লীলা মজুমদার রচনাবলী তিনটি খন্ড পিডিএফ - বাংলা বই এর pdf ডাউনলোড-Bangla Digital Boi Pdf

Latest

Monday, February 17, 2020

লীলা মজুমদার রচনাবলী তিনটি খন্ড পিডিএফ


লীলা মজুমদার রচনাবলী তিনটি খন্ড পিডিএফ
ডিজিটাল বইয়ের নাম- লীলা মজুমদার রচনাবলী (খন্ড-১,২,ও৩)
লেখক- লীলা মজুমদার
বইয়ের ধরন- উপন্যাস ও গল্প সংগ্রহ, শিশু সাহিত্য
ফাইলের ধরন- পিডিএফ
প্রিন্ট খুব ভালো, জলছাপ মুক্ত

লীলা মজুমদার রচনাবলী

লেখিকা লীলা মজুমদারের সংক্ষিপ্ত জীবনী-

লীলা মজুমদারের জন্ম ২৬ ফেব্রুয়ারি ১৯০৮ সালে। কলকাতার গড়পারে মেজো জ্যাঠামশাই উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর বাড়িতে। পিতা প্রমদারঞ্জন, মাতা সুরমা দেবী। পিতামহ কালীনাথ রায় (১৮৩০-১৮৮০), পরিচিত ছিলেন শ্যামসুন্দর মুন্সি নামে। আদি নিবাস ছিল এখনকার বাংলাদেশের ময়মনসিংহ জেলার মসূয়া গ্রামে। তারও অনেক আগে কালীনাথের পূর্বপুরুষ নদীয়া জেলার চাকদহ অঞ্চল থেকে ভাগ্যান্বেষণে এসেছিলেন ময়মনসিংহের শেরপুর পরগনায়। শ্যামসুন্দর মুন্সির পাঁচ ছেলে, তিন মেয়ে। বড়ো সারদারঞ্জন, মেজো কামদারঞ্জন (আত্মীয় হরিকিশোর চৌধুরী তাকে দত্তক নিলে নাম হয় উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী), তৃতীয় পুত্র মুক্তিদারঞ্জন, চতুর্থ পুত্র কুলদারঞ্জন, সর্বকনিষ্ঠ প্রমদারঞ্জন। প্রমদারঞ্জন জরিপ বিভাগে কাজ করতেন, হকি ও ক্রিকেট খেলায় অনুরাগী ছিলেন। তার বনেজঙ্গলে ঘোরার রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা নিয়ে লিখেছিলেন 'বনের খবর'। লীলা মজুমদারের মাতামহ রামকুমার ভট্টাচার্য ছিলেন শাস্ত্রজ্ঞ পণ্ডিত। তিনি প্রাচীন ধর্ম ত্যাগ করে ব্রাহ্ম ধর্মে দীক্ষা নেন ও প্রচারের কাজে পূর্ববঙ্গ ও আসামে পর্যটন করেন। আসামের চা বাগানের কুলিদের ওপর নির্যাতনের কাহিনি নিয়ে লেখেন কুলি কাহিনী। স্ত্রী ও শিশুপুত্রের আকস্মিক মৃত্যু হলে তিনি সন্ন্যাস গ্রহণ করে গৃহত্যাগ করেন, নাম হয় রামানন্দ ভারতী। তিন কন্যার দায়িত্ব গ্রহণ করেন বন্ধুস্থানীয়রা। লীলা মজুমদারের মা সুরমা দেবী মানুষ হন উপেন্দ্রকিশোরের কাছে। পরে প্রমদারঞ্জনের সঙ্গে তার বিবাহ দেন উপেন্দ্রকিশোর।
লীলা মজুমদারের শৈশব কেটেছে প্রমদারঞ্জনের তখনকার কর্মস্থল শিলং শহরে। সেখানকার লোরেটো কনভেন্টে পড়েছেন। ১৯১৯ সালে প্রমদারঞ্জন পাকাপাকিভাবে কলকাতায় চলে আসেন। লীলা ভরতি হন সেন্ট জনস ডায়োসেশান স্কুলে। অত্যন্ত মেধাবী ছাত্রী লীলা মজুমদার ১৯২৪ সালে ম্যাট্রিক পরীক্ষা পাশ করেন মেয়েদের মধ্যে দ্বিতীয় ও সাধারণভাবে দ্বাদশ স্থান গ্রহণ করে। ১৯২৫ ডায়োসেশান কলেজ থেকে আই. এ. পরীক্ষায় হন দ্বিতীয় ও ১৯২৮ সালে ইংরেজি অনার্স নিয়ে বি. এ. পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান লাভ করেন। ১৯৩০ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে এম. এ. পরীক্ষায় যুগ্মভাবে প্রথম স্থান লাভ করেন। ১৯৩০ থেকে ১৯৩২ সালের মধ্যে লীলা মজুমদার কিছুদিন দার্জিলিঙের মহারানি গার্লস স্কুলে, কিছুদিন শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্রনাথের নির্দেশে স্কুল ও কলেজে; এবং কলকাতার আশুতোষ কলেজে পড়িয়েছেন। এইসব অভিজ্ঞতার কোনোটি বিফলে যায়নি। ভবিষ্যতে লেখাই যে তার অবলম্বন হবে এই প্রতীতি তখনই এসে গিয়েছিল। ১৯২৮ সালে নব পর্যায়ের সন্দেশে ‘দিনদুপুরে’ গল্প লিখে ফেলে তার স্বাক্ষরও রেখে গেছেন। অবশ্য প্রথম গল্প 'লক্ষ্মী ছেলে’ লিখেছিলেন ১৯২২ সালে সুকুমার রায় সম্পাদিত সন্দেশে। ১৯৩২ সালে ডা. সুধীরকুমার মজুমদারের সঙ্গে লীলার বিবাহ হয়। দুই সন্তান- পুত্র রঞ্জন, জন্ম ১৯৩৩, কন্যা কমলা, জন্ম ১৯৩৮। তখন তিনি পুরোপুরি কলকাতার বাসিন্দা। তাঁর বাড়ি বিদগ্ধ, গুণীজনের সমাবেশে মুখর থাকে। নিজেকেও জড়িয়ে ফেলেন বহুবিধ কর্মকাণ্ডে। সুবিনয় রায়ের সম্পাদনায় 'সন্দেশে কিছু গল্প বার হয়েছিল। বন্ধু ক্ষিতীন্দ্রনারায়ণ ভট্টাচার্যের উদ্যোগে সেগুলি নিয়ে তার প্রথম বই বেরিয়ে গেল ১৯৪০ সালে, ‘বদ্যিনাথের বড়ি'। প্রথম বড়োদের জন্য গল্প লিখলেন বুদ্ধদেব বসুর অনুরোধে ‘সোনালি রুপোলি', ‘বৈশাখী’ বলে একটা বার্ষিক সংকলনের জন্যে। ভূতের গল্প। ১৯৪৪ থেকে ১৯৪৮ সালে ‘মৌচাক', ‘রামধন' ও 'রংমশাল' পত্রিকায় ছোটোদের জন্যে অনেক গল্প লিখলেন। ১৯৪৮ সালে ‘দিনদুপুরে' বলে ছোটোদের গল্পসংকলন বার হল। যোগাযোগ হল সিগনেট প্রেস ও তার কর্ণধার দিলীপ গুপ্তের সঙ্গে। একে একে বার হল ‘পদিপিসির বর্মিবাক্স’, ‘হলদে পাখির পালক’, বড়োদের জন্যে লেখা উপন্যাস 'শ্রীমতী’, ‘জোনাকি’ ‘মণিমালা’ ও আরও আরও বই। এর মধ্যে ১৯৫৬ সালে ‘আকাশবাণী'তে চাকরিতে ঢুকলেন, শিশু ও নারী বিভাগের সহকারী প্রযোজক হিসেবে কাজ করলেন ১৯৬৩ সাল পর্যন্ত। শত কাজের মধ্যেও ১৯৫৪ সালে খুব আগ্রহ করে শান্তিনিকেতনে বাড়ি তৈরি করলেন। ১৯৬১ সালে ‘সন্দেশ’ আবার প্রকাশিত হল। প্রথম বছরেই ধারাবাহিকভাবে তাতে ‘টংলিং’ উপন্যাস প্রকাশিত হয়। ১৯৬৩ সাল থেকে যুক্ত হলেন সন্দেশের সম্পাদনার কাজে, প্রচণ্ড উৎসাহে। ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত সক্রিয়ভাবে ওই কাজে জড়িত থেকেছেন। ১৯৭৫ থেকে ১৯৮৪ পর্যন্ত টানা শান্তিনিকেতনে বাস করেছেন। ১৯৮৪ সালে স্বামী সুধীরকুমারের প্রথমে অসুস্থতা ও পরে মৃত্যুর কারণে শান্তিনিকেতনের বাস ছাড়তে হল। লেখিকা হিসেবে অত্যন্ত ব্যস্ততাময় এই জীবনে ছোটোদের জন্য গল্প, উপন্যাস, নাটক লিখেছেন বহু। বড়োদের জন্যে লেখার সংখ্যা তুলনায় কম হলেও অনেক লিখেছেন। করেছেন অনুবাদের কাজ, গ্রন্থ সম্পাদনার কাজ, জীবনী রচনার কাজ। পুরস্কারও পেয়েছেন অনেক। ১৯৬৩ সালে ‘বক-বধ পালা’ নাটকের জন্যে সঙ্গীত নাটক আকাদেমী পুরস্কার, ১৯৬৮ সালে আর কোনোখানে’র জন্য রবীন্দ্র পুরস্কার, ১৯৮০ সালে শিশুসাহিত্যে অবদানের জন্যে বিদ্যাসাগর পুরস্কার। বিশ্বভারতী তাকে দেশিকোত্তম সম্মানে ভূষিত করে ১৯৮৬ সালে। কলকাতা, বর্ধমান ও উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় তাকে সাম্মানিক ডি. লিট উপাধি দেয়। এ ছাড়াও মৌচাক পুরস্কার, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভুবনমোহিনী পদক। আর পেয়েছেন পাঠকমনের অকৃপণ ভালোবাসা, আনুষ্ঠানিক যে-কোনো পুরস্কার মূল্যের থেকে তা কম নয়। ২০০৭ সালের ৫ এপ্রিল লীলা মজুমদারের মৃত্যু হয়।

এই মহান শিশু-সাহিত্যিক সম্পর্কে বিশিষ্ট সাহিত্যকারদের বক্তব্য-

ছেলেমানুষ আর বুড়োমানুষ একই জগতে বাস করে কিন্তু দুজনের দৃষ্টি সমান নয়। আমরা ছেলেবেলায় মাঝে-মাঝে যে অদ্ভুত লোকের সংস্পর্শে আসি বড়ো হলে তা ভুলে যাই। দৈবক্রমে কেউ-কেউ বড়ো হয়েও বাল্যের দিব্যদৃষ্টি বজায় রাখেন, এঁরাই সার্থক শিশুসাহিত্য লিখতে পারেন। লীলা মজুমদারের এই দুর্লভ বাল্যদৃষ্টি আছে। ছেলেমেয়েরা এঁর লেখা পড়ে তৃপ্ত হবে কারণ ইনি তাদের চোখেই দেখেছেন, তাদের ভাষাতেই লিখেছেন। কথাচ্ছলে সদুপদেশ দেবার চেষ্টা করেননি।- রাজশেখর বসু

...কৌতুকের সঙ্গে কল্পনা এমন সুমিত হয়ে মিশেছে, এমনভাবে আজগবির সঙ্গে বাস্তবের মাত্রা ঠিক রেখে, আর এমন নীচু গলার লয়দার গদ্যের বাহনে, যে লীলা মজুমদারকে... বাংলা শিশুসাহিত্যে স্বতন্ত্র একটি আসন দিতে হয়।- বুদ্ধদেব বসু

প্রিয় পাঠকগণ, এই পোষ্ট হইতে আপনারা লীলা মজুমদার রচনাবলী'র তিনটি খণ্ড এবং রচনাসমগ্রের -১টি খণ্ড এবং লীলা অমনিবাস পিডিএফ ফাইল হিসাবে সংগ্রহ করিতে পারিবেন।

১।  লীলা মজুমদার রচনাবলী, খণ্ড- ১
সূচীপত্র-
পদিপিসীর বর্মিবাক্স
বক-বধ পালা
এই যা দেখা
ছেলেবেলার গল্প
হলদে পাখির পালক
বহুরূপী

এই বইতে মোট পৃষ্টা আছে- ৪০২
ডিজিটাল বইয়ের সাইজ- ২৫এমবি
এই খন্ডের পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করুন অথবা অনলাইনে পড়ুন

২।  লীলা মজুমদার রচনাবলী, খণ্ড- ২
সূচীপত্র-
গুপীর গুপ্তখাতা
লঙ্কাদহম পালা
উপেন্দ্রকিশোর
ভূতের গল্প
নানা নিবদ্ধ
বক ধার্মিক

এই বইতে মোট পৃষ্টা আছে- ৪০২
ডিজিটাল বইয়ের সাইজ- ১৩এমবি
এই খন্ডের পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করুন অথবা অনলাইনে পড়ুন

৩।  লীলা মজুমদার রচনাবলী, খণ্ড- ৩
সূচীপত্র-
টং লিং
সুকুমার রায়
নেপোর বই
সেজমামার চন্দ্রযাত্রা

এই বইতে মোট পৃষ্টা আছে- ৩৫৪
ডিজিটাল বইয়ের সাইজ- ২১এমবি
এই খন্ডের পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করুন অথবা অনলাইনে পড়ুন

*এছাড়া আপনি আরো সংগ্রহ করতে পারেন
> লীলা মজুমদার রচনাসমগ্র, খন্ড- ১
এই বইতে মোট পৃষ্টা আছে- ৬৩০
ডিজিটাল বইয়ের সাইজ- ৩৮এমবি
এই খন্ডের পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করুন অথবা অনলাইনে পড়ুন

> লীলা অমনিবাস
সূচীপত্র-
এই বইতে মোট পৃষ্টা আছে- ৪১৩
ডিজিটাল বইয়ের সাইজ- ১১এমবি
এই পিডিএফটিতে হাল্কা জলছাপ রয়েছে।
এই খন্ডের পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করুন অথবা অনলাইনে পড়ুন

প্রিয় পাঠকরা এই পোস্টটি থেকে লীলা মজুমদারের সমস্ত সাহিত্যকর্ম বেশীর ভাগটাই সংগ্রহ করতে পারিবেন।

No comments:

Post a Comment