গল্প-চল্লিশ, তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলা গল্পের বই পিডিএফ
ডিজিটাল বইয়ের নাম- গল্প-চল্লিশ
লেখক- তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
বইয়ের ধরন- বাংলা গল্প সংকলন
ফাইলের ধরন- পিডিএফ
এই বইতে মোট পৃষ্টা আছে- ৭৭১
ডিজিটাল বইয়ের সাইজ- ৫৫এমবি
প্রিন্ট ভালো, জলছাপ মুক্ত
সাহিত্যক্ষেত্রে তাঁর আবির্ভাব কিঞ্চিৎ বিলম্বিত হলেও, বলিষ্ঠ শিল্প প্রত্যয় ও অসাধারণ শক্তির জন্য অল্পদিনের মধ্যেই অগ্রণী সাহিত্যিকের মর্যাদা তিনি পেয়েছেন। ১৩৩৪ সালের ফাঙ্গুন মাসের 'কল্লোল' পত্রিকায় তার প্রথম গল্প ‘রসকলি’ প্রকাশিত হয়। পরের বছর ঐ পত্রিকাতেই প্রকাশিত হয় আর একটি গল্প—‘হারানো সুর'। তারাশঙ্কর ১৩৩৫ সালের বৈশাখ থেকেই তার সাহিত্যিক-জীবনের কালগণনা শুরু করেছেন। এর আগে তাঁর সাহিত্যসাধনা চলেছে লোকচক্ষুর অগচরে। কবিতা লিখতেন তখন।..
তারাশঙ্কর যখন বাংলা সাহিত্যে পদক্ষেপ করেছেন, তখন শরৎচন্দ্র বাংলা কথাসাহিত্যের চুড়ান্ত শীর্ষে অধিষ্ঠিত। রবীন্দ্রনাথের সৃষ্টি প্রাচুর্য তখনও নূতন নূতন রূপ ও রীতির সন্ধানে মুখর। কথাসাহিত্যের ক্ষেত্রেও রবীন্দ্রনাথ তখন নব নব বক্তব্য ও আঙ্গিক গ্রহণ করেছেন। বাংলা সাহিত্যের এই দুই অধিনায়কের সৃষ্টি প্রাচুর্যের যুগেও সাহিত্যক্ষেত্রে দেখা দিল অন্য এক অগ্নিময় সঙ্কেত। কল্লোল পত্রিকা হল সেই বিদ্রোহের বাহন। ধীরে ধীরে বাংলা সাহিত্যের পটপরিবর্তন শুরু হল। একদল সংস্কারমুক্ত বিশ্লেষণী মন সাহিত্যের প্রথাবদ্ধ ধারার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করল। সাহিত্য তার শুচিশুভ্র অভিজাত্য ও নীতিবোধের গজদন্ত-মিনার থেকে নেমে এল অখ্যাত ও
অনাবিষ্কৃত গলিপথে। জীবনের যে অংশ আদর্শবাদ, নীতিবোধ ও সুলভ ভাবালুতার রঙীন কুয়াশায় আচ্ছন্ন ছিল, তার উপরে পড়ল কৌতুহলী দৃষ্টির তীক্ষ্ম রঞ্জনরশ্মি।..
তারাশঙ্করের ভাষা ও স্টাইল কলাকৌশল বর্জিত—সহজ, সরল, অতির্যক ও বলিষ্ঠ। বীরভূমের রুক্ষ ধূসর মৃত্তিকার সঙ্গে তাঁর ভাষার একটি আত্মিক সম্পর্ক আছে। এ সম্পর্কে তিনি নিজেই বলেছেন : '... আমার পাত্র-পাত্রীর মুখে আমার ভাষার কথা আমি বসাতে পারি না, তাদের নিজেদের ভাষা আমার ভাবনায়--রচনায় বেরিয়ে আসে। মহান পূর্বাচার্যগণের মত নিজস্ব একটি ভাষা আমি এই কারণেই করতে সক্ষম হই নি। সে শক্তি বোধ হয় আমার নেই এবং সে চর্চা করার ঝোঁকও আমার জাগে নি।' তার শিল্পপ্রকৃতির সঙ্গে প্রাচীন মহাকাব্যের একটি মিল আছে। মহাকাব্যের বস্তুনিষ্ঠতা ও সরলতা ব্যক্তিবিশেষের যত্নকৃত রচনা বলে মনে হয় না। স্বক্ষেত্রে তারাশঙ্করের রচনার মধ্যেও যেন এর কিছু আভাস পাওয়া যায়।
তারাশঙ্করের গল্পমালা বিশাল বনস্পতির মতো দাড়িয়ে আছে। তাদের মুল মানবজীবনের সেই আদিম মহাশক্তিস্বরূপিণী ধাতু-প্রবৃত্তির উৎস কেন্দ্রে নিহিত, তাদের পত্র-পল্লবে রাঢ়ভূমির উত্তপ্ত ধূলি ; জ্বালাময় আকাশের রৌদ্ররসে তারা সমৃদ্ধ। অঙ্গিকের দুর্বলতা, শিল্পগত ত্রুটি-বিচ্যুতি সেখানে বড় কথা নয়— কারণ তারা বিলাসী ধনীর টবের গাছ নয়। বনস্পতির পক্ষে বিশেষ পত্রপল্লব চোখে পড়ে না—সবটুকু মিলিয়েই তার সম্রাটসুলভ মহিমা ও আভিজাত্য। তাঁর গল্পে মানুষ বাঁচার জন্য সংগ্রাম করে, ক্ষত-বিক্ষত হয়, বেদনায় কাঁদে, ভালোবাসে ও ভালোবেসে মরে—এ সবের বহু উরধ্বে এক অনাসক্ত দ্রষ্টার দুটি চোখ জেগে থাকে। একটি চোখে করুণা ও বেদনার গ্লানিমা আর একটি চোখে মহাকালের উদ্যত শাসন—অসহ্য ও মর্মান্তিক তার ধাতব দীপ্তি।
গল্পকার তারাশঙ্করের মর্মলোকে এই ভাবমূর্তিরই প্রতিষ্ঠা।- রথীন্দ্রনাথ রায়
এই মহান লেখকের লেখা চল্লিশটি বাছাই গল্প এই বইতে সঙ্কলিত করা হয়েছে, সেগুলি হল-
রসকলি
নারী ও নাগিনী
অগ্রদানী
কালাপাহাড়
যাদুকরী
বেদেনী
তমসা
জলসাঘর
দেবতার ব্যাধি
আখড়াইয়ের দিঘি
মতিলাল
পিতা-পুত্র
কামধেনু
এক রাত্রি
বন্দিনী কমলা
তারিণী মাঝি
জটায়ু
প্রতিমা
মেলা
সনাতন
ঘাসের ফুল
ডাইনী
তিনশূন্য
শিলাসন
নারী
ময়দানব
ব্যাধি
স্থলপদ্ম
সন্ধামণি
বোবা কান্না
বড়-বৌ
পৌষ-লক্ষ্মী
মালাকার
সুখনীড়
সুরতহাল রিপোর্টর
তাসের ঘর
প্রত্যাবর্তন
উপরোক্ত বাংলা বইটির পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করুন অথবা অনলাইনে পড়ুন
প্রিয় পাঠকগণ, আপনারা এই পোষ্ট হইতে অসাধারণ একটি বাছাই গল্প সংগৃহিত বই- 'গল্প-চল্লিশ, তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়'-এর পিডিএফ সংগ্রহ করিতে পারিবেন।
ডিজিটাল বইয়ের নাম- গল্প-চল্লিশ
লেখক- তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
বইয়ের ধরন- বাংলা গল্প সংকলন
ফাইলের ধরন- পিডিএফ
এই বইতে মোট পৃষ্টা আছে- ৭৭১
ডিজিটাল বইয়ের সাইজ- ৫৫এমবি
প্রিন্ট ভালো, জলছাপ মুক্ত
লেখক তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে কিছু কথা।
তারাশঙ্করের সাহিত্য-সাধনার কথা ভাবতে গেলে এক অবিকম্পিত নির্ধুম অগ্নিশিখার কথাই মনে পড়ে—দুঃখ-বেদনা-প্রতিকূলতার উধ্বে যার দিগন্তস্পর্শী স্বর্ণদীপ্তি!সাহিত্যক্ষেত্রে তাঁর আবির্ভাব কিঞ্চিৎ বিলম্বিত হলেও, বলিষ্ঠ শিল্প প্রত্যয় ও অসাধারণ শক্তির জন্য অল্পদিনের মধ্যেই অগ্রণী সাহিত্যিকের মর্যাদা তিনি পেয়েছেন। ১৩৩৪ সালের ফাঙ্গুন মাসের 'কল্লোল' পত্রিকায় তার প্রথম গল্প ‘রসকলি’ প্রকাশিত হয়। পরের বছর ঐ পত্রিকাতেই প্রকাশিত হয় আর একটি গল্প—‘হারানো সুর'। তারাশঙ্কর ১৩৩৫ সালের বৈশাখ থেকেই তার সাহিত্যিক-জীবনের কালগণনা শুরু করেছেন। এর আগে তাঁর সাহিত্যসাধনা চলেছে লোকচক্ষুর অগচরে। কবিতা লিখতেন তখন।..
তারাশঙ্কর যখন বাংলা সাহিত্যে পদক্ষেপ করেছেন, তখন শরৎচন্দ্র বাংলা কথাসাহিত্যের চুড়ান্ত শীর্ষে অধিষ্ঠিত। রবীন্দ্রনাথের সৃষ্টি প্রাচুর্য তখনও নূতন নূতন রূপ ও রীতির সন্ধানে মুখর। কথাসাহিত্যের ক্ষেত্রেও রবীন্দ্রনাথ তখন নব নব বক্তব্য ও আঙ্গিক গ্রহণ করেছেন। বাংলা সাহিত্যের এই দুই অধিনায়কের সৃষ্টি প্রাচুর্যের যুগেও সাহিত্যক্ষেত্রে দেখা দিল অন্য এক অগ্নিময় সঙ্কেত। কল্লোল পত্রিকা হল সেই বিদ্রোহের বাহন। ধীরে ধীরে বাংলা সাহিত্যের পটপরিবর্তন শুরু হল। একদল সংস্কারমুক্ত বিশ্লেষণী মন সাহিত্যের প্রথাবদ্ধ ধারার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করল। সাহিত্য তার শুচিশুভ্র অভিজাত্য ও নীতিবোধের গজদন্ত-মিনার থেকে নেমে এল অখ্যাত ও
অনাবিষ্কৃত গলিপথে। জীবনের যে অংশ আদর্শবাদ, নীতিবোধ ও সুলভ ভাবালুতার রঙীন কুয়াশায় আচ্ছন্ন ছিল, তার উপরে পড়ল কৌতুহলী দৃষ্টির তীক্ষ্ম রঞ্জনরশ্মি।..
তারাশঙ্করের ভাষা ও স্টাইল কলাকৌশল বর্জিত—সহজ, সরল, অতির্যক ও বলিষ্ঠ। বীরভূমের রুক্ষ ধূসর মৃত্তিকার সঙ্গে তাঁর ভাষার একটি আত্মিক সম্পর্ক আছে। এ সম্পর্কে তিনি নিজেই বলেছেন : '... আমার পাত্র-পাত্রীর মুখে আমার ভাষার কথা আমি বসাতে পারি না, তাদের নিজেদের ভাষা আমার ভাবনায়--রচনায় বেরিয়ে আসে। মহান পূর্বাচার্যগণের মত নিজস্ব একটি ভাষা আমি এই কারণেই করতে সক্ষম হই নি। সে শক্তি বোধ হয় আমার নেই এবং সে চর্চা করার ঝোঁকও আমার জাগে নি।' তার শিল্পপ্রকৃতির সঙ্গে প্রাচীন মহাকাব্যের একটি মিল আছে। মহাকাব্যের বস্তুনিষ্ঠতা ও সরলতা ব্যক্তিবিশেষের যত্নকৃত রচনা বলে মনে হয় না। স্বক্ষেত্রে তারাশঙ্করের রচনার মধ্যেও যেন এর কিছু আভাস পাওয়া যায়।
তারাশঙ্করের গল্পমালা বিশাল বনস্পতির মতো দাড়িয়ে আছে। তাদের মুল মানবজীবনের সেই আদিম মহাশক্তিস্বরূপিণী ধাতু-প্রবৃত্তির উৎস কেন্দ্রে নিহিত, তাদের পত্র-পল্লবে রাঢ়ভূমির উত্তপ্ত ধূলি ; জ্বালাময় আকাশের রৌদ্ররসে তারা সমৃদ্ধ। অঙ্গিকের দুর্বলতা, শিল্পগত ত্রুটি-বিচ্যুতি সেখানে বড় কথা নয়— কারণ তারা বিলাসী ধনীর টবের গাছ নয়। বনস্পতির পক্ষে বিশেষ পত্রপল্লব চোখে পড়ে না—সবটুকু মিলিয়েই তার সম্রাটসুলভ মহিমা ও আভিজাত্য। তাঁর গল্পে মানুষ বাঁচার জন্য সংগ্রাম করে, ক্ষত-বিক্ষত হয়, বেদনায় কাঁদে, ভালোবাসে ও ভালোবেসে মরে—এ সবের বহু উরধ্বে এক অনাসক্ত দ্রষ্টার দুটি চোখ জেগে থাকে। একটি চোখে করুণা ও বেদনার গ্লানিমা আর একটি চোখে মহাকালের উদ্যত শাসন—অসহ্য ও মর্মান্তিক তার ধাতব দীপ্তি।
গল্পকার তারাশঙ্করের মর্মলোকে এই ভাবমূর্তিরই প্রতিষ্ঠা।- রথীন্দ্রনাথ রায়
এই মহান লেখকের লেখা চল্লিশটি বাছাই গল্প এই বইতে সঙ্কলিত করা হয়েছে, সেগুলি হল-
রসকলি
নারী ও নাগিনী
অগ্রদানী
কালাপাহাড়
যাদুকরী
বেদেনী
তমসা
জলসাঘর
দেবতার ব্যাধি
আখড়াইয়ের দিঘি
মতিলাল
পিতা-পুত্র
কামধেনু
এক রাত্রি
বন্দিনী কমলা
তারিণী মাঝি
জটায়ু
প্রতিমা
মেলা
সনাতন
ঘাসের ফুল
ডাইনী
তিনশূন্য
শিলাসন
নারী
ময়দানব
ব্যাধি
স্থলপদ্ম
সন্ধামণি
বোবা কান্না
বড়-বৌ
পৌষ-লক্ষ্মী
মালাকার
সুখনীড়
সুরতহাল রিপোর্টর
তাসের ঘর
প্রত্যাবর্তন
উপরোক্ত বাংলা বইটির পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করুন অথবা অনলাইনে পড়ুন
প্রিয় পাঠকগণ, আপনারা এই পোষ্ট হইতে অসাধারণ একটি বাছাই গল্প সংগৃহিত বই- 'গল্প-চল্লিশ, তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়'-এর পিডিএফ সংগ্রহ করিতে পারিবেন।
Galpo Challis Tarashankar Bandopadhyay download kara jachhe na
ReplyDeleteকেন বন্ধু? ডাউনলোড হচ্ছে না। পরিস্কার করে তো লেখা রয়েছে 'বইটির পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করুন অথবা অনলাইনে পড়ুন' এই লেখা দুটির মধ্যে একটু গুতো দিয়ে দেখো কিছুু একটা হবেই।
ReplyDeleteগুতো দিতে দিতে হাত ব্যথা হয়ে যাচ্ছে কোন কাজ হচ্ছে না লিঙ্ক টি দিন
ReplyDeleteবইটির পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করুন অথবা অনলাইনে পড়ুন
ReplyDeleteor
https://drive.google.com/open?id=1MBOciVMouniBMFVdxvVJAadiLcwG_8Me
or
http://www.mediafire.com/file/i9gx2o46htzeo7g/Galpo-Panchasath_by_Tarashankar_Bandhopadhyay.pdf/file