা (গদ্য ও কবিতা) এবং পত্রাবলী; ৭ম খণ্ডে পত্রাবলী ও ইংরেজী কবিতার অনুবাদ; ৮ম খণ্ডে পত্রাবলী এবং “মহাপুরুষ-প্রসঙ্গ; ৯ম খণ্ডে স্বামী-শিষ্য-সংবাদ’, স্বামীজীর সহিত বিভিন্ন ব্যক্তির কথোপকথন এবং ১০ম খণ্ডে মেরী লুই বার্ক লিখিত গ্রন্থে (Swami Vivekananda: New Discoveries in America) প্রকাশিত স্বামীজীর বক্তৃতার বিবরণীর বঙ্গানুবাদ এবং বিবিধ বিষয়ের লেখা ও বক্তৃতা সন্নিবেশিত হইতেছে। স্বামীজীর সমগ্র বাণী ও রচনা'র মুখবন্ধরূপে ভগিনী নিবেদিতা-লিখিত স্বামীজীর ইংরেজী গ্রন্থাবলীর ভুমিকা ‘Our Master and his Message অনুবাদ করিয়া প্রথম খণ্ডের প্রারম্ভেই সন্নিবেশিত হইল। প্রতি খণ্ডে স্বামীজীর রচনাদির সহিত একটি তথ্যপঞ্জী। ও নির্দেশিকা দেওয়া হইয়াছে। পুরাতন অনুবাদগুলিতে যথাসম্ভব স্বামী শুদ্ধানন্দজীর রীতিই অনুসরণ করা হইয়াছে। একান্ত প্রয়োজনবোধে কিছু কিছু ভাষার সংস্কার করা হইয়াছে। বানানে বর্তমান রীতি অনুসৃত।
এই গ্রন্থমালার সম্পাদন-ভার সর্বসম্মতিক্রমে ‘উদ্বোধন’-পত্রিকার বর্তমান সম্পাদক স্বামী নিরাময়ানন্দকে দেওয়া হয়। ইহাও | স্থির হয় যে, স্বামী বিশ্বাশ্রয়ানন্দ এবং অধ্যাপক প্রণবরঞ্জন ঘোষ ও অধ্যাপক শঙ্করীপ্রসাদ বসু এ-বিষয়ে তাঁহাকে সাহায্য করিবেন। প্রকাশনের অন্যান্য কার্যের ভার উদ্বোধনের প্রকাশন বিভাগের পরিচালক স্বামী অতন্দ্রানন্দের উপর অর্পিত হয়। এই গ্রন্থসম্পাদনায় রামকৃষ্ণ-বিবেকানন্দ সাহিত্যে সুপরিচিত স্বামী গম্ভীরানন্দের সাহায্য এবং পরামর্শও বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
এই গ্রন্থমালা-প্ৰকাশ-প্রসঙ্গে আমরা সর্বপ্রথম কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক সরকারের নিকট আমাদের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করিতেছি। তাঁহাদের উৎসাহে ও প্রাথমিক অর্থানুকূল্যে এই প্রকাশন-কার্য আমরা আরম্ভ করি। শান্তিনিকেতনের স্বনামধন্য শিল্পী আচার্য শ্রীনন্দলাল বসু মহাশয় এই গ্রন্থমালার প্রচ্ছদপট পরিকল্পনা ও অঙ্কন করিয়া দিয়া আমাদিগকে অশেষ কৃতজ্ঞতাপাশে আবদ্ধ করিয়াছেন। অনুবাদ প্রভৃতি কার্যে নানাভাবে সাহায্য করিয়াছেন ডক্টর রমা চৌধুরী, শ্রীযুক্তা সান্ত্বনা দাশগুপ্তা, শ্রীজ্ঞানেন্দ্রচন্দ্র দত্ত, শ্রীবিশ্বরঞ্জন। ভাদুড়ী, শ্রীসুধীন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, শ্রীমসরঞ্জন রায়, শ্রীবিজয়লাল চট্টোপাধ্যায়, শ্রীদেবব্রত রায়চৌধুরী, শ্রীরমণীকুমার দত্তগুপ্ত, স্বামী শ্ৰদ্ধানন্দ, স্বামী বীতশোকানন্দ, স্বামী হিরন্ময়ানন্দ, স্বামী অজজানন্দ, স্বামী অমলানন্দ, স্বামী আদীশ্বরানন্দ এবং প্রব্রাজিকা মুক্তিপ্রাণা প্রভৃতি অধ্যাপক, অধ্যাপিকা ও বুধমণ্ডলী। সেজন্য তাঁহাদের সকলের নিকট আমরা কৃতজ্ঞ।
আরও অনেকে এই গ্রন্থমালা প্রকাশনে নানাভাবে আমাদের সাহায্য করিয়াছেন, স্থানাভাবে সকলের নাম পৃথক ভাবে উল্লেখ করা। গেল না। তাঁহাদের শ্রম ও সাহায্য ব্যতীত এত অল্পসময়ে এই গ্রন্থাবলী প্রকাশ করা সম্ভব হইত না। গ্রন্থমালার তথ্যপঞ্জীর। পৌরাণিক অংশ অধ্যাপক শ্ৰীত্রিপুরারি চক্রবর্তী, ঐতিহাসিক অংশ অধ্যাপক শ্রীশৈলেন্দ্রনাথ ধর, নৃতাত্ত্বিক অংশ অধ্যাপক শ্ৰীনির্মলকুমার বসু সংগ্রহ করিয়া দিয়া এই গ্রন্থমালার সৌষ্ঠব বৃদ্ধি করিয়াছেন। দার্শনিক অংশের তথ্যপঞ্জী ডক্টর সতীশচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় দেখিয়া দিয়াছেন। তথ্যপঞ্জীর অন্যান্য অংশ এবং নুতন পত্রগুলির অনুবাদ হাওড়া রামকৃষ্ণ-বিবেকানন্দ আশ্রমের শ্রীমা সুশীলরঞ্জন দাশগুপ্ত ও শ্রীনারায়ণচন্দ্র সাউ-এর অক্লান্ত পরিশ্রমে ও যত্নে সংগৃহীত ও লিখিত হইয়াছে। অধ্যাপক শ্রীসুবোধচন্দ্র মুখোপাধ্যায় ও শ্রীমান্ শঙ্করনাথ চট্টোপাধ্যায় সমগ্র গ্রন্থাবলীর বিষয়-নির্দেশিকা (Subject Index) প্রণয়ন করিয়াছেন। প্রতিখণ্ডের শেষে নির্দেশিকা রচনা করিয়াছেন শ্রীমা তারকনাথ দে ও শ্রীসতীশচন্দ্র ঘোষ। হিসাব-রক্ষার ব্যাপারে প্রথম হইতেই শ্রীননীগোপাল চক্রবর্তীর অক্লান্ত পরিশ্রম উল্লেখযোগ্য। বাগবাজার নয়নকৃষ্ণ সাহা লেনের শ্রীবিজয়গোপাল গাঙ্গুলী মহাশয় তাঁহার বাড়ীর অনেকটা অংশ আমাদের এই প্রকাশন বিভাগের জন্য ছাড়িয়া না দিলে দীর্ঘদিন ধরিয়া গ্রন্থগুলির রক্ষণাবেক্ষণ এবং সুষ্ঠু বিতরণ আমাদের পক্ষে সম্ভব হইত না।
ইহাদের সকলের উপর শ্রীভগবানের শুভাশীর্বাদ সর্বদা বর্ষিত হউক; স্বামীজীর জীবনপ্রদ ভাবধারা সকলের হৃদয়ে প্রবাহিত হউক। —বিবেকানন্দ শতবার্ষিকীর পুণ্য বৎসরে, এই গ্রন্থাবলী প্রকাশনের শুভক্ষণে ইহাই আমাদের একান্ত প্রার্থনা।- প্রকাশক
উপরোক্ত বাংলা বইটির পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করুন অথবা অনলাইনে পড়ুন
প্রিয় পাঠকগণ, আপনারা এই পোষ্ট হইতে অমূল্য রচনা সমগ্র- 'বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা সমগ্র (প্রথম হইতে দশম খন্ড একত্রে)'-এর পিডিএফ সংগ্রহ করিতে পারিবেন।
No comments:
Post a Comment