ছায়াশরীর- সেকাল একালের ভূতের গল্প পিডিএফ
ডিজিটাল বইয়ের নাম- ছায়াশরীর- সেকাল একালের ভূতের গল্প
লেখক- বিশিষ্ঠ সকল লেখকগণ
সম্পাদনা- আব্দুল কাফি ও ঋকসুন্দর বন্দ্যোপাধ্যায়
বইয়ের ধরন- ভূতের গল্প
ফাইলের ধরন- পিডিএফ
এই বইতে মোট পৃষ্টা আছে- ২৩৯
ডিজিটাল বইয়ের সাইজ- ৩এমবি
প্রিন্ট খুব ভালো, জলছাপ মুক্ত
ভূত কি ছায়া তবে? কীসের ছায়া? দেহের? না ছায়ার? ভূতের কোনো ছায়া পড়ে না কেন? ছায়ার ছায়া নেই তাই। ভূত একটি স্বাধীন ছায়া। আর সেই ছায়ারও রয়েছে এক দেহ। দেহ নিয়ে অস্বস্তিই ভূতের গল্পের সেরা অর্জন। ছায়ার শরীর খুঁজে দেখার জন্যই ভুতের কাছে যাওয়া। কী থাকে ছায়ার ভিতর? কী আছে ছায়ার ওপারে- এ জানার লোভ কখনও যায় না। কারণ, মৃতেরা আমাদের ছেড়ে যায় না কখনও। ভুতের গল্প তাই আর এক অর্থে, মৃতদের সঙ্গে থাকার গল্পও বটে। সেই মৃতজগতের কাছে গিয়েও ফের চমকে ফিরে আসতে হয়, সেই মৃতদের দেহহীন ছায়া আমাদের ফিরিয়ে দেয়- নিজের দিকে-- সেই দেহহীনতা, সেই ছায়াময়তা আমাদের ভীত করে, সেই ছায়ার রহস্য, ভাষা, সেই ছায়াদের প্রবেশাধিকারহীন জগতে কিছু পরে, কোনও একদিন ঢুকে যেতে হবে আমাকে--এই ভয় আমাদের আতঙ্কে ফেলে কি? কোথাও কি ছায়াশরীরের বায়বীয় ভবিতব্য আমাদের ভীত করে? এমন কি মনে হয়, ওই ছায়ার স্পর্শ এমনই জাদু ও কুহকে মোড়, সেই স্পর্শ কেড়ে নেবে এই দেহ, এই সম্পদ আমার? এই আমার বিয়িং, এই ‘থাকা’, বেঁচে থাকা, ফুরাবে এখনি? তাই কি ছিটকে পিছিয়ে আসি ভূতের ও ছায়ার ছোঁয়াচ বাঁচিয়ে ? হয়তো তাই। হয়তো ছায়াশরীরের ছোঁয়া এভাবে এড়িয়ে থাকা যায় কিছুকাল। কিন্তু তবুও ছায়ারা বাড়ে, তাদের কাজই হল বেড়ে চলা। ক্রমে বেলা বেড়ে গেলে ছায়ারা দীর্ঘ হয়। ধীরে ধীরে ছেয়ে ফেলতে থাকে চারপাশ।
ভূত যে আছে সে বিষয়ে নানা সময়ে অজস্র প্রমাণ তুলে ধরার চেষ্টা হয়েছে। নানা ভাষায়। তার কোনও কোনওটাতে আবার অনেক সময় বেশ বিজ্ঞানসম্মত হবার চেষ্টাও লক্ষ করা যায়। বেশ একটু বিজ্ঞানের ভাষা-পরিভাষা ব্যবহার করে ভূতের ‘প্রামাণিকতা' প্রতিষ্ঠার চেষ্টা হয়েছে। সেসব বেশ মজাদার লেখা।
বাংলায় এরকম সঙ্কলন নতুন নয়। 'ছায়াশরীর’ সঙ্কলনে বাংলার সেকাল থেকে একালের কুড়িটি ভূতের গল্প রয়েছে। সেগুলি হল-
ছায়াশরীরের গল্প
কে আছে পিছনে?
নিশীথ-রাক্ষসীর কাহিনী - বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় শরচ্চন্দ্র ঘোষাল
সর্বনাশিনী - পাঁচকড়ি দে
একটি ভৌতিক কাহিনী - প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়
দাদাশ্বশুরের ঘড়ি - অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর
হরতনের টেক্কা - মণিলাল গঙ্গোপাধ্যায়
হংসভূত - প্রেমাঙ্কুর আতর্থী
মিসেস কুমুদিনী চৌধুরী - হেমেন্দ্রকুমার রায়
মহেশের মহাযাত্রা - রাজশেখর বসু
পেয়ালা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়
রক্ত-খদ্যোত - শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়
অবর্তমান - বনফুল
ছায়াময়ী - মনোজ বসু
কলকাতার গলিতে - প্রেমেন্দ্র মিত্র
ছবির ভূত - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়
ওয়ারিশ - লীলা মজুমদার
গিন্নি-মা - কামাক্ষীপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায়
তারপর - আশাপূর্ণা দেবী
মোতিবিবির দরগা - সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ
মাঝি - শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
ছায়ালীন - জাফর ইকবাল
পরিশিষ্ট
লেখক পরিচিতি
উপরোক্ত বাংলা বইটির পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করুন অথবা অনলাইনে পড়ুন
প্রিয় পঠকগণ, এই পোষ্ট হইতে বাংলা ভূতের গল্পের বই- 'ছায়াশরীর- সেকাল একালের ভূতের গল্প'-এর পিডিএফ সংগ্রহ করিতে পারিবেন।
ডিজিটাল বইয়ের নাম- ছায়াশরীর- সেকাল একালের ভূতের গল্প
লেখক- বিশিষ্ঠ সকল লেখকগণ
সম্পাদনা- আব্দুল কাফি ও ঋকসুন্দর বন্দ্যোপাধ্যায়
বইয়ের ধরন- ভূতের গল্প
ফাইলের ধরন- পিডিএফ
এই বইতে মোট পৃষ্টা আছে- ২৩৯
ডিজিটাল বইয়ের সাইজ- ৩এমবি
প্রিন্ট খুব ভালো, জলছাপ মুক্ত
ভূত কি ছায়া তবে? কীসের ছায়া? দেহের? না ছায়ার? ভূতের কোনো ছায়া পড়ে না কেন? ছায়ার ছায়া নেই তাই। ভূত একটি স্বাধীন ছায়া। আর সেই ছায়ারও রয়েছে এক দেহ। দেহ নিয়ে অস্বস্তিই ভূতের গল্পের সেরা অর্জন। ছায়ার শরীর খুঁজে দেখার জন্যই ভুতের কাছে যাওয়া। কী থাকে ছায়ার ভিতর? কী আছে ছায়ার ওপারে- এ জানার লোভ কখনও যায় না। কারণ, মৃতেরা আমাদের ছেড়ে যায় না কখনও। ভুতের গল্প তাই আর এক অর্থে, মৃতদের সঙ্গে থাকার গল্পও বটে। সেই মৃতজগতের কাছে গিয়েও ফের চমকে ফিরে আসতে হয়, সেই মৃতদের দেহহীন ছায়া আমাদের ফিরিয়ে দেয়- নিজের দিকে-- সেই দেহহীনতা, সেই ছায়াময়তা আমাদের ভীত করে, সেই ছায়ার রহস্য, ভাষা, সেই ছায়াদের প্রবেশাধিকারহীন জগতে কিছু পরে, কোনও একদিন ঢুকে যেতে হবে আমাকে--এই ভয় আমাদের আতঙ্কে ফেলে কি? কোথাও কি ছায়াশরীরের বায়বীয় ভবিতব্য আমাদের ভীত করে? এমন কি মনে হয়, ওই ছায়ার স্পর্শ এমনই জাদু ও কুহকে মোড়, সেই স্পর্শ কেড়ে নেবে এই দেহ, এই সম্পদ আমার? এই আমার বিয়িং, এই ‘থাকা’, বেঁচে থাকা, ফুরাবে এখনি? তাই কি ছিটকে পিছিয়ে আসি ভূতের ও ছায়ার ছোঁয়াচ বাঁচিয়ে ? হয়তো তাই। হয়তো ছায়াশরীরের ছোঁয়া এভাবে এড়িয়ে থাকা যায় কিছুকাল। কিন্তু তবুও ছায়ারা বাড়ে, তাদের কাজই হল বেড়ে চলা। ক্রমে বেলা বেড়ে গেলে ছায়ারা দীর্ঘ হয়। ধীরে ধীরে ছেয়ে ফেলতে থাকে চারপাশ।
ভূত যে আছে সে বিষয়ে নানা সময়ে অজস্র প্রমাণ তুলে ধরার চেষ্টা হয়েছে। নানা ভাষায়। তার কোনও কোনওটাতে আবার অনেক সময় বেশ বিজ্ঞানসম্মত হবার চেষ্টাও লক্ষ করা যায়। বেশ একটু বিজ্ঞানের ভাষা-পরিভাষা ব্যবহার করে ভূতের ‘প্রামাণিকতা' প্রতিষ্ঠার চেষ্টা হয়েছে। সেসব বেশ মজাদার লেখা।
বাংলায় এরকম সঙ্কলন নতুন নয়। 'ছায়াশরীর’ সঙ্কলনে বাংলার সেকাল থেকে একালের কুড়িটি ভূতের গল্প রয়েছে। সেগুলি হল-
ছায়াশরীরের গল্প
কে আছে পিছনে?
নিশীথ-রাক্ষসীর কাহিনী - বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় শরচ্চন্দ্র ঘোষাল
সর্বনাশিনী - পাঁচকড়ি দে
একটি ভৌতিক কাহিনী - প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়
দাদাশ্বশুরের ঘড়ি - অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর
হরতনের টেক্কা - মণিলাল গঙ্গোপাধ্যায়
হংসভূত - প্রেমাঙ্কুর আতর্থী
মিসেস কুমুদিনী চৌধুরী - হেমেন্দ্রকুমার রায়
মহেশের মহাযাত্রা - রাজশেখর বসু
পেয়ালা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়
রক্ত-খদ্যোত - শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়
অবর্তমান - বনফুল
ছায়াময়ী - মনোজ বসু
কলকাতার গলিতে - প্রেমেন্দ্র মিত্র
ছবির ভূত - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়
ওয়ারিশ - লীলা মজুমদার
গিন্নি-মা - কামাক্ষীপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায়
তারপর - আশাপূর্ণা দেবী
মোতিবিবির দরগা - সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ
মাঝি - শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
ছায়ালীন - জাফর ইকবাল
পরিশিষ্ট
লেখক পরিচিতি
উপরোক্ত বাংলা বইটির পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করুন অথবা অনলাইনে পড়ুন
প্রিয় পঠকগণ, এই পোষ্ট হইতে বাংলা ভূতের গল্পের বই- 'ছায়াশরীর- সেকাল একালের ভূতের গল্প'-এর পিডিএফ সংগ্রহ করিতে পারিবেন।
No comments:
Post a Comment